• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চেক প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ষষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবির এ আদেশ দেন। মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মিয়া হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিরা উপস্থিত না থাকায় আদালত অভিযোগ গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তী তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ হবে। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল কেনার অর্ডার করেন তোফাজ্জল হোসেন। তাকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তবে আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স এবং ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী বরাবর ইস্যু করেন। পরে ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। এরপর বাদী আসামিদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। এরপরও তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন বাদী।
১৭ ঘণ্টা আগে

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশের পর মামলার পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি ও সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত সে আবেদনও মঞ্জুর করেছেন। জানা যায়, রাজধানীর দারুস সালাম থানার বাসিন্দা মুজাহিদ হাসান ফাহিম ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকার একটি বাইক অর্ডার করে তার মূল্য পরিশোধ করেন। কিন্তু মোটরসাইকেল যথাসময়ে অর্থাৎ ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে না পেয়ে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করেন ফাহিম। তখন মোটর সাইকেলের ক্রয়বাবদ টাকা পরিশোধের জন্য চেক দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু ওই বছরের ২৩ আগস্ট ইভ্যালি প্রতিষ্ঠান থেকে ফোন দিয়ে ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করা হয়। চেকের অর্থ পরে পরিশোধ করা হবে বলে নিশ্চয়তা দেওয়া হয় ফাহিমকে। পরে ওই চেক নগদায়ন করার জন্য ফাহিম ইভ্যালি, রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে বারবার তাগাদা দেওয়া স্বত্বেও তারা তাকে টাকা প্রদান করতে অযথা কালক্ষেপণ করে চেকের মেয়াদ অতিক্রম করান। ফাহিমের অভিযোগ, রাসেল-শামীমা বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। প্রতারণামূলকভাবে তার কেনা মোটর সাইকেলের টাকা আত্মসাৎ করতে এমন কাজ করেছেন তারা। এ ঘটনায় ফাহিম এ বছরের ১৬ জানুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেন। এদিকে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) শেষবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামানের উপস্থিতে নিজেদের পাওনা বুঝে পান ইভ্যালির ১০০ জন গ্রাহক। ভোক্তা অধিকারের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে আয়োজিত পাওনা টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ওইদিন মহাপরিচালক জানিয়ে দেন, আজকেই হয়তো শেষবারের মতো ইভ্যালির অভিযোগ নিষ্পত্তি কিংবা টাকা ফেরত দেয়ার কার্যক্রম হচ্ছে। ইভ্যালির সব মামলা নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত হয়তো গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার এই কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রায় ৭ হাজার ৫০০টি অভিযোগ রয়েছে এখনও।  
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:২০

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চেক প্রতারণার পৃথক তিন মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাবিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এসব মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৯ ডিসেম্বর রাসেল জামিনে মুক্তি পান। পরে তার স্ত্রীও জামিনে মুক্তি পান।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫২

ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে সমন জারি
সিরাজগঞ্জের আদালতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে সমন জারি হয়েছে। প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এ সমন জারি করেছেন আদালত। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাদীপক্ষের আইনজীবী মঞ্জরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট জেলার কামারখন্দ উপজেলার রাজ নামের এক যুবক বাদি হয়ে প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ এনে রাসেল শামীমার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কামারখন্দ থানা আমলি আদালতের বিচারক আলমগীর হোসেন পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তাদের সশরীরে আদালতে হাজির হতে এ সমন জারি করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৪ মে রাজ ইভ্যালি থেকে কিছু ইলেকট্রিক পণ্যের ক্রয়াদেশ দেন। পরে ইভ্যালির নিয়ম অনুযায়ী ক্রয়াদেশের ৭ থেকে ৪৫ কর্ম দিবসের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা ডেলিভারি দেওয়া হয়নি। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জের ওপর দায়িত্ব দেন। আদালতের এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পিবিআই সিরাজগঞ্জ ইভ্যালি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৯

টাকার টেনশনে দুইবার স্ট্রোক করেন ইভ্যালির গ্রাহক
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাওয়া টাকা ফেরত পেয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ১৫০ জন গ্রাহক। এরমধ্যে একজন টাকার টেনশনে দুইবার স্ট্রোক করেছেন বলে জানিয়েছেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ জনের হাতে চেক তুলে দেন। বাকিরা বুথ থেকে চেক সংগ্রহ করেন। টাকা ফেরত পাওয়ার পর কুষ্টিয়া থেকে আসা সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, ইভ্যালিতে দুটি অর্ডার করেছিলাম। সেটির অর্ধেক টাকা আজ ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা সামনের কিস্তিতে পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছে। ভাবতেই পারিনি যে টাকাগুলো ফেরত পাব। এখন আমি অনেক খুশি। আমি মাঝখানে মালয়েশিয়া চলে গিয়েছিলাম। টাকার টেনশনে দুইবার স্ট্রোকও করেছি। কামরুল হাসান নামে আরেক গ্রাহক বলেন, আমি ২০২১ সালে অর্ডার করেছিলাম। কখনো ভাবিনি যে টাকা ফেরত পাব। ভেবেছিলাম এই টাকা জীবনেও তুলতে পারব না। তবে সবার প্রচেষ্টায় সেটি সম্ভব হয়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা চাচ্ছি ধারাবাহিকভাবে সব অভিযোগের নিষ্পত্তি করে গ্রাহকের টাকা যেন পরিশোধ করা সম্ভব হয়। ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের সহযোগিতা করে, তাহলে আমরা আশা করি সময়সাপেক্ষ হলেও পর্যায়ক্রমে সব গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করতে পারব। ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল বলেন, ইভ্যালির কাছে পাওনা রয়েছে এমন প্রতিটি গ্রাহকের দেনা পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে যারা অভিযোগ করেছেন, অথবা যারা অভিযোগ করেননি সবাইকেই তালিকা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হবে।  এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার বিভাগ) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন ও উপপরিচালক (অভিযোগ) মাসুম আরেফিনসহ ইভ্যালির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৪

বাদীর মামলা প্রত্যাহারের আবেদনে জামিন পেলেন ইভ্যালির রাসেল
চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে মামলার বাদী জামিনের বিরোধিতা না করে আপসের শর্তে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রাসেলের জামিন মঞ্জুর করেন। একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আদালতে হাজির হননি। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাদিকুর রহমান তমাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১৫ জানুয়ারি একই আদালত রাসেল-শামীমা দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে এ মামলায় তাদেরকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। ওইদিন আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ মার্চ মামলার বাদী তানভীর হোসেন বিজ্ঞাপন দেখে একটি মোটরসাইকেল কেনা বাবদ দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। নির্দিষ্ট ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ তাতে ব্যর্থ হয়। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক প্রদান করা হয় তানভীরকে। কিন্তু চেকটি নগদায়নের জন্য গেলে ব্যাংকে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে সবশেষ গত বছরের ২২ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। এরপরও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শামীমা নাসরিন ও মো. রাসেলের বিরুদ্ধে তানভীর মামলা করেন।  
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৯

দ্রুত দেনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেন ইভ্যালির রাসেল
দ্রুত গ্রাহকের সব পাওনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।  ইভ্যালির সিইও বলেন, বর্তমানে ইভ্যালিতে যে মুনাফা অর্জিত হচ্ছে গ্রাহকের অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে বেশি দিন লাগবে না। সবাই সহযোগিতা করলে যত গ্রাহক আমাদের কাছে টাকা পান তার মুনাফাও দিতে পারবো। তিনি বলেন, ইভ্যালিতে এখন ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতিতে গ্রাহক পণ্য পাওয়ার পর টাকা পরিশোধ করছেন। সরাসরি পণ্যের মূল্য গ্রাহকদের ব্যাংক হিসাব থেকে নেওয়া হচ্ছে। সেখানেই সরকারের কর পরিশোধ করা হচ্ছে। রাসেল বলেন, বর্তমানে আমাদের সব পণ্য মুনাফার সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে। ‘বেশি বিক্রি মুনফা কম’ এটি ই-কমার্স ব্যবসার নিয়ম। এতে স্টোরে মাল পড়ে থাকেনা বিনিয়োগ উঠে আসে। ফলে পণ্যের মালিক ৫ থেকে ৬ শতাংশ মুনাফায় তা আমাদের কাছে ছেড়ে দেয়। আমাদের বেশি পণ্য বিক্রি করার সুযোগ থাকায় আমরা তা ৮-৯ শতাংশ মুনাফায় বিক্রি করতে পারি। ফলে গ্রাহকরাও আমাদের কাছে তা সস্তায় কিনতে পারেন। 
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৬

ইভ্যালির রাসেল দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত এই আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাদিকুর রহমান তমাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। আরও পড়ুন : কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু   এর আগে, এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। এদিন আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ মার্চ মামলার বাদী তানভীর হোসেন বিজ্ঞাপন দেখে একটি মোটরসাইকেল কেনা বাবদ দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। তবে নির্দিষ্ট ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ কর‍তে ব্যর্থ হন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক প্রদান করেন। এরপর চেকটি নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে সবশেষ গত বছরের ২২ অক্টোবর তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শামীমা নাসরিন ও মো. রাসেলের বিরুদ্ধে বাদী মামলা করেন। আরও পড়ুন : ৬ মাসে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ, স্থগিত থাকবে রানার জামিন   ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরুর পরপরই কম দামে পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে সাড়া ফেলে অনলাইন মার্কেট প্লেস ইভ্যালি। তবে অর্থ দিয়েও পণ্য না পেয়ে গ্রাহকদের অসন্তোষ বাড়তে থাকে। অভিযোগ বাড়তে থাকার মধ্যে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রাহককে পণ্য বা অর্থ কোনটাই না দেওয়া এবং প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর শামীমা জামিনে মুক্তি পেলেও আটকে যায় রাসেলের মুক্তি। পরে রাসেলও কারামুক্ত হন।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৫

পাওনাদারদের সুখবর দিলেন ইভ্যালির রাসেল
সবার পাওনাই পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে পাওনাদারদের সুখবর দিলেন তিনি। রাসেল বলেন, পুরাতন গ্রাহক ও মার্চেন্টদের লেনদেন কিংবা অর্ডার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দু’মাসের মধ্যে ইভ্যালির নতুন অ্যাপের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, ইভ্যালির কাছে সাধারণ গ্রাহকরা সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা এবং আর মার্চেন্টরা পাবেন ১৫০ কোটি টাকা। তবে অডিট সম্পন্ন হলে প্রকৃত দেনার পরিমাণ বলা যাবে। সবার পাওনাই ধীরে ধীরে পরিশোধ করা হবে। ইভ্যালির প্রধান লক্ষ্য সব দেনা পরিশোধ করা। মুনাফা ছাড়া ইভ্যালি কোনো পণ্য বিক্রি করছে না জানিয়ে ইভ্যালির সিইও বলেন, এখন থেকে আর কোনো গ্রাহক পণ্য কিনে প্রতারিত হবেন না। গুণগত মানের কারণে গ্রাহকের কোনো পণ্য পছন্দ না হলে ফেরত দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে কুরিয়ার চার্জসহ সম্পূর্ণ অর্থ গ্রাহককে ফেরত দেওয়া হবে। এর আগে, ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর চেক জালিয়াতি, টাকা দিয়ে পণ্য না পাওয়াসহ নানা অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে সারা দেশে অনেক মামলা হয়। এরপর গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর কারাগার থেকে জামিনে বের হন রাসেল।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়