• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ইস্যু তৈরি করে ভারত বিরোধিতা করছে বিএনপি : নানক
সস্তা ইস্যু তৈরি করতে বিএনপি এখন ভারতের বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। শনিবার (২৩ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। নানক বলেন, বিএনপি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মির্জা ফখরুল ও মঈন খানেরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যখন বেকায়দায় পড়েছেন তখনই সস্তা ইস্যু তৈরি করে ভারত বিরোধিতা করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেছেন।  তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কিংবা খালেদা জিয়া ভারত ইস্যু ঘিরে যে ‘ভারত জুজুর রাজনীতি’ করেছিলেন, সেই রাজনীতির সুযোগ বাংলাদেশে আর নেই। ভারত বিরোধিতা হলো বিএনপির রাজনৈতিক হালে পানি পাওয়ার অপচেষ্টা মাত্র। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে খুনিদের অবাধ বিচরণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। অথচ আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।  এ সময় ছাত্রলীগের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জামায়াত-শিবির কিন্তু বসে নেই, ছাত্রলীগকে মনে রাখতে হবে ওরা নিঃশ্বেষ হয়ে যায়নি।  আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।  
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৬

‘রাজনৈতিক কোনো ইস্যু না পেলে ভারত বিরোধিতা শুরু করে বিএনপি’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যখন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না পায়, তখনই ভারত বিরোধিতার বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসে। বঙ্গবন্ধুর আমলেও করেছে, এখন শেখ হাসিনার আমলে এবারও তাই করছে।  শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দলীয় কার্যালয়ে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। ৪১ ভাগেরও বেশি মানুষ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে জয়ী করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেটা অনেক উন্নত দেশেও পরে না। তারপরও বলবে ইন্ডিয়া নিয়ে এসেছে। ইন্ডিয়া কোথায় আমাদের দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে? তারা আমাদের ভোট দেয়নি, তারা ভোট বানচাল প্রতিহত করার জন্য আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারত বয়কট ইস্যুতে বিএনপি নেতাদের ঐক্য নেই দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বয়কট আন্দোলন করছে তারা। কিন্তু তাদের নিজেদের বক্তব্যে মিল নেই। হাফিজ বলে এক কথা, রিজভী বলে আরেক কথা, মহাসচিব সিঙ্গাপুর থেকে বলে ভিন্ন কথা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে আর আওয়ামী লীগ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে। তারা ইফতার খাওয়ার পার্টি করে আর আমরা ইফতার দেওয়ার পার্টি করি। এটাই বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়া নিয়ে মানুষের প্রশ্ন আছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যদিও এখন কিছু কিছু পণ্যের দাম কমে যাচ্ছে। দাম আরও কমবে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে আসবে। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৩

১৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করছে বেক্সিমকো
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড জিরো কুপন বন্ড ইস্যু করার মাধ্যমে ১৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইস্যুর পর এটিই হতে যাচ্ছে কোম্পানিটির প্রথম জিরো কুপন বন্ড। এর নাম হবে বেক্সিমকো ফার্স্ট জিরো কুপন বন্ড।  সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। ডিএসই বলছে, বেক্সিমকো ফার্স্ট জিরো কুপন বন্ডে ডিসকাউন্টের হার হবে ১৫ শতাংশ। এই বন্ড মেয়াদ শেষে সম্পূর্ণ অবসায়িত হবে। এর কোনো অংশ শেয়ারে রূপান্তরিত হবে না। তাছাড়া বন্ডটি স্টক মার্কেটে লেনদেনযোগ্যও নয়। আলোচিত জিরো কুপন বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহকৃত অর্থ শ্রীপুর টাউনশিপ কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘মায়ানগর’ নামে একটি আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে। এ বিষয়ে ১০ মার্চ কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যু করার এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৪

হজযাত্রীদের জন্য সুখবর দিলো সৌদি 
হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যু শুরু করেছে সৌদি আরব। এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে শুক্রবার (১ মার্চ) থেকে, যা চলবে আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। আগামী ৯ মে থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের হজযাত্রীরা হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাওয়া শুরু করবেন। এদিকে অতীতে হাজিদের বাসস্থান নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায়, সেই সংকট সমাধানে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ মানের সেবা দিতে নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এবার হজযাত্রীদের থাকার জন্য এরই মধ্যে মক্কায় ১ হাজার ৮৬০টি আবাসিক ভবনকে লাইসেন্স দিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। আসন্ন হজ মৌসুমে এসব ভবনে থাকতে পারবেন প্রায় ১২ লাখ হজযাত্রী। খবর গালফ নিউজের।  গালফ নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, আগামী ৮ মে পর্যন্ত ভবনের মালিকদের কাছ থেকে আরও লাইসেন্স আবেদন নেওয়া হবে। এতে চলতি বছর মক্কায় হজযাত্রীদের থাকার জন্য অনুমোদিত আবাসিক ভবনের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এবারের হজ মৌসুমে নতুন নিয়ম ঘোষণা করেছে সৌদি। সৌদি আরবের পবিত্র স্থানগুলোতে আগের মতো দেশভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির হজবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়াহ। এর আগে, এবারের মৌসুমে অনুমতি ছাড়া হজ পালন থেকে বিরত থাকতে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানায়, অনুমতি ছাড়া হজ পালন করলে গুনতে হবে ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার সমান। এ ছাড়া যারা অনুমতিবিহীন ব্যক্তিদের মক্কায় পরিবহন করে ধরা পড়বেন, তাদেরও একই পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হবে। দেশটির মন্ত্রণালয় আরও জানায়, যে প্রবাসী আইন ভঙ্গ করবেন, তাকে প্রথমে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হবে। কারাভোগের পর তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। পরবর্তী ১০ বছর সৌদিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে আইন ভঙ্গকারীদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে, যাতে সবাই তাদের চিনতে পারেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর পবিত্র হজের মূল কার্যক্রম জুনের ১৪ তারিখে হতে পারে। এবছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজের কোটা থাকলেও এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২০:১০

যে বিষয়ে কথা বললেন ভারত-বাংলাদেশের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার সংকট ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর ওই সংকটের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিল্লিতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়েও আলোচনা হয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের সহায়তা চায় বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক তৈরি করার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ, তিস্তা ও গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কানেকটিভিটি, বিদ্যুৎ-প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উপ-আঞ্চলিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় সহযোগিতার বিষয়ে উভয় মন্ত্রী একমত হয়েছেন। তিস্তা চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার ওপর জোর দেন তিনি। গঙ্গা চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। চুক্তি নবায়নের ওপর জোর দেন হাছান মাহমুদ।  রমজান মাসসহ বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য  স্থিতিশীল রাখতে নিরবচ্ছিন্ন পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে বাংলাদেশি বিভিন্ন পণ্যের শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করার জন্য অনুরোধ করেন মন্ত্রী। ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) হাতে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় দেশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষযে একমত হয়। এছাড়া সীমান্তে প্রাণঘাতি নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার নিয়েও আলোচনা হয় যাতে করে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা যায়। এছাড়া বাংলাদেশে একটি সফল নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য  অভিনন্দন জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতীয় ঋণের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্প কীভাবে দ্রুত সম্পন্ন করা যায় সেটি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৭

শরীফ থেকে শরীফা ইস্যু : সেই শিক্ষক ক্লাসে ফিরছেন
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবের পর সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘শরীফা গল্প’ নিয়ে প্রতিবাদ করায় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) শিক্ষক অধ্যাপক ড. সরোয়ার হোসেনকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সরিয়ে রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে অধ্যাপক সরোয়ারকে ক্লাসে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইইউবি। রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ক্যাম্পাসের ভেতরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।  জানা গেছে, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে অধ্যাপক ড. সরোয়ার হোসেন ক্লাসে ফিরবেন বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার বেলা ১১টায় আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অফিস থেকে কর্মকর্তারা এসে ওই শিক্ষককে ক্লাসে ফেরানোর আশ্বাস দেন। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কর্মসূচি তুলে নেন তারা। শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্বাসে আজকের মতো আন্দোলন স্থগিত করেছি। তবে তাদের কথায় কোন পরিবর্তন হলে আবারও আন্দোলনে নামবো আমরা। ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক অধ্যাপক ড. সরোয়ার হোসেন। গত ১৯ জানুয়ারি এক সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের শরীফ থেকে শরীফা হওয়ার গল্পের অংশটুকু নিয়ে প্রতিবাদ করেন তিনি। তার এ প্রতিবাদের ভিডিও ভাইরাল হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে আর ক্লাসে না যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই সেমিনারে অধ্যাপক সারোয়ার বলেন, ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে আপনাদের যদি ভেঙে ভেঙে বুঝাইতাম তাহলে আপনারা রাতে ঘুমাইতে পারবেন না। ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু মারাত্মক ইস্যু। আমি এ বিষয়ে ছয় বছর পিএইচডি করেছি। ‘ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে আমার সন্দেহ হয়েছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম। ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু বুঝতে হলে জনস্বাস্থ্য বুঝতে হবে। তাহলে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুটা বুঝতে পারবেন। সমকামিতা কোনো আলোচনার বিষয় না। এর কারণে কওমে লূত ধ্বংস হয়েছে। সব ধর্মে নিষিদ্ধ এ সমকামিতা। গতকাল শুনলাম আমার প্রতিষ্ঠান আমার জন্য পলিসি তৈরি করেছে। যেন চাকরি খেয়ে দিতে পারে। ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে যে কথা বলবে তার চাকরি খেয়ে দিতে পারবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। সপ্তম শ্রেণির বইতে শরীফ থেকে শরীফার গল্প আছে। মনে মনে নারী এবং মনে মনে পুরুষ, এটা ভয়ংকর জিনিস। তিনি বলেন, আমার লাইফ ঝুঁকির মধ্যে, আপনারা কি জানেন? আমার পেছনে অনেক লোক ঘুরছে। আমি বাইরে যেতে পারি না। আমাকে টার্গেট করে ওরা কমপ্লেইন করেছে, চাপে ফেলেছে। আমি বললাম এটা কীভাবে সম্ভব। আমরা জাতি গঠন করি। আমরা চাই সাসটেইনেবল সোসাইটি হোক, আমরা কি চাই অসুস্থ সোসাইটি হোক?’ এর আগে গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত এক সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ টাকা দিয়ে বইটি বাজার থেকে কিনতে বলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব। পরে বইয়ের ট্রান্সজেন্ডারের গল্প থাকা দুটি পাতা ছিঁড়ে আবার দোকানে ফেরত দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সেমিনারে তিনি সপ্তম শ্রেণির বই নিয়ে সমালোচনাও করেন। আর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেন। এই ঘটনার পর রোববার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় নিজের ফেসবুকে মাহতাব লেখেন, আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস নিতে না যাই। এপরই এরপর সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এই একই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. সরোয়ার হোসেন।  
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২১

স্বার্থের জন্য নির্বাচনের আগে ইস্যু তৈরি করেছিল আমেরিকা : ড. মোমেন
নির্বাচনের আগে আমেরিকা মূলত তাদের স্বার্থের জন্য কিছু ইস্যু তৈরি করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় দিকে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সিলেট যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তার সঙ্গে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  আরও পড়ুন : ১৯ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে   ড. মোমেন বলেন, আমেরিকার একটা নিয়ম—ঘটে গেলে পরে ঠিক। আর ঘটার আগে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে মূলত তাদের দেশের স্বার্থ হাসিলের জন্য। তারা অনেক কিছুই চায়। ভাবল ইলেকশনের আগে যদি চাপটাপ দিয়ে সেগুলো পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা ডকট্রিন অব রিয়্যালিটিতে বিশ্বাসী। বাস্তব হয়ে গেলে তখন তারা কোনো ঝামেলা করে না। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকার সরকার আমাদের বিরোধী ছিল। ১৬ ডিসেম্বর যখন আমরা যুদ্ধে জয়লাভ করলাম, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করলাম। এরপর যখন ১৬টি প্রস্তাব আসে ১৫টাই বাংলাদেশকে সাপোর্ট করে। স্বাধীনতার পর ভারত এবং আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় সহযোগী ছিল। তারা আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে। আমেরিকা আমাদের  ১ নম্বর  রপ্তানি ও বিনিয়োগকারী দেশ। তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলে আমি আশাবাদী।’  এরপর ড. মোমেন বলেন, বিরোধী দলের (বিএনপি) অসহযোগ আন্দোলন ও তাদের প্রোপাগান্ডাকে মিথ্যা প্রমাণ করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। জনগণ আমার দল নৌকাকে ভোট দিয়ে স্থায়িত্ব ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখেছে। আরও পড়ুন : লরি-মাহিন্দ্রা মুখোমুখি সংঘর্ষ, প্রাণ গেল ২ জনের    মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সিলেটের উন্নয়ন সরাসরি তদারকি করা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন,  সিলেটে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেকে ফোন দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমার জন্য কেঁদেছেন, দোয়া করেছেন। তারা যে আমাকে এতো পছন্দ করেন, তা আমি জানতাম না। সিলেটবাসীর ভালোবাসায় আজ আমি ধন্য। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে সিলেটের চলমান উন্নয়নগুলো সুষ্ঠু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশা রেখে তিনি বলেন, আগে মন্ত্রী ছিলাম, তাই ব্যস্ততার জন্য ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সরাসরি তদারকি করা সম্ভব হয়নি। এখন সংসদ সদস্য হিসেবে সিলেটের চলমান উন্নয়ন কাজগুলো আরও ভালোভাবে দেখভাল করব।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়