• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইসরায়েলের ড্রোনগুলো ‘বাচ্চাদের খেলনার মতো’: ইরান
ইসরায়েলের ড্রোনগুলো ‘বাচ্চাদের খেলনার মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট রোববার (২১ এপ্রিল) এই খবর প্রকাশ করেছে। এর আগে গত শুক্রবার ইরানের ইসফাহান প্রদেশে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সিরিয়ায় ইরানের কনসুলার ভবনে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে গত সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছিল ইরান৷ এর জবাবে ইরানে হামলা করার হুমকি দিয়ে আসছিল ইসরায়েল৷ তবে শুক্রবারের ইসফাহান প্রদেশের বিস্ফোরণ ঠিক ইসরায়েলের হামলার ফসল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে বলেছেন, ওই হামলা এবং ইসরায়েলের মধ্যে কোনও সংযোগ রয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রমাণিত হয়নি। ইসরায়েলের এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টিও স্বীকার করতে অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি দাবি করেছেন, এটি ‘কোনও হামলা ছিল না এগুলো ড্রোন নয়, এগুলো ছিল খেলনার মতো যা দিয়ে আমাদের বাচ্চারা খেলে।’ এদিকে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের কেবল ইরানকে বোঝানোর উদ্দেশ্য ছিল- ইরানের অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা রয়েছে ইসরায়েলের। মূলত গত শুক্রবার ইরানের অনেক ভেতরে একেবারে মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইসফাহান শহরের কাছে একটি ইরানি বিমান বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে এই হামলাটি চালাতে দেখা গেছে, কিন্তু ইসরায়েলের সেই ড্রোন কোনো কৌশলগত স্থানে আঘাত করেনি বা বড় ধরনের ক্ষতি কোনো ক্ষতিও করেনি। এদিকে ইরাকের ইরানপন্থি নিরাপত্তা বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের (পিএমএফ) সামরিক ঘাঁটির একটি কমান্ড পোস্টে বিমান হামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাজধানী বাগদাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের কালসো সামরিক ঘাঁটিতে ওই হামলা হয়। কালসো সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলায় পিএমএফের এক যোদ্ধা নিহত ও আরও ছয়জন আহত হয়েছেন বলে পার্শ্ববর্তী হিল্লা শহরের একটি হাসপাতালের দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪২

ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধের বিষয়ে যা জানাল ইরান
ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবিটি নাকচ করে দিয়েছে ইরান। তেহরানের জানিয়েছে, ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা হয়নি, তিনটি ড্রোন এসেছিল সেগুলো আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। হামলার প্রতিশোধের বিষয়ে ইরান জানিয়েছে, অবিলম্বে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা নেই তাদের। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইসরায়েলের হামলার খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ইরানি কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই ইরানের। এই ঘটনাটি বিদেশি কোনো উৎস থেকে হয়েছে কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বাইরে থেকে কোনো আক্রমণের সম্মুখীন হইনি এবং চলমান আলোচনা হামলার চেয়ে অনুপ্রবেশের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। তবে এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি  ইসরায়েল। এদিকে একজন ইরানি বিশ্লেষক দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেছেন, ইসফাহানে বিমান প্রতিরক্ষা দিয়ে যে মিনি ড্রোনগুলোকে গুলি করা হয়েছিল, সেগুলো ইরানের ভেতর থেকেই অনুপ্রবেশকারীরা উড়িয়েছিল। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসফাহান শহরের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইরান। একই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছিল। এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল। এর আগে, ইরান বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৬

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তথ্য নাকচ করলো ইরান
ইরানে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবিটি নাকচ করে দিয়েছে ইরান। তেহরানের দাবি, ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা হয়নি, তিনটি ড্রোন এসেছিল সেগুলো আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইরানি ওই কর্মকর্তা বলেন, ইসফাহানের বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের যে শব্দ পাওয়া গেছে তার কারণ ইরানের আকাশ সুরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠা। ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি। এদিকে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এয়ার ডিফেন্সের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে। আপাতত কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর নেই। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসফাহান শহরের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইরান। একই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছিল। এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল। এর আগে, ইরান বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮

আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান
ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে এ হামলা চালানো হয়। তবে ইরান জানিয়েছে, ইস্পাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করে ভূপাতিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ইস্পাহানের আশেপাশের পরিস্থিতি নিয়ে আরও বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ইস্পাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন দেখা যায়, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয় এবং তারা আকাশে এসব ড্রোন ধ্বংস করেছে। ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এয়ার ডিফেন্সের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে। আপাতত কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর নেই।  এদিকে, ইসফাহান শহরের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইরান। একই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, এক প্রতিবেদনে এপি জানিয়েছে, দেশটি আক্রমণের শিকার হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ইসরাইলে ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল। এর আগে, ইরান বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩০

ইরান এতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে কল্পনাও করেনি ইসরায়েল
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। তবে, প্রতিশোধ নিতে ইরানে যে এত শক্তি প্রয়োগ করবে তা কল্পনাও করেনি তেল আবিব। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাব ইরান এভাবে দেবে তা ভাবতেই পারেনি ইসরায়েল। তেল আবিব প্রথমে মনে করেছে, ইরান হয়তো প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১০টি সারফেস টু সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে। এরপর তারা ভেবেছিল ইরান থেকে সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে। কিন্তু তেহরান যে কয়েকশ ড্রোন এবং একশরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে এটি তারা কল্পনাও করেনি। এদিকে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে, হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলে ইরানের হামলার ইস্যু নিয়ে বিশ্ব রাজনীতি অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তেল আবিবকে পাল্টা হামলা না চালাতে জোর দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। যদিও প্রতিশোধ নিতে বায়না ধরে আছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হারজি হালেভি বলেন, ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে। তবে কিভাবে জবাব দেওয়া হয়ে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। অন্যদিকে, ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসাইন বাঘেরি বলেছেন, অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই। তবে, ইসরায়েল পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করলে বড় পরিসরে হামলা চালানো হবে ইরানের প্রতিক্রিয়া।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৬

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান একাই যথেষ্ট : চীন
ইসরায়েলে ইরানের হামলায় পক্ষ নিলো চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ইরান ‘পরিস্থিতি সামাল দিতে’ এবং মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা এড়াতে সক্ষম। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। চীন চায় সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলা এবং সপ্তাহান্তে তার প্রতিশোধমূলক হামলা ইরান তার সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা রক্ষায় করেছে। তারা পরিস্থিতি ভালভাবে মোকাবিলা করতে ও এই অঞ্চলের অশান্তি এড়াতে সক্ষম। এনিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সোমবার (১৫ এপ্রিল) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় চীন আঞ্চলিক এবং প্রতিবেশী দেশগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত না করায় ইরানের প্রশংসা করেন। সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামলার তীব্র নিন্দা ও দৃঢ় বিরোধিতা করে ঘটনাটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ ওয়াং উল্লেখ করেন ইরানের এই কর্মকাণ্ড (ইসরায়েলে হামলা) ছিলো সীমিত, যা দেশটি আত্মরক্ষার জন্য করেছে। ফোনে ইরানের অবস্থান সম্পর্কে ব্রিফ করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংকে জানান, ইরান আঞ্চলিক উত্তেজনা সম্পর্কে সচেতন এবং সংযম ব্যবহার করতে ইচ্ছুক। পাশাপাশি আরও উত্তেজনা বাড়াতে ইরানের কোনো ইচ্ছেই নেই বলে মন্তব্য করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪১

ইসরায়েলি হামলার সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দিতে প্রস্তুত ইরান
উত্তেজনা বেড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। বিশেষ করে ইসরায়েলে সরাসরি ইরানের হামলার পর এ উত্তেজনা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। হামলার জবাব হামলার মাধ্যমে দিতে না পরলেও মৌখিকভাবে তা দেওয়ার চেষ্টা করছে ইসরায়েল। তবে এই হুমকির পাল্টা হুমকি দিতে দেড়ি করছে না ইরান। তেহরান জানিয়েছে ইরানের স্বার্থের ওপর যেকোনও ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এই হুঙ্কার দিয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স ও এবিসি নিউজ। অপরদিকে, দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি বলেন, ইরান এবার জবাব দেওয়ার জন্য আর ১২ দিন অপেক্ষা করবে না। ইসরাইল যদি পাল্টা হামলা চালায়, ইরান কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। বদলা হিসেবে ইরান গত শনিবার রাতভর ইসরাইলে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানের বেশির ভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয় বলে দাবি তেল আবিবের। এই হামলার একদিন পর ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেলআবিব। মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, আমরা স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিচ্ছি যে, ইরানি স্বার্থের বিরুদ্ধে যে কোনও অপরাধীর ন্যূনতম পদক্ষেপ অবশ্যই কঠোর, বিস্তৃত এবং বেদনাদায়ক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে মোকাবিলা করা হবে। অপরদিকে ইসরাইলের মিত্ররা ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে তারা এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৯

ইরান নাকি ইসরায়েল, কে বেশি শক্তিশালী
দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সরাসরি নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে তেহরান। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখন ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালায় কি না, তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। যদিও ইরানে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পায়নি ইসরায়েল তারপরেও আশঙ্কা কাটছে না। এদিকে দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। তবে এরই মধ্যে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে যেকোনো সময় মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ  সামরিকভাবে দুটি দেশই শক্তিশালী। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইরান সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরায়েলের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে আছে। র‍্যাংকিংয়ে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম। নিয়মিত ও রিজার্ভ সৈন্য ইসরায়েলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সৈন্য রয়েছে ইরানের। ইরানের নিয়মিত সেনা রয়েছে ১১ লাখ ৮০ হাজার। আর ইসরায়েলের নিয়মিত সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরায়েলের রিজার্ভ সৈন্য ৪ লাখ ৬৫ হাজার। যুদ্ধ বিমান ইরানের মোট সামরিক বিমান ৫৫১টি। আর ইসরায়েলের মোট সামরিক বিমান ৬১২টি। এর মধ্যে ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। ইরানের অ্যাটাকিং বিমান ২৩টি, ইসরায়েলের ৩৯টি। ইরানের পরিবহন বিমান ৮৬টি, ইসরায়েলের ১২টি। ইরানের প্রশিক্ষণ বিমান ১০২টি আর ইসরায়েলের ১৫৫টি। হেলিকপ্টার ইরানের হেলিকপ্টার রয়েছে ১২৯টি। আর ইসরায়েলের হেলিকপ্টার ১৪৬টি। ইসরায়েলের অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৪৮টি। আর ইরানের অ্যাটক হেলিকপ্টারের ১৩টি। ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরায়েলের চাইতে এগিয়ে রয়েছে ইরান। ইসরায়েলের ট্যাংক আছে ১ হাজার ৩৭০টি আর ইরানের ১ হাজার ৯৯৬টি। ইরানের সাঁজোয়া যান আছে ৬৫ হাজার ৭৬৫টি। আর ইসরায়েলের সাঁজোয়া যান আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি। রকেট আর্টিলারি আর্টিলারি সক্ষমতায়ও এগিয়ে রয়েছে ইরান। তাদের রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি। অন্যদিকে ইসরায়েলের ১৫০টি রকেট আর্টিলারি এবং ৬৫০টি সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি রয়েছে। নৌ শক্তি নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে ইরান। ইরানের ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ। অন্যদিকে ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা ৬৭টি। পাশপাশি সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। ইরানের সাবমেরিন রয়েছে ১৯টি। আর ইসরায়েলের মাত্র ৫টি সাবমেরিন রয়েছে। পারমাণবিক শক্তি স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সবশেষ তথ্যানুযায়ী, গত বছরের শুরুতে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫১২টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল। এই তালিকায় ইরানের নাম নেই। কিন্তু গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৬

হামলার বিষয়ে তুরস্ককে আগেই জানিয়েছিল ইরান : রয়টার্স
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অভিযানের বিষয়ে ইরান তুরস্ককে আগেই জানিয়েছিল। আঙ্কারার মাধ্যমে ওয়াশিংটন তেহরানকে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল। দামেস্কের কনস্যুলেটের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের মাটিতে এ হামলা চালানো হয়। রোববার (১৪ এপ্রিল) তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। সূত্রটি জানায়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের পরিকল্পিত অভিযানের বিষয়ে ইরান এরই মধ্যে তুরস্ককে আগাম অবহিত করেছে। সূত্রটি আরও জানায়, আঙ্কারার মাধ্যমে ওয়াশিংটন তেহরানকে বার্তা দিয়েছে যে, যেকোনো পদক্ষেপ অবশ্যই নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকতে হবে। তুরস্ক গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের নিন্দা জানালেও ওই অঞ্চলে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুর্কি সূত্রটি জানিয়েছে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ইরানি অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সম্ভাব্য পরিস্থিতি সম্পর্কে আঙ্কারাকে অবহিত করা হয়েছে বলে রোববার জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ সপ্তাহের শুরুতে ফিদানকে জোর দিয়ে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি কোনো পক্ষের জন্যই লাভজনক নয়। কী ঘটতে যাচ্ছে তা ইরান আমাদের আগেই জানিয়ে দিয়েছে। ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠকের সময় সম্ভাব্য অগ্রগতির বিষয়টিও উঠে আসে এবং তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের মাধ্যমে ইরানকে জানিয়েছিল যে এই প্রতিক্রিয়া অবশ্যই নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে হতে হবে। এর জবাবে ইরান বলেছে, দামেস্কে তাদের দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলার জবাবে এই প্রতিক্রিয়া হবে এবং তারা এর বাইরে কিছু করতে যাবে না। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইরান বিস্ফোরক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা ইসরায়েলের মাটিতে প্রথম সরাসরি হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়। হামলার পর ইসরায়েলি সেনার মুখপাত্র বলেন, ইরান ৩০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলেও এর ৯৯ শতাংশই প্রতিহত করা হয়েছে। গত ১ এপ্রিল দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়। কনস্যুলে হামলায় ইরানের ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ড ফোর্সের ৭ অফিসার নিহত হন। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরে এসব যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং আঞ্চলিক সংঘাত বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। তুরস্কের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস ঈদুল ফিতরের ছুটিতে তুরস্কের এমআইটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ইব্রাহিম কালিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতা চেয়েছিলেন। তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে, যদিও সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫১

ইসরায়েলে হামলা নিয়ে যা বলল ইরান
ইসরায়েলে ইসলামিক রেভল্যুশনারী গার্ড কোর তথা আইআরজিসির প্রতিশোধমূলক হামলার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। আইআরজিসির সাহসী সন্তানেরা ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলকে চরম শিক্ষা দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর প্রেস টিভি ও টিআরটি ওয়ার্ল্ড। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর রোববার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিক্রিয়ায় ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। আগ্রাসী ইসরাইলকে শাস্তি দেয়ার জন্য ইসলামি বিপ্লবের নেতা (ইরানের সর্বোচ্চ নেতা) আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির আন্তরিক প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করেছে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট রাইসি বলেন, গত (শনিবার) রাতে ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ড কোর তথা আইআরজিসির উদ্যমী ও সাহসী সন্তানরা ইহুদিবাদী ইসরাইলকে একটি চরম শিক্ষা দিয়েছে। দেশের সব প্রতিরক্ষা এবং রাজনৈতিক অঙ্গনের সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে ইরানের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় যোগ করেছে তারা।  ইসরায়েলে ইরানের হামলাকে ‘বৈধ আত্মরক্ষার অধিকার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে, নিজেদের আত্মরক্ষার স্বাভাবিক অধিকার থেকেই আইরজিসি শনিবার ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর তথা আইআরজিসি। এছাড়া ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও রকেট হামলা চালানো হয়। ইসরায়েল বলছে, তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়