• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পুরস্কারের ঘোষণা দিলেন আসিফ আকবর
নতুন ফ্ল্যাটে উঠেই আদরের পুম্বাকে হারিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। পোষ্য প্রাণীকে হারিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন তিনি। খোঁজ করেছেন সদ্য ওঠা নতুন ফ্ল্যাটের আশপাশেও। তবুও যেন পুম্বার খোঁজ মিলছে না। অবশেষে আদরের বিড়ালের জন্য ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিলেন আসিফ। এক ফেসবুকবার্তায় এই শিল্পী লিখেছেন, বিড়ালটা বেঁচে আছে, হয়তো কারও বাসায় আছে। তিনি হয়তো মালিক খুঁজে পাচ্ছেন না। অথবা কেউ নিজের মনে করে লুকিয়ে রেখেছেন এই সম্ভাবনাও নাকচ করছি না। পুম্বা খুব সুন্দর দেশি ক্যাট, জানি সে ভালো যত্ন-আত্তিতেই আছে। ওকে ইনজেকশন দেওয়ার সময় হয়ে এসেছে। প্লিজ, পুম্বার সন্ধান দিন, ৫০ হাজার টাকা গিফট পৌঁছে যাবে।   এদিকে শিগগিরই মিউজিক্যাল ফিল্ম নিয়ে হাজির হচ্ছেন আসিফ আকবর। নাম ‘দ্য লাস্ট ডন’। এটি গায়কের নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি হচ্ছে। এতে আসিফ হাজির হবেন একজন ডনের ভূমিকায়। অন্যদিকে শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে আসিফের নতুন একটি দ্বৈত গানও আসছে। এ ছাড়াও ভারতীয় প্রযোজনা সংস্থা সারেগামা ও টি সিরিজের সঙ্গে সামনে কাজ হবে। শ্রোতারা তার হিন্দি গানও পাবেন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৭

থানায় জিডি করলেন গায়ক আসিফ
সদ্য নতুন ফ্ল্যাটে উঠেছেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। আর নতুন বাসায় উঠেই তার আদরের বিড়াল পুম্বাকে হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। তাই আদরের পোষ্য প্রাণী হারিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন এই গায়ক। নতুন ফ্ল্যাটের আশপাশে খোঁজার পাশাপাশি সিসি ফুটেজও দেখছেন বলে জানান আসিফ।  আসিফ জানান, চার বছর ধরে তার ছোট ছেলে রুদ্র শখের বশে বিড়ালটি পালন করছে। কিন্তু নতুন ফ্ল্যাটে ওঠার পরই হারিয়ে যায় বিড়ালটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান না পেয়ে বাধ্য হয়ে রমনা থানায় জিডি করেছেন আসিফ। কণ্ঠশিল্পী বলেন, নতুন অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছি। দুই দিনের মাথায় পুম্বা ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যায়, এখনও খোঁজ পাইনি। দেশী হলেও পুম্বা সাইজে দেশী বিড়ালের মত ছোট নয়। তার স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য দুটোই দেখার মত। বাধ্য হয়ে রমনা থানায় জিডি করেছি। এখানে প্রায় আড়াইশো ফ্ল্যাট। সব জায়গায় খোঁজা সম্ভব নয়, হয়তো কোনো বাসায় ঢুকে আছে, যিনি পেয়েছেন তিনিও হয়তো মালিক খুঁজছেন। সিসি ক্যামেরায় সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। আশা করি পেয়ে যাব। তবে কেউ নিজের মনে করে নিয়ে থাকলে দিয়ে দিন। বাসার পরিবেশ খুব গুমোট, পুম্বার জন্য প্রয়োজনে থার্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার হবে। আসিফ আরও বলেন, বৃষ্টিতে ভেজা একটি বিড়ালছানা বাসায় এনে আশ্রয় দেয় আমার ছোট ছেলে রুদ্র। কিন্তু নিওমোনিয়ায় মারা যায় বাচ্চাটা। এটা নিয়ে ছেলের ভীষণ মন খারাপ হলে বাসার কাজের বুয়া রেললাইনের পাশ থেকে আরেকটা বিড়ালের বাচ্চা এনে দেয়। নাম রাখে পুম্বা। তখন থেকেই সবার প্রিয় হয়ে ওঠে বিড়ালটি।   তিনি বলেন, এরপর থেকেই বিপন্ন বিড়ালদের রেসকিউ করার চিন্তা আসে বড় ছেলে রণর মাথায়। সে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা বিড়ালছানা উদ্ধার করে সেগুলো ট্রেনিং এবং চিকিৎসা দেওয়ার পর অন্যের কাছে মাইগ্রেট করে দেয়। ছেলেদের মানবিক কাজগুলো আমাকেও ভীষণ প্রভাবিত করেছে।  
২২ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৪

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হলেন আসিফ আলী জারদারি
পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি। শনিবার (৯ মার্চ) পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। সংবিধান অনুযায়ী, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও চারটি প্রাদেশিক পরিষেদের নবনির্বাচিত সদস্যরা নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। ৬৮ বছর বয়সী আসিফ আলী জারদারি পিএমএলএন এবং পিপিপির যৌথ প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সুন্নি ইত্তেহাজ কাউন্সিলের (এসআইসি) মাহমুদ খান আচাকজাই। নির্বাচনে আসিফ আলী জারদারি ২৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেয়েছেন ১১৯ ভোট। আসিফ আলী জারদারি এখন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভীর স্থলাভিষিক্ত হবেন। গত বছর আরিফ আলভীর প্রেসিডেন্ট পদে থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইলেকটোরাল কলেজ গঠিত না হওয়ায় তিনি আরও এক বছর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে, জারদারি ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিন পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম বেসামরিক ব্যক্তি যিনি দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২০:২৫

এক যুগ পর ভোট দিলেন আসিফ আকবর
বাংলাদেশে দর্শকপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর। জনপ্রিয় এই শিল্পী দীর্ঘ ১২ বছর পর নির্বাচনে ভোট দিলেন। একইসঙ্গে প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন তিনি। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে ভোট দেন প্রখ্যাত এই গায়ক। পরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভোটের বিষয়টি উল্লেখ করে একটি পোস্ট করেন। পোস্টে আসিফ আকবর উল্লেখ করেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিলাম। শেষ ভোট দিয়েছিলাম ২০১২ সালের কুসিক নির্বাচনে। প্রথম ভোট দিলাম ইভিএম মেশিনে। কুমিল্লা সিটির কর্পোরেশনের একজন সাধারন নাগরিক আমি, নগরের অভিভাবক নির্বাচনে নিজের দায়িত্ব পালন করলাম।  যিনি নির্বাচিত হবেন তাকে আগাম শুভেচ্ছা, অভিনন্দন। আশা করি নতুন মেয়র নগরবাসীর আশা আকাঙ্খার প্রতি সম্মান দেখিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। পথিকৃৎ কুমিল্লাকে একটি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবেন। ভালোবাসা অবিরাম।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:১০

পা হারিয়েও থেমে নেই আসিফ
বয়স তখন ৭ কি ৮। তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তখন তিনি। একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রেন লাইন পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হারিয়েছেন ২ পা। ট্রেন দুর্ঘটনায় পা হারালেও জীবনযুদ্ধে হারতে নারাজ তিনি। বলছিলাম ঢাকার খিলগাঁও থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছু মো. আসিফের কথা। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাবির রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে বিজ্ঞান শাখার বিভিন্ন বিভাগ অন্তর্গত ‘সি’ ইউনিটের গ্রুপ-২ এর ভর্তি পরীক্ষায় হুইল চেয়ারে করে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাকে।   কথা বলে জানা যায়, আসিফ মনিপুর স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। তারা দুই ভাই এক বোন। তিনি সবার বড়। তিনি যখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন, তখন একদিন বাড়ি থেকে দাদার সঙ্গে স্কুলে যাওয়ার পথে দৌড়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেন দুর্ঘটনার স্বীকার হন তিনি। সেই দুর্ঘটনায় জীবন না গেলেও তিনি হারান নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পা। আসিফ জানায়, দুটি পায়ের শূন্যতা তার জীবনের উদ্দেশে কখনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বরং এটি তাকে  কঠোর পরিশ্রম করার জন্য উদ্যমী করে তুলেছে। স্কুল ও কলেজ সব জায়গায় তিনি ভালো ফলাফল অর্জন করেছেন। আর তার এই পর্যন্ত আসার পেছনে নিজের বাবা-মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। যা বলার মতো নয়। তার বন্ধুরাও তাকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা না করে বরং তাকে সাহায্য করেছে। ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আসিফ বলেন, ভর্তি পরীক্ষা ভালো হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাবি, জাবি এবং চবিতে পরীক্ষা দিয়েছি। যেকোনো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা।  ক্যারিয়ার গড়তে জাপানে যাওয়ার ইচ্ছাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২১:৫২

আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুতির কারণ জানাল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
সম্প্রতি সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ প্রসঙ্গে নেতিবাচক বক্তব্য প্রদান করায় এবং জনসম্মুখে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলায় গত ২০ জানুয়ারি চাকরিচ্যুত হন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। তাকে কী কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল সে সময় তার ব্যাখ্যা দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ কর্মকর্তা ফাতিয়াস ফাহমিদ সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সব মত ও আদর্শের জন্য সহনশীলতা ও সম্মানের ভিত্তিতে গঠনমূলক আলোচনা, বিতর্ক এবং পারস্পরিক মতবিনিময়ে বিশ্বাস করে। এতে বলা হয়, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য আচরণ, যা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সমর্থন করে না। সাম্প্রতিক সময়ে ব্র্যাকের শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎসের সপ্তম শ্রেণির জাতীয় পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছেঁড়া এবং পাবলিক ফোরামে অন্যদেরকে একই কাজ করতে বলার ঘটনাটিকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি একটি ধ্বংসাত্মক কাজ বলে মনে করে। এ ধরনের অশিক্ষকসুলভ আচরণকে তারা কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ কারণে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের স্প্রিং সেমিস্টারের জন্য আসিফ মাহতাবকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নতুন চুক্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইউনিভার্সিটি মাহতাবকে এই সেমিস্টারের প্রস্তুতিমূলক কাজে তার সময় ও প্রচেষ্টার জন্য পারিশ্রমিক প্রদান করবে। এতে আরও বলা হয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সব ক্ষেত্রে দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং দেশের প্রচলিত বিধিবিধান মেনে চলার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সমকামিতার প্রচার ও প্রসারের সঙ্গে যুক্ত, সামাজিক মাধ্যমে কিছু মহলের এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রত্যেকটি মানুষের সমান অধিকার এবং সম্ভাবনা বিকাশের পথে সমান সুযোগ সৃষ্টিতে বিশ্বাস করে। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত এক সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ টাকা দিয়ে বইটি বাজার থেকে কিনতে বলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব। পরে বইয়ের ট্রান্সজেন্ডারের গল্প থাকা দুটি পাতা ছিঁড়ে আবার দোকানে ফেরত দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সেমিনারে তিনি সপ্তম শ্রেণির বই নিয়ে সমালোচনাও করেন। আর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেন। তার দাবি, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘ট্রান্সজেন্ডারের গল্প’ ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর রোববার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় নিজের ফেসবুকে মাহতাব লেখেন, আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস নিতে না যাই। এরপর সামাজিকমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। পরবর্তীতে দেশজুড়ে তুমুল আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হলে এই গল্পটি বিশ্লেষণ করার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির কাজ চলমান।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৫

শরীফ থেকে শরীফা ইস্যু : সেই শিক্ষক ক্লাসে ফিরছেন
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবের পর সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘শরীফা গল্প’ নিয়ে প্রতিবাদ করায় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) শিক্ষক অধ্যাপক ড. সরোয়ার হোসেনকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সরিয়ে রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে অধ্যাপক সরোয়ারকে ক্লাসে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইইউবি। রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ক্যাম্পাসের ভেতরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।  জানা গেছে, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে অধ্যাপক ড. সরোয়ার হোসেন ক্লাসে ফিরবেন বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার বেলা ১১টায় আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অফিস থেকে কর্মকর্তারা এসে ওই শিক্ষককে ক্লাসে ফেরানোর আশ্বাস দেন। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কর্মসূচি তুলে নেন তারা। শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্বাসে আজকের মতো আন্দোলন স্থগিত করেছি। তবে তাদের কথায় কোন পরিবর্তন হলে আবারও আন্দোলনে নামবো আমরা। ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক অধ্যাপক ড. সরোয়ার হোসেন। গত ১৯ জানুয়ারি এক সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের শরীফ থেকে শরীফা হওয়ার গল্পের অংশটুকু নিয়ে প্রতিবাদ করেন তিনি। তার এ প্রতিবাদের ভিডিও ভাইরাল হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে আর ক্লাসে না যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই সেমিনারে অধ্যাপক সারোয়ার বলেন, ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে আপনাদের যদি ভেঙে ভেঙে বুঝাইতাম তাহলে আপনারা রাতে ঘুমাইতে পারবেন না। ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু মারাত্মক ইস্যু। আমি এ বিষয়ে ছয় বছর পিএইচডি করেছি। ‘ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে আমার সন্দেহ হয়েছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম। ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু বুঝতে হলে জনস্বাস্থ্য বুঝতে হবে। তাহলে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুটা বুঝতে পারবেন। সমকামিতা কোনো আলোচনার বিষয় না। এর কারণে কওমে লূত ধ্বংস হয়েছে। সব ধর্মে নিষিদ্ধ এ সমকামিতা। গতকাল শুনলাম আমার প্রতিষ্ঠান আমার জন্য পলিসি তৈরি করেছে। যেন চাকরি খেয়ে দিতে পারে। ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে যে কথা বলবে তার চাকরি খেয়ে দিতে পারবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। সপ্তম শ্রেণির বইতে শরীফ থেকে শরীফার গল্প আছে। মনে মনে নারী এবং মনে মনে পুরুষ, এটা ভয়ংকর জিনিস। তিনি বলেন, আমার লাইফ ঝুঁকির মধ্যে, আপনারা কি জানেন? আমার পেছনে অনেক লোক ঘুরছে। আমি বাইরে যেতে পারি না। আমাকে টার্গেট করে ওরা কমপ্লেইন করেছে, চাপে ফেলেছে। আমি বললাম এটা কীভাবে সম্ভব। আমরা জাতি গঠন করি। আমরা চাই সাসটেইনেবল সোসাইটি হোক, আমরা কি চাই অসুস্থ সোসাইটি হোক?’ এর আগে গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত এক সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ টাকা দিয়ে বইটি বাজার থেকে কিনতে বলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব। পরে বইয়ের ট্রান্সজেন্ডারের গল্প থাকা দুটি পাতা ছিঁড়ে আবার দোকানে ফেরত দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সেমিনারে তিনি সপ্তম শ্রেণির বই নিয়ে সমালোচনাও করেন। আর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেন। এই ঘটনার পর রোববার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় নিজের ফেসবুকে মাহতাব লেখেন, আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস নিতে না যাই। এপরই এরপর সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এই একই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. সরোয়ার হোসেন।  
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২১

হাতে মদের গ্লাস ও নারী নিয়ে যা জানালেন শিক্ষক আসিফ
শরিফ থেকে শরীফা ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে নিয়ে চারিদিকে তোলপাড় চলছে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঐ শিক্ষকের বেশকিছু পুরনো ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিগুলোতে আসিফকে কয়েকজন মেয়ের সঙ্গে বেশ হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখা যায়। একটি ছবিতে তার হাতে মদের গ্লাস দেখা যায়। সেই ছবিটি নিয়েই তৈরি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।  তবে এ বিষয়ে আসিফ বলেছেন, আমার হাতে যে গ্লাসগুলো নিয়ে কথা হচ্ছে সেটা আসলে আপেল জুস। আপনি যদি ইউনিভার্সিটির ছবি চেক করেন, দেখবেন ওটা আমার স্কলারশিপ পাওয়ার অনুষ্ঠান। ওখানে ওয়াইনের গ্লাসে জুস দিয়েছে। আমি জীবনে অ্যালকোহল টাচ করে দেখিনি।  সম্প্রতি এক লাইভ অনুষ্ঠানে এসে তিনি ওই ছবির বিষয়ে এসব কথা জানান। মেয়েদের সঙ্গে ছবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া পছন্দ করিনা। ছবি তোলার সময়ও দূরত্ব বজায় রাখি। আর ছবির মেয়েগুলোর মধ্যে একজন আমার বোন, আরেকজন আমার খালা। এর আগে গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত এক সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ টাকা দিয়ে বইটি বাজার থেকে কিনতে বলেন। পরে বইয়ের ট্রান্সজেন্ডারের গল্প থাকা দুটি পাতা ছিঁড়ে আবার দোকানে ফেরত দেয়ার পরামর্শ দেন এই শিক্ষক। সেমিনারে তিনি সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই ছিঁড়ে সমালোচনা করেন। আর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেন।    এই ঘটনার পর রোববার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় নিজের ফেসবুকে মাহতাব লেখেন, আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস নিতে না যাই। এপরই এরপর সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০৬

নোয়াখালীতে আলোচিত আসিফ হত্যাকাণ্ড, বন্ধু গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলোচিত ইসমাইল হোসেন আসিফ (২২) হত্যা মামলার অন্যতম এক আসামি ইব্রাহিম খলিল সাগরকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।  শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়ন থেকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইব্রাহিম খলিল সাগর জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নে আবেদ মুন্সী বাড়ির মো. মনির আহমদের ছেলে।  র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত আসিফের সঙ্গে আসামিদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ভিকটিম ও মামলার আসামিরা প্রায়ই একসঙ্গে চলাফেলা করত ও আড্ডা দিত। গত ৯ জানুয়ারি সকাল বেলা সাগর ও ভিকটিম মোটরসাইকেলযোগে বেগমগঞ্জের একলাশপুর গ্রামের ইসমাইল মিস্ত্রি বাড়ির সামনে যায়। পরে মোটরসাইকেল থেকে নেমে হেঁটে মামলার প্রধান আসামি আরিফের ঘরের সামনে গেলে অপর আসামিরা অজ্ঞাত কারণে ভিকটিমকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে  ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভিকটিমের মাথা, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।  তিনি জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা জয়নাল আবেদিন (৬৬) বাদী হয়ে ৮ জন এজাহারনামীয়সহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জন আসামির বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে র‍্যাব হত্যা মামলার ছায়া তদন্তে নেমে অন্যতম এ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।  
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়