• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ট্রেনের ধাক্কা, ইঞ্জিনের হুকে লাশ আটকে ছুটল ২৫ কিমি
নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকে আটকে আবদুল বারিক (৭২) নামে এক ব্যক্তির লাশ প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরের ভৈরব রেলস্টেশন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন। পরে ট্রেন থামিয়ে লাশ সরিয়ে রাখার পর তা উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রায়পুরার আমিরগঞ্জ রেলস্টেশন-সংলগ্ন রেললাইন পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  আবদুল বারিক নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা। হাসনাবাদ বাজারে পানের দোকানদার ছিলেন তিনি। রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি রায়পুরার আমিরগঞ্জ রেলস্টেশন দ্রুতগতিতে অতিক্রম করছিল। এ সময় আবদুল বারিকও রেললাইন পার হয়ে দোকানে যাচ্ছিলেন। ট্রেনটির ধাক্কায় তার দেহ রেললাইনের ওপর না পড়ে শূন্যে উঠে যায়। এরপর লাশটি ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকের সঙ্গে আটকে যায়। বিষয়টি ট্রেনের কর্মীরা তখন বুঝতে পারেননি। বিরতিহীন হওয়ায় ট্রেনটিও কোথাও না থেমে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি চলে যায়। তখন ইঞ্জিনের হুকে লাশ আটকে থাকার বিষয়টি টের পেয়ে ট্রেন থামান লোকোমাস্টার। ট্রেনটির কর্মীরা দ্রুত লাশটি সরিয়ে রেখে রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এস আই) কার্তিক চন্দ্র রায় সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশ রেলওয়ে থানায় এনে রাখা হয়। খবর পেয়ে নিহতের ছেলে ইমরান মিয়া থানায় গিয়ে পরিচয় শনাক্ত করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব রেলওয়ে থানার এস আই কার্তিক চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে বলেন, রায়পুরার আমিরগঞ্জ রেলস্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় অসতর্কভাবে রেললাইন পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়