• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
ঈদুল ফিতরের দিনে রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও দুপুর ১টায় চিড়িয়াখানা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর কলাবাগান থেকে বাবার সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসছে নওরীন ও তার তিন বছরের ভাই সহেল। তারা সিংহ, বাঘ, পাখি, বানর ও অজগরসহ বিভিন্ন পশু-পাখির খাঁচা পরিদর্শন করেছে। পশু-পাখিদের সাথে সন্তানদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তাদের বাবা। নওরীন জানায়, বাবাকে অনেক দিন ধরে বলছিলাম। তাই তিনি ঈদের দিনে আমাদের ঘুরতে এনেছেন। খুব কাছ থেকে পশু-পাখি দেখে আমরা খুব খুশি। নওরীনদের মত হাজার হাজার শিশু কিশোর বাবা-মায়ের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছে। শুধু ছোটরা নয়, চিড়িয়াখানায় আজ এসেছেন নব দম্পতিরাও। তারা চিড়িয়াখানার মুহূর্তটাকে ক্যামেরাবন্দিও করতে ভুলছেন না।  এবারের যেমন ভিড়, অন্য বছরগুলোতে এমন দর্শনার্থীর ভিড় জমেনি। চিড়িয়াখানার ভেতরে এখন শতশত মানুষ গিজগিজ করছে। যেখানে যাবেন দর্শনার্থী আর দর্শনার্থী। টিকিট চেক করে প্রবেশ করাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন তারা। চিড়িয়াখানা প্রবেশের শুরুতেই প্রধান গেটে শতশত মানুষ। তারা লাইন ধরে প্রতিটি কাউন্টারে টিকিট কাটছেন এবং প্রবেশ করছেন। টিকিট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। দর্শনার্থীদের  এদিন চিড়িয়াখানায় এতটাই ভিড় যে অনেকে বাচ্চাকে হারিয়ে ফেলছেন। দুপুর দেড়টার দিকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ মাইকে ঘোষণা করেছিলেন, জিসান নামে এক ছোট্ট শিশুকে পাওয়া গেছে। তার বাবার নাম মান্নান ও মা নাজমা। সন্তানটি কারো হয়ে থাকলে আপনারা তথ্য কেন্দ্রে চলে আসুন।     
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৯

তীব্র গরমেও রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়
ঈদের আগে শেষ শুক্রবারে কেনাকাটা জমে উঠেছে রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে। ঢাকায় আজ দুপুরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ অনুভূত হয়েছে। এই তীব্র তাপপ্রবাহ মাথায় নিয়েও ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত দেখা গেছে নগরবাসীকে। আর ঈদ কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে মার্কেটে মার্কেটে বুথ বসিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বিপণিবিতানগুলো ঘুরে দেখা গেছে। নিউমার্কেট, বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক ও মৌচাক মার্কেটসহ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। জানা গেছে, এদিন সকাল থেকেই এসব মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তবে জুমার পর তা বহুগুণে বেড়েছে। আর বিকেল থেকে সন্ধ্যার পরপর এই চাপ আরও বাড়ে। ফলে বিপণিবিতানগুলোতে পা ফেলার জায়গা পাওয়া ছিল কঠিন। ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের সবাইকেই ঘামে ভিজতে হয়েছে। উচ্চবিত্ত মানুষেরা ভিড় করছে বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক ও বেইলি রোডে। অপরদিকে, দামে স্বস্তি পেতে মধ্যবিত্তরা ছুটছেন মৌচাক, নিউমার্কেটের মতো মার্কেটগুলোতে। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আর চার থেকে পাঁচ দিন বাকি। আজ ছিল ঈদের আগের সর্বশেষ সাপ্তাহিক ছুটি, ফলে কেনাবেচা কয়েক গুণে বেড়েছে। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে যেসব মানুষ ঢাকা ছাড়বেন তারা কেনাকাটা করছেন। ফলে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের অনেক চাপ দেখা যাচ্ছে। এখন থেকে নিয়মিত এমনই থাকবে। একদম চাঁদ রাত পর্যন্ত লোকজন কেনাকাটা করবে। নিউমার্কেটে আসা ক্রেতা আঞ্জুমা খাতুন বলেন, তীব্র গরমে কষ্ট হচ্ছে, তবু কী কী করার আছে। মার্কেটে তো আসতে হবেই। বাচ্চাসহ সবার জন্য কেনাকাট লাগে। আরেক ক্রেতা শিমুল শাহারিয়ার বলেন, আমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি, ছুটি পেতে আরও দুই-তিন দিন। আজ শুক্রবার ছিল, তাই স্ত্রীকে নিয়ে আসলাম। দাম মোটামুটি আছে। কিন্তু গরম অনেক বেশি। বাধ্য হয়েই আসা। আর তো সময় বেশি নাই। কাপড় কিনতে আসা রাসেল খন্দকার বলেন, ঈদের আগে কেনাকাটা করা বেশ ঝামেলার। তবুও আসতে হয়েছে। আজ ছুটির দিন, এজন্য এসেছি। নিউমার্কেটের দোকানগুলোতে ক্রেতা সমাগমের পাশাপাশি রাস্তায় ফুটপাতে থাকা দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। মার্কেটের তুলনায় ফুটপাতের দোকানে জিনিসপত্রের দাম কম থাকায় এখানে অনেকেই কেনাকাটা সারছেন।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৪

নড়াইলে শত বছরের পাগল চান্দের মেলায় উপচে পড়া ভিড়
নড়াইলের হিজলডাঙ্গা গ্রামে প্রতি বছরের মত এবারও ঐতিহ্যবাহী শত বছরের পাগলের চাঁদের মেলা হয়েছে। পৌষ মাসের শেষ দিনে অধিবাসের মধ্য দিয়ে বরাবরের মত এবারও সেখানে দূর দূরান্ত থেকে আগত হাজার হাজার ভক্তদের নিজ নিজ ইচ্ছা পুরণে পাগলের মাজারে বাতসা দিয়ে মানত করতে দেখা গেছে। হিন্দু সম্প্রোদায়ের পাগলের ভক্তরা বিশ্বাস করে পাগলের মাজারে মানত করে পাগলরে সন্তুষ্টি করতে পারলে পাগল তাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করে দিবে। এই উদ্দেশ্যে পাগলের মাজারে বাতাশা ছুড়ে মেরে পাগলকে সন্তুষ্টি করতে ব্যস্ত ভক্তকুল।  স্থানীয়রা এ মেলাকে পাগলচাঁদের মেলা বলে অভিহিত করে থাকেন। আধ্যাত্বিক সাধু পাগল চাঁদ স্বরণে প্রায় একশ বছর ধরে এ মেলা চলে আসছে বলে জানালেন মেলা কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার রায়।  নড়াইল শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে হিজলডাঙ্গার মেলা। দুপুর থেকেই মেলায় দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন আর মেলা চলে গভীর রাত অবধি। হিজলডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুল মাঠের এই মেলায় হাজারো পসরা নিয়ে এসেছে দূর দূরান্তের লোকেলা। মেলায় প্রায় ২শ’ স্টল রয়েছে আর আছে খোলা দোকান। মেলা কমিটি সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে এলাকার লোকজনসহ দূর-দূরান্ত থেকে আগত নারী-পুরুষ জড়ো হতে থাকেন একশ বছরের পুরানো গ্রামীণ পৌষ মেলায়। মেলায় বাহারি সব খাবার আর তৈজসপত্রের মিশেলে উৎসবে মেতে ওঠেন দর্শকরা। শিশু-কিশোরদের হই-হুল্লোড়ের পাশাপাশি সব বয়সী নারী-পুরুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় এই মেলা। শুরুতে এই মেলাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য হলেও বর্তমানে তা সব ধর্মের মানুষের উৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রায় শত বছর ধরে চলে আসা এ মেলায় নানা রকম গ্রামীণ পণ্য পাওয়া যায়। নড়াইলসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রির জন্য। সন্ধ্যার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন মেলার আকর্ষণকে আরও বেশি সম্মৃদ্ধ করে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শতবছরের এই পাগল চাঁদের মেলায় নানা বয়সী মানুষের পদচারণে মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠেছে। মৃৎশিল্পের পাশাপাশি বস্ত্রশিল্পেরও দেখা মিলে এই মেলায়। মাটির তৈরি নানা তৈজসপত্র উঠেছে এ মেলায়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্টলে আধুনিক খেলনার সমাহারও দেখতে পাওয়া যায়। নাগরদোলায় ওঠার জন্য শিশুদের লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রাম্য মেলার সম্পূর্ণ চেহারা ফুটে উঠেছে এখানে। পান থেকে শুরু করে পিতলের বাসন আর বাশ-বেতের তৈরী ধামা, সের, পাইকে সনাতন সব দ্রব্যাদি মেলে এই মেলায়। বাহারী পান, পাপড়, তিলের খাজা, কদমা, টক-মিষ্টি আচার এবং বিভিন্ন রকমের মিষ্টান্ন কিনে বাড়িতে ফিরে যেতে দেখা যায় মেলায় আসা দর্শনার্থীদের। জানা গেছে, পাগল চাঁদ তিনি আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। সারাদিন দেখা নাই অথচ রাতে হঠাৎ কোনো ভক্তের সামনে এসে হাজির হয়ে খাবার চাইতেন। কেউ কেউ সেধে তাকে খাওয়াতে পারত না আবার কোনো বাড়িতে গিয়ে তিনি নিজে চেয়ে খেতেন। পাগল বাবা যাকে পছন্দ করতেন তার মনের ইচ্ছা ফলে যেত। তার বিচরণ ছিলো সর্বত্র। এই সাধু পুরুষ নড়াইলের মুলিয়া, শেখহাটি, হিজলডাঙ্গাসহ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন আর ভক্তরা তার সেবা করার জন্য ব্যস্ত থাকতো।  মরার সময় হিজলডাঙ্গা গ্রামের এক ভক্তের বাড়িতে এসে শুয়ে বললেন, আমাকে আর ডাকিস না, সেই সময়ই তিনি মারা গেলেন। সেই থকে এই গ্রামে পাগল চাঁদের পূজা শুরু, তা থেকে মেলা। মেলায় হাজারো ভক্তরা আসেন, পাগলের মাজারে পূজা দিয়ে মানত সেরে তারা কেনাকাটা করেন।  মেলার একপ্রান্তে রয়েছে পাগল চাঁদের সমাধি। ভক্তরা মেলায় আসছেন, এসে পাগলের মাজারে সেবা দিয়ে তাকে পূজা করছেন। নিজের মনের বাসনা পূরণ করতে পাগলের পছন্দের খাবার বাতশা নিয়ে তা ছুড়ে মারছেন উপরে। মেলায় ঘুরতে আসা নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী মোহনা সাহা জানান, এবার প্রথম এ মেলায় এসেছি। মেলায় ঘুরে খুব আনন্দ লাগছে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪১

মেট্রোরেলে উপচে পড়া ভিড়, যাত্রী গুনলেন জরিমানা
অফিসগামীদের প্রিয় বাহন হয়ে উঠেছে মেট্রোরেল। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ অফিসে যাওয়া-আসা করছেন মেট্রোতে করে। ১০ মিনিট পরপর উত্তরার তিনটি স্টেশন থেকে মেট্রোরেল ছাড়লেও প্রতিটিতে যাত্রী বোঝাই। এসব স্টেশন থেকে যাত্রীবোঝাই করেই পল্লবী স্টেশনে আসছে। পল্লবীতে কিছু যাত্রী নামলেও উঠছে তার চেয়ে কয়েক গুণ। বেশির ভাগ যাত্রীর গন্তব্য মতিঝিল, সচিবালয়, ফার্মগেট ও আগারগাঁও। তবে যেসব যাত্রীর মেট্রোপাস নেই, তাদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিতে হচ্ছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন যাত্রী ভিডিও আপলোড করে জানিয়েছেন তার ভোগান্তির কথা। আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যায়, প্রচুর ভিড়ের জন্য অনেকে একটি রেলে উঠতে না পেরে অপেক্ষা করছেন পরের রেলের জন্য। ১০ মিনিট পরপর ট্রেন আসার কথা থাকলেও ভিড়ের কারণে কখনও কখনও ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে বলছিলেন যাত্রীরা।  দেখা যায় ভিডিওতে একজন যাত্রী অভিযোগ করে বলছেন, ২ জানুয়ারি সকাল ৯টায় শেওড়াপাড়া থেকে মতিঝিল যাওয়ার জন্য টিকেট কিনেছেন। কিন্তু পরপর পাঁচটি রেলে মিস করে উঠেছে ছয় নাম্বার রেলে। এতে তার সময় লেগেছে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট। এতে তাকে গুনতে হয়েছে জরিমানা। এর জন্য তিনি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ভোগান্তি দূর করার আশা ব্যক্ত করেছেন। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের আংশিক যাত্রা। তবে এ বছর নভেম্বরের ৪ তারিখে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের স্টেশন খুলে দেওয়া হয়।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়