• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সর্বহারা নেতা রাজ্জাক হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৫
পাবনা সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর আত্মসমর্পণকৃত সর্বহারা নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুরের মো. বক্কর প্রামাণিকের ছেলে মো. ওহিদুল্লাহ (৪৫), পাবনা পৌর এলাকার পশ্চিম সাধুপাড়ার মহসিন রেজার ছেলে মো. আকাশ (৩০), একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শোভন ওরফে শুভ ওরফে ভালা (২৮), চর সাধুপাড়া এলাকার মৃত রুস্তম প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল হান্নান (৪৮) এবং চর শিবরামপুর এলাকার কালু বিশ্বাসের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৫)। পুলিশ সুপার জানান, গোপন সংবাদ এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডিএমপির গুলশান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী আসামি মো. ওহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আকাশ এবং শোভনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল হান্নানকে দুটি অস্ত্র এবং আব্দুর রহমানকে একটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও জানান, ওহিদুল্লাহ এবং আত্মসমর্পণকৃত সর্বহারা নেতা আব্দুর রাজ্জাক গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুরের বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। পরবর্তীতে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, মারামারি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয়ের মধ্যে চরম শক্রতা শুরু হলে ওহিদুল্লাহ নিজ এলাকা ছেড়ে শহরের সাধুপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করে। এরই জেরে ওহিদুল্লাহের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং আব্দুর রাজ্জাককে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন। ঘটনার দিন গত ১৭ মার্চ আসামি ওহিদুল্লাহ স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে তার অপর দুই সহযোগীদের নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সাধুপাড়া থেকে মানিকনগর বাজারে যায় এবং সুযোগ বুঝে বিল্টুর দোকানে চা খাওয়া অবস্থায় গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৪

নেত্রকোণায় চাঞ্চল্যকর সুইটি হত্যার রহস্য উদঘাটন
নেত্রকোণার পূর্বধলায় চাঞ্চল্যকর সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি (১৮) হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মূল হত্যাকারী মো. এনামুল হককে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) পূর্বধলা থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে খলিশাপুর বোনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এনামুল হক উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের খলিশাপুর (বনপাড়া মালবাড়ী) গ্রামের মৃত মঞ্জুল হকের ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার ঢেউয়াখোলা ইউপির চর শ্রীরামপুর গ্রামের মো. সুবহান'র মেয়ে সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি খলিশাউড়ের রাজিবপুর গ্রামে তার বৃদ্ধ নানা-নানির দেখভাল করার জন্য গত এক বছর যাবৎ তার নানার বাড়িতে থাকতো। সেখানে খলিশাপুর (বনপাড়া মালবাড়ী) গ্রামের মো. এনামুল হকের সঙ্গে সুইটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক থাকা অবস্থায় সুইটি ইরাক প্রবাসী শরিফুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে পারিবারিকভাবে বিবাহের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। কিন্তু এনামুল হক বিয়ের সংবাদ মেনে নিতে পারেনি এবং সুইটিকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। গত ১০ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার পর এনামুল সুইটিকে বাড়ি থেকে মোবাইলে কল দিয়ে স্থানীয় রাজিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ পূর্ব কোনায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রকার আলাপ আলোচনা করেন। একপর্যায়ে তিনি একাই সুইটির গায়ে থাকা ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং হত্যার পর লাশ নিয়ে সুইটির নানা মো. আবুল কাশেম'র টিনের বসত ঘরের সামনের খোলা বারান্দার ওড়না দ্বারা ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর ভিকটিমের বাবা অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করে। পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি হত্যার আসামি মো. এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১১:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়