• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বরই দিয়ে ইফতারের পরামর্শ / শিল্পমন্ত্রীকে বিদায় করার আহ্বান ইনুর
আঙুর, খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দেওয়ায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে এখনই মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। সোমবার (৪ মার্চ) রাজশাহীর গণকপাড়ায় জয় বাংলা চত্বরে জাতীয় যুবজোটের রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।  হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমি একটু আগে মোবাইলে দেখলাম, এক মন্ত্রী বলেছেন, রোজার সময় খেজুর আর আঙুর দিয়ে ইফতার কইরেন না, বরই দিয়ে করেন। আল্লাহ, কী বলব বলেন! নিত্যপণ্যের মূল্যে মানুষ জর্জরিত। আর আপনি (মন্ত্রী) মানুষের সঙ্গে ঠাট্টা-মশকরা করেন। প্রধানমন্ত্রী, এই ধরনের মন্ত্রীকে এখনই বের করে দেন।’ এরপর দেশের যুব সমাজকে দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের যুব সমাজকে দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের চিরশত্রু মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী-তালেবানি শক্তি এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতা দখলের রাজনীতিও মোকাবিলা করতে হবে। জাসদ সভাপতি বলেন, ‘মাত্র দুমাস হলো নির্বাচন শেষ হয়েছে। কিন্তু একটা গুমোট ভাব, কোনো উত্তেজনা নেই। বিরোধিতার মতো রাজনৈতিক যুদ্ধের ভেতরে নির্বাচন কখনো ভালো হয় না, তাই হয়েছে। কমতি আছে, ঘাটতি আছে। কিন্তু দিনের শেষে বাংলাদেশের এত বিরোধিতার মুখেও নির্বাচনের রাজনীতির অনিশ্চয়তা দূর করে নির্বাচনটা হয়েছে। একটা স্বস্তি এসেছে। কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষ, দিন আনে দিন খায়, নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনে কোনও স্বস্তি আসেনি। তারা পেটের জ্বালায় জর্জরিত। তেল, নুন, পেঁয়াজ, চিনি, আদা, রসুন, মরিচ, যেটাতেই হাত দেয়, হাতে পুড়ে যাচ্ছে। সকালে একদাম, বিকেলে ডাবল দাম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হুঙ্কার ছাড়ছেন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। মন্ত্রীরা চিৎকার করছেন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে, কিন্তু দাম কমছে না। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। তাহলে ব্যর্থ কে? শাসন ব্যর্থ! কেন তারা কথা শুনছে না? এটা কি সিস্টেমের দোষ, মুক্তবাজার অর্থনীতির দোষ, নাকি যারা দাম বাড়াচ্ছেন তারা সরকারের ছত্রছায়ায় বসবাস করেন? প্রধানমন্ত্রী বলার পরেও দাম কমে না, অস্বাভাবিক ব্যাপার! এত শক্তি, এত সাহস, এটা কীভাবে সম্ভব!’ জাতীয় যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর সভাপতি শরিফুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাসদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুল হক বকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, ও জাসদ রাজশাহী মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সিদ্দিকী শিবলী। এ সময় প্রধান বক্তা ছিলেন, জাতীয় যুবজোট এর সভাপতি মো. শরিফুল কবির স্বপন।   
০৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৫

নিত্যপণ্যের বাজার লুটেরা মাফিয়া-সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে : ইনু
নিত্যপণ্যের বাজার লুটেরা মাফিয়া-সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জাসদের জাতীয় কমিটির দুই দিনব্যাপী সভার তিনি এ কথা বলেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, রাজনীতি ও সমাজে কালো টাকা ও পেশিশক্তির দাপট বেড়েই চলেছে। রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র ও জ্ঞাতি সম্পর্কেও প্রভাব বেড়েছে।  তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক ক্ষমতার ছাতার নিচ থেকে লুটেরা-দুর্নীতিবাজদের বের করে দেওয়া, নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব ধ্বংস করা, আইনের শাসন ও সুশাসন নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য টেনে ধরা এখন জাতীয় প্রধান কর্তব্য। তিনি আরও বলেন, দেশ পরিচালনা, শাসন-প্রশাসনে জনগণের অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নতুন জাতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি ও কর্মকৌশল প্রণয়ন করাই গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তির কর্তব্য। জাসদ সভাপতি বলেন, সব বাধার মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান ছিল একটি বিরাট রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে কিছু আসনে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিকে জিতিয়ে আনা হয়েছে। তবুও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের সংবিধান সমুন্নত থেকেছে এবং সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত পরাজিত হয়েছে। সভায় জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলমসহ বিভিন্ন কমিটির সদস্য এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলীয় প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৬

জনগণের ভোটে নয়, কারচুপির ভোটে হেরেছি : ইনু
জনগণের ভোটে নয়, কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছেন বলে দাবি করলেন কুষ্টিয়া-২ আসনে পরাজিত নৌকা প্রতীকের হেভিওয়েট প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুরে উপজেলা জাসদের কার্যালয়ে ভোট পরবর্তী দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবারে ইনু এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ইনু বলেছেন, ‘সারাদেশে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো কুষ্টিয়া ২ মিরপুর-ভেড়ামারা আসনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মস্তান বাহিনি ভোটের সাত দিন আগে থেকে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সেটা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি এবং ভোটের দিন ১৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট প্রদান লক্ষ্য করা গেছে, যা কারচুপির মাধ্যমে করা হয়েছে। প্রতিবাদ করার পরেও এবং এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজরে আনার পরেও কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, কুষ্টিয়া ২ আসনে ভোটে কারচুপি হয়েছে। যে কারণে ভোটে পরাজিত হয়েছি। আশা করি এটা সবাই তদন্ত করে দেখবেন এবং এর প্রতিকার ও বিহীত করবেন।  এ সময় জোট প্রসঙ্গে ইনু বলেন, নির্বাচনী ঘটনা নিয়ে জোটে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে না। তবে নির্বাচন নিয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে যে বিভ্রান্তি ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে সেটা অবশ্যই নিস্পত্তি করতে হবে। একই সঙ্গে জোটের প্রার্থীর এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থীর গুন্ডাবাহিনীর যে আক্রমণ, হুমকি-ধমকি অত্যাচার শুরু হয়েছে এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তা না হলে জোটের অভ্যন্তরে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে না।   এ সময় কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৮

হার নিয়ে মুখ খুললেন ইনু
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে পরাজিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। হারের জন্য প্রশাসনকে দায়ী করেছেন তিনি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) ক্ষোভ প্রকাশ করে গণমাধ্যমকে ইনু বলেন, কিছু জায়গায় ভোট কারচুপি হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার এলাকাও এরমধ্যে পড়েছে। আরও পড়ুন : যেভাবে গঠন হবে আওয়ামী লীগের নতুন মন্ত্রিসভা   ভোট কারচুপির বিষয়ে প্রশাসনকে দায়ী করে তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের সরাসরি সহায়তায় ভোট কারচুপি হয়েছে। হারের জন্য আমি প্রশাসনকেই দায়ী করছি। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার এলাকার ১৮টি কেন্দ্রে ভোট কারচুপি করেছে। এদিকে ভোটের ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিনের কাছে ২৩ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন হাসানুল হক ইনু। ট্রাক প্রতীক নিয়ে কামারুল আরেফিন পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট এবং তার নিকটতম হাসানুল হক ইনু পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট।  আরও পড়ুন : বিদেশি পর্যবেক্ষকদের চোখে ছানি পড়েছে : হিরো আলম   উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৫টি আসনে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ৬১টি এবং জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৪

নৌকা নিয়েও হেরে গেলেন ইনু
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়েও হেরে গেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। অধিকাংশ কেন্দ্রেই ফল বিপর্যয় হয়েছে তার। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কামারুল আরেফিন ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৪ দলীয় জোটের হেভিওয়েট প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালটে ভোটগ্রহণ হয়। এরপর মোট ৫০ কেন্দ্রের সবগুলোর ভোট গণনা শেষে রাত পৌনে ৮টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়