• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আইপিএলে উইকেট শিকারে শীর্ষে মোস্তাফিজ
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসরে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসে খেলছেন মোস্তাফিজুর রহমান। চলতি আসরে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতেছে ক্যাপ্টেন কুলের দল। আর রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের এই তিন জয়ে বড় অবদান দ্য ফিজের। দলের জয়ে বল হাতে দারুণ অবদান রেখেছেন কাটার মাস্টার। চেন্নাইয়ের হয়ে প্রথম তিন ম্যাচে বল হাতে তার শিকার ছিল ৭ উইকেট। এরপর আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভিসা সংক্রান্ত কাজে এই পেসারকে বাংলাদেশে ফিরতে হয়। এতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হয়ে চতুর্থ ম্যাচটি খেলা হয়নি তার। এরপর কাজ শেষেই রোববার (৭ এপ্রিল) দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে সোমবার (৮ এপ্রিল) ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেই চমক দেখান টাইগার এই পেসার। বল হাতে ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় তার শিকার ২ উইকেট। নিজের অষ্টম ও নবম উইকেট শিকারের পর ফের পার্পল ক্যাপ ফিরে পান দ্য ফিজ। টাইগার এই পেসারের তোপের মুখে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি কেকেআর। এদিন জোড়া উইকেট শিকার করে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের চলতি আসরে ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে শীর্ষে ফিজ। সমান ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে তালিকার দুইয়ে ভারতীয় স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। এর আগে, আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে রয়েল চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ২৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন দ্য ফিজ। এদিকে ঈদের পরই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে আইপিএল খেলার এনওসি (অনাপত্তিপত্র) রয়েছে বাঁহাতি এই পেসারের। যে কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল মুম্বাই, ১৯ এপ্রিল লখনৌ, ২৩ এপ্রিল ফের লখনৌ, ২৮ এপ্রিল হায়দরাবাদের বিপক্ষে মোস্তাফিজকে পাবে চেন্নাই। এরপর ১ ও ৫ মে পাঞ্জাবের বিপক্ষে, ১০ মে গুজরাট, ১২ মে রাজস্থান, ১৮ মে ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলবে চেন্নাই। তবে এই ম্যাচগুলোতে ফিজের সার্ভিস পাবে না চেন্নাই।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩০

এক ম্যাচেই ৭ উইকেট শিকার, যা বললেন রনি
পেসার আবু হায়দার রনির বিধ্বংসী বোলিংয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) বল বিবেচনায় বড় জয়ের রেকর্ড গড়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে ২৬২ বল বাকি রেখে ৯ উইকেটের জয় পায় মোহামেডান। ২০১৩-২০১৪ সালে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাবার পর ডিপিএলের ইতিহাসে বল বিবেচনায় এটিই সবচেয়ে বড় জয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রনির বোলিং তোপে টুর্নামেন্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মাত্র ৪০ রানে অলআউট হয় গাজী টায়ার্স। ৬ ওভারে ১ মেডেন ও ২০ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেন রনি। এটি ডিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে, ২০১৭-২০১৮ মৌসুমে ডিপিএলে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের তরুণ পেসার ইয়াসিন আরাফাত। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমে রনির ভাষ্য, ‘আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সো ফার খুব ভালো দিচ্ছে। আজকের ম্যাচটা তো আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো, আমার লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো (বোলিং) ফিগার। ভালো করতে সবসময় ভালো লাগে। যেহেতু এই ফরম্যাটে সবচেয়ে ভালো বোলিং ফিগার। আজকের দিনটা অবশ্যই আমার জন্য স্পেশাল।’ নিজের সামনের বড় লক্ষ্য নিয়ে তার মন্তব্য, ‘আসলে বড় টার্গেট নিলে কী হয় মাঝখানে একটু স্লিপ করার চান্স থাকে। আমি সবসময় প্ল্যান করি যে ম্যাচ বাই ম্যাচ যাতে সামনে এগোনো যায়। একটা করে ম্যাচ চিন্তা করছি। ঈদের পর প্রথম ম্যাচ শাইনপুকুরের সঙ্গে। তো এখন চিন্তাভাবনা ওইটা নিয়েই। যদি ওইটা ওভারকাম করতে পারি, তাহলে হয়ত পরের ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করব।’ রনি যোগ করেন, ‘অবশ্যই ভালো করতে থাকলে তো তখন সামনে খেলার চিন্তাগুলা আসে। প্রক্রিয়া তো একটাই থাকে মাঝখানে হয়তো একটু খারাপ সময় গিয়েছিল। এখন আলহামদুলিল্লাহ ওভারকাম করেছি। গত ২ বছর খুব চেষ্টা করছিলাম যে কীভাবে ওভারকাম করা যায়। পরিশ্রম করে বলের পেসটা একটু বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। লাইন লেংথ ঠিক করার চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ ওই ২ বছরের চেষ্টার হয়তো আমি এখন ফলটা পাচ্ছি। সবকিছু কিন্তু একটা প্রক্রিয়া। আমি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। এটা ধরে রাখতে পারলে আশা করি সামনে ইনশাল্লাহ আরও ভালো কিছু হবে।’
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৭

দ্বিতীয় সেশনে লঙ্কানদের প্রাপ্তি ৪ উইকেট
চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশকে ৫১১ রানের পাহাড়সমান লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের রানের পাহাড়ের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফের ভুগছে সবশেষ পাঁচ ইনিংসে ২০০ রান করতে না পারা টাইগার শিবির। হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে জয়ের ক্ষীণ আশা জাগালেও চা বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে ড্রেসিং রুমে ফেরেন মুমিনুল হক। চা-বিরতির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩২ রান। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জয় ১৯ ও জাকির ১১ রানে অপরাজিত থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান। সেখান থেকে ফিরে দ্বিতীয় ওভারে জয়সুরিয়াকে চার হাঁকান জয়। একই ওভারে জয়সুরিয়ার বলে বোল্ড হন এই ওপেনার। ফেরার আগে তিন চারে সাজান ২৪ রানের ইনিংস। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি শান্ত-জাকির জুটি। বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে ধরা পড়েন জাকির। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। পরে মুমিনুলকে সঙ্গী করে রানের গতি বাড়াতে থাকেন শান্ত। তবে লাহিরু কুমারার বলে শান্ত বোল্ড হয়ে ফিরলে ভাঙে তাদের ৪৩ রানের জুটি। ৫৫ বলে ২০ রান করে ফেরেন টাইগার দলপতি। এরপর জুটি গড়েন মুমিনুল ও সাকিব। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্রুতই ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। তবে হঠাৎ-ই জয়সুরিয়ার বলে ক্যাচ তুলে দেন সাবেক এই অধিনায়ক। ৫৬ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৫০ রান করে শেষ হয় তার চট্টগ্রামের টেস্টের এই অধ্যায়। চা বিরতি পর্যন্ত লিটন ও সাকিব অপরাজিত আছেন। লিটন শূন্য রানে এবং সাকিব ১৪ রানে ব্যাট করছেন। এর আগে, ৬ উইকেটে ১০২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে সফরকারীরা। তৃতীয় দিন শেষে ৩৯ রান করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস এদিন হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন। তবে ব্যক্তিগত ৫৬ রানের মাথায় সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে লঙ্কান এই অলরাউন্ডারকে ফিরতে হয়েছে। এরপর মাত্র ৪ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ততক্ষণে টাইগারদের সামনে ৫১১ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। উল্লেখ্য, ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে প্রথম ইনিংসের ৩৫৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে লঙ্কানরা।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৫

দ্রুত চার উইকেট তুলে খেলায় ফেরার চেষ্টা বাংলাদেশের
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ১৮৮ রানে টাইগাররা অলআউট হলে ৯২  রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নামে লঙ্কানরা। শনিবার (২৩ মার্চ) দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। ২০ বলে ১০ রান করে অভিষিক্ত নাহিদ রানার বলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার নিশান মাদুশকা। ১০ বলে ৩ রান করে রানার দ্বিতীয় শিকার হন কুশল মেন্ডিস। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকে আরেক ওপেনার দিমুথ কারুনাত্নে। তাকে সঙ্গে দেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি ম্যাথিউস। ২২ বলে ২৪ রান করে তাইজুলের প্রথম শিকার হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। শূন্য রানে দিনেশ চান্দিমালকে আউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এতে দলীয় ৬৪ রানে চার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৩ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৭১ রান সংগ্রহ লঙ্কানদের। দিমুথ কারুনাত্নে ২৯ রানে এবং ডি সিলভা ৪ রানে ব্যাট করছেন।  
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৬

চার উইকেট নিয়ে আইপিএলে উড়ন্ত সূচনা মোস্তাফিজের
চলমান আইপিএলের চেন্নাই সুপার কিংসের একাদশে মোস্তাফিজকে একাদশে জায়গা পাবেন কিনা তা নানা সন্দেহ ছিল অনেকেরই। তবে লঙ্কান পেসার পাথিরানার ইনজুরিতে কপাল খোলে ফিজের। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচের একাদশে সুযোগ পান এই টাইগার পেসার। তার পর যা করে দেখালেন এক কথা অবিশ্বাস্য। প্রথম ম্যাচে চার উইকেট শিকার করেছেন তিনি। শুক্রবার (২২ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বেঙ্গালুরু। কোহলি এক প্রান্তে থাকলেও বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন প্রোটিয়া ব্যাটার ফাফ ডু প্লেসিস। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে মোস্তাফিজকে বোলিংয়ে আনেন চেন্নাই অধিনায়ক গায়কোয়াড়। তার আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন এই কাটার মাস্টার। প্রথম বল ডট হলেও পরের বলে বাউন্ডারি হজম করেন তিনি। তৃতীয় বলে ডু প্লেসিসকে ক্যাচ আউট করেন এই বাঁহাতি পেসার। ২৩ বলে ৩৫ রান করে ফিজের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে রাচিনের হাতে তালুবদ্ধ হন এই ডান হাতি ব্যাটার। সেই সঙ্গে চলতি আসরের প্রথম উইকেটটি পকেটে ঢুকিয়ে এই বাংলাদেশি পেসার। একই ওভারের শেষ বলে রজত পাতীদারকে শূন্য রানে আউট করেন মোস্তাফিজ। এতে জোড়া উইকেট শিকার করে চেন্নাইকে খেলায় ফেরান তিনি। ষষ্ঠতম ওভারে দ্বীপক চাহারের বলে ডাক আউট হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এতে দলীয় ৪২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বেঙ্গালুরু। এরপর বেঙ্গালুরু শিবিরে হাল ধরেন ভারতের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। তবে এই রান মেশিনকে বেশিক্ষণ পিচে থাকতে দেননি ফিজ।  ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কোহলিকে ক্যাচ আউট হন তিনি। ২০ বলে ২১ রান করেন কোহলি। এক বল পরেই অজি অলরাউন্ডার ক্যামরুন গ্রিনকে বোল্ড আউট করেন ফিজ। এতে দুই ওভার চার উইকেট তুলে নেন এই বাংলাদেশি। ম্যাচের ১৭তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভারে বল করতে আসেন তিনি। উইকেট না পেলেও মাত্র ৭ রান দিয়ে ওভার শেষ করেছেন। বোলিং কোটার শেষ ওভারে দুটি ক্যাচের সুযোগ তৈরি করলেও তা লুফে নিতে ব্যর্থ হয় চেন্নাই ফিল্ডাররা। এতে চার ওভারে ২৯ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই টাইগার পেসার।
২২ মার্চ ২০২৪, ২২:৩৯

১৭তম আইপিএলের প্রথম উইকেট মোস্তাফিজের
আইপিএলের ১৭তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এই ম্যাচ দিয়ে চেন্নাইয়ের হয়ে অভিষেক হয়েছে টাইগার পেসার মোস্তাফিজের। এই দিন নিজের প্রথম ওভারে দুই উইকেট শিকার করেন ফিজ। শুক্রবার (২২ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বেঙ্গালুরু। কোহলি এক প্রান্তে থাকলেও বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন প্রোটিয়া ব্যাটার ফাফ ডু প্লেসিস। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে মোস্তাফিজকে বোলিংয়ে আনেন চেন্নাই অধিনায়ক গায়কোয়াড়। তার আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন এই কাটার মাস্টার। প্রথম বল ডট হলেও পরের বলে বাউন্ডারি হজম করেন তিনি। তৃতীয় বলে ডু প্লেসিসকে ক্যাচ আউট করেন এই বাঁহাতি পেসার। ২৩ বলে ৩৫ রান করে ফিজের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে রাচিনের হাতে তালুবদ্ধ হন এই ডান হাতি ব্যাটার। সেই সঙ্গে চলতি আসরের প্রথম উইকেটটি পকেটে ঢুকিয়ে এই বাংলাদেশি পেসার। একই ওভারের শেষ বলে রজত পাতীদারকে শূন্য রানে আউট করেন মোস্তাফিজ। এতে জোড়া উইকেট শিকার করে চেন্নাইকে খেলায় ফেরান তিনি। ষষ্ঠতম ওভারে দ্বীপক চাহারের বলে ডাক আউট হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এতে দলীয় ৪২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বেঙ্গালুরু। এরপর বেঙ্গালুরু শিবিরে হাল ধরেন ভারতের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। তবে এই রান মেশিনকে বেশিক্ষণ পিচে থাকতে দেননি ফিজ। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কোহলিকে ক্যাচ আউট হন তিনি। ২০ বলে ২১ রান করেন কোহলি। এক বল পরেই অজি অলরাউন্ডার ক্যামরুন গ্রিনকে বোল্ড আউট করেন ফিজ। এতে দুই ওভার চার উইকেট তুলে নেন এই বাংলাদেশি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রান সংগ্রহ করেছে বেঙ্গালুরু। অনুজ রায়াত (১) এবং দিনেশ কার্তিক ১ রানে ব্যাট করছেন।  
২২ মার্চ ২০২৪, ২২:১৭

দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন শেষ টাইগারদের
ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। সিলেট প্রথম দিন শেষে শ্রীলঙ্কার থেকে ২১৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এদিন বোলিংয়ে ভালো শুরু করলেও ব্যাটিংয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে স্বাগতিকরা। শুক্রবার (২২ মার্চ) টস জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে প্রথম দিনে তিন উইকেট হারিয়ে ৩২ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা। মাহমুদুল হাসান জয় ৩৪ বলে ৯ রানে এবং তাইজুল শূন্য রানে অপরাজিত রয়েছেন। দিনের শেষ সময়ে ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানদের বোলিং তোপে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ৮ বলে ৯ রান করে লেগ বিফোরে কাঁটা পড়েন ওপেনার জাকির হাসান। ১০ বলে ৫ রান করে ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার হন শান্ত। জাকিরের মতো লেগ বিফোরে শিকার হন এই টাইগার অধিনায়ক। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মুমিনুল হকও। ৭ বলে ৫ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। খালেদের অফ-স্ট্যাম্পের বাইরে এক আউট সুইংয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার নিশান মাদুশকা। শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস ও দিমুথ করুনারত্নে জুটি।  তবে এই জুটিকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি খালেদ। এই পেসারের লাফিয়ে উঠা ডেলিভারিতে গালি পয়েন্টে জাকির হাসানের হাতে তুলে দেন মেন্ডিস। একই ওভারে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন করুণারত্নেও। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৪১ রানের মাথায় ৩ উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকে সফরকারীরা। পরের ওভারেই বিপদ বাড়ে লঙ্কানদের। রান-আউটের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। অফসাইডে বল ঢেলে দিয়ে দ্রুত সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন চান্দিমাল। কিন্তু টাইগার দলপতির সরাসরি এক থ্রোতে ফিরতে হয় ম্যাথিউসকে। শরিফুলের হাত ধরে আসে এর পরের ব্রেকথ্রু। এই পেসারের লেগ স্ট্যাম্পের বল সামাল দিতে পারেননি চান্দিমাল। ফলে ৬৭ রানেই অর্ধেক উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। তবে অধিনায়ক ধনঞ্জায়া ডি সিলভা এবং কামিন্দু মেন্ডিসের নৈপুণ্যে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় সেশনেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে লঙ্কানরা। এই জুটির কল্যাণে দ্বিতীয় সেশন শেষে ৫ উইকেটে ২১৭ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেছে সফরকারীরা। এরপর সেঞ্চুরি তুলে নেন এই দুই ব্যাটার। উড়তে থাকা দুই লঙ্কান ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান অভিষিক্ত নাহিদ রানা। ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস দুজনেই সমান ১০২ রান করেন। শেষ দিকে প্রাবাথ জয়সুরিয়া (১), ফার্নান্দো (৯) এবং লাহিরু কুমারা শূন্য রানে রান আউট হলে ২৮০ রানে থামে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে খালেদ আহমেদ ও নাহিদ রানা তিনটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।  
২২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৩

তিন উইকেট হারিয়ে চাপে কুমিল্লা
বিপিএলের অষ্টম আসরের ফাইনালে কুমিল্লার কাছে শিরোপা খুইয়েছিল বরিশাল। সেই ক্ষত এখনও ভুলতে পারেনি বরিশাল। এক আসর পর আবারও ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এই ম্যাচের চার বারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে প্রতিশোধ নিতে চায় বরিশাল। শুক্রবার (১ মার্চ) ফাইনালে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বরিশাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে কুমিল্লা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সুনিল নারিনকে হারায় কুমিল্লা। ৪ বলে ৫ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। তিনে ব্যাট করতে এসেই দ্রুত রান তুলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয়। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই টাইগার ব্যাটার। ১০ বলে ১৫ রান করে জেমস ফুলারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন তিনি। পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখার কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস। তবে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি লিটন। ১২ বলে ১৬ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সংগ্রহ ৪৯ রান। জনসন চার্লস ৭ এবং মাহিদুল ইসলাম ২  রানে ব্যাট করছেন।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩১

তামিমের উইকেট উদযাপন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় 
চলমান বিপিএলের লিগ পর্বের ৩৮তম ম্যাচে রংপুরের মুখোমুখি হয়েছিল বরিশাল। এই ম্যাচে এক উইকেটে জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় সাকিবের আউটের পর তামিমের উইকেট উদযাপন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূতেই ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্লে-অফ ওঠার কঠিন সমীকরণ মাথায় রেখে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফরচুন বরিশাল। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন টাইগার ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। একের এক বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকে তামিম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২০ বলে ৩৩ রান করে আউট হন বরিশাল অধিনায়ক। তামিম ব্যাটিং তাণ্ডব দেখে চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের প্রথম বল বুঝতে না পেরে ক্যাচ তুলে দেন তামিম। এ সময় হাত মুখো শক্ত করে উদযাপন করেন সাকিব। অন্যদিকে বরিশালের ১৫২ রানের জবাব ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব শুরু করেন সাকিবও। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৫ বলে ২৯ রান করে ,মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই টাইগার অলরাউন্ডার। এসময় দেখা যায় সাকিবের দিকে লক্ষ্য করে সাকিবের উদযাপনের ব্যাঙ্গ করে মুখ ভেংচির রিয়েকশন দিয়ে উদযাপন করে। যদিও ততক্ষণে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন সাকিব। এই ভিডিও মুহূতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গ গত বিশ্বকাপের দল থেকে তামিম ইকবালের দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে সাকিবের উপর আঙুল ওঠে। যা নিয়ে গত ছয় মাসে নানা ঘটনার সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। তাই তামিমের এমন উদযাপন নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। এ ছাড়াও এই তামিমকে প্রথম বলে আউট করেও উইকেট উদযাপনের ক্ষেত্রে নিজেকে সংযত রাখেন সাকিব। অনেক সময় আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উদযাপন করলেও তামিমের বেলায় শান্ত ছিলেন তিনি। তাই তামিমের এমন উদযাপন মানতে পারেনি অনেকেই।  
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৩

মিরপুরের উইকেট নিয়ে যা বললেন লিটন
বিপিএলের উইকেট নিয়ে প্রশ্ন করাটা নতুন কিছু নয়। কয়েক দিন আগেও টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলেন এবারের বিপিএলের উইকেটের মান আগের বছরের থেকেও খারাপ। এবার মিরপুরের উইকেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। খুলনা বিপক্ষে ভালো শুরু করেও বড় পুঁজি না পাওয়ায় এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনাকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন কুমিল্লার অধিনায়ক। সেখানে মিরপুরের উইকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন লিটন। লিটন বলেন, দেখেন, আমি কিছু বললেই কী উইকেট চেঞ্জ হবে? আমি যদি বলি, কালকের ম্যাচে ২০০ রানের উইকেট দেন, দিতে পারবে? যেটা ফ্যাক্ট সেটা তো ওইভাবে খেলতে হবে। ১৫০ রানের উইকেটে আমরা কিভাবে ১৫০ রান করতে পারি এটাও একটা চ্যালেঞ্জ। আপনি সব সময় টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রানের উইকেট পাবেন না। চলমান বিপিএলে এখনও পর্যন্ত কোনো দল ২০০ রান সংগ্রহ করতে পারেনি। এটার জন্য উইকেট দোষ দিতে চান না লিটন। তিনি বলেন, আমরা প্রতি বছরই চেষ্টা করি। একটা জিনিস সব সময় উইকেটকে দোষ দেওয়া এই জিনিসটা না। যারা ভালো ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়ে খেলতে পারে তারা কিন্তু এই মাঠেও…এখানেও কিন্তু ১৭০ রান হওয়ার মতো ছিল। ‘যদি আমরা করতে পারতাম তাহলে কিন্তু আমরা কেউই উইকেটকে দোষ দিতাম না। কিন্তু আমরা সেটা কোনো কারণে করতে পারি নাই। মিডল ওভারে আমরা রান বের করতে পারি নাই। তো আমাদের কিছু ঘাটতি আছে, ব্যাটাররা কিভাবে মিডল ওভারে রান করব এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। ’ গত কয়েক মাস ধরে জাতীয় দলের ম্যাচেও মিডিল অর্ডারের ব্যাটাররা রান করতে ব্যর্থ হচ্ছে, বিপিএলেও তার ব্যতিক্রম নয়। দুটিরে মধ্যে কোনো যোগ সূত্র আছে কি না এমন প্রশ্ন ছুটে যায় লিটনের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টা এমন নয়। আমাদের বাংলাদেশ টিম এই জিনিসটার কারণে ভুক্তভোগী। পাওয়ার প্লেতে রান করলে মাঝখানে খেলতে পারি না। কখনও মাঝখানে খেলতে পারলে ফিনিশ করতে পারি না। এখনও আমরা লার্নিং প্রসেসে আছি। এমন না যে আমরা খুব টি-টোয়েন্টি ভালো টিম। 
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়