• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রবাসীদের রেমিট্যান্স উন্নয়নের একটি মূল শক্তি : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা আছে। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স উন্নয়নের একটি মূল চালিকাশক্তি। সে প্রবাসীদের জন্য এবং তাদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সবসময়ই কাজ করে যাচ্ছেন।’  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে শহরের বাবুরহাট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের ব্যবস্থাপনায় প্রবাসী কর্মীদের প্রতিবন্ধী সন্তানদের ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল প্রবাসীদের প্রতি পদে পদে নানা ধরনের প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হতে হতো। সেসব জায়গাতে কাজ করা হয়েছে। এখন বৈধ ভিসা নিয়ে আগের তুলনায় বেশি মানুষ বিদেশ যাচ্ছেন। অবৈধ যাওয়ার সংখ্যা কমে এসেছে। বিমানবন্দরে যেখানে আগে হয়রানি ছিল, সেখানে সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রিভার) শ্রীমা চাকমা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাখাওয়াত জামিল সৈকত, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রজত শুভ্র সরকার, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সফিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার উপস্থিত ছিলেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৩

‘গত ১৫ বছরে দেশ উন্নয়নের রোল মডেলে উন্নীত হয়েছে’
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের রোল মডেলে উন্নীত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির ভাষণটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের একটি প্রামাণ্য দলিল। বিগত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে রাষ্ট্রপতির ভাষণটি তারই প্রামাণ্য দলিল। গত ১৫ বছরে আমাদের দেশ আজ আশ্চর্যজনকভাবে সারা বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের রোল মডেলে উন্নীত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০২১-এর যে প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করেছি। আর দ্বিতীয় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ সেটি গ্রহণ করেছি। আর ব-দ্বীব পরিকল্পনা সেটি সামনে আছে এবং সেটির কাজ চলছে। আজ সারাদেশ যে উন্নত হতে পেরেছে স্কুল কলেজের ভবন, রাস্তাঘাট, সমস্ত মানুষ খাদ্য ও পুষ্টিতে এগিয়ে যেতে পেরেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। এর ফলে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতায় দেশ কয়েকগুণ এগিয়ে চলেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থ বছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। মাথাপিছু আয় বেড়েছে-যেটি ২০০৫-৬ অর্থ বছরে ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার, তা আজ ২৮শ’ মার্কিন ডলারে এসে পৌঁছেছে। দেশের অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রবাসী আয় হয়েছে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘দেশের গড় আয়ু ৬৩ বছর থেকে ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালে প্রায় ৬০ হাজার মেগাওয়াট উন্নীত করা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সরকার এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৯ দশমিক ৭৬৭ মেগাওয়াট। টেকসই উন্নয়নের জন্য সাশ্রয়ী জ্বালানি ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষি উৎপাদনে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যার ফলে আজ খাদ্য উৎপাদন বহুগুণ বেড়েছে।’
০২ মার্চ ২০২৪, ২৩:২২

এলাকায় উন্নয়নের অঙ্গীকার পূরণে ২০ কোটি টাকা করে পাচ্ছেন এমপিরা
এলাকায় উন্নয়নের অঙ্গীকার পূরণের জন্য সংসদ সদস্যদের ২০ কোটি টাকা করে বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। তাজুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্যরা স্ব স্ব এলাকায় উন্নয়নের জন্য মানুষের কাছে অনেক অঙ্গীকার করেন, এটাই স্বাভাবিক। স্বাভাবিকভাবে সেসব অঙ্গীকার পূরণ করার জন্য এমপিদের যেমন আগ্রহ, তেমনি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে অনুধাবন করেছেন। তাই একটি প্রকল্প করে প্রতি এমপির নির্বাচনী এলাকার জন্য এরই মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদে ২০ কোটি টাকা দেওয়ার একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছেন। তিনি বলেন, এটি চলমান। এ প্রকল্প শেষ হলে বা এমপিদের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন ও অঙ্গীকার পূরণে আবারও নতুন করে প্রকল্প নেওয়ার কথা বিবেচনা করা হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী জানান, এলজিইডি’র আওতায় চলতি অর্থবছরে দেশব্যাপী পল্লী এলাকায় ৪ হাজার ৯৩০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ২১ হাজার মিটার ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ, ১৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, ১৯ হাজার মিটার ব্রিজ ও কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ, ৯০টি গ্রোথ সেন্টার ও হাটবাজার উন্নয়ন, ৫০টি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, ২৫টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ৪০০ কিলোমিটার সেচ খাল খনন ও পুনঃখনন, ৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার, ১২০টি রেগুলেটর নির্মাণ ও সংস্কার, ১১০ কিলোমিটার বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ সকল উন্নয়ন কাজ আগামী জুন মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৩০

উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশর উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সেখানে দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করার সময় শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে। এ বিজয় জনগণের বিজয়, এ বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ এর আগে, সকালে প্রধানমন্ত্রী তার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তার আগে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ নেন প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয় বণ্টনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এবার প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। এরমধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফলে ২২২টি আসনে জয় পায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর স্বতন্ত্র ৬২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি ও অন্যান্য দল ৩টি আসনে বিজয়ী হয়।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৭

‘নড়াইলের উন্নয়নের জন্য শতভাগ চেষ্টা করব’
ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে নড়াইল-২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বলেছেন, আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলার এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এক মাস ধরে তারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। লোহাগড়াবাসী সবসময় নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করেছেন। এবার নড়াইল সদরের ভোটাররা লোহাগড়ার মতো ভোট দিয়েছেন। চেষ্টা করব নড়াইলের উন্নয়নের জন্য। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে বিভিন্ন পেশাজীবী-সাধারণ মানুষের সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। আরও পড়ুন : ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা   ম্যাশ বলেন, যে সব প্রকল্প পাস হয়ে আছে, তা বাস্তবায়ন করার জন্য সবার সহযোগিতাসহ নড়াইলবাসীর সেবা করা সুযোগ চাই। সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, এ বিষয়টি (মন্ত্রী) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত। আর সংসদ সদস্য হিসেবে আমার চাওয়া নড়াইলে মানুষ যেন সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে। নড়াইলবাসীকে ধন্যবাদ।  আরও পড়ুন : স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয় মিছিলে হামলা, আহত ১০   উল্লেখ্য, নড়াইল-২ (লোহাগড়া উপজেলা ও সদরের একাংশ) আসনে এক লাখ ৮৫ হাজার ৬১ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন মাশরাফী। এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান হাতুড়ি প্রতীকে ৪ হাজার ৪১ ভোট পেয়েছেন।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০১

‘ভোটাররা উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিচ্ছে’
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ভোটাররা আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ও উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিতে আসছে। নৌকার বিজয় হবেই হবে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন খাদ্যমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের কাছে এসব মন্তব্য করেন তিনি।  মন্ত্রী বলেন, ভোটের উৎসব তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রদান করছেন। আগুন-সন্ত্রাস যেন চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, ভোট দিয়ে এটাই প্রমাণ করতে চান ভোটাররা। এরপর খাদ্যমন্ত্রী নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া তার নির্বাচনী এলাকার অপর দুই উপজেলা পোরশা ও সাপাহারের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, নওগাঁ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য। এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে, বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৩

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভোটাধিকার প্রয়োগই একমাত্র সমাধান
মা, মাটি ও মানুষের আস্থা ভালোবাসার নীড় প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। শত সঙ্কট মোকাবেলায় বাঙালি জাতি কখনো তাবেদার, দখলদারদের কাছে মাথা নত করেনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সমাগত। ৭ জানুয়ারি এ মহারণ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের জনগণ যেনো নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাই এখন কাম্য। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগও প্রশংসনীয়। ইতোমধ্যেই এ উদ্যোগ নির্বিঘ্ন করতে সরকার বিজিবি, র‌্যাব ও আনসারসহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে, গত ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে  এ লক্ষ্যে নিরলস ভাবে তারা কাজ করে যাচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এসব উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে। হয়রানি ছাড়াই এবার জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।  রাষ্ট্রকাঠামোতে গুণগত পরিবর্তন ও রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে থাকতে হলে, প্রয়োজন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যেখানে সকল গণতন্ত্রকামী দল ও মতের লোকদের অংশগ্রহণ থাকবে। গণতন্ত্রে এর বিকল্প নেই।  বাংলাদেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। এই দলগুলোর মধ্যে ৩০টি দলেরমত এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। বিএনপির সাবেক বেশ কিছু নেতা নিজ দল ও বিশ্বাস ছেড়ে এতে অংশগ্রহণ করছে। তবে বিএনপি সরাসরি নির্বাচনে আসলে, গণতন্ত্রের জন্য ভালো হতো। নির্বাচন একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধক প্রক্রিয়া। তাই বিএনপি এতে না এলেও, সুষ্ঠুভাবে তা সম্পন্ন করা নির্বাচন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়াও এতে, জাতীয় পার্টিসহ অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুতরাং একটি প্রতিযোগিতা পূর্ণ নির্বাচন আমরা  দেখতে পাব ইনশাআল্লাহ। অতীতে দেখা গেছে সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সহযোগিতায়, ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবেও কাজ করেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই আধা সামরিক বাহিনী বিপদসংকুল ও দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় নির্বাচনের সময় জনগণের অণুকুলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যাতে ভোটে অংশগ্রহণ সহায়ক হয়। গত ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী নির্বাচনী মাঠে থাকবে। নির্বাচন কমিশনের সভায় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ফ্রি, ফেয়ার ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে তারা নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে। নির্বাচন কমিশনকে ওনারা আশ্বস্ত করেছেন যে, সশস্ত্র বাহিনী জাতির যেকোন সংকট মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটবে না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ২০২৪ সালের নির্বাচনে ২০১৪ অথবা ২০১৮ সালের প্রদত্ত ভোটারের সংখ্যা থেকে অনেক বেশি হবে।  একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদে বিএনপি অবরোধ কর্মসূচিও পালন করছে এবং নির্বাচনে যাতে জনগণ ভোট না দেয়, তার জন্য প্রচারণার মাধ্যমে প্রয়াস চালাচ্ছে। অবরোধ কর্মসূচির সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণপরিবহনে এবং রেলওয়েতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সরকার বারবারই বলছে যে বিএনপির অবরোধের ফলে জনজীবনে এর কোন প্রভাব নেই এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি আশাবাদী নির্বাচনে জয়ী হয়ে, আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নেতৃত্বে ইনশাআল্লাহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। এর ফলে দেশের নাগরিকরা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন এবং এতে টেকসই উন্নয়নও নিশ্চিত হবে। এ উন্নয়নটা কোন একটা গোষ্ঠী বা শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। সমাজের একেবারে প্রান্তিক স্তরের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এর সুবিধা পৌঁছে যাবে। প্রতি বছর সাধারণত ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট করা হয়। এর মধ্যে এক থেকে দেড় লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন করা হয় শুধুমাত্র সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে। এই অর্থ ব্যয় করা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে দারিদ্র পীড়িত মানুষের কাজে। এখানে বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ভাতা প্রদান করা হয়। উক্ত অর্থ গৃহহারাদের জন্য গৃহায়ণ ও আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা চলমান। প্রধানমন্ত্রী এই কাজগুলো সরাসরি তত্ত্বাবধানও করছেন এবং উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে একটি সবুজ বাংলাদেশ, একটি টেকসই উন্নয়নের বাংলাদেশ, একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নকে বলতে পারি এবং এর উন্নয়নের ফলে সকলের কাছে সুফল পৌঁছবে। সেই বাংলাদেশ আমরা আগামীতে অবশ্যই দেখতে পাব।  নির্বাচনের পর নানা ধরনের আন্তর্জাতিক চাপ বা স্যাংশন আসতে পারে, বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। যারা স্যাংশনের কথা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে স্যাংশন সম্পর্কে তাদের ধারণা অনেক কম। আমার বিশ্বাস, কোনো বাধা আমাদের অগ্রগতিকে থামিয়ে রাখতে পারেনি ১৯৭১ সালে এবং এখনও পারবে না। সুতরাং এগুলো নিয়ে চিন্তিত হবার কিছুই নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এখন বাংলাদেশ। অনেক ইনডেক্সে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শক্তিই হচ্ছে দেশের জনগণ। আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কষ্টসহিষ্ণু, সাহসী, দৃঢ় প্রত্যয়ী মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ এবং প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা তরুণ ভোটারদের প্রতি রইলো, আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। পরিপূর্ণ আস্থার সঙ্গে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ অতীতের অন্ধকার পেছনে ফেলে এখন আলোকিত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন আলোর পথের যাত্রী, উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিশারী, যা আমাদের ২০৪১ সালের উন্নত দেশে রূপান্তর করবে ইনশাআল্লাহ।  আসুন আমরা আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হই। লেখক: উপাচার্য, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা এবং সাবেক উপাচার্য, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়