• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। ঈদের ছুটির পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে সব অফিস-আদালত খুলেছে। তাই কর্মস্থলে যোগ দিতে এদিন সকাল থেকেই ট্রেন, বাস ও লঞ্চে করে অনেকেই ঢাকায় ফিরছেন। যাত্রীরা বলছেন, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারা সৌভাগ্যের বিষয়। যাওয়ার সময় কষ্ট হলেও ফিরতি যাত্রায় স্বস্তিতে তারা ঢাকায় পৌঁছেছেন। কোথাও কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। বিশেষ করে রাস্তা-ঘাট ফাঁকা থাকায় বাসযাত্রীরা নির্বিঘ্নে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকায় ফিরতে পেরেছেন। এদিন সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে তুলনামূলক কম ভিড় দেখা গেছে। টার্মিনালের উল্টো পাশের সড়কে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাসগুলো যাত্রী নামাচ্ছেন। যাত্রীরা নেমে তাদের ব্যাগ, লাগেজ নামাচ্ছেন বাসের বক্স থেকে। নওগাঁ থেকে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় কোনো যানজট নেই। তাই খুব কম সময়ে ঢাকায় চলে এসেছি। আজকে থেকে অফিস খোলা তাই তড়িঘড়ি করে ঢাকায় আসা। ছেলে-মেয়েকে বাড়ি রেখে এসেছি। তারা কয়দিন পর ঢাকায় আসবে। এদিকে ঈদের ফিরতি যাত্রায় বাসে কোনো ভোগান্তি পোহাতে না হলেও ট্রেনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসা আফজাল হোসেন বলেন, এবার অনেকদিনের ছুটি ছিল। আসার সময় অনেক ভিড় হবে চিন্তা করে ছোট দুই ছেলে মেয়েসহ স্ত্রীকে বাড়িতেই রেখে এসেছি। কয়েকদিন পর যাত্রীর চাপ কমলে ছোট ভাই তাদের ঢাকায় নিয়ে আসবে। আমার অফিস খোলা তাই আমি লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়েই কোনোরকম চলে এসেছি। একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে পঞ্চগর থেকে ঢাকায় ফেরা সৈয়দ আশরাফ বাতেন বলেন, বাড়িতে সবাই একসাথে ছিলাম। ঈদ আর বৈশাখ একসাথে উদযাপন করেছি। আজ থেকে অফিস খোলা। তাই কষ্ট হলেও বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে হলো। বাচ্চাদের স্কুলও খুলে যাবে। তাই সবাইকে নিয়েই চলে এসেছি। অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চল থেকে লঞ্চযোগে আসা মানুষের চাপ গত দুদিনের চেয়ে বেড়েছে।  সোমবার রাজধানীর সদরঘাট ঘুরে এবং বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে দেখা যায়, সকাল ৮টা পর্যন্ত সদরঘাটে ৭৮টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় এসেছে। ঘরে ফেরা মানুষের চাপ সামলাতে প্রায় সব লঞ্চ ঢাকায় যাত্রী নামিয়ে ফের যাত্রী আনতে দ্রুত টার্মিনাল ত্যাগ করছে। এ বিষয়ে বিআইডব্লিটিএর কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, সকাল ৮টা পর্যন্ত ৭৮টি লঞ্চ ঢাকায় এসেছে। যেখানে গতকাল একই সময়ে ৯১টি লঞ্চ রাজধানীতে এসেছিল। উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার খুলেছে। ঈদুল ফিতরের আগে শেষ কর্মদিবস ছিল গত ৯ এপ্রিল। ঈদ ও বাংলা নববর্ষ মিলিয়ে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছিল ১০ এপ্রিল থেকে, যা শেষ হয় ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ এবং ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে টানা ১০ দিন ছুটি কাটিয়েছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে

আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালের দিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার সঙ্গে বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু করে বন্ধর কর্তৃপক্ষ। এর আগে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। তবে এসময় দুই দেশের বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল। আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ খায়রুল আলম জানান, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাঁচ দিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বন্দ থাকলেও এ সময় অন্যান্য দিনের মতো বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৫

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে টানা ছয়দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।  বাংলাহিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোয়িয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাঁচ দিন এবং পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে একদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল থেকে ভারত থেকে পণ্য আমদানি শুরু হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকেও পণ্য রপ্তানি হবে। হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড সব সময় বন্দরের ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করে থাকেন। আমরা বিশেষ করে পচনশীল পণ্যগুলো দ্রুত খালাস করতে আমদানিকারকদের সহযোগিতা করি। সোমবার বন্দরের কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরবে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩০

ঈদের ছুটি শেষ / রাজধানীতে ফিরছে মানুষ
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষ হচ্ছে আজ। আর আগামীকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) খুলছে সরকারি অফিস আদালত, ব্যাংক-বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষ হওয়ায় রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ৯ এপ্রিল ছিল শেষ কর্মদিবস। আর সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি শুরু হয় ১০ এপ্রিল থেকে। তবে অনেকেই ৮-৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটিয়েছেন টানা ১০ দিন।সচিবালয় সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে। এদিকে যানজট না থাকায় নির্ধারিত সময়েই রাজধানীতে ফিরেছে দূরপাল্লার বাসগুলো। রাজধানীর মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনালে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলোতে ছিল না তেমন যাত্রীরচাপ। তবে ঢাকায় ফেরা ট্রেনগুলোতে ছিল যাত্রীদের ভিড়। বাসচালকরা জানান, টার্মিনালের পৌঁছানোর আগেই অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে যান। তাই টার্মিনালে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বাসের যাত্রী অনেক কমে যায়।  যাত্রীরা জানান, ছুটি শেষ না হলেও তারা আগেভাগেই চলে আসছেন রাজধানীতে। কেন না সময় বাড়লে বাড়বে চাপ। বাড়তি ভাড়া নিয়ে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। ঈদ বকশিশের কথা বলে বাসগুলো বাড়তি টাকা আদায় করেছে বলে জানান তারা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৫

আজ থেকে আবার চলছে মেট্রোরেল
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবার মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই চলছে এ মেট্রোরেল। ফলে যাত্রীরা আগের মতোই বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির এই গণপরিবহনে ভ্রমণ করতে পারছেন। এর আগে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.এ.এন. ছিদ্দিক জানান, ঈদের জন্য মেট্রোরেল শুধু ঈদের দিন (১১ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া পরের দিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সাপ্তাহিক বন্ধ যথারীতি কার্যকর থাকবে। সে হিসেবে মেট্রোরেল টানা দুই দিন বন্ধ থাকবে। পরে শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে আবারও যথানিয়মে মেট্রোরেল চলাচল করবে। বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ৭টা ১০ মিনিটে দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনে উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় ছেড়ে যায়।  এ ছাড়া দিনের শেষ ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে রাত ৮টায় এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৪

হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দর্শনার্থীদের ভিড়
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দর্শনার্থীরা (ভ্রমনপিপাসু) বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে দর্শনার্থী ছিল চোখে পড়ার মতো। সীমান্তের জিরো পয়েন্ট যেন পার্কে পরিণত হয়েছে। ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। ঈদের দিন থেকেই আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। ঈদের আনন্দ একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আসেন তারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হিলিতে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকলেও হিলি জিরো পয়েন্টে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। হিলির এপারে বাংলাদেশ, ওপারে ভারত। মাঝখানে সীমানা কাঁটাতারের বেড়া। ঈদের খুশিতে ভারতে থাকা স্বজনদের এক নজর দেখতে এবং জিরো পয়েন্ট দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে হিলি সীমান্তে এসেছেন কয়েকশ মানুষ। এখানে সরাসরি কথা না বলতে পারলেও দূর থেকে স্বজনদের দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন তারা। আবার কেউ জিরো পয়েন্ট দেখতে এসেছেন। জয়পুরহাট থেকে আসা রকিবুল ইসলাম, রত্না ইসলাম, আলেয়া বেগমসহ কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, আমাদের এখানে আসার মূল কারণ হচ্ছে জিরো পয়েন্ট দেখা। আমরা শুধু শুনি যে, হিলি একটি বর্ডার এলাকা। এখানে দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে। এখান থেকে ভারত দেখা যায়, সেই জন্য আমরা এখানে এসেছি। কাছ থেকে সীমান্ত দেখে অনেক ভাল লাগলো। স্মৃতি হিসেবে মোবাইলের মাধ্যমে ছবি উঠিয়ে রাখলাম।  দিনাজপুর সদর থেকে আমিরুল ইসলাম, আজাহারুল, সম্পা বেগমসহ কয়েকজন বলেন, ভারতে আমাদের আত্মীয় আছে। পাসপোর্ট না থাকার কারণে আমরা ভারতে যেতে পারিনি। ঈদের আনন্দে ঘুরতে হিলি সীমান্তে এসেছি। ঘুরতে পারবো সেই সঙ্গে ভারতে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গেও দেখা করতে পারবো। যদিও তাদের সঙ্গে কাছ থেকে কথা বা দেখা হচ্ছে না, তারপরও দূর থেকে আমরা দেখতে পারছি এবং ইশারায় কথা বলতে পারছি। এটাই আমাদের অনেক ভালো লাগছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদস্যরা বলেন, আমরা এখানে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব পালন করছি। কেউ যেন চোরাইপথে কিছু না নিয়ে যেতে পারে এবং অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ না করতে পারে সেদিকে আমরা নজর রাখছি। দুই দেশের মানুষ ঈদ উপলক্ষে দুপাশে ভিড় করেন। কেউ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন, আবার কেউবা হিলির জিরো পয়েন্ট দেখতে আসেন। আমরা বিজিবির সতর্ক অবস্থানে সব সময় থাকি এবং বর্তমানেও আছি। 
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৮

ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে খালেদা জিয়ার বাসভবনে বিএনপি নেতারা
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ  নেতারা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে গুলশানের খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৬

ঈদের দিনও নেতাকর্মীদের ঘরে কান্নার রোল : রিজভী
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে কান্নার রোল আর ক্ষমতাসীনদের ঘরে লুটপাটের অট্টহাসি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) গুম হওয়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী, পুলিশের নির্যাতন ও গুলিতে নিহত ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু ও ‘পুলিশ হেফাজতে নিহত’ খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজ ঈদের দিন, আমি গুম হওয়া ইলিয়াস আলী, পুলিশের নির্যাতন ও গুলিতে নিহত নুরু ও পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত জনির বাসায় গিয়ে দেখি সেখানে শোকের মাতম চলছে। তাদের পরিবারে কোনো ঈদের আনন্দ নেই। তাদের স্ত্রী ও সন্তানরা এখনও শোকে কাতর।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গুম, খুন, জুলুম নির্যাতনে বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের ঈদ-আনন্দ আজ বিবর্ণ। বিএনপি নেতাকর্মীরাসহ দেশের বেশিরভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে নির্যাতিত। তাই সবাই কোনো না কোনো দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এই ঈদেও মানুষের মধ্যে কোনো শান্তি নেই, সুখ নেই। এভাবে আর চলতে পারে না। এ সরকারের বিদায় ছাড়া দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি হত্যা ও গুমের বিচার একদিন হবে। গুম করে, হত্যা করে, নিপীড়ন করে, ডামি নির্বাচন করে সরকার পার পাবে না।’ ঈদের দিন প্রথমে গুম হওয়া ইলিয়াস আলীর বনানীর বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের হাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার তুলে দেন রুহুল কবির রিজভী। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জে নুরুল আলম নুরুর বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের হাতেও ঈদ উপহার তুলে দেন। এরপর বিএনপির এ নেতা যান ‘পুলিশ হেফাজতে’ নিহত জনির খিলগাঁওয়ের বাসায়। সেখানে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তারেক রহমানের ঈদ উপহার তুলে দেন। পরে তিনি নিহত জনির কবর জিয়ারত করেন।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৬

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ফল-মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর গজনবী রোডে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্র (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) এ বসবাসরত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফলমূল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপি সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার, সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার এবং এসাইনমেন্ট অফিসার মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান নূরনবী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফল ও মিষ্টি পৌঁছে দেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা এ সময় প্রতিটি রাষ্ট্রীয় দিবস ও উৎসবে যেমন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পবিত্র ঈদ এবং বাংলা নববর্ষের দিনে তাদের স্মরণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনাই দেশকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আওয়মী লীগ ছাড়া কোনো সরকার সাধারণ মানুষ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিন্তা করেনি। তারা বলেন, একমাত্র শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হতে পারে। তারা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। সূত্র : বাসস
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪০

ঈদে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জয়ের
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান। জয় লিখেছেন, সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকের দিনটি সবার জন্য হোক আনন্দ ও উৎসবের। ঈদ বার্তা বয়ে আনুক শান্তি ও সম্প্রীতির। আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি আজকের দিনে সুবিধাবঞ্চিত সব শ্রেণীর মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি সবাই, এটাই ইসলামের শিক্ষা। ঈদ মোবারক! এদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার ১৫০০ জনকে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। অন্যদিকে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে দেশে-বিদেশে সবাইকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঈদে সবার জীবনে সুখ শান্তি নেমে আসুক, অনাবিল আনন্দ বয়ে যাক এ কামনা করি। গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানা ও দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়