• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সংশোধিত এডিপি অনুমোদন / বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সংশোধনী হয়েছে আজ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এই এডিপি (আরএডিপি) অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সংশোধিত এডিপিতে সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। টাকার অঙ্কে যা ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যা টাকার অঙ্কে ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা।  প্রতিবারের মতো এবারও মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ পাওয়া অর্থ ব্যয় করতে না পারায় কাটছাঁট করতে হয় সংশোধিত এডিপি। এতে আরএডিপির আকার দাঁড়ালো ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। সার্বিকভাবে এডিপির আকার কমেছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশন এ ব্যাপারে জানায়, সব মন্ত্রণালয় সময় মতো বরাদ্দ করা অর্থ খরচ করতে পারছে না। ফলে এডিপির বাস্তবায়নে প্রত্যেকবারই ব্যয় কমানো হচ্ছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন কমছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। যা কমে হচ্ছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিদেশি সহায়তা থেকে বরাদ্দ কমছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এতে সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।   
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৩

পানি উন্নয়ন বোর্ডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রতিষ্ঠানটি ৩টি পদে ৯৬ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে। যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: পানি উন্নয়ন বোর্ড। পদের সংখ্যা: ৩টি। লোকবল নিয়োগ: ৯৬ জন। পদের নাম: উপ-সহকারী প্রকৌশলী/ শাখা কর্মকর্তা (পুর)/প্রাক্কলনিক। পদসংখ্যা: ৬৭টি। বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)। শিক্ষাগত যোগ্যতা: পুরকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। পদের নাম: উপ-সহকারী প্রকৌশলী/ শাখা কর্মকর্তা (যান্ত্রিক/বিদ্যুৎ)। পদসংখ্যা: ১০টি। বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)। শিক্ষাগত যোগ্যতা: যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ কৌশল বা শক্তি কৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। পদের নাম: হিসাব রক্ষক। পদসংখ্যা: ১৯টি। বেতন: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২) শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগের যে কোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি। চাকরির ধরন: সরকারি। প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)। কর্মস্থল: পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস। বয়সসীমা: প্রার্থীর বয়স ১ মার্চ তারিখে ১৮-৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের ক্ষেত্রে বয়স ৩০ বছর। আবেদন ফি: পরীক্ষার ফি বাবদ অনলাইনে ১ ও ২নং পদের জন্য ৫০০ টাকা এবং ৩নং পদের জন্য ৩০০ টাকা জমা দিতে হবে। আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ৮ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত।
১০ মার্চ ২০২৪, ১১:২১

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে : সুজিত রায় নন্দী
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের খেলাধুলার জন্য সবধরনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্রীড়াবান্ধব সরকার। যার কারণে আমাদের দেশ খেলাধুলার জন্য বিশ্বে দারুণভাবে পরিচিত।  শুক্রবার (৮ মার্চ) চাঁদপুরের কুমুরুয়া সূর্য রায় নন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাতীয় পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  সুজিত রায় নন্দী বলেন, আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা জাতীয়ভাবে চ্যাম্পিয়ন হবই হবো। ফরক্কাবাদে একটি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এ প্রতিষ্ঠানে যে খেলাধুলার যাত্রা শুরু হয়েছে, তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠানটিকে শুধু চাঁদপুর নয়, সারা বাংলাদেশে এ প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এ প্রতিষ্ঠানে ক্রিকেট ও ফুটবল একাডেমি চালু করবো, যেন শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় আরও আগ্রহী হয়। কারণ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করলে শরীর-মন সুস্থ থাকবে।  বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হান্নান মিয়াজীর সভাপতিত্বে উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মো. শাহ্ নেওয়াজ।  বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক শাহআলম সরকার প্রমুখ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ দ্বীলিপ চন্দ্র দাস, সিটি কলেজের অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম, ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্বা আলহাজ্ব আমিনুল হক, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মজিবুর রহমান, বালিয়া ইউনিয় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল্যা পাটওয়ারী প্রমুখ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী মো. মহসীনসহ শিক্ষকবৃন্দ। পরে আমন্ত্রিত অতিথি, অভিভাবক ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ আকর্ষণ দাদা-নাতির প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন অতিথিরা।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৫

‘কূটনীতিকরা আরও কাছ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ দেখবেন’ 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকরা যাতে দেশ ও দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারেন, কাছ থেকে দেখতে পারেন, সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এম্বেসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে। রাজধানীর বাইরে পরিদর্শনের মাধ্যমে কূটনীতিকরা বাঙালি জাতির সামর্থ্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে সেই খবরগুলো তাদের দেশে পৌঁছাবেন, ফলে তা বিশ্বময় ছড়িয়ে যাবে।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বেসেডরস আউট রিচ প্রোগ্রামের আওতায় ২৪টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্যকে নিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে ট্রেনযোগে কক্সবাজার যাওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যেন আমাদের দেশকে আরও জানেন, দেশে যে বিরাট উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হচ্ছে সেগুলো যেন তারা স্বচক্ষে দেখেন, সেই কারণেই তাদেরকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে তারা কক্সবাজার যাবেন।  বিদেশি প্রতিনিধিদের এই পরিদর্শনে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই তারা বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার সফরে এসেছেন তারা। আজ চট্টগ্রামে কয়েক ঘণ্টা কাটালেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম রোড টানেল তারা দেখলেন। তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকাসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নদীর তলদেশ দিয়ে রোড টানেল নেই। সেটি তারা দেখলেন। এই যে অসাধারণ উন্নয়ন, যেগুলো আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে মানুষ কল্পনাও করেনি, সেগুলো আজকে বাস্তব এবং সেই বাস্তবতা আজকে কূটনীতিকরা নিজের চোখে দেখেছেন। কূটনীতিকদের ট্রেনে করে কক্সবাজার নেওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ট্রেন লাইন হয়েছিল ১৯৩০ সালে। তারও আগে ব্রিটিশ আমলে ১৯০০ সালের পরপরই চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ট্রেন লাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরপর দেশ বিভাগ হল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু উবাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কারণ তাকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয়েছিল।  মন্ত্রী বলেন, এই জনপদের মানুষ ১২৫ বছর আগে যে স্বপ্ন দেখেছিল, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে। এই অসাধারণ কাজ কূটনীতিকদেরকে দেখাবার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে করে কক্সবাজার নিয়ে এসেছি। তাদেরকে এখানে আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা যেন বাংলাদেশকে জানে এবং চেনে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত যে আমাদের দেশে, এই খবরটা যেন তাদের মাধ্যমে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। এবং বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও উন্নয়ন সম্পর্কে তারা যেন ভালো করে জানতে পারে, সেজন্যই তাদেরকে আমরা নিয়ে এসেছি। বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথাবার্তা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের সঙ্গে তো কথাবার্তা আমাদের সবসময়ই হয় এবং তারা অনেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। এবং এখনো যদি তারা সুযোগ পায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন।  ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ফ্রান্স এবং এফএও, আইইউটি, একেডিএন আন্তুর্জাতিক সংস্থাগুলোর ২৪ জন মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্য এই আউটরিচ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।   
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৯

৩৯১ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ মিলেছে এবারের বাণিজ্যমেলায় 
পর্দা নেমেছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২৪ এর। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ বছরের মতো সাঙ্গ হলো মেলার আয়োজন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ক্রেতা সংকটে লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে বাণিজ্যমেলার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়ে এলেও হিসাব শেষে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবারের আয়োজনে লাভ হয়েছে বেশ ভালোই।      সমাপনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩৫ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ৩৯১ দশমিক ৮২ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে এবারের বাণিজ্যমেলায়। গত বছরের তুলনায় যা ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। এবারের মেলায় পণ্য বেচাকেনাও হয়েছে গতবারের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। আনুমানিক প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে এ বছরের আয়োজনে। উল্লেখ্য, দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে এই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজিত হয়ে আসছে। স্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এ বছর কিছুটা বিলম্বে শুরু হয় বাণিজ্যমেলা। ২১ জানুয়ারি মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিডিউল অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার ছিল আয়োজনের শেষদিন।   মেলার শেষ দিনে বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন অফার চললেও ক্রেতাদের চাপ তুলনামূলক অনেক কম লক্ষ্য করা গেছে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ছিল, শেষ দিনে সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকবে। তবে তার বিপরীত চিত্র লক্ষ করা গেছে মেলা প্রাঙ্গণে। ক্রেতাদের চাপ কম থাকায় অধিকাংশ ব্যবসায়ীকে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। মেলার শেষদিন উপলক্ষে বিকেলে আয়োজিত হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। সেখানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। ইপিবি’র (রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো) পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেলায় এবার মোট ৩০৪টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও ৫টি দেশের ৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় এবারের বাণিজ্যমেলায়। দেশগুলো হলো- ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর।  এবারের বাণিজ্যমেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ছিল ৩৫১টি; যা বিগত বছরে ছিল ৩৩১টি। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের দুইটি হলে (এ ও বি) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১৭৪টি স্টল। সেন্টারের প্রধান ফটকের পূর্বপাশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৬২টি। হলের পেছনে ফরেন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন এবং প্রিমিয়ার ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৫৩টি। এছাড়া সেন্টারের মূল কম্পাউন্ডের বাইরে ৬ একর জমির একাংশে ফুড জোনে ৩২টি রেস্তোরাঁ ও মিনি রেস্তোরাঁ এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৬২টি।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৫

এলাকায় উন্নয়নের অঙ্গীকার পূরণে ২০ কোটি টাকা করে পাচ্ছেন এমপিরা
এলাকায় উন্নয়নের অঙ্গীকার পূরণের জন্য সংসদ সদস্যদের ২০ কোটি টাকা করে বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। তাজুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্যরা স্ব স্ব এলাকায় উন্নয়নের জন্য মানুষের কাছে অনেক অঙ্গীকার করেন, এটাই স্বাভাবিক। স্বাভাবিকভাবে সেসব অঙ্গীকার পূরণ করার জন্য এমপিদের যেমন আগ্রহ, তেমনি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে অনুধাবন করেছেন। তাই একটি প্রকল্প করে প্রতি এমপির নির্বাচনী এলাকার জন্য এরই মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদে ২০ কোটি টাকা দেওয়ার একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছেন। তিনি বলেন, এটি চলমান। এ প্রকল্প শেষ হলে বা এমপিদের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন ও অঙ্গীকার পূরণে আবারও নতুন করে প্রকল্প নেওয়ার কথা বিবেচনা করা হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী জানান, এলজিইডি’র আওতায় চলতি অর্থবছরে দেশব্যাপী পল্লী এলাকায় ৪ হাজার ৯৩০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ২১ হাজার মিটার ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ, ১৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, ১৯ হাজার মিটার ব্রিজ ও কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ, ৯০টি গ্রোথ সেন্টার ও হাটবাজার উন্নয়ন, ৫০টি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, ২৫টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ৪০০ কিলোমিটার সেচ খাল খনন ও পুনঃখনন, ৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার, ১২০টি রেগুলেটর নির্মাণ ও সংস্কার, ১১০ কিলোমিটার বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ সকল উন্নয়ন কাজ আগামী জুন মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৩০

এবার ক্ষমতায় না এলে উন্নয়ন লুট হয়ে যেত : প্রধানমন্ত্রী 
আওয়ামী লীগ এবার ক্ষমতায় আসতে না পারলে গত ১৫ বছরের উন্নয়ন লুট হয়ে দেশ অন্ধকারে চলে যেত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে নাগরিক সংবর্ধনায় এ মন্তব্য করেন তিনি।  পঁচাত্তর পরবর্তী এবার সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। মানুষের পাশে থেকে আমরা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।  তিনি এরপর বলেন, রাজনৈতিক দল সংগঠিত না থাকলে দুর্যোগ মোকাবেলা কঠিন। নিজেরা সংগঠিত হতে না পেরে বিএনপি জনগণ ও আওয়ামী লীগকে দোষ দিয়ে যাচ্ছে।  দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না, আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছি। এখন মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনটাই আমাদের লক্ষ্য। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখন স্যান্ডেল বগলে নিয়ে হাঁটতে হয় না। তিনি বলেন, যারা জ্বালাও পোড়াও করবে, তাদের মানুষ কেন ভোট দিবে? ভোট পাবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। এখন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। নির্বাচনে না এসে এখন হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। কিছু খুচরা পার্টি আছে, তারা লাফায়। দেশে কিছু রাজনৈতিক দল আছে, একজনের কথায় যারা তিড়িং বিড়িং করে লাফায়, কিন্তু কিছু করতে পারে না। নিজেরা সংগঠন করতে না পেরে আওয়ামী লীগ ও জনগণকে দোষ দিয়ে লাভ নাই।  এরপর দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয়। মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ষড়যন্ত্র করতে না পারে। বিদেশে থেকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। কেউ যেন দেশকে পেছনে নিতে না পারে।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪১

টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৩৫ নিবাসী হাসপাতালে
টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৩৫ শিশু নিবাসী ভাইরাস জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা হচ্ছে বলে জানা যায়। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক দেলোয়ার হোসেন বলেন, শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২২ বন্দি শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে আনা হয়েছে। আরও ১৩ জনের মতো অসুস্থ শিশু রয়েছে। তাদের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দিকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তারিক হাসান বলেন, এদের বেশিরভাগই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত। হাসপাতালে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া ছাড়াও কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে গিয়েও তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার পরে তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৬

‘সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা তৈরি করছে বেতার’
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা তৈরি করে দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ বেতার প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তর চত্বরে বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস প্রধান ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুজান মারি ভাইজ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বেতারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) মো. ছালাহ্ উদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চা এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা তৈরি করে দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ বেতার প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি অন্যান্য বাণিজ্যিক এফ এম রেডিও ও কমিউনিটি রেডিওকে নিরলস কাজ করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের এ সময়ে বেতার বড় একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে প্রতিযোগিতা করে বেতারকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চটকদার ও সস্তা বিনোদনের পাশাপাশি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্ভট সংবাদ প্রচার এবং অসত্য ও গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রতিকূলতা ও প্রতিযোগিতা পূর্ণ পরিস্থিতিতেও বেতার একটি নিজস্ব মানদণ্ড অনুসরণ করে বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচার করছে। তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের মানুষের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাংলাদেশ বেতার অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের যোদ্ধাদের সহযোগী শক্তি হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। তৎকালীন পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বাধা সত্ত্বেও সে সময় বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাদের দুঃসাহসী ভূমিকায় বেতারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার হয়। মুক্তিকামী বাঙালির পাশে থেকে দায়িত্ব পালনের জন্য জাতি বাংলাদেশ বেতারকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, বর্তমান সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহে বিশ্বাস করে। দেশের গণমাধ্যমসমূহ এখন স্বাধীনভাবে কাজ করছে।  এ বছরের বিশ্ব বেতার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শতাব্দী জুড়ে তথ্য, বিনোদন ও শিক্ষা বিস্তারে বেতার’-এর গুরুত্ব অনুধাবন করে বেতারে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিল্পী-কলাকুশলীদের কাজ করে যাওয়ার জন্য এ সময় আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। ২০১১ সালের ৩ নভেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো)-এর ৩৬তম সম্মেলনে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মত বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব বেতার দিবস। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ত্রয়োদশ বিশ্ব বেতার দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, শ্রোতা সম্মেলন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৫

আমদানিকৃতদের মধ্যে আদানির বিদ্যুতের দাম ৮১ শতাংশ বেশি
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ভারতের সরকারি ও বেসরকারি পাঁচটি কোম্পানি থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে। বাকি কোম্পানিগুলোর তুলনায় আদানির বিদ্যুতের দাম ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। বিপিডিবির ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভারতের পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া, পিটিসি ইন্ডিয়া লিমিটেড, এনভিভিএন লিমিটেড, সেম্বকর্প এনার্জি ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং আদানি গ্রুপের আদানি পাওয়ার থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে বিপিডিবি। এরমধ্যে ৪টি কোম্পানি থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে খরচ পড়েছে ৪ দশমিক ২২ থেকে ৯ দশমিক ৯৫ টাকা। অন্যদিকে আদানির প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশকে গুনতে হয়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ২ টাকা। গত বছর ভারতের পাঁচটি কোম্পানির মধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি করেছে ৪টি কোম্পানির ৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র। আদানির ২টি কেন্দ্র থেকে কোনো বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়নি। বিদ্যুৎ আমদানি বাবদ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার ভারতের ৫টি কোম্পানির ৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করেছে। সেখানে আদানির ২টি কেন্দ্র থেকে কোনো বিদ্যুৎ না নিয়েও পরিশোধ করেছে ১৫০ কোটি টাকার বেশি। প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, এনভিভিএন লিমিটেড ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে ১৮০ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৪২৮ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে আদানি পাওয়ার লিমিটেড থেকে কেনা হয় ১৫৯ কোটি ৮১ লাখ ৫৬ হাজার ৮২২ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ। এনভিভিএন লিমিটেডের তুলনায় আদানি গ্রুপ ২০ কোটি ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬০৬ কিলোওয়াট ঘণ্টা কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। এনভিভিএন লিমিটেডকে পরিশোধ করা হয়েছে ৭৬০ কোটি ৬৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬২ টাকা। অথচ কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা আদানিকে পরিশোধ করা হয়েছে ২ হাজার ২৪১ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার ৩০৮ টাকা। এতে আরও উল্লেখ আছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি করা সব বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। গত অর্থবছরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ আমদানি করতে গড়ে ব্যয় হয়েছিল ৬ দশমিক ১১ টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ৮ দশমিক ৭৭ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, দেশটি থেকে আমদানিকৃত বিদ্যুতের দাম ৪৩ দশমিক ৫৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এ ব্যাপারে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, আদানির সঙ্গে করা চুক্তিটিতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হয়নি; যার মাশুল এখন বাংলাদেশকে দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে দেশটির সঙ্গে প্রথম দিকে বিদ্যুৎ আমদানি করার যে চুক্তি করা হয়েছিল, সেখানে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছিল।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়