• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে বস্তিবাসীর আহাজারি
রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তিতে লাগা আগুনে শত শত ঘর পুড়ে গেছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভয়াবহ এই আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে আহাজারি করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে বস্তিতে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের চেষ্টায় ৫টা ৩৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আগুনে বস্তির দুই শতাধিক ঘর ও ঘরে থাকা আসবাবপত্রসহ বস্তিবাসীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। সেখান থেকে এখনও ধোঁয়া উঠছে। আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে অনেকেই আহাজারি করছেন। কেউ কেউ ধ্বংসস্তুপের মধ্যেও কিছু অক্ষত আছে কি না, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে বস্তির বাসিন্দা তৃতীয় লিঙ্গের লিমা বলেন, আমরা ১০ জন দুটি ঘরে থাকতাম। আগুনের সময় আমাদের কয়েকজন ঘরেই ছিল, আর বাকিরা বাইরে ছিলাম। খবর পেয়ে এসে দেখি ঘরসহ সবকিছু পুড়ে গেছে। আমরা ভিক্ষা করে অনেক কষ্ট করে একটি একটি করে জিনিসপত্র কিনেছিলাম। আজকে সব শেষ হয়ে গেল। এখন আমাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তির আরেক বাসিন্দা আফরোজা বলেন, প্রথম যখন একটি দোকানে আগুন লাগে তখন দৌড়ে ঘর থেকে বের হই। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। ভেতর থেকে কিছুই আনতে পারিনি। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াব? লিমা ও আফরোজার মতো প্রায় ২০০ মানুষের সবকিছু আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আগুন এতো দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে যে কেউই ঘর থেকে কোনো আসবাবপত্র বের করতে পারেননি বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা। এদিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় টি কে গ্রুপের মালিকানাধীন সুপার বোর্ড কারখানায় লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।  গজারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান বলেন, এখনো আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দুপুর দেড়টার দিকে কারখানাতে আগুন লাগার খবর পাই। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করলেও আগুনের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে নারায়নগঞ্জের আদমজী ও কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে  ফায়ার সার্ভিসের আরও ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে আগুনের সূত্রপাত জানা যাবে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৬

বিচার কার কাছে দেব, অবন্তিকার মায়ের আহাজারি
‘এক বছরের মধ্যে স্বামী ও মেয়ে চলে গেল, এটাই বুঝি আমার প্রাপ্য ছিল। একটা বিধবা নারীর প্রাপ্য ছিল। আমি এখন সন্তানহারা। আমি এর বিচার কার কাছে দেব?’- এভাবেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরোজ অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। তার আহাজারি যেন থামছেই না। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে অবন্তিকার আত্মহত্যার পর সাংবাদিকদের কাছে নিজের কষ্ট প্রকাশ করেন তিনি।  তিনি বলছিলেন, ‘গত রোজায় সরকারি কলেজের অধ্যাপক স্বামীকে হারালাম। এবার মেয়েকে হারালাম। এক বছরের মধ্যে স্বামী ও মেয়ে আমার কাছ থেকে চলে গেল। মেয়ে আমার বিচারক হতে চেয়েছিল। কিন্তু ওরা তাকে বাঁচতে দিল না। ও সাহসী মেয়ে ছিল। বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল।’ তাহমিনা শবনম বলেন, ‘হায় রে অবন্তিকা তুই আমারে কত বলছিলি মা একটা জিডি করো মা একটা জিডি করো। আমি বলেছি মা এগুলা করব না। আল্লায় বিচার করবে। আমার আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ছিল। আল্লাহ আমার কাছ থেকে তোরেই নিয়ে গেল! আরে তোরে নিয়ে গেল অবন্তিকা? আমি কত কষ্ট করলাম। আমি এই জন্যই কষ্ট করলাম।’ গতকাল ইফতারের পর মেয়েকে বিষণ্ন দেখেছিলেন মা তাহমিনা শবনম। তখন মন খারাপ কেন জানতে চেয়েছিলেন মা। অবন্তিকা শুধু বলেছিলেন, ‘এমনি।’ কিন্তু মেয়ে যে আত্মহত্যা করবে, এটা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তিনি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বলেন, ঢাকায় কিছুদিন আগে মেয়েটা কলতা বাজারে ছিল। এখানে ইউনিভার্সিটির ছেলেগুলা ওই বাসা পর্যন্ত গিয়ে জানাইছে যে ওর নামে জিডি আছে। ওরে ওখান থেকে বের করে দিয়েছে। ওই বাসার মেয়েরা তো জানার কথা না। আমার মেয়ে এসে বলতেছে মা ওরা তো আমাকে এইভাবে মেন্টাল টর্চার করতেছে। আমি পড়তে পারি না। পরে আমি ওর সঙ্গে গেলাম ঢাকায়। আমি যখন গেলাম মেয়েরা তখন চুপ। আমি বুঝতে দেই নাই মেয়েদেরকে যে ওর (অবন্তিকার) পরীক্ষা চলতেছে। মেয়ের পরীক্ষা যখন শেষ আমি যেদিন চলে আসি মেয়েরা বলতেছে তোমার কি পরীক্ষা শেষ? না কি পরীক্ষা শুরু হবে? তার মানে তাদেরকে ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্ধন দিয়ে রাখছে তাকে কীভাবে টর্চার করবে। তিনি বলেন, রাফি, আম্মান, মাহিয়া, লাকি, রিমি তারপরে আঁখি, বন্যা, দ্বীন ইসলাম এ ঘটনার জন্য মূল দায়ী। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে আপনারা ছেলেদেরকে জিজ্ঞেস করেন তারা কেন এমন করছে। সে তো একটা স্টুডেন্ট ভালো। ক্লাসের টপ লিস্টেড মেয়ে। তার সঙ্গে কেন এরকম করছে? বলে যে ওই আপনার মেয়ে একটা মেসেজ দিয়েছে। ওই মেসেজটা কীসের? মেসেজটা কিন্তু আমার কাছে আছে। এই মেসেজে কোনদিন কোনো জিডি হয় না, কোনো কিছু হয় না। মানে, ও ওর সঙ্গে অ্যাফেয়ার করেছে, এই কথাগুলো। এই কথাগুলো দিয়া তো কখনও জিডি হয় না।  মা তাহমিনা শবনমের অভিযোগ, এক বছর আগে থেকে অবন্তিকার এক সহপাঠী নানাভাবে তাকে উৎপীড়ন করতেন। এ নিয়ে তার মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে নালিশ করেন। কিন্তু সহকারী প্রক্টর ঘটনার বিচার করেননি, উল্টো মেয়েকে ডেকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওই ছেলের পক্ষ নেন তিনি। তখন ওই ছেলে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েন। আপত্তিকর মন্তব্য করতেন, হুমকি দিতেন। এসব ঘটনার বিচার চেয়ে না পেয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ফাইরোজ অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরই ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।   
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৮

জিম্মি রুকনের ঘরে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, মা-বাবার আহাজারি
ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে জিম্মি হওয়া ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকদের মধ্যে একজন নেত্রকোণার রুকন উদ্দিন। ছেলের জিম্মির খবর পেয়ে বিলাপ করছেন তার মা-বাবা। অন্যদিকে এ খবরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। বুধবার (১৩ মার্চ) সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের বাঘরোয়া গ্রামে রুকন উদ্দিন বাড়িতে যেয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। জানা গেছে, বাঘরোয়া গ্রামের কৃষক মিরাজ আলী ও লুৎফুর নাহারের ছেলে। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তৃতীয় রুকন। বাবা-মা ও বড় ভাই কাজ করে রুকনকে পড়াশোনা করিয়েছিলেন। ভালো শিক্ষার্থী হওয়ায় তিনি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পাশ করেন ২০১৩ সালে। পরে ২০১৫ সালে চাকুরিতে যোগদান করেন। গত বছরের নভেম্বর মাসে বর্তমান শিপ কোম্পানিতে যোগদান করেন ছেলের জিম্মির খবর পেয়ে বিলাপ করছেন তার মা-বাবা। তাদের আহাজারিতে আশপাশের এলাকার মানুষের ভিড় জমেছে বাড়িতে। রুকনকে সুস্থভাবে ফিরে পেতে অপেক্ষায় রয়েছে স্বজনরা। প্রথম রোজার দিন মায়ের সাথে কথা বলেন। কিন্তু এরপর থেকে মা-বাবা ভাই-বোনেরা জানতে পারেন তার জাহাজ দস্যুদের কবলে। এই খবরে বাড়িতে কান্নার রোল পড়েছে। এ খবরে অন্তঃসত্ত্বা আট মাসের স্ত্রীও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গ্রামের মানুষ দেখতে এসে তারাও কান্নায় ভেঙে পরেছেন। সকলের একটাই দাবী সুস্থভাবে সন্তান ও স্বজনকে ফিরে পাওয়ার। ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি আছেন জাহাজটির ২৩ জন নাবিক। এরই মধ্যে ভয়ানক হুমকির খবর ভেসে এসেছে জিম্মি জাহাজটি থেকে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৯

আসিফের মৃত্যুতে বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত আরিফুর রহমান আসিফের বাড়ির নোয়াখালীর সেনবাগে ডমুরুয়া ইউনিয়নের মইশায় পশ্চিম পাড়া কালাম মেম্বার বাড়ি। তিনি ওই বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের ছেলে। তারা ৫ ভাই এর মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার শান্তিনগরে একটি গ্রিল ওয়ার্কশপে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি হোটেলে কাজ করার জন্য গিয়েছিলেন।  নিহত আসিফের ফুফাতো ভাই মো. নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ বাড়ি আসার পথে আমরা দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। খবর পাওয়ার পর থেকে বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি। তিনি জানান, নিহতের লাশ ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি আসতাছে। আমরা দাফনের জন্য বাড়ির সামনে তাকিয়া জামে মসজিদের পাশে কবর করা হয়েছে। শতশত নারী পুরুষ আরিফুর রহমান আসিফকে শেষবারের মতো এক নজর দেখার জন্য ওই বাড়িতে ভিড় করেছেন। নিহত আসিফের পিতা-মাতা না থাকলেও বাড়ির ও প্রতিবেশীদের আহজারিতে চলছে শোকের মাতম।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৫

‘ক্ষণিকের আহাজারি শেষে আমরা মেতে উঠব খেলা কিংবা বাদশাহর কনসার্টে’
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। এরমধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে এবং পরিবারের কাছে ৩৮টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় শোকে কাতর শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও। বিষয়টি নাড়া দিয়েছে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জাহারা মিতুকে, সামাজিকমাধ্যমে এ নিয়ে তিনি লিখেছেন প্রয়োজনীয় কিছু কথা।  শুক্রবার (১ মার্চ)  নিজের ফেসবুকে মিতু লিখেছেন, নিমতলী থেকে বেইলি রোড, বঙ্গবাজার থেকে নিউমার্কেট। একের পর এক ঘটে যাবে এমন ঘটনা। ক্ষণিক সময়ের আহাজারি শেষে আমরা মেতে উঠব বিপিএল-এর ফাইনাল কিংবা বাদশাহর কনসার্টের মতো কোনো ইভেন্টের আনন্দে। অথচ ভুলে যাব কাল হয়তো আমরাও হতে পারি কোনো লেলিহান শিখার গ্রাস।  তিনি আরও লেখেন, সময় এসেছে অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে পূর্বপ্রস্তুতি রাখার। ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজন উন্নয়ন। প্রত্যেকটি দালানের মালিকদেরও প্রয়োজন সচেতন হওয়া। এসব শুধু বলেই যাব কিংবা লিখে। তবে কাজের কাজ আসলে হবে না কিছুই। 
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:০১

পদ্মায় ফেরিডুবি : ভেসে যাচ্ছে ট্রাক, বাঁচাও বাঁচাও আহাজারি
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ৫ নম্বর ঘাটের কাছে বাল্কহেডের ধাক্কায় রজনীগন্ধা নামে একটি ইউটিলিটি ফেরি ডুবে গেছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ফেরি থেকে শুধু বাঁচাও বাঁচাও আহাজারি ও যাত্রীদের চিৎকার শোনা যায়। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আরও পড়ুন : কবে থেকে শীত আরও বাড়বে, জানাল আবহাওয়া অফিস   প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যখন ফেরিটি ডুবে যায় তখন ফেরি থেকে অনেক আহাজারি ও যাত্রীদের চিৎকার শোনা যায়। এ সময় সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দলকে জানানো হয়েছে।   এ সময় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা থেকে ট্রাক ভেসে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী। শিবালয় থানার ফায়ার সার্ভিসের প্রধান মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা সংবাদ পেয়ে শিবালয় থানা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশ উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন।     উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া এক ফায়ার সার্ভিস কর্মী জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে নবগ্রাম ইউনিট থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। কয়েকজনকে উদ্ধারও করা হয়েছে। কিন্তু উদ্ধার কাজের সময় দেখেছি ডুবে যাওয়া ফেরিতে থাকা বেশ কয়েকটি ট্রাক ভেসে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ডুবে যাওয়া ফেরিটিকে একটি টাক বোট দিয়ে ভাসিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। আরও পড়ুন : ফেরি রজনীগন্ধা ডুবি : ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার   পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজীরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। যা বুধবার সকালেও চালু হয়নি। এমন অবস্থায় পাটুরিরা ৫নং ঘাটের কাছাকাছি অবস্থানে থাকা ফেরি রজনীগন্ধা পদ্মা নদীতে ডুবে যায়। এসময় ফেরিতে ১৭টি যানবাহন ছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সব যানবাহনের সাথে কয়েক শতাধিক যাত্রীও নদীতে ডুবে যায়। তাদের উদ্ধারে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিসে সাথে কাজ শুরু করেছে স্থানীয়রা। ঘন কুয়াশায় নদীতে থেমে থাকা ফেরি দেখতে না পেয়ে একটি বাল্কহেড ফেরিটিকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। 
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়