• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
পাঁচ বছরে ব্যাকস্পেস  / দেশে থেকে বিশ্বব্যাপী সেবার প্রত্যয়
পঞ্চম বছরে পদার্পণ করল বাংলাদেশি মিডিয়াটেক প্রতিষ্ঠান ব্যাকস্পেস। প্রতিষ্ঠানটির সিইও সাইফুল রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি ছোট টেক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরুর পর প্রতিষ্ঠানটি এই পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় টেক ইন্ডাস্ট্রিতে একটি অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। শুরুর গল্প সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল রহমান বলেন, ব্যাকস্পেসের শুরু হয় প্রথম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিভিউ জোন’র মাধ্যমে। এটি একটি প্রোডাক্ট রিভিউ প্ল্যাটফর্ম, যারা বিভিন্ন বৈশ্বিক ব্রান্ড’র পণ্য সম্পর্কে তথ্যবহুল ভিডিও উত্তর আমেরিকান (কানাডা, ইউএসএ) দর্শকের উদ্দেশে প্রচার করে। বর্তমানে রিভিউ জোন নিজস্ব ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে তথ্যবহুল ভিডিও দিয়ে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোকে ২ কোটিরও বেশি দর্শকের কাছে উপস্থাপন করছে। ব্যাকস্পেস শুরু থেকেই নির্ভরযোগ্য তথ্যবহুল ভিডিও এবং দর্শকের পছন্দ-অপছন্দ এই দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দর্শকদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে দেওয়ার চেষ্টা করে এসেছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানটি খুব দ্রুতই উত্তর অ্যামেরিকার দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে, যেখান থেকে বৈশ্বিক পরিচিতিও বাড়ে। এর ফলে বিভিন্ন বৈশ্বিক বড় বড় টেক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজের সুযোগও তৈরি হয় কোম্পানিটির জন্য। ব্যাকস্পেস’র সবচেয়ে বড় মাইলফলক তৈরি হয় যখন অ্যামাজনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পায়।  ২০২০ সালে ব্যাকস্পেস বাংলাদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সেবা দেওয়ার দিকেও মনোনিবেশ করে। অ্যানিমেটেড কনটেন্ট তৈরিতে ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির দক্ষতা থাকায়, তারা ‘টেন স্টুডিও’ নামের একটি অ্যানিমেশন স্টুডিও শুরু করে, যারা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এনিমেটেড কন্টেন্ট এবং বিভিন্ন প্রমোশোনাল ম্যাটেরিয়াল তৈরি করে থাকে। ২০২৩ সালে ব্যাকস্পেস তাদের নতুন ভেঞ্চার ‘প্রোডাক্ট ভিডিও স্টুডিও’র কার্যক্রম শুরু করে। রিভিউ জোন পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং ক্লায়েন্টদের মতামতের উপর ভিত্তি করে প্রোডাক্ট ভিডিও স্টুডিওর যাত্রা শুরু হয়। পণ্য প্রস্ততকারকদের বিশ্বব্যাপী পণ্য প্রসারে ভিডিও তৈরি করে দেওয়ার সেবা প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাকস্পেসের এই সফলতার গল্প বাংলাদেশের টেক ও আইটি সেক্টরের জন্য অনুপ্রেরণার। পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি তাদের টিমকে নিয়ে কক্সবাজারে দিনটি উদযাপন করে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৯

আজ মান্না নেই বলে ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেছে : মিশা সওদাগর
জগতে কিছু মানুষ থাকেন যাদের কোনো মৃত্যু হয় না। বেঁচে থাকেন তাদের কর্ম দিয়ে। চিরকাল অমর হয়েই থাকেন মানুষের মনের মণিকোঠায়। তেমনই একজন অভিনেতা ছিলেন নায়ক মান্না। তিনি ছিলেন খেটেখাওয়া মানুষের নায়ক। অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কথা বলতেন সাধারণ জনগণের। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। আরটিভির পক্ষ থেকে এই নায়কের প্রতি শ্রদ্ধা। নতুন মুখের সন্ধানে প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে সিনেমার জগতে যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নার। ক্যারিয়ারের শুরুতে একক নায়ক হওয়ার সৌভাগ্য তার হয়নি। এ জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। কাশেমমালার প্রেম সিনেমাটি হিট হওয়ার পর মান্নার জীবনের গল্প বদলে যায়। তারপর মান্না হয়ে উঠেছিলেন ঢাকাই সিনেমার যুবরাজ।  এদিকে নতুন মুখের সন্ধানে প্রতিযোগিতার দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। নায়ক মান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন অনেক ছবিতে। এই নায়কের প্রয়াণ দিবসে আরটিভির সঙ্গে কথা হয় মিশা সওদাগরের।  মিশা বলেন, আমার দৃষ্টিতে মান্না মহানায়ক। আর মহানায়ক বলার কারণ এই যে আমাদের চলচ্চিত্রের অনেকের পক্ষে অনেক কিছু করাই সম্ভব হয়নি, যা মান্নার পক্ষে করা সম্ভব হয়েছে। মুখের সন্ধান থেকে মানা আসার পর তিন দুই নাম্বার হিরো, দুই নাম্বার হিরো থেকে নিজেকে চলচ্চিত্রের অপরিহার্য নায়কে পরিণত করেছিল। ও যখন প্রথম প্রযোজনা সংস্থা থেকে ছবি নির্মাণ শুরু করেন প্রথম সিনেমাতেই পরিচালক কাজী হায়াতকে নেন। তাছাড়া একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিল সেটি হলো মৌসুমী আর শাবনূরকে কেউ এক সিনেমায় নিতে পারেনি কখনো। কিন্তু সেটিই করে দেখিয়ে ছিলো নায়ক মান্না। ‘দুই বধূ এক স্বামী’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন মৌসুমী-শাবনূর।  নায়ক মান্নাকে বাংলা চলচ্চিত্রের গবেষক উল্লেখ করে এই খল অভিনেতা বলেন, মৌসুমী-শাবনূরকে এক করার ফলে দুই নায়কার দর্শকই সিনেমাটি দেখেছে। যার ফলে ছবিটি সুপার হিট হয়েছে। তাছাড়া বড় বড় নির্মাতা নিয়ে মান্না সব সময় কাজ করতেন। চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক বেশি চর্চা করতেন তিনি। চলচ্চিত্র নিয়ে মান্না যেই কথাগুলো বলতো অনেক চিন্তাভাবনা করে বলত।  একটা সময় চলচ্চিত্রে পাইরেসি ও অশ্লীলতা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। আর সেই সময় মান্না এককভাবে জীবন দিয়ে লড়ে গেছেন উল্লেখ করে মিশা বলেন, ছবি পাইরেসি বন্ধে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করেছে। কোথাও পাইরেসি হচ্ছে এমন খবর শুনে দেয়াল টপকিয়ে জীবন বাজি রেখে সেখানে গিয়ে তা প্রতিহত করেছে। পরে পাইরেসির সঙ্গে জড়িতদের ধরে এনেছে, পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছে। এ ছাড়া তিনি অশ্লীল ছবি বন্ধে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করে গেছেন। বলতে গেলে এখন তার সেই যুদ্ধের ফল ভোগ করছে। এটা শতভাগ সত্য যে তিনি পাইরেসি ও অশ্লীলতা বন্ধে একেবারে শীর্ষে থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। চলচ্চিত্রের যেকোন ক্রান্তিলগ্নে মান্না একা দাড়িয়ে গেছে।  আক্ষেপ নিয়েই এই দর্শকপ্রিয় অভিনেতা বলেন, আজ মান্না নেই তাই ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকেই বলে ইন্ডাস্ট্রি কোমায় আছে কিন্তু আমি বলবো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি একদম শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ মান্না থাকলে বাংলা চলচ্চিত্রের এমন হাল হতো না।  প্রসঙ্গত, জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ঢালিউডের এই মহাতারকা। মান্নার পরিবারের দাবি, ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মামলা এখনো চলমান। মান্না অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে দাঙ্গা, লুটতরাজ, তেজি, আম্মাজান, আব্বাজান, বীর সৈনিক, শান্ত কেনো মাস্তান, বসিরা, খল নায়ক, রংবাজ বাদশা, সুলতান, ভাইয়া, টপ সম্রাট, চাঁদাবাজ, ঢাকাইয়া মাস্তান, মাস্তানের ওপর মাস্তান, বিগবস, মান্না ভাই, টপ টেরর, জনতার বাদশা, রাজপথের রাজা, এতিম রাজা, টোকাই রংবাজ, ভিলেন, নায়ক, সন্ত্রাসী মুন্না, জুম্মান কসাই, আমি জেল থেকে বলছি, কাবুলিওয়ালা ইত্যাদি। মান্না তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পাশাপাশি আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৪

ভালো নির্মাণ দিয়ে যেন ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকের চাহিদা মেটাতে পারি : সাজু মুনতাসির
পুরো নাম মুনতাসির মামুন হলেও শোবিজের সকলে তাকে সাজু মুনতাসির নামেই চেনেন। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অভিনেতা হিসেবে। বর্তমানে একজন সফল প্রযোজক হিসেবে দেশে ও বিদেশে সুপরিচিত তিনি। সাজু মুনতাসির বর্তমানে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ১৯৫২ ইন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের সিইও। এ ছাড়াও তার মালিকাধীন আরেকটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ডিজিটালিয়া। সোমবার (৮ জানুয়ারি) তার জন্মদিন।  সাজু মুনতাসির ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ওবায়দুল কবির এবং মা কানিজ নাজনীন আক্তার।টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির জীবনের বিশেষ দিনটিতে ভাসছেন শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায়। সাজু মুনতাসির বলেন, এটা সত্যি দারুণ একটি বিষয় যে প্রতিবছর জন্মদিন এলে কাছের মানুষেরা, সহকর্মীরা শুভেচ্ছা দিয়ে সেটি রঙিন করে রাখেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সবার কাছে আমি দোয়া চাই যেন সততা নিয়ে একজন প্রযোজক নেতা হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারি। ভালো ভালো নির্মাণ দিয়ে যেন ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকের চাহিদা মেটাতে পারি। তিনি ১৯৯৭ সালে র‌্যাম্প মডেল হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন টিভিসিতে মডেল হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি ২০০২ সালে জনপ্রিয় পরিচালক আহমেদ ইউসুফ সাবের পরিচালিত বাংলা নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় একশ পঞ্চাশটিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন। 
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়