• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করছে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, শহরের হাসপাতালগুলোতে চাপ কমাতে প্রান্তিক পর্যায়ের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার চান্দিনা সোনাপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী আরও জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। আমরা চাই সেসব এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্র আরও উন্নত হোক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সন্ধ্যায় কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বার্ডে কুমিল্লা অঞ্চলের ছয়টি জেলার সকল সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান ও চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় অংশ নেবেন। আগামীকাল সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন তিনি।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৫

উন্নয়নে ঢাকা-থিম্পু একযোগে কাজের তাগিদ রাষ্ট্রপতির
আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভুটানের যৌথ সমন্বয় ও উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেছেন, দুই দেশ নিজ নিজ দেশের সম্ভাবনা ও অগ্রাধিকারকে কাজে লাগিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে পারে।  বাংলাদেশ সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় রাষ্ট্রপ্রধান এসব কথা বলেন। বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিবাচকভাবে বিকশিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, সংযোগ, কৃষি, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং পর্যটন খাতেও দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র চমৎকারভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপ্রধান সার্ক, বিমসটেক, এসএসইসি এবং বিবিআইএন-এর মতো আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভুটান ও বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন। ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বিশেষ আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও রানি জেটসুন পেমা এখন চারদিনের সরকারি সফরে ঢাকায়।  আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ঐতিহাসিক মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরের জন্য রাষ্ট্রপতি ভুটানের রাজার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন গভীর ও ঐতিহাসিক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান দু’দেশের অভিন্ন ইতিহাস, ভৌগোলিক নৈকট্য, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে দুই সরকারই যৌথভাবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে ভুটানের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন এবং কৃতজ্ঞ চিত্তে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভুটানের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সংস্কৃতিসহ সামাজিক বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি তার দেশের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের উল্লেখ করেন এবং গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। ভুটানের রাজা বাংলাদেশ উৎপাদিত তৈরি পোশাক, সিরামিক ও ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের গুণগতমানের প্রশংসা করেন এবং দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  তিনি শিক্ষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও আগ্রহ ব্যক্ত করেন। বৈঠকে ভুটানের পক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে সেদেশের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নামগিয়াল দরজি, পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী ডিএন ধুংগেল এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্ডিন ওয়াংচুক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে ভুটানের রাজা ও রানি বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ভুটানের রাজাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ভুটানের রানি জেটসুন পেমাকে আরেকটি ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০২:০৮

হাতিয়ার মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজ করবেন সুইডেনের রাজকন্যা 
নোয়াখালীর হাতিয়ার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করবেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া।  বুধবার (২০ মার্চ) সকালে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের অনুভূতি শুনে ও তাদের জীবন-জীবিকা অবলোকন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। এরপর ৯টা ৪৫ মিনিটে তি‌নি বুড়িরচর ইউনিয়নের পশ্চিম বড়দেইল এলাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ভাসানচর যান। এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় হেলিকপ্টারযোগে হাতিয়া অবতরণ ক‌রেন। এ সময় নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী, হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন, নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগণ হেলিপ্যাডে ক্রাউন প্রিন্সেসকে স্বাগত জানান। এ বিষয়ে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া খুবই সন্তুষ্ট হয়েছেন। তিনি হাতিয়ার কথা মনে রাখবেন। জেলেদের জীবনযাত্রার কথা তিনি শুনেছেন। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় কি হয় তার একটা ডেমো তিনি দেখেছেন। সবশেষে তিনি হাতিয়ার মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজ করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।   হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, ১৮ থেকে ২১ মার্চ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন সুইডিশ রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। তার এ সফরের অংশ হিসেবে হাতিয়ায় সফর করছেন। সফরের প্রথম অংশ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় অংশ ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের সাহায্য সহযোগিতা ও তাদের জীবনযাত্রা দেখা। সফর শেষ হলে তিনি হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। 
২০ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৮

গ্রামীণ উন্নয়নে এডিবির ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ 
গ্রামীণপর্যায়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে ৭১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার (১৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ঋণ অনুমোদনের এ তথ্য জানিয়েছে এডিবি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার গ্রামীণপর্যায়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ৭১ মিলিয়ন বা ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এডিবি জানায়, বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকের ভিত্তিতে জলবায়ু ঝুঁকির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। কার্যকরী অভিযোজন ব্যবস্থা ব্যতীত জলবায়ুর পরিবর্তনশীলতা এবং এর চরম প্রভাবের কারণে দেশটি ২০৫০ সালের মধ্যে কৃষি মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ হারাতে পারে। বিশেষ করে যেসব নারীরা জীবিকা নির্বাহের জন্য জলবায়ু ও সংবেদনশীল কৃষি অনুশীলন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভর করেন, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। এডিবির সিনিয়র প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ পুষ্কর শ্রীবাস্তব বলেন, প্রকল্পটি এডিবি অর্থায়নকৃত সাউথওয়েস্ট এরিয়া ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার রিসোর্স প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্যতা কমানোর পাশাপাশি উত্পাদনশীলতা বাড়াবে। বিশেষ করে নারী ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই জীবিকা নিশ্চিতে সহায়তা করবে।   প্রকল্পটির মাধ্যমে ৬ লাখের বেশি মানুষ উপকৃত হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পটি সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার উন্নয়ন ও প্রসার ঘটাবে। পানি ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোর জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অন্যান্য সামাজিক পরিকাঠামো নির্মাণ করবে।   এ ছাড়া প্রকল্পটি বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে, কার্যক্রম তদারকি করতে এবং এসব সংস্থার ক্রিয়াকলাপে জলবায়ু অভিযোজনকে সংহত করতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সক্ষমতা বাড়াবে বলে জানিয়েছেন এডিবির এ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:০১

দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন উন্নয়নে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর করার উদ্যোগ 
সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা থেকে দেখা যায় অপরূপ সূর্যাস্ত। আর তা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করেন দেশী পর্যটক। এছাড়া কুয়াকাটার অপরূপ সৈকত এবং দর্শনীয় স্থান থাকলেও বিদেশী পর্যটকদের তেমন আনাগোনা অন্যান্য পর্যটন এলাকার মতো ছিল না। তাই আন্তর্জাতিক পর্যটক টানতে একটি বিমানবন্দর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যটন ভিত্তিক শীর্ষক প্রকল্প এলাকায় বিমানবন্দরের স্থান চিহ্নিত করতে প্রাথমিক পরিদর্শন করেছে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।  বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্য প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনের পর প্রতিবেদন দেবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বেবিচকের টিম। জানা গেছে, কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণে এর আগেও জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে। সেখানে কিছু খাস জমি রয়েছে। ওই জমি পরিদর্শন করতে আবারও একটি টিম গত শনিবার সেখানে যান। সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ওই জমিতে কিভাবে বিমানবন্দর নির্মাণ করা যায়, তার ওপর মতামত ও সুপারিশ করবেন টিমের সদস্যরা। সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছে সরকার। এর মাধ্যমে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটাকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। সেজন্য সেবার আগে কুয়াকাটার যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। সেতু ও মহাসড়কের পর বিমানবন্দর নির্মাণ করার জন্য জমি পরিদর্শন করা হবে। কুয়াকাটা বিমানবন্দর জমি পরিদর্শনের বিষয়ে বেবিচকের একজন কর্মকর্তা জানান, বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য কুয়াকাটায় জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিদর্শনের পর টিমের মতামত ও পরামর্শ অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুতই এ কাজ শুরু করা যাবে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিমানবন্দর হলে ওই এলাকার আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। সমুদ্রসৈকতের কোল ঘেঁষে কুয়াকাটা আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেছেন, কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণার পর থেকেই দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। সেই উপলক্ষ্যে কুয়াকাটায় হোটেল-মোটেলও  বেড়েছে। এ অবস্থায় একটি বিমানবন্দর নির্মাণের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও উপভোগ করতে পারবে কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। অর্থসংস্থান করতে পারলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিমানবন্দর নির্মাণ করা যাবে।  তিনি আরও বলেন, বন্দর নগরী পায়রা ও কুয়াকাটায় যাতায়াত সুবিধা উন্নত করার জন্য এর আশপাশে বিমানবন্দর নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। বিমানবন্দরের স্থান নির্ধারণের জন্য তথ্য চেয়ে এরই মধ্যে বেবিচকের কাছে চিঠি দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। গত বছরের ২৩ নভেম্বর বেবিচককে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটনভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এলাকায় বিমানবন্দরের স্থান চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে তথ্য প্রেরণের জন্য নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এ তথ্য চাওয়া হয়। প্রকল্পটির সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিমানবন্দর স্থাপনের লোকেশন চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে তথ্য প্রেরণ করতে বলা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পায়রা বন্দরে মানুষের যাতায়াত অনেক বেড়েছে। এখানে সড়কপথের যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হলেও আকাশপথের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিমানবন্দর হলে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে।  জানা গেছে, কুয়াকাটাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ বহু আগে শুরু হলেও মূলত ১৯৯৮ সাল থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের জন্য বিখ্যাত কুয়াকাটা সৈকত ধীরে ধীরে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। পর্যটকদের কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেল। এ কারণে বেড়েছে প্রশাসনিক নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা। সৈকতের কোলঘেঁষে রয়েছে বিশাল বনাঞ্চল। সুন্দরবনের পূর্বাংশ ফাতরার বন, লেম্বুর বন, নারিকেলবাগান, ঝাউবাগান, গঙ্গামতী ও কাউয়ার চরের সংরক্ষিত বনাঞ্চল এর মধ্যে অন্যতম। পর্যটকরা কুয়াকাটায় বেড়াতে এসে আশপাশের পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি সমুদ্রের কোলঘেঁষা বনাঞ্চল ঘুরে ছবি তোলেন। কিন্তু আকাশপথের সুযোগ না থাকায় দেশ ও বিদেশের পর্যটকরা আসছেন না। ফলে বিশ্বব্যাপী কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দরকে পরিচিত করার জন্য বিমানবন্দরের বিকল্প নেই। বিমানবন্দর হলে খুব সহজেই বিদেশিরা এখানে আসবেন। সময় বাঁচাতে কিংবা প্রথম বিমানভ্রমণের স্বাদ পেতে আসা পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে। ফলে কক্সবাজারের মতো কুয়াকাটা অঞ্চলেরও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে। শুধু তা-ই নয়, পটুয়াখালী এবং বরগুনা জেলার ৭টি উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটনভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন’ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রকল্পে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়ন, জলবায়ুর প্রভাব, পরিবহন, পর্যটনসহ এসব বিষয় কেমন হওয়া উচিত- তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকবে। পরিকল্পনা প্রণয়নে উপকূলীয় এলাকার উপযোগী অবকাঠামো, আবাসন, পর্যটন, জীবিকা, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আব্দুল খালেক বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। এখানে সড়কপথের যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হলেও আকাশপথের কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। বিমানবন্দর হলে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। 
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৪

পোশাক শিল্পের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা
পোশাক রপ্তানিতে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবসহ নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে এই খাতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ সহযোগিতা চান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি টিপু মুনশি, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএর বর্তমান বোর্ডের প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান (কচি), সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, মো. নাসির উদ্দিন, মিরান আলী, রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী, ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান ও নীলা হোসনে আরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল। এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রগতি, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটি এবং শ্রমিকদের কল্যাণে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তার উপর শিল্পের জোর প্রদান করে উচ্চমূল্যের পণ্যে যাওয়ার মাধ্যমে পণ্য বৈচিত্র্যকরণে বিজিএমইএ’র প্রতিশ্রুতিও তিনি তুলে ধরেন। প্রতিনিধি দলটি অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে রপ্তানির নতুন বাজার অনুসন্ধানে বিজিএমইএর গৃহীত উদ্যোগগুলো সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। বিজিএমইএ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ব বাণিজ্য এবং বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবসহ পোশাক শিল্পের বর্তমান প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে অবহিত করেন। এ ছাড়া কোভিডকালে পোশাক শিল্পে প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী উদ্যোগ এবং নীতি সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিজিএমইএ নেতারা। পাশাপাশি শিল্পের প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখতে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহসহ পোশাকখাতের সম্মুখ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সরকারের নীতি সহায়তাগুলো অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে, যেখানে তৈরি পোশাক শিল্প দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে বিজিএমইএ মনে করে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৯

গার্মেন্টস শিল্পের টেকসই উন্নয়নে কাজ করছে সার্ক ও বিমসটেক
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে চলমান গ্যাসসহ বিভিন্ন সংকট কাটিয়ে টেকসই উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে সার্ক ও বিমসটেক। সম্ভাবনাময় শিল্পের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে কাজ করবে এসব সংস্থা।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে নরবান কমটেক্স কারখানা পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন ফেডারেল ফরেন অফিস-জার্মানি ও সার্ক এন্ড বিমসটেকের ইনচার্জ স্টিফেন হিলার লাহজালি। এ সময় কারখানার সার্বিক উৎপাদন প্রক্রিয়া নিবিড়ভাবে ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।  পরিদর্শন কালে আরও উপস্থিত ছিলেন জার্মান এম্বাসির ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেহরাব বিন তারেক,নরবান গ্রুপের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হক সিদ্দিকী,পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল আলম সুমন।  পরিদর্শন শেষে ওয়াহিদুল হক সিদ্দিকী সাংবাদিকদের তথ্য নিশ্চিত করে জানান,বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে গার্মেন্টস শিল্প  নিয়ে তারা কিভাবে সহযোগিতা করবে,কিভাবে উৎপাদন খরচ কমানো যায়-সেগুলো নিয়েও কাজ করছেন স্টিফেন হিলার লাহজালি। এছাড়া, বহির্বিশ্বের বাজারে দেশের গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য(পোশাক) ধরে রাখতে টেক্সটাইলে বহু বছরের অভিজ্ঞতায় এগিয়ে আছে,সুতরাং আগামীতে বাংলাদেশেই নেতৃত্ব দিবে।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৪

গার্মেন্টস শিল্পের টেকসই উন্নয়নে কাজ করছে সার্ক ও বিমসটেক
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে চলমান গ্যাসসহ বিভিন্ন সংকট কাটিয়ে টেকসই উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে সার্ক ও বিমসটেক। সম্ভাবনাময় শিল্পের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে কাজ করবে এসব সংস্থা। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে নরবান কমটেক্স কারখানা পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন ফেডারেল ফরেন অফিস-জার্মানি ও সার্ক অ্যান্ড বিমসটেকের ইনচার্জ স্টিফেন হিলার লাহজালি।  এ সময় কারখানার সার্বিক উৎপাদন প্রক্রিয়া নিবিড়ভাবে ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, জার্মান অ্যাম্বাসির ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেহরাব বিন তারেক, নরবান গ্রুপের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হক সিদ্দিকী, পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল আলম সুমন।  পরিদর্শন শেষে ওয়াহিদুল হক সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে তারা কীভাবে সহযোগিতা করবে, কীভাবে উৎপাদন খরচ কমানো যায়-সেগুলো নিয়েও কাজ করছেন স্টিফেন হিলার লাহজালি। এ ছাড়া বহির্বিশ্বের বাজারে দেশের গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য (পোশাক) ধরে রাখতে টেক্সটাইলে বহু বছরের অভিজ্ঞতায় এগিয়ে আছে, সুতরাং আগামীতে বাংলাদেশেই নেতৃত্ব দেবে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১২

বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য : অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে যুক্তরাজ্য সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে খুব ভালো একটি আলোচনা হয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ কীভাবে একত্রে কাজ করতে পারে তা নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বহুদিনের সম্পর্ক। আমরা বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। যুক্তরাজ্য অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। যেহেতু তারা দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে কাজ করছে, তারা বাংলাদেশের অবস্থা বোঝে। তাদের এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য আমাদের সহায়তা করতে চায়। তবে কোন কোন খাতে- সেটি এখন বলা যাবে না। এসব নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৬

প্রবাসীদের উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার ফেনীর তিন এমপির
দল-মত নির্বিশেষে নিজ জেলা ফেনীসহ দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং প্রবাসীদের জন্য কাজ করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন ফেনীর নব-নির্বাচিত তিন সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, নিজাম উদ্দিন হাজারী, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। সোমবার রাতে (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ফেনী রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারা এ অঙ্গীকার করেন। এ সময় তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্স দেশের বড় শক্তি, অন্য কোনো ক্ষেত্র থেকে এতো পরিমাণ র‍েমিট্যান্স আসে না। তবে, এটা আরও বাড়ানো দরকার। এ মুহুর্তে এটা খুব প্রয়োজন। নিজেদের জায়গা থেকে দেশ ও প্রবাসীদের উন্নয়নে এ সেক্টরকে এগিয়ে নিতে তারা কাজ করে যাবেন বলে জানান। ফেনী-১ আসনের নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ও ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর হাতে সংবর্ধনার স্মারক তুলে দেয়া হয়। ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর বলেন, রেমিট্যান্স দেশের বড় শক্তি, অন্য কোনো ক্ষেত্র থেকে এতো পরিমাণ র‍েমিট্যান্স আসে না। তবে, এটা আরও বাড়ানো দরকার। এ মুহুর্তে এটা খুব প্রয়োজন। নিজেদের জায়গা থেকে এ সেক্টরকে এগিয়ে নিতে তিনি কাজ করে যাবেন বলে জানান। ফেনীর-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরি নাসিম বলেন, সত্যিকার অর্থে এ সেক্টরের লোকজন দেশের জন্য অনেক করছে। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছেন প্রবাসীরা। আর প্রবাসীদের বিদেশে যেতে সহযোগিতা করছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে অনেক কিছু আধুনিকায়ন হয়েছে। তবে, পরিতাপের বিষয়ে এটা যে, বিদেশে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে এখনো আমরা পুরোনো পদ্ধতিতে পড়ে আছি। এটা পরিবর্তন আনতে পারলে দেশে আর বেশি রেমিট্যান্স আসবে। নাসিম আরও বলেন, অনেকে অভিযোগ করেন রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য এটা না। এখানে মধ্যস্বত্বভোগী লাভবান হচ্ছে। তাই মাঝখানের ঐ মাধ্যমগুলোকে অ্যাভোয়েড করে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে বিদেশে কর্মী পাঠাতে হবে। ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, দলবাজি করে ফেনীর সাধারণ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। তাই দলের বাহিরে চিন্তা করে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফেনী জেলার মানুষের উন্নয়নেকাজ করে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন বলেন, শুধু এই সেক্টরই বাংলাদরশকে স্বনির্ভর করতে পারে। তাই এই সেক্টরে সরকারের নজর দেবার অনুরোধ করেন তিনি। তিনি বলেন, অভিবাসন ব্যয় রিক্রুটিং এজেন্সির হাতে নেই। মধ্যস্বত্বভোগীরা সুযোগ নিচ্ছে। অথচ, দায় চাপানো হয় শুধু রিক্রুটিং এজেন্সির ওপর। ক্ষোভ প্রকাশ করে করে রুহুল আমিন স্বপন আরও বলেন, বিদেশে নিয়োগকর্তা বেতন ও থাকার জায়গা না দিলে এজেন্সিকে ধরা হয়, লাইসেন্স বাতিল করা হয়। আসলেই কি এই দায় এজেন্সির? দূতাবাসের কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করেই নিয়োগ অনুমতি দেন। তাহলে দায় কেন শুধু এজেন্সির? তিনি বলেন, এই মুহুর্তে দেশে প্রচুর রেমিট্যান্স দরকার। কিন্তু রেমিট্যান্স বাড়ানোর উদ্যোগ কম। দূতাবাসে যেসব প্রবাসীরা সেবা আনতে যান, তারা যদি ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা না পাঠান, তাহলে সেবা না দেয়ার শর্ত জুড়ে দেবার দাবি জানান তিনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এদিন ফেনী রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। আয়োজন ছিল সাংস্কৃতিক সংন্ধ্যারও। এতে গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী আখি আলমগীরসহ তরুণ শিল্পীরা। পরিবেশন করা হয় নৃত্যও। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি নূরুল আমিন ভূঁইয়া বাদশা এবং সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবিন। উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ফেনী জেলার বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির কর্ণাধারসহ বায়রার সাবেক ও বর্তমান নেতারা।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়