• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা  / সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস উপাচার্যের
শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। শনিবার (১৬ মার্চ) মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ আশ্বাস দেন। শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে যৌন হয়রানি ও মানসিক চাপের অভিযোগ তুলে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান তিনি। অবন্তিকার এই মৃত্যুর খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস। শুক্রবার রাত থেকেই ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দীকির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ তুলে তাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এরপর উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম কথা বলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।  উপাচার্য তাদের বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি তদন্ত কমিটি সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। তাছাড়া এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ঘটা ঘটনারও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আর আমার হাতে যত আইন আছে, সব আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করবো।’ এ সময় শিক্ষার্থীরা তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডিরও তদন্ত এবং দোষীদের দ্রুত আটক করার দাবি জানান। তখন উপাচার্য তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডির তদন্তের আশ্বাস দেন। অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘পূর্ববর্তী যত যৌন হয়রানির ঘটনার অভিযোগ আছে, সবগুলো আগামী সিন্ডিকেটে তুলে বিচারের আওতায় আনা হবে। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল দায়িত্ব থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’ উপাচার্যের আশ্বাসের পরও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে নিজের আত্মহত্যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে গলায় ফাঁস নেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। পরে কুমিল্লার বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড়ের নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অবন্তিকার মরদেহ উদ্ধার করে।  
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৭

উপাচার্যের আশ্বাসে জাবিতে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম তিন কার্য দিবসের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়ায় পাঁচ দফা দাবিতে চলমান অনির্দিষ্টকালের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আন্দোলনকারীরা। এর আগে বুধবার সকাল ৯টায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে আন্দোলনকারীরা। পূর্বের দিনের মতো এদিনও প্রশাসনিক ভবনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এছাড়া আসেননি উপাচার্যও। ফলে প্রশাসনিক ভবন গত তিন দিন ধরে কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের সামনেই সমস্যা সমাধানে আলোচনায় বসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ডিনদের মধ্যস্থতায় বিকেল তিনটায় আলোচনায় বসে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। সংবাদ সম্মেলনে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের পক্ষে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সাথে আলোচনায় বসেছিল। সেখানে আগামী ১৮ তারিখ দুপুর পর্যন্ত প্রক্টর ও প্রভোস্টের অব্যাহতির বিষয়ে সময় চেয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে মধ্যে প্রক্টর ও প্রভোস্ট স্বেছায় পদত্যাগ করবে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট অনুসারে উপাচার্য তাদের অপসারণ করবেন। এছাড়া অছাত্রদের তালিকা তৈরি ও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে কি আলোচনা হয়েছে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পারভীন জলী বলেন, উপাচার্য বলেছেন অছাত্রদের তালিকা ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। ১৮ তারিখের পরে তিনি আমাদের হাতে তালিকা হস্তান্তর করবেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবেন বলে জানিয়েছেন। যদি ১৮ তারিখের মধ্যে আমাদের দেয়া আশ্বাস বাস্তবায়ন না করেন তাহলে আমরা আমাদের কর্মসূচি পরবর্তীতে পুনরায় অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখবো। ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, তিনদিনের অবরোধের পর ভিসি আমাদের সঙ্গে মিটিং করেন আজ। তিনি আমাদেরকে কথা দিয়েছেন ১৮ তারিখ দুপুরের আগেই আমাদের দাবির ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিবেন। প্রভোস্ট এবং প্রক্টরকে সড়িয়ে দিবেন। যদি তা না করেন তাহলে আমাদেরকে আবার অবরোধ করতে বলেছেন। তাই আমরা তার প্রতি আস্থা ও সম্মান রেখে আন্দোলন আপাতত মুলতবি রাখছি। যদি তিনি তার কথা না রাখেন তাহলে আন্দোলন আরো কঠোর হবে এবং এর সকল দায়ভার প্রশাসনকে বহন করতে হবে।  এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রববানী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম, নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য-সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ প্রমুখ।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৮:০০

ঢাবি উপাচার্যের বাংলো থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের বাংলো থেকে লাল কাপড়ে মোড়ানো নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভিসি বাংলোর কেয়ারটেকার মোজাম্মেল হক বলেন, হঠাৎ দেয়ালের অপর পাশের রাস্তা থেকে কিছু ফেলার শব্দ পান পরিচ্ছন্নকর্মীরা। তারা এগিয়ে গিয়ে একটি সাদা ব্যাগ দেখতে পান। প্রথমে তারা বোমা বা অন্যকিছু ভাবলেও খুলেই লাল কাপড়ে মোড়ানো নবজাতকের মাথা দেখতে পান। পরে খবর দিলে আমি পুলিশকে খবর দিই। তারা এসে মরদেহ নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শাহবাগ থানা পুলিশ একটি নবাজতকের মরদেহ নিয়ে আসে। মরদেহ মর্গে রাখা আছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৮

ভাষা শহীদদের প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের শ্রদ্ধা নিবেদন
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রত্যুষে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীন, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও অন-ক্যাম্পাস প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরাও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।  গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্মৃতির মিনারেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো ও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একই কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রত্যুষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাস, ঢাকার ধানমন্ডিতে নগর কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং কালো পতাকা পূর্ণ উত্তোলন করা হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ করেন।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৯

কুবিতে থমকে গেছে আওয়ামীপন্থী রাজনীতি, অভিযোগের তির উপাচার্যের দিকে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রায় দুই বছর ধরেই বন্ধ শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরাই এ শিক্ষক সমিতিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু পরিষদ নামে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের দুটি সংগঠন রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে দুটি সংগঠনের নেতাদেরই অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আব্দুল মঈন নিজের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে তার অনুগত শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করছেন। এর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্তব্ধ করতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায়ও তিনি বাধা প্রদান করছেন বলে অভিযোগ এ শিক্ষক নেতাদের। এদিকে কমিটি বিলুপ্তির প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হয়নি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কমিটি বিলুপ্তির বছর পেরলেও নতুন কমিটি না হওয়ার পেছনে উপাচার্যই দায়ী। এছাড়াও অছাত্র এবং প্রশ্নবিদ্ধ প্রার্থীদের কমিটিতে আনতে একাধিকবার কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ধরনা দিয়েছেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সর্বশেষ গত ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্যদের শ্রদ্ধা নিবেদনে সরাসরি বাধা প্রদান করেন উপাচার্য। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের মতাদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।  এর আগে ২০২২ সালের পহেলা ডিসেম্বর  বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ উপাচার্য পন্থি বেশ কয়েকজন শিক্ষক কর্তৃক নির্বাচনে হস্তক্ষেপের পর নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এরপরে গত ১ বছরেরও বেশি সময়ে বেশ কয়েকবার সমিতি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলেও উপাচার্য পন্থি শিক্ষকদের অসহযোগিতায় বিষয়টি আর এগোয়নি। সম্প্রতি শিক্ষকদের একটি অংশ সমিতি গঠনের উদ্যোগ নিলে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করেন। এতেও উপাচার্যের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন পদে থাকা শিক্ষকদের একটি অংশ স্বাক্ষর করেননি। সর্বশেষ ৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) শিক্ষকদের এক সাধারণ সভায় আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন সমিতি গঠন করতে না পারার বিষয়টি উপাচার্যের ইন্ধনে হয়েছে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সর্বশেষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড দুলাল চন্দ্র নন্দি জানান, শিক্ষক সমিতির সর্বশেষ নির্বাচন ভণ্ডুল করেছেন উপাচার্য পন্থি শিক্ষকগণ৷ স্পষ্টতই তারা নিজেদের সিদ্ধান্তে এমনটা করেনি। প্রশাসনের বিভিন্ন পদে তারা বহাল রয়েছেন। উপাচার্যের ইন্ধনেই এমনটা করেছে তারা। এখনও শিক্ষক সমিতি গঠন হোক, একটি অংশ সেটা তারা চায়না।    বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদি হাসান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেজর স্টেক হোল্ডারদের প্রতিনিধিত্ব করে শিক্ষক সমিতি। কিন্তু উপাচার্য শিক্ষকদের মতামতকে অবনমন করতে খুবই চাতুর্যপূর্ণভাবে তার আস্থাভাজন কয়েকজনকে দিয়ে সমিতির নির্বাচন বানচাল করেছেন। তার নির্দেশেই গত এক বছরেরও বেশি সময়ে শিক্ষকদের কোনো বৈধ প্রতিনিধিত্ব নেই। ২০১০ সালের পর থেকে কখনও শিক্ষক সমিতি অকার্যকর ছিল না। আরেকটি দিক হলো আমরা দেখেছি, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই যখন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কারাগারে প্রেরণের মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্তব্ধ করার প্রচেষ্টা চালায় স্বাধীনতা বিরোধীরা। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকগণ রাজপথে আন্দোলন করলেও বর্তমান উপাচার্য দেশ ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে যায়। আবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েও বঙ্গবন্ধুর পরিষদকে গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে বাধা প্রদান করেন। কাজেই বিষয়গুলো খুবই পরিষ্কার। বস্তুত উপাচার্য মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে দুর্বল করার অপচেষ্টা বাস্তবায়নে তৎপর। তিনি সত্যাসত্য কোন মতাদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি তার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যক্রমে বিভিন্ন সময়ে উপাচার্যের অসহযোগিতা এবং উপাচার্যের নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের দুটি অংশের নেতারা। বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের (কামাল-মাহবুব) সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, উপাচার্য বরাবরই বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যক্রমে বাধা প্রদান করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে তার অসহযোগিতা পেয়েছি। সর্বশেষ গত ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তিনি প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদনে বাধা প্রদান করেন। যেটি প্রমাণ করে, তিনি মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুখে বললেও অন্তরে সেটি ধারণ করেন না। বঙ্গবন্ধু পরিষদের অপর আরেকটি অংশের (ওমর-মাহবুব) সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুক হক ভূঁইয়া জানান, উপাচার্য মুখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বললেও কাজে তার প্রতিফলন নেই। কেউ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করলে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম করতে পারেন না,  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায্য প্রমোশন আটকে দিতে পারে না, অনিয়ম করে প্রক্টরের অবৈধ ডিগ্রির অনুমোদন দিতে পারে না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষককে দিয়ে ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলেছেন, যারা অন্য শিক্ষকদের মারধর, গালিগালাজ করছে। এসব বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নয়। সর্বোপরি এই প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীদারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করেছে। এগুলোর কোনটিকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসরণ বলা যায়? এদিকে ২০২৩ সালে ৬ মার্চ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির পর প্রায় বছর পার হতে চলেছে। তবে বিভিন্ন সময়ে কমিটি গঠনের গুঞ্জন এবং কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও পুনরায় কমিটি গঠিত হয়নি।  বিষয়টি নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের অন্তত দশজন নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, উপাচার্য নিজের পক্ষে কমিটি আনতে বিভিন্ন সময়ে অছাত্র এবং ভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ের ব্যক্তিত্বের দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারস্থ হয়েছেন। এমনকি বিভিন্ন সময়ে অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে বাধা হওয়ায় শাখা ছাত্রলীগের একাধিক নেতাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই৷ শুরু থেকেই বিভিন্ন সময়ে উপাচার্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একজনের বিরুদ্ধে অপরজনকে ব্যবহার করে কোন্দলে জড়িয়েছেন। শাখা ছাত্রলীগের কোনো কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকুক, সেটি তিনি চান না। যাদের বিরুদ্ধে শিবিরের সঙ্গে যোগসূত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির সাথে থাকার অভিযোগ আছে, বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে তিনি তাদের বিষয়ে তদবির করেছেন। অপরদিকে প্রশাসনের বিভিন্ন অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে বাধা হওয়ায় গত বছরের ৬ মার্চ কমিটি বিলুপ্তির ঠিক পরদিনই ৭ মার্চ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমাদের বহিষ্কার করেছিলেন। বস্তুত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো রাজনীতি থাকুক সেটি উপাচার্য চায় না।   তবে অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য বলেন ফুল দিতে দেয়নি এটি সত্য নয়। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনে আমি একটি ম্যানেজম্যান্ট কমিটি করি। শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমি তাদের উপাচার্যের বক্তব্যের পরে ফুল দিতে বলেছি।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৩

ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্যকে জাবি উপাচার্যের অভিনন্দন 
ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) জাবির পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, স্বনির্ভর ধামসোনা ইনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঢাকা-১৯ সংসদীয় আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৪

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের গাড়িতে হামলা, আহত ২
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের গাড়িতে হামলা করেছে দুবৃর্ত্তরা। সোমবার (৮ জানুয়ারি) উপাচার্যের একান্ত সচিব-২ উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি উপাচার্যের গাড়িতে এ হামলা চালানো হয়। এ বিষয়ে ৬ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, উপাচার্য ৫ জানুয়ারি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে আনুমানিক বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ফিরছিলেন। ফেরার পথে মনিপুর স্কুলের একটু সামনে তার গাড়িকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।  এ ঘটনায় গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। এতে উপাচার্যের একান্ত সচিব-২ দেবাশীষ বৈরাগী ও গাড়ি চালক মো. শাহিনুর আলম সামান্য আহত হন। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয় জিডিতে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়