• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রমজানে রাসুল (সা.) যে চার আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন
ক্ষমার মহান বার্তা নিয়ে সমহিমায় হাজির হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়। এই মাস কল্যাণময় মাস। এ মাসে পবিত্র আল-কোরআন নাজিল হয়েছিল। এ মাস তাকওয়া ও সংযম প্রশিক্ষণের মাস। এ মাস সবরের মাস। এ মাস জীবনকে সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি দেয়। নাজাত বা মুক্তি পাওয়ার জন্য রাসুল (সা.) রমজানে যে ৪ আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন, সে বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো- রাসুল (সা.) বলেন, পবিত্র রমজান মাস হচ্ছে একজন মুমিনের জন্য আল্লাহ তাআলার অধিক থেকে অধিকতর নৈকট্য লাভের সেরা মাস। এই মাস কল্যাণময় মাস। এ মাসে পবিত্র আল-কোরআন নাজিল হয়েছিল। এ মাস তাকওয়া ও সংযম প্রশিক্ষণের মাস। এ মাস সবরের মাস। এ মাস জীবনকে সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি দেয়। আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩) পুরো রমজান তাসবিহ, ইসতেগফার ও দোয়ার মাধ্যমে অতিবাহিত করতে বিশেষ আদেশ দিয়েছেন প্রিয়নবী (সা.)। যাতে মানুষ এ বিশেষ আমল ও দোয়ার মাধ্যমে নিজেকে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি করতে পারেন। বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) রমজান মাসে বেশি বেশি করে চারটি আমল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মুমিন মুসলমান যদি রমজান মাস জুড়ে আল্লাহর কাছে এ ৪টি কাজ করেন, তবে দুনিয়া ও পরকাল সফলকাম হবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এই রোজার মাসে তোমরা ৪টি কাজ বেশি বেশি করো- ১. বেশি বেশি কালেমা শাহাদাত ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়া।  ২. আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইসতেগফার করা।  ৩. আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করা।  ৪. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি চাওয়া।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২২:২২

রমজানের আগমনে মুমিনের করণীয়
ক্ষমার মহান বারতা নিয়ে সমহিমায় হাজির হচ্ছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজান। মুমিনের হৃদয়মাত্রই প্রহর গুনছে রমজানের একফালি চাঁদের জন্য। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়, তেমনি সব পাপ ছেড়ে দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে নিজের জীবনকে নতুন করে সাজানোর সুযোগও এনে দেয় রমজান। আর মাত্র দুই থেকে তিন দিন পরেই শুরু হবে মর্যাদাপূর্ণ এই মাস। রমজানের আগমনের আগে মুমিনের বিশেষ কিছু করণীয় রয়েছে।  রমজানে মুমিন জীবনে যে পরিচ্ছন্নতা আসে, তা ধরে রাখতে মনীষীরা কিছু আমল করার পরামর্শ দেন। তা হলো— ১. রমজানের প্রস্তুতি কেন নেব: রমজান মাসকে অধিক ফলপ্রসূ করতে রমজানের আগে প্রস্তুতি নেওয়ার কারণ হলো—নিজেকে ইবাদত-বন্দেগি ও সাধনার জন্য প্রস্তুত করা। যেন রমজানের আগেই আলস্য দূর হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য আল্লাহর তাওফিক লাভ করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আমার উদ্দেশ্যে চেষ্টা-সংগ্রাম করে আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে থাকেন।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত : ৬৯) ২. আল্লাহভীতির জীবন যাপন করা: দীর্ঘ এক মাস রোজা আদায়ের প্রধান উদ্দেশ্য তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল পূর্ববর্তীদের ওপর; যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৩) সুতরাং রমজান-পরবর্তী জীবনে যদি আল্লাহর ভয় অন্তরে রেখে চলা যায়, তবে দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনা সার্থক বলে গণ্য হবে। আর আল্লাহভীতিই মুমিনজীবনে সাফল্যের মাপকাঠি। ৩. দোয়া করা: মুমিন রমজানের পরও একটি সুন্দর জীবনযাপনের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবে। আল্লাহর অনুগ্রহেই কেবল মুমিন বিভ্রান্তির হাত থেকে আত্মরক্ষা করতে পারে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ প্রদর্শনের পর আপনি আমাদের অন্তরকে সত্য লঙ্ঘনপ্রবণ করবেন না এবং আপনার কাছ থেকে আমাদের করুণা দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা। ’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৮) ৪. আমলের ধারাবাহিকতা রক্ষা: রমজান মাসে যেসব নেক আমল করা হতো, তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা মুমিনের দায়িত্ব। মহানবী (সা.) আমলের ধারাবাহিকতা রক্ষায় উৎসাহিত করেছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (সা.) বলেছেন, তোমরা সাধ্যানুযায়ী (নিয়মিত) আমল করবে। কেননা তোমরা বিরক্ত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ প্রতিদান দেওয়া বন্ধ করেন না। মহান আল্লাহ ওই আমলকে ভালোবাসেন, যা নিয়মিত করা হয়, যদিও তা পরিমাণে কম হয়। তিনি (সা.) কোনো আমল করলে তা নিয়মিতভাবে করতেন। ’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৩৬৮) ৫. জাকাত ও দানের প্রস্তুতি: মহানবী (সা.) রমজানে বেশি বেশি দান করতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল। রমজানে তিনি আরো অধিক দানশীল হতেন, যখন জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ০৬) তাই রমজানে দানের পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। যদিও জাকাত প্রদানের নির্ধারিত কোনো মাস নেই। তবু আলেমরা বলেন, রমজানে জাকাত আদায়ের মাধ্যমে ব্যক্তি অধিক সওয়াবের অধিকারী হতে পারেন। ৬. মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়: সমাজের অনেকে রমজান মাসে মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করে এবং রমজানের পর মসজিদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না—এটি নিন্দনীয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) সেসব মানুষের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, যারা মসজিদে উপস্থিত না হয়ে ঘরে নামাজ আদায় করে। তিনি বলেন, ‘যদি ঘরে নারী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা না থাকত, তবে আমি এশার নামাজে দাঁড়াতাম এবং দুই যুবককে নির্দেশ দিতাম, যারা (জামাতে অংশ না নিয়ে) ঘরে আছে তাদের পুড়িয়ে দিতে। ’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৮৭৯৬) ৭. কোরআনচর্চা অব্যাহত রাখা: রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে পরবর্তী যুগের সব মনীষী রমজান মাসে কোরআনচর্চা বাড়িয়ে দিলেও বছরের কোনো সময় তাঁরা কোরআনচর্চা থেকে একেবারেই বিরত থাকতেন না। ইসলামী আইনজ্ঞরা কোরআন থেকে বিমুখ হওয়াকে হারাম বলেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে কোরআন পরিত্যাগকারীদের বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘রাসুল বললেন, হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় এই কোরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করে। ’ (সুরা : ফোরকান, আয়াত : ৩০) ৮. কোরআন পাঠ ও তাহাজ্জুদ: রমজানে মহানবী (সা.)-এর দুটি প্রিয় আমল ছিল কোরআন তিলাওয়াত ও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা। রমজানে নবীজি (সা.) তার পরিবারকে তাহাজ্জুদের জন্য ঢেকে দিতেন। আর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রমজানের প্রতি রাতেই জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন এবং তাঁরা পরস্পরকে কোরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬) ৯. চাঁদের হিসাব রাখা: রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে শাবান মাসের চাঁদের হিসাব রাখতেন এবং অন্যদের উৎসাহিত করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের খুব হিসাব করতেন। এ ছাড়া অন্য কোনো মাসের এত হিসাব করতেন না। এরপর রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখতেন। আকাশ মেঘলা থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাস ৩০ দিনে গণনা করতেন, অতঃপর রোজা রাখতেন। ’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৩২৫) ১০. সুযোগ হলে নফল রোজা রাখা: রমজানের পর রাসুলুল্লাহ (সা.) শাওয়াল মাসে গুরুত্বের সঙ্গে ছয় রোজা পালন করতেন। একাধিক বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা শাওয়ালের ছয় রোজার মর্যাদা ও ফজিলত প্রমাণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, অতঃপর তার সঙ্গে সঙ্গে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন পূর্ণ বছরই রোজা রাখল। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬৪) এ ছাড়া মহানবী (সা.) আইয়ামে বিজ তথা চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখতেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমার বন্ধু (সা.) আমাকে তিনটি বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতি মাসে তিন দিন করে সওম পালন করা, দুই রাকাত সালাতুদ-দুহা আদায় এবং ঘুমানোর আগে বিতর নামাজ পড়া। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৮১)। ১১. আল্লাহওয়ালাদের সংস্রব: আল্লাহওয়ালা ও আল্লাহমুখী মানুষের সংস্রব মানুষকে সুপথে থাকতে সহায়তা করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো। ’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১১৯) কাব (রা.) বলতেন, যে ব্যক্তি রোজা রাখে এবং মনে মনে প্রত্যয় গ্রহণ করে রমজানের পর আল্লাহর অবাধ্য হবে না, সে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে রোজা রাখে এবং মনে মনে বলে ফিতরের পর আল্লাহর অবাধ্য হবে, তার রোজা প্রত্যাখ্যাত হবে। (লাতায়িফুল মাআরিফ)। আল্লাহ সবাইকে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের তাওফিক দিন। আমিন।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২১:২৩

যে ১২ আমলে রমজানের প্রস্তুতি নেবেন
রোজা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভ। রমজানের পূর্বাভাস নিয়ে হাজির হওয়া শাবান মাস ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে সমাপ্তির দিকে। ক্ষমার মহান বারতা নিয়ে সমহিমায় হাজির হচ্ছে পবিত্র রমজান। মুমিনের হৃদয়মাত্রই প্রহর গুনছে রমজানের একফালি চাঁদের জন্য। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়, তেমনি সব পাপ ছেড়ে দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে নিজের জীবনকে নতুন করে সাজানোর সুযোগও এনে দেয় রমজান। এ মাসে মুসলমানরা ফরজ ইবাদত রোজা পালন করেন। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকেদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) হতে পারো।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)। রমজানের প্রস্তুতি উপলক্ষে জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, মুক্তির বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হতে চলেছে মাহে রমজান। এ মাসের প্রস্তুতি হিসেবে আজই শুরু করে দিন ১২টি কাজ। কাজগুলো হলো— ১. বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফার করা। ২. রমজানের ফজিলত ও মাসায়েল জানা চেষ্টা করা। ৩. মাগফিরাত ও নাজাত লাভে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া। ৪. পূর্বের কাজা রোজা থাকলে সেগুলো আদায় করা। ৫. সোশ্যাল মিডিয়া ও মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করা। ৬. অন্তরকে হিংসা-বিদ্বেষ ও শিরক থেকে পরিচ্ছন্ন করুন। ৭. গত রমজানের ভুলগুলোকে চিহ্নিত করুন। ৮. রমজান মাসের আমলগুলো রিহার্সাল করুন। ৯. পুরো রমজান মাসের সময়সূচি নির্ধারণ করুন। ১০. শাবান মাসের শেষ দিনে রমজানের চাঁদ দেখার চেষ্টা করুন। ১১. আল্লাহ তায়ালার কাছে তৌফিক কামান করুন। ১২. বেশি বেশি নফল রোজা রাখুন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৪

নারীদের রমজান প্রস্তুতি
রোজা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভ। রমজানের পূর্বাভাস নিয়ে হাজির হওয়া শাবান মাস ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে সমাপ্তির দিকে। ক্ষমার মহান বারতা নিয়ে সমহিমায় হাজির হচ্ছে পবিত্র রমজান। মুমিনের হৃদয়মাত্রই প্রহর গুনছে রমজানের একফালি চাঁদের জন্য। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়, তেমনি সব পাপ ছেড়ে দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে নিজের জীবনকে নতুন করে সাজানোর সুযোগও এনে দেয় রমজান। হিজরি বছরের সবচেয়ে পবিত্রতম মাস রমজান। এ মাসে মুসলমানরা ফরজ ইবাদত রোজা পালন করেন। রোজা ফরজ হয় দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকেদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) হতে পারো।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)। প্রতিটি মুসলমানের উচিত নিজেদের আল্লাহর কাছে নিবেদন করতে রমজানের আগেই যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা। এখানে রমজান উপলক্ষে নারীদের বিশেষ কয়েকটি প্রস্তুতির কথা তুলে ধরা হলো.... প্রতিবছরই প্রাকৃতিক কারণে প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের কিছু রোজা কাজা করতে হয়। সেগুলো আদায় না করে থাকলে শাবান মাসে দ্রুত আদায় করে নেওয়া উচিত। রমজানের দিনগুলোর জন্য আগে থেকেই কাজের তালিকা তৈরি করে নেওয়া উচিত। রমজানে নারীদের সাধারণত বাসায় সাহ্‌রি-ইফতার তৈরি করতে হয়, পাশাপাশি ঘরের অন্যান্য কাজও সম্পাদন করতে হয়, তাই আগে থেকে পরিকল্পনা না করলে ইবাদতের সময় বের করা কঠিন হয়ে যাবে। বিশেষ করে নামাজ আদায় কোরআন তিলাওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন, ইসলামি জ্ঞানার্জনের জন্য বিশেষ রুটিন রাখা উচিত। রমজানে দানের অনেক ফজিলত রয়েছে। বাড়ির পুরুষ কর্তার ওপর নির্ভর না করে সামর্থ্য থাকলে নারীরাও দান-সদকা করতে পারেন। এর জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি থাকা চাই। নারীরা স্বভাবগতভাবে একটু বেশি কথা বলেন এবং পরনিন্দাও বেশি করেন। রমজানে এসব পরিহার করা উচিত। রোজার পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। রমজান ও রোজা বিষয়ে নারীদের অনেক জরুরি মাসায়েল রয়েছে, সেগুলো এখন থেকে জানা এবং রমজানে যথাযথভাবে মানার সংকল্প করতে হবে। বিশেষ করে ঋতুমতী, গর্ভবতী ও স্তন্যদায়িনীদের সম্পর্কিত মাসায়েলগুলো জানতে হবে। 
০২ মার্চ ২০২৪, ০২:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়