• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু, আসামিরা ৩ দিনের রিমান্ডে
সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ৫ আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌথানার উপপরিদর্শক নকীব অয়জুল হক। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা চৌধুরী হিমেলের আদালত প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সদরঘাট ১১ নং পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ-৪ নামে একটি লঞ্চ ও এমভি পূবালী-১ নামে আরও একটি  লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামে আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচ যাত্রী লঞ্চে ওঠার সময় গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে বিআইডব্লিউটিএ। মামলার আসামিরা হলেন, এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৪) এবং এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খান (৭৬)।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩১

শিশু ধর্ষণের চেষ্টা / মামলা করায় বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দিলো আসামিরা
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করায় ভুক্তভোগী পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। আসামিরা বাদির বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী পরিবারটি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালেও কোনো প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। ঘটনাটি ঠাকরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের পাহাড়ভাঙ্গা উত্তর কুড়ালিপাড়া গ্রামের। মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৬ জানুয়ারি বিকেলে পেঁয়ারা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রথম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে বাড়িতে ডেকে নেয় প্রতিবেশী এক কিশোর (১৭)। ঘরে নিয়ে গিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে শিশুটি বাড়িতে ফিরে বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এ ঘটনায় ১৮ জানুয়ারি ওই কিশোরকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা।   পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালতে ওই শিশু শিক্ষার্থী ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার বর্ণনাও করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, আসামি জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পরপরই তার পরিবারের লোকজন মামলাটি আপোসের জন্য চাপপ্রয়োগ করতে থাকে। আপোসে রাজি না হওয়ায় বাড়ির পশ্চিম পাশে যাতায়াতের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। চিলারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক বলেন, মামলার বাদী জানিয়েছে তাদের যাতায়াতের রাস্তা আসামির লোকজন বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি আমরা দেখছি। রাস্তা খুলে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করতেছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য সুচরিতা দেব গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সেই জায়গায় গিয়েছিলাম এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি যে এই জায়গাটি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এলাকাবাসী রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে সরকারি মাটি ভরাট করা হয়েছে। এই মামলার প্রেক্ষিতে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবারটি এখন এক ঘরে হয়ে আছে। এখন পর্যন্ত যেহেতু রাস্তার তারা খুলে দেয় নাই আমরা ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি দেব। খুব তাড়াতাড়ি যেন সেই পরিবারের যাতায়াতের রাস্তাটি খুলে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ওসি ফিরোজ ওয়াহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। আমরাও এ বিষয়টা নিয়ে কাজ করতেছি।  সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আমি সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেব।
০২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়