• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈশ্বরদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
পাবনার ঈশ্বরদীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের একজনের বাম হাতের কব্জি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। নিহত খাইরুল ইসলাম চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড় পশ্চিমপাড়ার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। আর কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া ইসাই ব্যাপারি (৫০) একই গ্রামের শফি ব্যাপারির ছেলে। আহতদের মধ্যে কয়েক জনের নাম জানা গেছে, তারা হলেন- সাজু হুদী (৫০), জামাত ফকির (৫০), নাসিরউদ্দিন (৩০), জিল্লুর, ওলিউর রহমান, মজিদ, ইছাই প্রামানিক, মো. মিঠুন (৩৫), মোসলেম উদ্দিন (৬০), মানু প্রামানিক (৫৫), মো. খোকন প্রামাণিক (৩৫), নুর বেগম (৫০)। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এনিয়ে গত দুই দিনে দুই গ্রুপের মধ্যে ছোটখাটো মারামারির ঘটনা ঘটে। এইসব ঘটনার জের ধরে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ঘটনাস্থলেই খাইরুল মারা যান।   এ সময় রিয়াজুল ব্যাপারি পক্ষের ইসাই ব্যাপারির বাম হাতের কব্জি হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।
১৩ ঘণ্টা আগে

দাঁড়িয়ে থাকা বাসে পিকআপের ধাক্কা, আহত ১০ 
ঈদের ছুটি শেষে পিকআপভ্যানে কর্মস্থলে ঢাকায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ১০ জন পোশাককর্মী। তবে এ ঘটনায় কেউ মারা না গেলেও দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘাটাইল উপজেলার সিংগুরিয়া ঈদগাঁহ মাঠ-সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  আহতরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মকবুল হোসেনের ছেলে মো. শহীদ (৩৪), তার স্ত্রী মোছা. ফেরদৌসী (২৮), শহীদুল ইসলামের ছেলে পলাশ (২৫) এবং একই জেলার সাঘাটা উপজেলার আব্দুল হাইয়ের ছেলে মামুন (২৪)। অপর আহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তারাও একই জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ফজর নামাজের আগে সিংগুরিয়া মসজিদের সামনে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহন নামে একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। ভোর ৫টার দিকে ঢাকাগামী ১০ জন যাত্রী নিয়ে একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একই পরিবারের ৫ জনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মো. স্বপন আলী জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহন নামে একটি বাস ঢাকা যাচ্ছিল। বাসটি যাত্রীদের ফজর নামাজের জন্য সিংগুরিয়া ঈদগাঁ মাঠ-সংলগ্ন মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ যাত্রীবোঝাই একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপে থাকা সবাই আহত হন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল দ্রুত আমরা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আহত অবস্থায় ৪ জনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করি। আমরা পৌঁছানোর আগে স্থানীয়রা অপর আহত ৫ জনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। ঘাটাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যাত্রীদের ফজর নামাজের জন্য হানিফ পরিবহনের বাসটি মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ একটি পিকআপ পেছন থেকে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপে থাকা ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী আহত হয়। এদের মধ্যে কেউ ভূঞাপুর, কালিহাতী ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
২০ ঘণ্টা আগে

নারকেল পাড়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৮
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে গাছ থেকে নারকেল পাড়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সেলিম মিয়া নামের একজনকে গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় সেলিম মিয়ার ভাই মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে পৗরশহরের টেংগাপাড়া এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ১০টা ও বৃহস্পতিবার সকালে দুই দফা সংঘর্ষ হয়। পুলিশ, স্থানীয় ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নিজেদের পারিবারিক গাছ থেকে নারিকেল পাড়েন সেলিম মিয়া। সেই নারকেল অপর তিন ভাই মজনু মিয়া, ফজলুর রহমান ও আজিজুল হকের বাসায় ভাগ করে দেন। তবে ভাগ কমবেশি হওয়ায় কারণে ভাতিজারা সেলিমের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন। একপর্যায়ে সেলিমকে তারা মারধর করে আহত করেন। পরে রাতে এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে সেলিমসহ উভয়পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়। সকালে সেলিম মিয়া দোকানে গেলে তার হাতে ও পিঠে ক্ষুরের আঘাতে গুরুতর জখম করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেলিম মিয়ার বড় ভাই ফজলুর রহমান বলেন, প্রথমে নারকেল নিয়ে ভাতিজারা সেলিমকে কিছুটা হেনস্তা করে। আমরা রাতে বিষয়টা সমাধান করবো ভেবেছি। কিন্তু রাতে বড়কাশিয়া থেকে সেলিমের আত্মীয়রা এসে বাড়িতে ঢুকে নারী-পুরুষ সবাইকে এলোপাতাড়ি ক্ষুর ও রামদা দিয়ে কোপানো শুরু করে। এতে আমাদের পক্ষের চারজন গুরুতর আহত হয়। এদিকে রাতের ঘটনায় সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মজনু মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে সকালে মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মোহনগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় করা মামলায় মজনু মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
২২ ঘণ্টা আগে

ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের ৩ ঘণ্টা সংঘর্ষ, আহত ৫০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে গ্রামবাসীদের দুটি পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক লোক।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে ৯টা পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের সোনাউল্লাহ গোষ্ঠীর মান্নান মিয়ার সঙ্গে বুইল্লার বাড়ির রাশিদ মিয়ার মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে ওই দুই গোষ্ঠীর লোকজন পরমানন্দপুর চান্দালের মাঠে মুখোমুখী সংঘর্ষে জড়ায়। পরে সোনাউল্লাহর পক্ষে যোগ দেয় খাঁবাড়ি, কৈবতবাড়ির লোকজন। অপরদিকে বুইল্লার বাড়ির সঙ্গে যোগ দেয় বুদ্ধির গোষ্ঠী, বড়বাড়ি ও উজিবাড়ির লোকজন।  পুরো গ্রামই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের নেতৃত্ব দেন সানাউল্লাহ গোষ্ঠীর কাঞ্চন মিয়া এবং বুইল্লার দলের পক্ষে জিয়াউল আমিন। ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহতরা হলেন– ওসমান মিয়া (৫৫), কাঞ্চন মিয়া (১৬), টাক্কাবালি (১৬), জিয়াউর রহমান (১৬) ও মন মিয়াকে (৩০) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের সরাইল, ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সকাল ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১১

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় নিহত ১৭, শিশুসহ আহত ৬০
ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে ঐতিহাসিক শহর চেরনিহিভে রুশ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় শিশুসহ আরও অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন।   বুধবার (১৭ এপ্রিল) এ হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির। চেরনিহিভের মেয়র অলেক্সান্ডার লোমাকোন বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি আট তলা ভবনে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে। এ নিয়ে শহরের কেন্দ্রস্থলে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।   প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের হামলার খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলা চালানো হয়। সেই হামলার বিস্তারিত এখনও নিশ্চিত করা হয়নি, যদিও স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো উত্তর ক্রিমিয়ার ঝানকোয় এয়ারফিল্ডে আগুনের ভিডিও শেয়ার করেছে। চেরনিহিভের মেয়র বলেন, একটি ভবনে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত করেছে এবং বেশ কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  কিয়েভের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, হামলায় আরও চারটি উচ্চ ভবন, একটি হাসপাতাল, কয়েক ডজন গাড়ি এবং একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জরুরি পরিষেবাগুলো অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং কর্মকর্তারা জনসাধারণকে রক্ত দিতে এগিয়ে আসার জন্য আবেদন করেছেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন / মার্চে সড়কে ঝরল ৫৬৫ প্রাণ, আহত ১২২৮
গত মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২২৮ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ। একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে।  ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) মার্চ মাসে ১৩৬৯ জন সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত পঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। একটি দুঘর্টনায় ১০ জন আহত হলে তার মধ্যে কেবল একজন গুরুতর আহত বা পঙ্গু হন। বাংলাদেশে ১০ হাজার সরকারি ও ছয় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে প্রতিবছর সড়ক দুঘর্টনায় আহত প্রায় তিন লাখের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগের এক শতাংশ তথ্যও প্রকাশিত হয় না বলে আমরা ঘটনার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরতে পারি না। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো। দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা এবং দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৬

শুটিং সেটে আহত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
শুটিং সেটে আহত হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। আহত হওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। বর্তমানে তার পরবর্তী সিনেমা ‘হেডস অব স্টেট’র শুটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।  মূলত ‘হেডস অব স্টেট’র সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়েই আহত হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে রক্তাক্ত মুখের একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন— ‘জানি না আর কতবার রক্তাক্ত হতে হবে!’ ওই ছবিতে দেখা যায়, প্রিয়াঙ্কার কপাল ও গালের একপাশে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। চোখে মুখে ক্লান্তি। এদিকে অভিনেত্রীর এমন ছবি দেখে বেশ চমকে গেছেন তার ভক্তরা।  জানা গেছে, ফ্রান্সে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তার মেয়ে মালতিও রয়েছে। সিনেমার শুটিংয়ের ফাঁকে মেয়ের সঙ্গে ভালো সময়ও কাটাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ফ্রান্সে এদিক ওদিকে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেছে মা ও মেয়েকে।      প্রসঙ্গত, ১০ বছরের ছোট নিক জোনাসকে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা। তাদের সংসারে মালতী নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পরই পাকাপাকিভাবে আমেরিকায় চলে যান প্রিয়াঙ্কা। ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যে একাধিক হলিউড সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন তিনি। সর্বশেষ অভিনেত্রীকে কিয়ানু রিভসের ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রেসারেকশন’ সিনেমায় দেখা গেছে প্রিয়াঙ্কাকে।      
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৫

আহত আ.লীগ নেতাকে চিকিৎসা দিতে দেরি করায় ডাক্তারকে মারধর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় এক ডাক্তারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে পটিয়া পৌর সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম রফিক হাসান (৪৬)।  এর আগে গত বুধবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টা ২০মিনিটের দিকে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার রক্তিম দাশ (২৯) ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ডাক্তারকে মেরে আহত করা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) ঈদের দিন রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক এস এইচ খাদেমী প্রকাশ বাহাদুর বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোহাম্মদ মুকুল, মোহাম্মদ টিপু ও পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সৈয়দসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে সাইফুল্লাহ পলাশ (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রক্তিম দাশ আহত সাইফুল্লাহ পলাশকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য অপারেশন রুমে নিয়ে যান। অপারেশন রুমে যেতে দেরি হওয়ায় ডা. রক্তিম দাশকে হাসপাতালেই মারধর করা হয় এবং সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়।  পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত করে রফিক হাসান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হবে। মামলায় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৩

মধুপুরে আ.লীগের দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ৬
টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চার রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে দু’পক্ষকেই ছত্রভঙ্গ করে দেয়।  এ সময় বাসস্ট্যান্ড এলাকার সাধারণ মানুষকেও আতঙ্কিত হয়ে এদিক সেদিক ছুটোছুটি করতে দেখা যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।  মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জুবায়ের হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসাইন। এ ছাড়াও মধুপুর থানা পুলিশের চৌকস দল সেখানে উপস্থিত ছিল। মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলম খান আবু ও মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খানের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চার রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আহত ও ভাঙচুরের বিষয়ে কোনো পক্ষই লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০১

লক্ষ্মীপুরে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু 
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় চারদিন পর আহত ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব মারা গেছেন।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড়ে অতর্কিত হামলায় সজিবসহ ৪ জন আহত হয়। অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে গুলিও করা হয়েছে।  সজীবের মৃত্যুর বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ নিশ্চিত করেছেন।  সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।  এ দিকে হামলার ঘটনায় সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।  এ ঘটনায় সোমবার চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।  এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা।  একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় প্রেরণ করে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়