• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জাবির ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে যা জানাল ইউজিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতায় সেখানে যৌন নিপীড়নসহ অন্যান্য অনিয়ম বন্ধ হয়নি। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসির এক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন, পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অধ্যাপক আলমগীর বলেন, যৌন হয়রানিসহ নানান অপকর্মে দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব অপরাধের বিচারের দীর্ঘসূত্রতা ও অপরাধীদের প্রশ্রয়ের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যৌন হয়রানির ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, যখন ক্যাম্পাসে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনায় আন্দোলন হয় তখনই কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়; যা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি, শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। ইউজিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির ধর্ষণের ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত না করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে এবং অছাত্ররা দিনের পর দিন কীভাবে হলে থাকছেন সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার। অধ্যাপক আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানিসহ অনিয়মের অভিযোগ পর্যালোচনা ও প্রতিকারে পদক্ষেপ গ্রহণে ইউজিসি শিগগিরই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সেল গঠন করবে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে এই সেল তদারকি করবে এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করবে। এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি। কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন।  সংস্থাটি জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর কী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কেন এমন ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। উল্লেখ্য, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে জবির হলে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর আগে ১৯৯৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন মানিকের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণের সেঞ্চুরির’ অভিযোগ উঠেছিল। পরে ছাত্র-শিক্ষকদের সম্মিলিত আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয় মানিক। সেই একই রকম প্রতিবাদ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফিরে আসে জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৪

উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উচ্চশিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উচ্চশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ ও ল্যাব সুবধিা বৃদ্ধি এবং দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ‌‘ইরাসমাস প্লাস স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ’ নিয়ে ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন,  ইরাসমাস প্লাস মোবিলিটি প্রোগ্রামের আওতায় বৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স ও জয়েন্ট মাস্টার্স প্রোগামে পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীরা নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিশ্ব দরবারে নিজেদের মেলে ধরার বড় সুযোগ পাচ্ছেন।  ইরাসমাস প্লাস মোবিলিটি প্রোগ্রাম উচ্চতর গবেষণা, নতুন নতুন দেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় এবং বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত, জানান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। দেশের চাকরির বাজারে দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে, ইরাসমাস প্লাস প্রোগ্রামের আওতায় যারা বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শেষে দেশে ফিরবে তাদেরকে উচ্চশিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের কাউন্সিলর ও টিম লিডার (শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন) উরাতে এস মার্ভেলি। শিক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে উরাতে এস মার্ভেলি বলেন, ইরাসমাস প্লাস স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ দক্ষ জনবল তৈরিতে সফল। এর মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রোগামটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নতুন আইডিয়া বিনিময় করতে পারবে। ইউজিসি সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মামুনের সঞ্চালনায় সভায় বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।  উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে শুরু হওয়া ইরাসমাস প্লাস প্রোগ্রামটি গত তিন যুগ শিক্ষার্থী ও গবেষকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং সম্মানজনক শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এতে জয়েন্ট মাস্টার্স প্রোগ্রামে ৪টি সেমিস্টার ভিন্ন দেশে ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, সব ধরনের টিউশন ফি, লাইব্রেরি ফি, পরীক্ষা ফি, গবেষণা সংক্রান্ত ফিসহ বিভিন্ন ধরনের কনফারেন্স, সেমিনার, সামার স্কুল, উইন্টার স্কুল প্রভৃতি সুবিধা পাওয়া যায় বিনামূল্যে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২২

ইবির ভিসি-রেজিস্ট্রারের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে ইউজিসি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এসব অভিযোগ তদন্তে পৃথক দুইটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক জামিনুর রহমান ও উপ-পরিচালক ইউসুফ আলী খান দুটি অফিস আদেশেই স্বাক্ষর করেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ইউজিসির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইউজিসির একটি প্রতিনিধি দল শিগগিরই ক্যাম্পাসে আসবে বলেও সূত্র জানিয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামে বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটিতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহেরকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ কমিটির সদস্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান ও সদস্য-সচিব একই বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী খান। রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসানের বিরুদ্ধে গঠিত কমিটিতে জেনারেল সার্ভিসেস, এস্টেট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক জাফর আহমদ জাহাঙ্গীরকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক জনাব মৌলি আজাদ ও সদস্য-সচিব একই বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী খান। অফিস আদেশে আরও বলা হয়েছে, কমিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উল্লিখিত পত্রের সংযুক্তিতে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তপূর্বক দ্রুত সম্ভব কমিশন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন দাখিল করবে। তদন্তের স্বার্থে কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও নথি ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবে এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। অফিস আদেশগুলো তদন্ত কমিটির ব্যক্তিবর্গ, ইউজিসির দপ্তর ও ইবি রেজিস্ট্রার দফতর বরাবর পাঠানো হয়েছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাইনি এখনো। অভযোগ বা অনিয়ম পেলে ইউজিসি তদন্ত করতেই পারে।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়