• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বইমেলায় আদনীন কুয়াশার নতুন উপন্যাস ‘বোহেমিয়ান’
অমর একুশে বইমেলায় জ্ঞানকোষ প্রকাশনী থেকে গল্পকার এবং ঔপন্যাসিক আদনীন কুয়াশার নতুন উপন্যাস ‘বোহেমিয়ান’।  বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মো. সাদিত উজ জামান। জ্ঞানকোষ প্রকাশনীর ১২ নং প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে।  দাম ৩৪০ টাকা। আদনীন কুয়াশার আসল নাম রুদাবা আদনীন। তবে লেখক হিসেবে তিনি আদনীন কুয়াশা নামেই পরিচিত।  জন্ম ঢাকায় তবে বাবার চাকরির সুবাদে নানান জেলায় ঘুরে বেড়ালেও শৈশবের বিশাল একটা সময় কেটেছে চট্টগ্রামে।  ছোটবেলা থেকে শিল্প-সাহিত্যের সঙ্গে জড়িত। ১৯৯৮ সালের নতুন কুঁড়ির ৪টি বিষয়ে বিজয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপ অর্জন করেছিলেন।  জীবনের বেশকিছু বসন্ত পার করার পর হঠাৎ করেই যখন সিদ্ধান্ত নেন লেখিকা হওয়ার। এরপর ফেসবুকে ব্লগ লিখতে লিখতে হয়ে ওঠেন লেখিকা। লিখতে গিয়ে তিনি খেয়াল করেন, তার গল্পের চরিত্রগুলো আশপাশের মানুষেরই প্রতিচ্ছবি। এমনকি তিনি নিজেও কখনও কখনও তার গল্পেরই চরিত্র হয়ে ওঠেন। ‘বোহেমিয়ান’ উপন্যাস প্রসঙ্গে আদনীন কুয়াশা বলেন, এটি একটি সামাজিক উপন্যাস। নাম শুনেই হয়তো অনেকে ভাবছেন এই গল্প কোনো যাযাবরের। যার চালচুলোর কোনো ঠিক নেই। ‘যেখানে রাইত সেখানে কাইত’ টাইপের কোনো ভবঘুরের গল্প। আমি এবার লেখার চেষ্টা করেছি বেশ কিছু বোহেমিয়ান মানুষের গল্প। যে গল্প কখনো হাসাবে, কখনো ভাবাবে, কখনো কাঁদাতেও পারে। আদনীন কুয়াশার প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে অষ্ট অম্বর, এখানে যুক্তিরা মৃত, মেঘ বলেছে যাব যাব, যুক্তিরা উড়ে গেছে , ক্লান্ত কপোত লেখকের ছোটগল্প সংকলন। ভ্রম-বিভ্রম, এ তুমি কেমন তুমি, ওরা মনের গোপন চেনে না এবং এবছর বের হলো ‘বোহেমিয়ান’।  রাণী মৌমাছির দল, হৃদ মাঝারে রাখিব, মুক্তমঞ্চ সংকলন আমাদের গল্প তার সম্পাদিত বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি পাললিক সৌরভ প্রকাশনীতে উপদেষ্টা এবং সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।  লেখালেখির স্বীকৃতি হিসেবে ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’ বইটির জন্য সাহিত্য দিগন্ত লেখক পুরষ্কার এবং ‘ওরা মনের গোপন চেনে না’ বইটির জন্য সোনার বাংলা সাহিত্য পরিষদ থেকে পেয়েছেন গ্রন্থ স্মারক-২০২৪। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৯

বইমেলায় ইশিতা জেরীনের উপন্যাস ‘বেণুবনচ্ছায়াঘন সন্ধ্যা’
অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ এ লেখক ইশিতা জেরীনের উপন্যাস ‘বেণুবনচ্ছায়াঘন সন্ধ্যা’ প্রকাশিত হয়েছে।  জ্ঞানকোষ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত উপন্যাসটি বইমেলার ১২ নম্বর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া অনলাইনে রকমারিতে পাওয়া যাবে। বইটির প্রকাশক শাহীন হাসান তরফদার আর প্রচ্ছদ এঁকেছেন জুলিয়ান।  ফ্ল্যাপ থেকে: রাত তিনটা দশ মিনিটে তাওহীদ সাহেব হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে হসপিটাল এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। তার কিছুক্ষণ আগে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে প্রতীতি মারা গেলেন। এর দশ বারো মিনিট আগে হঠাৎ করে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলো। ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলশান শুরু হলো। তৎক্ষনাৎ চেইন অব সারভাইভাল শুরু করা হলো। তাকে বাঁচাতে ডাক্তাররা তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করলেন কিন্তু কোন লাভ হলো না।  চেতনা হারাবার ঠিক আগের মুহূর্তে প্রতীতি অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিতে নিজের চারপাশে বারবার তাকাতে লাগলেন। হয়তো স্বামীকে, মেয়েকে খুঁজছিলেন। মৃত্যুর মুহূর্তেও হয়তো তিনি আশা করে ছিলেন তিনি যেভাবে চেয়েছেন সত্যিই ঠিক সেভাবে সবকিছু হবে। মৃত্যুর সময় প্রিয় মানুষেরা তাঁর পাশেই থাকবে। তাদের মুখ দেখতে দেখতে, স্বামীর কোলে মাথা রেখে নিজের কপালে তাঁর হাত রেখে তিনি মরবেন। ইনিত্রিয়া পুরোটা সময় দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে হল্টার মনিটরের দিকে নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। এক সময় হৃদস্পন্দনের চিহ্ন শূন্য হয়ে গেল। তখনো তার চোখের পলক পড়লো না, কেবল এক ফোঁটা অশ্রু তার চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়লো। লেখক ইশিতা জেরীনের জন্ম ১০ মার্চ, ১৯৮৯; প্রবীণা পদ্মার জঠর প্রসূত প্রাচীন বরেন্দ্রভূমি-রাজশাহী নগরীর ক্রোড়ে। পড়ালেখা করেছেন তথ্যপ্রযুক্তিতে। বর্তমানে সাহিত্যচর্চায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। পাশাপাশি মনোনিবেশ করেছেন অনুবাদকর্মের প্রতিও। লেখকের প্রকাশিত অন্যান্য বই- নিঃস্বর নীলকণ্ঠ (২০১৭); কালপারাবার (২০১৮); তন্দ্রা ও তমিস্রার কাব্য (২০১৮); গোধূলিসন্ধির নৃত্য (২০১৯); স্বপ্নকূট ও স্বপ্নকীট (২০২০); বসন্তের মাতাল সমীরণে (২০২৩)। লেখকের প্রথম সম্পাদিত গল্পগ্রন্থ ‘গল্পকথার কল্পতরু’ প্রকাশিত হয়েছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এ। এছাড়া অনুবাদ করেছেন সামার, ফায়ারওয়ার্কস অ্যান্ড মাই করপস; অ্যানাদার ভলিউম ১; অ্যাস্লিপ; কিচেন; হার্ডবয়েল্ড অ্যান্ড হার্ড লাক; ডেড-এন্ড মোমোরিজ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২২

বইমেলায় খন্দকার আলী কাওসারের উপন্যাস ‘অন্তরের রূপান্তর’ 
‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এ প্রকাশিত হয়েছে ডা. খন্দকার আলী কাওসারের উপন্যাস ‘অন্তরের রূপান্তর।’ আগে লেখালেখি করলেও খন্দকার আলী কাওসারের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস এটি। বাংলার প্রকাশন থেকে থেকে প্রকাশিত এই বইটি মূলত ৯০ দশকে বেড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত পরিবারের এক কিশোরের জীবনকে নিয়ে এগিয়েছে এসেছে প্রেম আর তার সাথে টানাপোড়েন।  আছে ব্যর্থতার গল্প। সেটাকে অতিক্রম করে জীবন বিনির্মাণের গল্পও আছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ঘটনা বিস্তার লাভ করেছে বিদেশে। সময়ের পরিক্রমায় নতুন শতাব্দীতে প্রবেশ করেছে উপন্যাসটি। দুই সময়ের এক বর্ণনামূলক তুলনা উপন্যাসটিতে একটি ভিন্ন আমেজ এনে দিয়েছে। সাফল্যের একটা পর্যায়ে গেলে আগে ছেড়ে চলে যাওয়া অনেকেই ফিরে আসে। তখন কী করা উচিত? এসবের উত্তর দিতে গিয়েই এক দারুণ সামাজিক বার্তা দেয়া হয়েছে উপন্যাসটিতে। লেখকের বর্ণনাশৈলী আর ঘটনার গতিময়তা পাঠককে ধরে রাখবে বলেই আশা করা যায়। বাংলার প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ১৭৫ পৃষ্ঠার এ বইয়ের মুদ্রিত মূল্য ৪৬০ টাকা, যা এখন পাওয়া যাচ্ছে ২৫ শতাংশ ছাড়ে। প্রথম সংস্করণ প্রায় শেষ হওয়া বইটি পাওয়া যাচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ২০৭-২০৮ নাম্বার স্টলে। লেখক দেশে সার্জারি ও নিউরোসার্জারিতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। যুক্তরাজ্যের ডান্ডিতে নিউরোসার্জারিতে চাকরি শুরু করেন এডিনবরায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন নিউরোসার্জারি ও মেজর ট্রমা কনসালটেন্ট হিসেবে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০০

আরিফুর রহমানের উপন্যাস ‘সাউদার্ন ভ্যালি ওয়ে’ 
  আরিফুর রহমানের নতুন উপন্যাস সাউদার্ন ভ্যালি ওয়ে। এটি তার অষ্টম বই। বইটির বর্ণনা আর কাহিনি নিজের মতো করে সাজিয়েছেন। পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধের দেশ অস্ট্রেলিয়া। মরুভূমি, সমুদ্র, পাহাড়, ঝর্ণা আর জঙ্গলের মাঝে মাঝে আদিগন্ত বিস্তৃত সবুজ মাঠ, উপত্যকা। এরকম একটি উপত্যকার শেষের দিক পর্যন্ত চলে গেছে সাউদার্ন ভ্যালি ওয়ে রাস্তাটি। সেই রাস্তার শেষ বাড়িটির বাংলা নামের পাশে ‘দ্য হ্যাপিনেস’ বাড়িতে কেউ সুখ খুঁজে পেয়েছে কি না, জানতেই এই উপন্যাসের শুরু। পাঠকের মধ্যে সাড়া ফেলেছে বইটি। নাম, ধাম, বয়স, সময় বিবিধের ভিড়ে তিনি হারাতে চাননি কোনদিন। তাই তাঁর পরিচয় অতি সাধারণ। লেখার আনন্দে লেখেন, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে গল্প বলেন, আর ভাগ করে নিতে ভালোবাসেন নানা রকমের গল্প সকল বন্ধুদের সঙ্গে।ছোটবেলায় কেটেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের বিস্তৃত সবুজ গ্রাম নাটুয়ার পাড়ায়। বাবা প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ আব্দুল কুদ্দুস সরকার, মা আসমা সরকার। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে কনিষ্ট সন্তান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন আরিফুল। বর্তমানে বাস করছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত প্রশান্তিকা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। তার অন্যান্য উপন্যাস ‘এবং একা’, ‘জানি সে আসবে না’ , ‘দহন দিনের গান’, ‘নিঃশব্দ প্রহরে’, ‘সন্ধ্যারাগ’, ‘স্বপ্নজাল’ পাঠকমহলে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পাঠকদের ভালোবাসায় এবারের উপন্যাস ‘সাউদার্ন ভ্যালি ওয়ে’।  
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৫

বইমেলায় ইসমত আরা প্রিয়ার উপন্যাস ‘আমার শুধু মানুষ হারায়’
‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এ প্রকাশিত হয়েছে ইসমত আরা প্রিয়ার উপন্যাস ‘আমার শুধু মানুষ হারায়।’ এই পৃথিবীতে মানুষের অর্থ হারায়, সম্পদ হারায়, নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারায়, কবির ডায়েরি হারায়, কিন্তু প্রিয়ার কেন মানুষ হারায়? জীবনপথে অন্য কিছু হারালে ফিরে পাওয়া যায়, কিন্তু মানুষ হারালে কি ফেরত পাওয়া যায়? আর কেনই-বা মানুষ হারিয়ে যায়। জানতে হলে পড়তে হবে উপন্যাস ‘আমার শুধু মানুষ হারায়।’ লেখক ইসমত আরা প্রিয়া অসাধারণ নৈপুণ্যে চিত্রপটের মাধ্যমে উপন্যাসের নানান চরিত্রকে উপস্থাপন করেছেন।   ‘দূরপাল্লার চলন্ত বাসগুলো সেদিন হুট করে থামিয়ে দেব, থামিয়ে মেঘের অজস্র কান্না কিংবা গর্জন। শহরজুড়ে থাকবে না কোনো যানজট, কোনো ভিড়। এক চেনা পথের শূন্য নিস্তব্ধ রাস্তা দিয়ে আমি একা হেঁটে গেলেই আমার পায়ের ছাপ পড়ে থাকবে। এরপর বহুদিন পেরিয়ে যাবে, পেরিয়ে যাবে বছর কিংবা যুগ। তারপর তুমি জানবে খুব গভীর ভালোবাসা নিয়ে কেউ কোনো একদিন এই পথে হেঁটে গিয়েছিল যার পায়ের ছাপ এখনও স্পষ্ট।’ এমন কাব্যিক বাক্যে সাজানো হয়েছে উপন্যাস। তরুণ লেখক ইসমত আরা প্রিয়ার জন্ম কুষ্টিয়া জেলায়। পড়ালেখা করেছেন বাংলা সাহিত্যে। ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘কান্নাগুলোর প্রার্থনা’, ‘আওয়াজ’, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে লেখা ‘যাবজ্জীবন’, ‘শঙ্খচিল’ ও ‘বসন্ত ফিরে আসে’ উপন্যাস পাঁচটি পাঠকমহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। এ ছাড়াও প্রকাশ পেয়েছে ‘নীলপদ্ম’ নামে একটা কবিতার বই। ইসমত আরা প্রিয়া নিজের অনুভূতিগুলোকে শব্দশৈলীতে তুলে আনতে লিখছেন নিরন্তর। 
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১৬

বইমেলায় শফিক রিয়ান’র উপন্যাস ‘বিষাদের ছায়া’
‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এ প্রকাশিত হয়েছে কথাসাহিত্যিক শফিক রিয়ানের নতুন উপন্যাস ‘বিষাদের ছায়া’। মধ্যবিত্তের অলংঘনীয় এক যন্ত্রণার গল্প নিয়ে লেখা উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে দুয়ার প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন শাহাদাত হোসেন। বইমেলায় দুয়ার প্রকাশনীর ৩৫৬ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রকাশক মো. হৃদয় হোসেন জানান। নতুন বই প্রকাশের বিষয়ে লেখক শফিক রিয়ান জানান, মানুষের জীবন কি মেঘের মতো হতে পারে? মেঘ যেমন দিগ্বিদিক উড়ে বেড়াতে পারে, মানুষও কি এভাবে উড়ে বেড়াতে পারে? পারুলের আজ নিজেকে মেঘের মতো মনে হচ্ছে। সে মেঘ, অসীম নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। যে মেঘ কেবল আকাশের বুকে ঘুরেই বেড়ায়, বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে না। না থাকুক, উপন্যাস নিয়ে আর বেশি কিছু না বলি। আমি চাচ্ছি আমার প্রিয় পাঠকরা মেলা থেকে বই সংগ্রহ করে ‘বিষাদের ছায়া’র গল্পটা সবার সাথে ভাগাভাগি করুক। গল্পটা হয়ে উঠুক মধ্যবৃত্ত শ্রেণির উপাখ্যান। আশা করছি, পাঠক বইটিকে প্রিয় হিসেবেই গ্রহণ করবে। উল্লেখ্য, ‘বিষাদের ছায়া’ শফিক রিয়ানের তৃতীয় উপন্যাস ও পঞ্চম বই। ইতিপূর্বে- আজ রাতে চাঁদ উঠবে না (২০২১), মেঘ বিষাদের দিন (২০২২), বিধ্বস্ত নক্ষত্র (২০২২) ও নিষিদ্ধ করে দাও সূর্যাস্ত (২০২৩) এই বইগুলো প্রকাশ হলে পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। নতুন উপন্যাস নিয়েও আশাবাদী এই তরুণ লেখক।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩১

ফরিদুল ইসলাম নির্জনের উপন্যাস ‘জীবনবিলাস’
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ফরিদুল ইসলাম নির্জনের উপন্যাস জীবনবিলাস। জীবনবিলাস উপন্যাস প্রতিটি মানুষের হৃদয়ের ভেতর জাগিয়ে তুলবে। পাঠক পড়তে গিয়ে মনে হবে এইতো আমার জীবনের গল্প। জীবনপাঠে সবচেয়ে বেদনাদায়ক অধ্যায় পিতৃ-মাতৃহীন সন্তান হয়ে জন্ম নেওয়া। উপন্যাসের তেমনি এক চরিত্র রিমি। যার বেদনাদায়ক অধ্যায়কে সুখপাঠ্য করে তোলে দাদি, ফুপু ও অন্যান্য স্বজনরা। মা-বাবার স্নেহের ছায়ার পরশ হয়ে আগলে রাখে দাদি। কিশোরী বয়সে মনের অজান্তে সম্পর্ক গড়ায় সৌরভ নামে একজনের সঙ্গে। পরিবারের সবাই রাজি না হলেও, দাদির মধ্যস্ততায় তাদের  সম্পর্কের মিলন ঘটায়। এক সময় ভালো চাকরি হয়, কন্যা আসে ঘরে। তার ভেতরই নেমে আসে তাদের সংসারে বিশ্বাস আর ভরসার ঘাটতি, মান-অভিমান। ঠিক তখনি উপন্যাসের মোড় ঘুরে যায়। বাড়তে থাকে কাহিনির চিত্রপট। সৌরভের শহরে বন্ধুদের গ্রামে বেড়ানোর মাধ্যমে পুরো গ্রাম ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থাকে তুলে ধরা হয়েছে। দোকানে, বাড়িতে, ধানের চাতালে ওয়াইফাই কানেকশন, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার মাধ্যমে অনেক অশিক্ষিত মানুষ কনটেন্ট তৈরি করে অর্থ আয় করছে। সেসময়কার জনজীবন চলাচল, আবহমান বাংলা সংস্কৃতির সাথে বর্তমান সময়ের ঘটনা প্রবাহকে দাদীর গল্পের মাধ্যমে উপস্থাপন। প্রেম, বিরহ, গ্রামীন জীবন চলায়ন, পারিবারিক বন্ধন, সামজিক জীবনব্যবস্থা, মিলন, বিচ্ছেদ, প্রেরণা,উপহাস, সব মিলিয়ে আছে জীবনবিলাস! ফরিদুল ইসলাম নির্জনের জন্ম ১০ অক্টোবর, সিরাজগঞ্জ জেলায় উল্লাপাড়ায়। হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে শেষ করেন। বর্তমানে আইসিএমএবিতে সিএমএ কোর্সে অধ্যয়নরত। শৈশব থেকেই পড়ার প্রতি তুমুল আগ্রহ, সেই আগ্রহ থেকেই নিয়মিত লিখতে থাকেন। জাতীয় দৈনিকের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে  অনলাইনেও লিখছেন সরব। লেখালেখির হাতেখড়ি কবিতা হলেও বর্তমানে কথাসাহিত্য নিয়েই এগিয়ে চলেছেন। বর্তমানে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।  বগুড়া সমকাল সুহৃদ সমাবেশ থেকে প্রকাশিত সাহিত্য বিষয়ক কাগজ ‘সুহৃদ বন্ধন’ সম্পাদনা করেছেন। দৈনিক সমকাল এর পাঠক সংগঠন সমকাল সুহৃদ সমাবেশ বগুড়া জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক থাকা অবস্থায় দেশের সেরা সংগঠন পুরস্কার-২০১১, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ থেকে দেশের সেরা সুহৃদ একাদশ (সৃজনে) পঞ্চম স্থান, আত্মবিকাশ পাঠচক্র রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান, বাংলা একাডেমিতে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ আয়োজিত 'তারুণ্যে রুখবে সহিংসতা' রচনা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান, বাংলাদেশ নারী লেখক সোসাইটি থেকে গ্রন্থ সম্মাননা হিসেবে শুভেচ্ছা স্মারক-২০২২, বাসপ সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ অর্জন করেন। প্রকাশিত হয়েছে পাঁচটি গ্রন্থ শিশু-কিশোর গল্পগন্থ ‘স্কুল মাঠে ভূতের মেলা’, রম্য গল্পের বই ‘প্রেমের নাম হাসপাতাল’ ও উপন্যাস ‘আজো খুঁজি তারে’, ‘আশ্রয়’ এবং ‘আপনজন’।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫০

বইমেলায় আসছে রাব্বি হোসেনের উপন্যাস ‘মেহু’
‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪’-এ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তরুণ কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাব্বি হোসেনের তৃতীয় উপন্যাস ‘মেহু’। বইটি প্রকাশ করছে ঘাসফুল। প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী শামীম আরেফীন। বইটি সর্ম্পকে কথাসাহিত্যিক রাব্বি হোসেন বলেন, ‘মেহু’ উপন্যাস একটি সাদাসিধে তরুণীর জীবনের গল্প। গল্পে দেখা যাবে বিচিত্র সব চরিত্র। প্রতিটি চরিত্রই একেকটি গল্পের কথা বলে। আপাতত এইটুকু বলব যে, মেহুতে আছে একজন তরুণ ও তরুণীর মধ্যে প্রেম-বিষাদ আর আক্ষেপের গল্প। আশা করছি উপন্যাসটি পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নেবে। ‘মেহু’ রাব্বি হোসেনের তৃতীয় উপন্যাস। এ ছাড়া তার দুটো উপন্যাস ‘স্মৃতির রুমাল’ (২০২২) ও ‘নিশিদিন’ (২০২৩) বইমেলায় ঘাসফুল থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। দুটো উপন্যাসই পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়