• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জার্মান সেনাবাহিনীতে মুসলিমদের জন্য ইমাম
জার্মান সেনাবাহিনীর মুসলিম সদস্যরা এতকাল খ্রিস্টান বা ইহুদিদের মতো ‘পাস্টোরাল কেয়ার’ বা প্রয়োজনে নিজ ধর্মের বিশ্বাসী ইমামদের সহায়তা নেয়ার সুযোগ পাননি৷ এক সময় অবিশ্বাস্য শোনালেও এখন সেই অবস্থায় পরিবর্তন আসছে৷ জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর সংসদীয় কমিশনার এফা হ্যোগল সেনাদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তার দিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন৷ মার্চের মাঝামাঝি সময়ে তিনি তার তৃতীয় বাৎসরিক প্রতিবেদনে মুসলমানদের জন্যও মিলিটারি চাপল্যান্সি বা ধর্মগুরুর সহায়তার দিকে গুরুত্ব দেন৷ অতীতে যে দলই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিল, তারাই এই বিষয়টিকে অসম্ভব মনে করেছিল৷ ফলে বছরের পর বছর জার্মান সামরিক বাহিনীতে মুসলিম ধর্মগুরুদের সেবা দিতে দেখা যায়নি৷ মধ্যবাম সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির হ্যোগল এই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনতে চান৷ তিনি মনে করেন যে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী সেনাদের জন্য এটা না থাকাটা খুবই অসন্তোষজনক ব্যাপার৷ তাই তিনি দ্রুত এক্ষেত্রে যোগ্যদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ হ্যোগল গতবছর দক্ষিণপূর্ব তুরস্কে ভূমিকম্পের পর জার্মান সেনাদের সেখানে উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হওয়ার কথা স্মরণ করেন৷ সেখানে মোতায়েন করা সেনাদের মধ্যে মুসলমান সেনারাও ছিলেন৷ তাসত্ত্বেও সেখানে দুই অমুসলিম সামরিক ধর্মগুরু পাস্টোরাল কেয়ার দিয়েছেন৷  এক প্রশ্নের জবাবে জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ২০২৩ সাল অবধি প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বেশ কয়েকবছর ধরেই মুসলিম সেনাদের জন্য আলাদা পাস্টোরাল কেয়ার চালুর বিষয়টি জার্মান সামরিক বাহিনীতে আলোচিত হয়েছে৷ ক্যাথলিক এবং ইহুদি সামরিক ধর্মগুরুরাও এই প্রয়োজনীয়তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং নরওয়ের সামরিক বাহিনীতে ইসলামী ধর্মগুরু রয়েছেন৷ তাদের অধিকাংশের সামরিক ইমামও রয়েছে৷ জার্মানিতে এক্ষেত্রে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় ঘাটতি আছে কারণ এদেশে এমন কোনো সংগঠন নেই যেটি সব ইসলামি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে৷ সেই তুলনায় ২০১৯ সালে জার্মানির সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব জিউস এর সহায়তায় জার্মান সামরিক বাহিনীতে ইহুদি সামরিক ধর্মীয় সেবা চালু করা হয়৷ কাউন্সিলটি সব ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে৷ আর জার্মান সামরিক বাহিনীতে ৫০০-র মতো ইহুদি সেনা রয়েছে বলে ধারনা করা হয়৷ জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেন যে মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে সামরিক বাহিনীতে মুসলমানদের জন্য পাস্টোরাল কেয়ার চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে৷
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৯

অষ্টগ্রামে ইমাম হাসান (রা.)-এর জন্মবার্ষিকী পালিত
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাবেলীতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হাসানের (রা.) ১৪৪২তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নে এ উপলক্ষে মিলাদ, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সূত্রে জানা গেছে, নবি তনয়া ফাতেমা (রা.) ও খলিফা হজরত আলীর (রা.) পুত্র হজরত ইমাম হাসান (রা.) ৩ হিজরিতে ১৫ রমজানে (৬২৪ খ্রিস্টাব্দ) মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। আনন্দময় এই দিনটি ১৬৬ বছর ধরে অষ্টগ্রাম হাবেলীতে পালিত হচ্ছে। হজরত শাহজালালের (রহ.) সফরসঙ্গী সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহ.) ১৩তম বংশধর ও ভাটির পীর খ্যাত অষ্টগ্রাম হাবেলীর প্রখ্যাত সুফিসাধক সৈয়দ আবদুল করিম (আলাই মিয়া) এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পালন শুরু করেন। বংশ পরম্পরায় সৈয়দ আব্দুল হেকীম আল-হোসাইনী চিশতী (রহ.), পরে সৈয়দ কুতুব উদ্দিন আহমদ আল-হুসাইন চিশতি (রহ.), বর্তমানে পীরজাদা সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান ভ্রাতৃদ্বয়রা পালন করছেন। মিলাদ দোয়া ও ইফতার মাহফিলে অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও পীরজাদা সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন,পীরজাদা সৈয়দ মেজবাহুল হুসাইন, আরবি প্রভাষক সৈয়দ আব্দুল গফুর, হাফেজ মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, আল হুসাইনী দরবার শরীফের ভক্তরা ও এলাকার অনেকে। সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, বংশ পরম্পরায় আমরা ১৬৬ বছর ধরে হযরত হাসান (রা.) জন্মদিন পালন করে আসছি। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৯

যে কারণে জুমার খুতবার মাঝে বসে যান ইমাম
খুতবা আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ বক্তৃতা, প্রস্তাবনা, ভাষণ, ঘোষণা, সম্বোধন ইত্যাদি। খুতবা জুমার নামাজের আগে দিতে হয়। জুমার নামাজের জন্য খুতবা দেওয়া ওয়াজিব। জাবের ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি খুতবা দিতেন, উভয় খুতবার মাঝখানে বসতেন। খুতবায় তিনি কোরআন পড়তেন এবং জনগণকে উপদেশ দিতেন। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৮০) ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) জুমার দিন দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন, অতঃপর বসতেন, পুনরায় দাঁড়াতেন। যেমন- আজকাল তোমরা করে থাকো। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৭৯) সুতরাং জুমার আগে দুই খুতবা দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। তাই এক খুতবা দিয়ে জুমার নামাজ পড়ালে জুমার নামাজ শুদ্ধ হয়ে গেলেও তা মাকরুহ হবে। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/১৪৮; হেদায়া : ১/১৪৮; ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া : ৩/৩৮৫) জুমার নামাজে দুই খুতবার মাঝে ইমাম বসে থাকেন। বসার কয়েকটি কারণ আছে বলে উল্লেখ করেছেন আলেমরা। তা হলো- মহানবি (সা.) জুমার নামাজের জন্য দুটি খুতবা দিতেন। তাই নবিজির সুন্নত আদায়ের জন্য দুটি খুতবা দিতে হয়। দুটি খুতবা দিলে নির্দিষ্ট বিষয়ের আলোচনা পরিপূর্ণ হয়। পাশাপাশি এতে খতিবের আরাম হয় এবং শ্রোতাদের স্বস্তি হয়। একদল আলেমের মতে, জুমার দুটি খুতবা দুই রাকাত নামাজের স্থলাভিষিক্ত। প্রতিদিন চার রাকাত জোহরের ফরজ নামাজ পড়তে হয়। এর বিপরীতে জুমার দিন দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়তে হয়। আর দুটি খুতবা বাকি দুই রাকাতের কিছুটা হলেও শূন্যতা পূরণ করে। তাই এই দুই খুতবাকে জুমার নামাজের অংশ বিবেচনা করা হয়। এবং কেউ বিশেষ কারণে জুমার জামাতে শরিক হতে না পারলে তাকে জোহরের চার রাকাত ফরজ পড়তে হয়। এই দিক থেকে জুমা ও জোহরের মধ্যে সাদৃশ্য আছে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৫২

কাবা শরীফের ইমাম হতে চান বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির
ইরানে কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৮০টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকার করা বাংলাদেশের হাফেজ বশির আহমেদকে সংবর্ধনা দিলো ছাত্রলীগ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন প্রাঙ্গণে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।  সংবর্ধনায় হাফেজ বশিকে একটি গিফট বক্স তুলে দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এমন সম্মাননা পেয়ে আনন্দিত বশির ও তার শিক্ষক মাওলানা হাফেজ নেছার আহমেদ নেছারী। হাফেজ বশির বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! দেশবাসীর দোয়ায় আমি ইরানে কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছি। হাফেজদেকে সম্মানিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানাই। বশিরের শিক্ষক মাওলানা হাফেজ নেছার আহমেদ নেছারী বলেন, বশির মাত্র পাঁচ মাসে হিফজ সম্পন্ন করেছে। সে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আগে খুব ভয় পাচ্ছিলো। আমি তাকে বলেছি তুমি ১৮ কোটি মানুষের ভার নিয়ে এসেছো। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের পতাকাকে সম্মানিত করতেই হবে। তার স্বপ্ন হচ্ছে ইসলামিক স্কলার হওয়া এবং পবিত্র কাবা শরীফের ইমাম হওয়া। তিনি আরও বলেন, বশির সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে সম্মানিত করায় তাকে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে সম্মানিত করা হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত রাখলে হাফেজরা আরও অনুপ্রাণিত হবে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত হবে, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সম্মান বাড়বে।  ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা চাই দেশে একটি ইনক্লুসিভ শিক্ষা ব্যবস্থা ও ছাত্ররাজনীতি গড়ে উঠুক। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্য আমরা মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম চালু করেছি। তারা যেন প্রযুক্তির সুযোগ সুবিধা, কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকার তাদের বিশ্বস্ত বন্ধু হয়ে কাজ করবে। 
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩১

যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদের সামনে গুলিতে ইমাম খুন 
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে হাসান শরিফ নামে এক ইমামকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বুধবার (৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৬টার দিকে প্রদেশের নেওয়ার্ক শহরে অবস্থিত মসজিদ মুহাম্মাদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান শরিফ ওই মসজিদেই ইমামতি করতেন। খবর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের।  নেওয়ার্কের জন নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ফ্রিটজ ফ্রেগ এক বিবৃতিতে বলেন, ইমাম শরিফকে নিকটস্থ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। এছাড়া কী কারণে ইমামকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে, তাও জানা যায়নি। ফ্রিটজ ফ্রেগ জানান, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে।’  শহরের মেয়র রাস যে বারাকা আশ্বাস দিয়েছেন, অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা হবে, যত সময়ই লাগুক না কেন। ইমাম হাসান শরিফ এই শহরেরই বাসিন্দা ছিলেন, আমরা তার পরিবারের পাশে দাঁড়াবো। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম মুসলিম নাগরিক অধিকার এবং অ্যাডভোকেসি সংস্থা দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস ইন নিউ জার্সি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এ ঘটনায়। তবে, এটিকে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়ার ফল বলতে নারাজ নিউ জার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিউ প্লাটকিন। ইমাম হাসান শরিফ ২০০৬ সাল থেকে নেওয়ার্ক লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অফিসার (টিএসও) হিসেবেও কাজ করছিলেন। উল্লেখ্য, গতবছর সাড়ে ৬শ’রও বেশি বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ হাজার মানুষ। গবেষণা বলছে, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন জোরদার করা হলেও দেশটির কিছু রাজ্যে বন্দুক বহনের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার কারণেই ঘন ঘন ঘটছে এমন সহিংসতা। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস অ্যালান ফক্সের গবেষণায় দেখা গেছে, সারা বিশ্বের তুলনায় চারগুণ বেশি বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে। এর সঙ্গে জড়িতরা বেশিরভাগই উগ্র স্বভাবের।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়