• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইসরায়েলি হামলার সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দিতে প্রস্তুত ইরান
উত্তেজনা বেড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। বিশেষ করে ইসরায়েলে সরাসরি ইরানের হামলার পর এ উত্তেজনা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। হামলার জবাব হামলার মাধ্যমে দিতে না পরলেও মৌখিকভাবে তা দেওয়ার চেষ্টা করছে ইসরায়েল। তবে এই হুমকির পাল্টা হুমকি দিতে দেড়ি করছে না ইরান। তেহরান জানিয়েছে ইরানের স্বার্থের ওপর যেকোনও ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এই হুঙ্কার দিয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স ও এবিসি নিউজ। অপরদিকে, দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি বলেন, ইরান এবার জবাব দেওয়ার জন্য আর ১২ দিন অপেক্ষা করবে না। ইসরাইল যদি পাল্টা হামলা চালায়, ইরান কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। বদলা হিসেবে ইরান গত শনিবার রাতভর ইসরাইলে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানের বেশির ভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয় বলে দাবি তেল আবিবের। এই হামলার একদিন পর ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেলআবিব। মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, আমরা স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিচ্ছি যে, ইরানি স্বার্থের বিরুদ্ধে যে কোনও অপরাধীর ন্যূনতম পদক্ষেপ অবশ্যই কঠোর, বিস্তৃত এবং বেদনাদায়ক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে মোকাবিলা করা হবে। অপরদিকে ইসরাইলের মিত্ররা ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে তারা এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৯

ইরানের জব্দ করা ইসরায়েলি জাহাজে ১৭ ভারতীয় নাগরিক
সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের হাতে আটক ইসরায়েলি কন্টেইনার জাহাজের ২৫ জনের মধ্যে ১৭ জনই ভারতীয় নাগরিক। শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি। ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বার্তা সংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, ‘হেলিবোর্ন অপারেশন’ চালিয়ে হরমুজ প্রণালীর কাছে এমএসসি অ্যারিজ নামের কন্টেইনারবাহী জাহাজটি আটক করা হয়েছে এবং এটি এখন ইরানের আঞ্চলিক জলসীমার দিকে যাচ্ছে।  একটি সূত্র জানিয়েছে, এমএসসি অ্যারিজ নামে একটি কার্গো জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইরান। এতে ১৭ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। আমরা তেহরান ও দিল্লিতে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইরানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, যাতে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা, কল্যাণ ও দ্রুত মুক্তি নিশ্চিত করা যায়।  জাহাজটির অপারেটর ইতালিয়ান-সুইস গ্রুপ এমএসসি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ইরানি কর্তৃপক্ষ জাহাজটিতে জব্দ করেছে। আমরা দুঃখের সাথে নিশ্চিত করছি যে, জোডিয়াক মেরিটাইমের সাথে যুক্ত এবং এমএসসির চার্টার্ড গোর্টাল শিপিং ইনকর্পোরেটেডের মালিকানাধীন এমএসসি মেরিজকে ইরানি কর্তৃপক্ষ হেলিকপ্টারে করে জব্দ করেছে।  মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যেই জাহাজটি আটকের ঘটনা ঘটল। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সিরিয়ার দামেস্কে তাদের দূতাবাসের কনস্যুলার সেকশনে বিমান হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান। বিমান হামলায় দুই জেনারেলসহ ইরানের ৭ জন নিহত হন। ইরান বলেছে, জাহাজটি উপসাগরীয় ইহুদিবাদী সরকারের (ইসরায়েল) সঙ্গে সম্পর্কিত। vesselfinder.com ও marinetraffic.com জাহাজ চলাচল ট্র্যাক করে এমন দুটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, এমএসসি অ্যারিজ একটি পর্তুগিজ পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ এবং এর সর্বশেষ রিপোর্ট করা অবস্থান উপসাগরীয় অঞ্চলে ছিল।   আইআরএনএ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, ‘এমসিএস অ্যারিজ’ নামের একটি কন্টেইনার জাহাজ হেলিকপ্টারে অভিযান চালিয়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস নেভির স্পেশাল ফোর্সেস জব্দ করেছে। পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরের মধ্যবর্তী হরমুজ প্রণালীর কাছে এই অভিযান চালানো হয়, যা বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং 'এই জাহাজটি এখন ইরানের আঞ্চলিক জলসীমার দিকে পরিচালিত হয়েছে'। জাহাজটি জব্দের পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে সংঘাত বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সতর্ক করে জানিয়েছে, ইরানকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।  
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৩৫

ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করল ইরান
ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নৌ কমান্ডোরা হরমুজ প্রণালীর কাছে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট এমএসসি এআরইএস কন্টেইনার জাহাজ জব্দ করেছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রথম প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কমান্ডোরা হেলিকপ্টারে করে গুরুত্বপূর্ণ জলপথের কাছে একটি জাহাজে অভিযান চালাচ্ছে। জাহাজটি ছিল পর্তুগিজ পতাকাবাহী এমএসসি মেষ, লন্ডন ভিত্তিক জোডিয়াক মেরিটাইমের সাথে যুক্ত একটি কন্টেইনার জাহাজ। জোডিয়াক মেরিটাইম ইসরায়েলি ধনকুবের আইয়াল ওফারের জোডিয়াক গ্রুপের অংশ। জোডিয়াক গ্রুপ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে এবং এমএসসিকে প্রশ্নগুলি উল্লেখ করেছে, যা তাত্ক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। এমএসসি মেষ সর্বশেষ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুবাই থেকে হরমুজ প্রণালীর দিকে যাচ্ছিল। জাহাজটি তার ট্র্যাকিং ডেটা বন্ধ করে দিয়েছিল, যা এই অঞ্চল দিয়ে চলাচলকারী ইসরায়েল-অনুমোদিত জাহাজগুলির জন্য স্বাভাবিক বিষয়।   Video purportedly from the IRGC boarding of the Israeli-linked MSC ARIES container ship in the Strait of Hormuz. pic.twitter.com/UXOS2EuxKU — Emanuel (Mannie) Fabian (@manniefabian) April 13, 2024 ভিডিওতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস এই হামলার কথা জানিয়েছিল। আমিরাতের বন্দর নগরী ফুজাইরাহের কাছে ওমান উপসাগরে জাহাজটি ‌‘আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে’ বলে জানিয়েছে তারা। ভিডিওতে দেখা যায়, কমান্ডোরা জাহাজের ডেকে বসে থাকা কন্টেইনারের স্তূপের ওপর নেমে পড়েন। জাহাজে থাকা এক ক্রু সদস্যকে বলতে শোনা যায়, 'বাইরে এসো না। ক্রু মেট তখন তার সহকর্মীদের জাহাজের সেতুতে যেতে বলে কারণ আরও কমান্ডো ডেকে নেমে আসে। একজন কমান্ডোকে সম্ভাব্য কভার ফায়ার সরবরাহের জন্য অন্যদের উপরে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখা যায়। ভিডিওটির সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে এপি যাচাই না করলেও বিস্তারিত তথ্য মিলেছে এবং এতে জড়িত হেলিকপ্টারটি ইরানের আধাসামরিক বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের ব্যবহৃত হেলিকপ্টারটি ব্যবহার করেছে বলে মনে হচ্ছে, যারা অতীতে অন্যান্য জাহাজে অভিযান চালিয়েছে। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাস কম্পাউন্ডের একটি ভবনে হামলা চালানোর পর ইসরায়েল তেহরান থেকে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে দুই জেনারেলসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড ফোর্সের বেশ কয়েকজন কমান্ডার নিহত হন। ইরান তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জাহাজ আটকের কথা স্বীকার করেনি এবং রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেও এ ঘটনা সম্পর্কে কোনো প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে, ২০১৯ সাল থেকে ইরান বেশ কয়েকটি জাহাজ আটকে রেখেছে এবং তার দ্রুত অগ্রসরমান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে জাহাজগুলিতে হামলা চালিয়েছে। ওমান উপসাগর হরমুজ প্রণালীর কাছে অবস্থিত, যা পারস্য উপসাগরের সংকীর্ণ মুখ, যার মধ্য দিয়ে সমস্ত তেলের এক পঞ্চমাংশ প্রবাহিত হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত ফুজাইরাহ এই অঞ্চলের একটি প্রধান বন্দর যেখানে জাহাজ নতুন তেলবাহী জাহাজ গ্রহণ করতে পারে, রসদ সংগ্রহ করতে পারে বা ক্রুদের বাণিজ্য করতে পারে। ২০১৯ সাল থেকে ফুজাইরাহ উপকূলের জলসীমায় একের পর এক বিস্ফোরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন নৌবাহিনী ট্যাংকারের ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজে লিমপেট মাইন হামলার জন্য ইরানকে দোষারোপ করেছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৪

ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২২ ফিলিস্তিনি।খবর কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। এদিকে ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়া বুধবার আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হামাস সংশ্লিষ্ট একটি বার্তা সংস্থা জানায়, গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থী শিবিরে ওই হামলা হয়। এতে হামাস নেতা হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ এবং তার অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় এর আগে হানিয়ের পরিবারের আরও কয়েক সদস্য নিহত হয়েছেন। তার এক ছেলে ফেব্রুয়ারিতে, ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া নভেম্বরে নিহত হন তার এক নাতি। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত মোট ৩৩ হাজার ৫৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৯৪ জন।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫২

গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৪
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার একটি শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এতে চার শিশুসহ অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার (১০ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।  এতে বলা হয়, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালালে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বর্বর এই হামলার শিকার বাড়িটি ছিল আবু ইউসুফ পরিবারের।  এর আগে, গত মাসেও গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে ১৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। নিহতদের সবাই ছিল নারী ও শিশু। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৫

ইসরায়েলি হামলায় ৫ ত্রাণকর্মী নিহত
ফিলিস্তিনের গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য খাবার সরবরাহকারী অন্তত ৫ ত্রাণকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  নিহতদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও ফিলিস্তিনি সহায়তা কর্মী রয়েছে। তারা সবাই অলাভজনক সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) হয়ে কাজ করতেন। সংস্থাটি জানায়, এটা একটা ট্র্যাজেডি। মানবিক সহায়তাকর্মী ও বেসামরিক নাগরিকরা কখনই লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা গেছে।  এর আগে, ফিলিস্তিনে ভূখণ্ডে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় শতশত চিকিৎসক ও ত্রাণকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের এমন আগ্রসন বন্ধে বিশ্ব নেতারা আহ্বান জানালেও সাড়া দিচ্ছে না দলখলদার ইসরায়েল। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামলায় অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েল নিহত ও প্রায় ২৫০ জনকে বন্দি করা হয়। এরপর থেকে ফিলিস্তিনে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৪

সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৮ 
সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটের এনেক্স ভবনে ভয়াবহ এক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের একজন কমান্ডারসহ অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (১ এপ্রিল) সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এ হামলা চালিয়েছে বলে প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।  দামেস্কের মাজেহতে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি এ গোলাবর্ষণের খবরটি নিশ্চিত করেছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানাও।  দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে ইসরায়েলের এ হামলায় ইরানি বিপ্লবী গার্ডের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহিদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে, হামলার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইসরায়েল। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের কনস্যুলেট ভবনটি পুরোপুরি ধসে গেছে এবং ভবনের ভেতর যারা ছিলেন তাদের সবাই আহত অথবা নিহত হয়েছেন। গত সপ্তাহে সিরিয়ার আরেকটি বড় হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ওই হামলায় ৫৩ জন নিহত হন। যার মধ্যে ৩৮ সিরীয় সেনা এবং হিজবুল্লাহর ৭ যোদ্ধা ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত বছর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরুর পর এটিই সিরিয়ায় ইসরায়েলের চালানো সবচেয়ে বড় হামলা।    
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১০

আল-শিফা হাসপাতাল ছেড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী
দুই সপ্তাহের অভিযানের পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ধ্বংসের দৃশ্য রেখে গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল থেকে সরে এসেছে। সোমবার (১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন ভোরে প্রত্যাহারের পর শত শত ফিলিস্তিনি আল-শিফা হাসপাতাল এবং আশেপাশের এলাকায় ফিরে আসে। তারা হাসপাতালের ভিতরে এবং বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহগুলি খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছে। ফিরে আসা মহম্মদ মাহদি নামের একজন বলেন, বেশ কয়েকটি ভবন পুড়ে গেছে এবং তিনি হাসপাতালের প্রাঙ্গণে দুটি সহ এলাকার ৬টি মৃতদেহ গণনা করেছেন। আরেক বাসিন্দা ইয়াহিয়া আবু আউফ বলেন, সেনাবাহিনীর বুলডোজাররা হাসপাতাল চত্বরের অভ্যন্তরে একটি অস্থায়ী কবরস্থানের ওপর দিয়ে চলে গেছে, যেখানে এখনও রোগী, চিকিৎসা কর্মী এবং বাস্তুচ্যুত লোকেরা আশ্রয় নিচ্ছেন। বেশ কয়েকজন রোগীকে নিকটবর্তী আহলি আরব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি অবর্ণনীয়। দখলদার ইসরায়েল এখানকার সমস্ত জীবনবোধকে ধ্বংস করে দিয়েছে। হাসপাতাল ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতাল থেকে তারা নিজেদের প্রত্যাহার করেছে। এ সময় হাসপাতালটিতে তাদের দুই সপ্তাহের অভিযানে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের হত্যাসহ অস্ত্র ও গোয়েন্দা নথি জব্দ করেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।     ইসরায়েল হামাসকে সামরিক উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ব্যবহার করার জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং বেশ কয়েকটি চিকিৎসা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়েছে। সমালোচকরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে বেপরোয়াভাবে বেসামরিক নাগরিকদের বিপন্ন করার এবং ইতিমধ্যে যুদ্ধে আহতদের দ্বারা অভিভূত একটি স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। এর আগে নভেম্বরে সেনাবাহিনী আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান চালায়।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৬

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ৭ জন নিহত হয়েছেন।  বুধবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিহে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে দুটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হেব্বারিয়েহ গ্রামে ইসলামিক গ্রুপের জরুরি ও ত্রাণ কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। এর আগে, ঙ্গলবার (২৬ মার্চ) উত্তর-পূর্ব লেবাননের দুটি শহরের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তারও আগে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে লেবাননে প্রাণঘাতী হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে একই পরিবারের ৪ জনসহ মোট ৫ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীও ছিলেন। উল্লেখ্য, গাজায় হামলার প্রতিশোধ নিতে গত অক্টোবর থেকেই ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তখন থেকেই ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে সীমান্ত যুদ্ধ ধীরে ধীরে বেড়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর দুই শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া লেবাননের প্রায় ৫০ জন বেসামরিক নাগরিকেরও প্রাণহানি ঘটেছে। অপরদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক ডজনেরও বেশি সদস্য এবং পাঁচ বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:১২

গাজায় দুর্ভিক্ষ, রমজানেও ইসরায়েলি তাণ্ডব
ইসরায়েলি চলমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। রমজানেও নজিরবিহীন খাদ্যসংকটে দিন পার করছে গাজাবাসী। ত্রাণের খাদ্য সংগ্রহের লাইনে খালি পাত্র নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে শিশুরা। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে নির্বিচার ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাড়িঘর। মুসলিমদের পবিত্র মাসেও থেমে নেই ইসরায়েলি নির্মমতা। দক্ষিণ গাজার রাফাহ, গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চল, নুসেইরাত শরণার্থীশিবির এবং উত্তর গাজার জাবালিয়া শহরে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। মঙ্গলবার পর্যন্ত দুই দিন ধরে চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছে শিশুসহ ৯৩ জন। এর মধ্যে জাবালিয়ার একটি স্কুলের সামনে ইসরায়েলি হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের উপপরিচালক ডা. আমজাদ এলিওয়া বলেছেন, এখানকার মানুষ এরই মধ্যে কয়েক মাস ধরে উপবাস করছে। গাজাবাসী পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি তাণ্ডব প্রত্যক্ষ করছে। ইসরায়েল ও মিসরের অবরোধের কারণে গাজার জনগোষ্ঠী যুদ্ধ শুরুর আগেও বিদেশি ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলি বাহিনী স্থলপথে ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্যসংকট। চলছে দুর্ভিক্ষ। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মন্তব্য করেছেন, গাজার প্রতিটি মানুষ তীব্র মাত্রায় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে মানবিক সহায়তা বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। খবর বিবিসি, এএফপি ও কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরার। মঙ্গলবার ফিলিপাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন আরও বলেন, গাজার ১০০ শতাংশ মানুষই তীব্র মাত্রায় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন। এই প্রথমবারের মতো সমগ্র জনগোষ্ঠী এভাবে এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। জাতিসংঘ সমর্থিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সেখানে জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ এরই মধ্যে বিপর্যয়কর ক্ষুধায় ভুগছে। উত্তর গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই অনাহার ও দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। চলতি মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ করাল থাবা বসাতে পারে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আইপিসির প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেছেন, এটি ‘এ পর্যন্ত নথিভুক্ত বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন মানুষের সর্বোচ্চ সংখ্যা। উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, এটি পুরোপুরি ‘মানবসৃষ্ট’ বিপর্যয়। গাজায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছতে কাতারে হামাসের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে বলে মার্কিন ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। অপরদিকে চলমান সংঘাতে গাজায় মৃত্যুর মিছিলও দীর্ঘ হচ্ছে। ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৮১৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৩ হাজার ৯৩৪ জন আহত হয়েছেন। সংঘাতে ১৭ হাজার শিশু এতিম অথবা মা-বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
২০ মার্চ ২০২৪, ০৫:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়