• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
১৯ দিনে প্রবাসী আয় ১৪ হাজার কোটি টাকা
চলতি মাসের (এপ্রিল) প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসীরা ১২৮ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার এবং মার্চে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৭

৫ দিনে ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’র আয় ১২৬ কোটি টাকা
বলিউডের জনপ্রিয় দুই তারকা অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফ। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে তাদের অভিনীত সিনেমা ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন আলী আব্বাস জাফর। মুক্তির পর থেকেই বক্স-অফিসে রীতিমতো ঝড় তুলেছে সিনেমাটি। মুক্তির ৫ দিনে ১২৬ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’।  বর্তমানে ভারতের সাড়ে ৩ হাজার পর্দায় প্রদর্শিত হচ্ছে অক্ষয়-টাইগারের ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’। মুক্তির প্রথম দিনে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি আয় করা বলিউড সিনেমার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থান দখল করেছে এটি। মুক্তির প্রথম দিনই ১৫ কোটি রুপি আয় করে সিনেমাটি।   বলি মুভি রিভিউজ ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে মুক্তির প্রথম দিনে ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’ আয় করে ১৫ কোটি রুপি, দ্বিতীয় দিন ৭ কোটি রুপি, তৃতীয় দিন ৮.২৫ কোটি রুপি, চতুর্থ দিন আয় ৮.৭৫ কোটি রুপি, পঞ্চম দিনে আয় করে ৩ কোটি রুপি। ভারতে ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’র মোট আয় ৪২ কোটি রুপি। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় ৯৬.১৮ কোটি রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বেশি। জানা গেছে, ২৫ বছর আগে ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন ও গোবিন্দ। সেসময় বক্স-অফিসে ব্যাপক সফলতা পায় সিনেমাটি। বলা যায়, রীতিমতো বাজিমাত করেছিল অমিতাভ-গোবিন্দের ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’। এবার একই নামের সিনেমা ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’-তে অভিনয় করে রীতিমতো পর্দা মাতাচ্ছেন অক্ষয়-টাইগার। আর এই সিনেমাতেই একসঙ্গে প্রথম অভিনয় করলেন তারা। প্রসঙ্গত, অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমায় অক্ষয়-টাইগার ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— পৃথ্বীরাজ সুকুমারন, সোনাক্ষী সিনহা, মানসী চিল্লার, মনীষ চৌধুরানী প্রমুখ। এটি প্রযোজনা করেছেন রাকুল প্রীত সিংয়ের বর জ্যাকি।    
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৭

মার্চে ১০ শতাংশ বেড়েছে রপ্তানি আয়
চলতি বছরের মার্চে পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৫১০ কোটি ২৫ লাখ ডলার। এ সময় রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১০ শতাংশ।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মার্চের রপ্তানি ১০ শতাংশ বাড়লেও মাসিক লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ কম। এ ছাড়া একক মাস হিসাবে মার্চে রপ্তানির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। মূলত তৈরি পোশাক পণ্যের চালান বৃদ্ধি পাওয়ায় রপ্তানি আয় বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ৪৩ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক, কৃষি, প্লাস্টিক খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে। অর্থবছরের ৯ মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ ভাগ।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৫

মার্চে প্রবাসী আয় প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা
চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৯৯ কো‌টি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা।  সোমবার (১ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।  এ ছাড়া রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, শেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮১ লাখ ১০ হাজার ডলার। সাতটি ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৫

২৯ দিনে প্রবাসী আয় ২০ হাজার কোটি টাকা
চলতি মাসের (মার্চ) ২৯ দিনে প্রবাসীরা ১৮১ কোটি ৫১ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ১৯ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা।  রোববার ( ৩১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫৪ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।  এ ছাড়া রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:০৬

মডেলিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মাসে আয় ১২ লাখ টাকা
বর্তমান এই সময়ে সব কিছুতেই লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। রোবটের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করা হচ্ছে বিভিন্ন সময়। আর এবার  এবার মডেলিংয়ে আসলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আয়তানার গোলাপি চুল, সুন্দর চোখ, বয়স ২৫। কাজ করে বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে। মাসে আয় করে ১২ লাখ টাকার কাছাকাছি। যে কেউ এই মডেলকে দেখে মুগ্ধ হবেন। কিন্তু আয়তানার বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। কারণ, সে ভার্চুয়্যাল জগতের বাসিন্দা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একটি প্রোগ্রাম। স্পেনের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই) মডেল সে। তাকে তৈরি করেছে স্পেনের দ্য ক্লুলেস নামের একটি সংস্থা। আয়তানাকে তৈরির আগে দ্য ক্লুলেসের উদ্যোক্তা ও নকশাবিদ রুবেন ক্রুজকে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছিল। তার সংস্থার কাছে তেমন কোনো গ্রাহক ছিল না। ইউরোনিউজকে ক্রুজ সেই সময়ের কথা তুলে ধরে বলেন, কঠিন এক সময়ে আতিয়ানা জন্ম নেয়। আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করতে বুঝতে পেরেছিলাম যে অনেক কাজ আমাদের বাতিল হচ্ছে। অনেক সমস্যার আমরা সমাধান করতে পারছি না। এর পেছনে কারণ ছিল, অনেক মডেল বা ইনফ্লুয়েন্সার ঠিকমতো কাজ করছে না। ক্রুজ বলেন, ওই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা নিজেদের ইনফ্লুয়েন্সার তৈরির কথা ভাবি। এমন একটি ইনফ্লুয়েন্সার তৈরি করতে চেয়েছিলাম যে মডেল হিসেবে কাজ করবে এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ড তার প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাদের আশা, এ ধরনের কৃত্রিম মডেল ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনী প্রচারে খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২১:০৭

২২ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১৫২০৮ কোটি টাকা
চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২২ তারিখ পর্যন্ত দেশে বৈধপথে ১৪১ কোটি ৪৪ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। সেই হিসেবে ২২ দিনে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স বা  প্রবাসী আয় এসেছে ৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার বা ৭০৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুয়ায়ী, চলতি মাসের ২২ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। যার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার বা ২ হাজার ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অপরদিকে বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৭৫ কোটি টাকার বেশি, এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার বা ১৩ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে তা ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর আগে, ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০৮

যেভাবে সোমালীয় জলদস্যুদের উত্থান, যেমন আয় তাদের
সোমলীয় জলদস্যুরা ফের ব্যাপক বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাঝখানে বেশ কয়েক বছর কিছুটা নীরব ছিল বিশ্বের কুখ্যাত এই দস্যুবাহিনীটি। লোহিত সাগরে হুথিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক বাহিনীগুলো বেশি ব্যস্ত থাকার সুযোগে ভারত মহাসাগরের গালফ অফ এডেনে তারা ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এই দস্যুরা ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ ২৩ জন নাবিকসহ জিম্মি করেছে। জাহাজটি ইতোমধ্যে তারা সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে কর্মরতরা অডিওবার্তায় জানিয়েছে। ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণও চেয়ে বসেছে ভয়াবহ এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠিটি। ব্যর্থতায় নাবিকদের একে একে সাবাইকে মেরে ফেরার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।  যেভাবে উত্থান এই জলদস্যুদের : ইতালিয়ান ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে ১৯৬০ সালে সোমালিয়ার জন্ম। পরের দুই দশকের বেশি সময় যুদ্ধবিগ্রহে বিধ্বস্ত সোমলিয়াতে কার্যকর কোন সরকার ছিল না। এই সময়টায় আফ্রিকার মধ্যে দীর্ঘতম উপকূল সমৃদ্ধ দেশটির জলসীমার নিরাপত্তায় কোনো কোস্টগার্ড বা বাহিনী ছিল না। এতে এই অঞ্চলে বিদেশি মাছ ধরা নৌযানের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়তে থাকে। স্থানীয় জেলেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। ফলে, তারা দস্যুবৃত্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে। ইন্ডিয়ান ওশান কমিশনের সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতেও ওই সময়ের দস্যুতার নেপথ্যে এই কারণ হিসেবে দেখা হয়েছে। তাছাড়া, মৎস্য শিকারের চেয়ে দস্যুতায় আয়ের পরিমাণও অনেকগুণ বেশি। তবে, কয়েক বছর তাদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ওই রুটে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ায়। এর ফলে ২০১২ সাল নাগাদ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে আসে দস্যুবৃত্তি। ইউরোপিয়ান নৌবাহিনীর অপারেশন কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল ডানকান পটস তখন বিবিসিকে বলেছিলেন, সামুদ্রিক দস্যুতার ‘বিজনেস মডেল’ কার্যকরভাবে ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছেন তারা। সাম্প্রতিক হামলা : কিন্তু গত কয়েক মাসে সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা বেড়েছে। পূর্ব আফ্রিকার উপকূলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিধানে কাজ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বা ইইউন্যাভ ফর আটালান্টা। তাদের মতে, গত বছরের নভেম্বরে থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে সোমালি উপকূলে অন্তত ১৪ টি জাহাজ হাইজ্যাক করা হয়েছে। এর মধ্যে ইরানের পতাকাবাহী একটি মাছ ধরার নৌকা এবং লাইবেরিয়ান-পতাকাবাহী সেন্ট্রাল পার্ক নামের একটি জাহাজের জেলে ও নাবিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সেন্ট্রাল পার্কের উদ্ধার তৎপরতায় মার্কিন নৌবাহিনী জড়িত ছিল। পরে তারা জানায়, এটা স্পষ্টতই দস্যুতা এবং আক্রমণকারীরা সম্ভবত সোমালিই ছিল। ডিসেম্বরে এমভি রুয়েন নামে মাল্টার পতাকাবাহী একটি জাহাজ হাইজ্যাক করা হয়। এখনও জাহাজের নিয়ন্ত্রণ হামলাকারীদের হাতে। জিম্মি আছেন ১৭ জন ক্রু। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো- আইএমবি’র মতে, এটি ছিল ছয় বছরের মধ্যে সোমালিয়ায় প্রথম সফল হাইজ্যাকিং। আইএমবি একটি প্রভাবশালী অলাভজনক সংস্থা যা সামুদ্রিক অপরাধ মোকাবেলা করার লক্ষ্যে কাজ করে।   ভারতীয় নৌবাহিনীর ব্যাপক অভিযান জানুয়ারিতে এক সপ্তাহে তিনটি অভিযানে ১৯ জন জিম্মিকে মুক্ত করতে সমর্থ হয় তারা। তাদের মধ্যে ১১ জন ইরানি নাগরিক বাকিরা পাকিস্তানি। ভারতীয় বাহিনীর তরফে জানানো হয়, ‘এদের সবাই সোমালি দস্যুদের হাতে বন্দী ছিলেন।’ বিবিসি’র রিয়েলিটি চেক টিমের প্রতিবেদন বলছে, শুধু ২০১৮ সালেই পূর্ব আফ্রিকান জলসীমায় ১১২ টি নৌ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যার সর্বশেষ শিকার বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার ২৩ জন ক্রু সহ জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় জলদস্যুরা। দস্যুদের উদ্দেশ্য কী? আয় কেমন? ২০০৫ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সময়কালে হর্ন অফ আফ্রিকার দস্যুরা কী পরিমাণ অর্থ আদায় করেছে তার একটি আনুমানিক হিসাব করেছে বিশ্বব্যাংক। সেই হিসাব অনুযায়ী জলদস্যুরা ক্রুদের জিম্মি করে সাড়ে তিনশো থেকে সোয়া চারশো মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ আদায় করেছে। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে নাইজেরিয়ার ফেডারেল ইউনিভার্সিটির লেকচারার স্যামুয়েল ওয়েওল বলেন, ছিনতাইয়ের পেছনে মূল লক্ষ্য মুক্তিপণ আদায় বলেই ধারণা করা যায়। অন্তত সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর নেপথ্য এটিই মূল কারণ। ২০১১ সালে একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করে দস্যুরা। দুশো মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের জ্বালানি ছিল নৌযানটিতে। আটক দুই ফিলিপিনো ক্রুকে হত্যা করা হয়। সূত্র : বিবিসি
১৩ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৯

চলতি বছরে যত আয় বিসিবির
আর্থিক দিক বিবেচনায় বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সম্প্রতি দুই বোর্ড সভায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রায় ৩৫৬ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন বিসিবি। তাই বাজেট বিবেচনায় বেশ ভালো আয়েরও সম্ভাবনা আছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থার। দেশের একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা থেকে চলতি বছরে লভ্যাংশ বাবদ প্রায় ৭২ কোটি টাকা পাবে বিসিবি। এদিকে গত বছরের নভেম্বরে টি-স্পোর্টস অ্যান্ড কনসোর্টিয়ামের কাছে ২ বছরের জন্য টিভি স্বত্ব বিক্রি করেছে বিসিবি। চলতি বছরে সেখান থেকে ১১ কোটি টাকা পাবে পাপনের বোর্ড। অন্যদিকে ইমপ্রেস মাত্রা কনসোর্টিয়ামের কাছে সাড়ে তিন বছরের জন্য মাঠের বিজ্ঞাপন স্বত্ব বিক্রি করেছে বিসিবি। চলতি বছরে এই খাত থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা পাবে বিসিবি। বর্তমান ড্রিংকিং পার্টনার টি কে গ্রুপ থেকে প্রায় ৬৫ লাখ পেতে পারে বিসিবি। অন্যদিকে রবি অজিয়াটা লিমিটেড থেকে চলতি বছরে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা পাচ্ছে বিসিবি। শুধু জাতীয় পুরুষ দলের জন্য এই টিভি স্বত্ব পাচ্ছে বিসিবি। নারী দল ও বিপিএলের হিসেবে এখনও বাকিই থাকছে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৩

চলতি মাসের ৮ দিনে এলো ৫১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
মার্চ মাসের প্রথম আট দিনে দেশে এসেছে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ৫ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রোববার (১০ মার্চ) এই তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে পাঁচ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯৭ লাখ ২০ হাজার ডলার।  একই সময়ে দেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ৪৪ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার ডলার। ১৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। আর ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। ওই মাসে গড়ে প্রতিদিন সাত কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৩ ডলার দেশে আসে। আগের বছরের মার্চ মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ছয় কোটি ৭৬ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৬ ডলার। সে হিসাবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসী আয়ের গতি কমেছে। তবে রোজার শুরু থেকে ঈদ পর্যন্ত প্রবাসী আয় বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।
১০ মার্চ ২০২৪, ২১:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়