• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সারিয়াকান্দিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, হুমকিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প 
বগুড়া সারিয়াকান্দিতে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং ব্যবসা। দুর্গম চরাঞ্চলের অবৈধ বালুর পয়েন্ট থেকে হচ্ছে দৈনিক অর্ধশত ট্রাক বালু বিক্রি। অবৈধ ট্রাক্টরের বিশাল চাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শাহজালাল বাজারের প্রধান সড়ক। এ দিকে ভাঙন হুমকিতে রয়েছে দক্ষিণ টেংরাকুড়ার দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্প। বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল শাহজালাল বাজারের পাশে আবারো নতুন করে বালুর পয়েন্ট চালু হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে চলছে অবৈধভাবে মোটা বালু উত্তোলন।  গত একমাস ধরেই এখানে চলছে বালুর রমরমা এ ব্যবসা। গত বছর এ পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে কয়েকজনকে জেলহাজতেও প্রেরণ করেছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক। এরপর গত একমাস যাবৎ এখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ব্যবসা আবারও চালু হয়েছে পুরোদমে।  অবৈধ যানবাহন বড় চাকার ট্রাক্টর দিয়ে বালুভর্তি গাড়ি দিয়ে প্রতিদিন এখান থেকে বালু বিক্রি হয় জামালপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। 
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৪

দাফনের ২ মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল হাই খোকন বেপারী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে দাফনের করার ২ মাস পর আদালতের আদেশে গৃহবধূ শাহেনা আক্তারের (৩৪) লাশ উত্তোলন করেছে সিআইডি।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক বিক্রম চাকমার উপস্থিতে চরজব্বর থানা পুলিশের সহযোগিতায় গৃহবধূর স্বামীর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন কর হয়। জানা যায়, মৃত গৃহবধূ শাহেনা আক্তারের পিতা আবুল হাসেম তার মেয়ের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য দায়ী করে শাহেনার স্বামী বেলাল হোসেন (৩২) দেবর মাঈন উদ্দিন (১৯), মনোয়ারা বেগম (৩৫), আজাদ হোসেন (৩৮) ও শাশুড়ি মোকছেদা খাতুন (৬০) এদের বিরুদ্ধে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত লাশ উত্তোলন করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় বাদী আবুল হোসেন জানায়, ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাত ৩টার সময় আমার মেয়ে শাহেনা আক্তার (৩৭) স্বামীর বাড়িতে মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়ে আমরা ছুটে যায়। পরে মেয়ের লাশ তার স্বামীর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ মৃত্যু আমাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হয়নি বলে অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে সত্য উদঘাটনের জন্য মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়াও শাহেনার শশুরবাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে, যৌতুক, চিকিৎসায় অবহেলা ও পারিবারিক অশান্তির বিষয়ে মামলায় অভিযোগ করা হয়। গৃহবধূর স্বামী বেলাল হোসেন জানান, ২০১৯ আমার সঙ্গে শাহেনার আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমরা সুখী ছিলাম। আমার প্রথম ছেলে শিশুটি মারা যায়, দ্বিতীয় কন্যা শিশুর বয়স ৪ বছর। বিয়ের পর থেকে মারা যাওয়ার আগপর্যন্ত কোনো অশান্তি ছিল না আমাদের সংসারে। আমরা ভালোবেসে বিয়ে করি। সাংসারিক জীবনে কখনো আমাদের নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি ও সমস্যা হয়নি। মৃত্যুর পূর্বে আমার স্ত্রী ৮ মাসের গর্ভবতী ছিল। হঠাৎ ১৫ ডিসেম্বর রাতে সে বুকে ব্যথা অনুভব করে। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তার অবস্থা অবনতির দিকে গেলে তার মা-বাবাকে খবর দেওয়া হয়। তাদের উপস্থিতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে সে মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুর পর উভয় পরিবার একত্রিত হয়ে তার দাফন কাজ সম্পন্ন হয়। তখন আমার শ্বশুরপক্ষ কোনো অভিযোগ করেনি।  এ ছাড়াও উভয় পরিবার এক হয়ে পারিবারিক দোয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রীর পূর্বের স্বামীর দেওয়া জমির দখল ও ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কিছু দিন যাবত আমার শ্বশুরপক্ষ ঝামেলা করছে। জমির ভাগভাটোয়াকে কেন্দ্র করে আমাকে ও আমার পরিবারকে হয়রানি করতে এ মামলা করেছে আমার শ্বশুর। এ ঘনটায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নোয়াখালী সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, মামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে লাশ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়ে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৯

নোয়াখালীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে রাস্তায় দাঁড়ালেন এলাকাবাসী
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর বৈশাখী বধূগঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।   শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চর বৈশাখী বধূগঞ্জ এলাকায় তারা এ কর্মসূচি পালন করে। এতে এলাকার জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, গৃহবধূ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অশোক বিক্রম চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে আদেশ দেন। একই সঙ্গে সরঞ্জামাদি স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় দেন। কিন্তু কয়েকদিন পর তারা পুনরায় স্থানীয় প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে সেখান থেকে বালু উত্তোলন শুরু করেন। এতে ৭০০-৮০০ পরিবার হুমকির মধ্যে পড়বে। এ ছাড়া একই গ্রামের সরকারি সড়ক, স্কুল, কবরস্থান এবং বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে যাবে।   ইউপি সদস্য তানভীর উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গত ২০-২৫ দিন ধরে কৃষি জমি, বাড়ি এবং সরকারি সড়কের পাশে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। সেখান থেকে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করার কথা হয়েছে। তারা আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন পুনরায় শুরু করেছে।   অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা গ্রুপের ম্যানেজার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা না বলে এড়িয়ে যান।    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইব্রাহীম রানা, সমাজসেবক জাহাঙ্গীর আলম, গৃহবধূ মিনারা বেগম প্রমুখ।   সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে একবার সহকারী কমিশনার ভূমি অভিযান চালায়। তখন তিনি বালু উত্তোলন বন্ধ করে সরঞ্জামাদি স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রেখে আসেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, ভূমির মালিক বালু উত্তোলন করার জন্য জেলা প্রশাসকের থেকে অনুমতি নিয়েছে কিনা আমি জানিনা। জেলা প্রশাসক বালু উত্তোলনের অনুমতি দিলে তারা তাদের জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবে। তবে বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি আমি দেখব।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৬

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় কারাদণ্ড
বগুড়া সারিয়াকান্দির বাঙালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় নবীর হোসেন (৩৮) নামের একজনকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। নবীর বগুড়া শিবগঞ্জ থানার আটমূল মালগাড়ী গ্রামের গফুর মণ্ডলের ছেলে।  মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ রায় প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ কুমার বসাক। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার নারচী ইউনিয়নের চর গোদাগাড়ী গ্রামের বাঙালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতেন নবীর হোসেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাঙালি নদী থেকে অবৈধ উপায়ে বালু তোলার অপরাধে তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে সবুজ কুমার বসাক বলেন, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মঙ্গলবার রাতেই বগুড়া জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ উপজেলার অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়