• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিয়ানমারের আরও ৫ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
কক্সবাজার টেকনাফে খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় তারা সীমান্ত অতিক্রম করে এপারে চলে আসেন।   এ নিয়ে দুদিনে মোট ১৪ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।  তিনি বলেন, সীমান্ত অতিক্রম করে বিজিপির আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। দুদিনে মোট ১৪ জন আশ্রয় নিলেন।  তিনি আরও বলেন, আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাদের আশ্রয় দিয়েছি।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৭

মানুষ বিপদে পড়লে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে, সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সবসময় হয়ে আসছে। এটা প্রতিষ্ঠিত হওয়া একান্ত দরকার।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ বাহিনীকে মানুষের সেবায় আমরা গড়ে তুলছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। করোনায় যখন আত্মীয় স্বজন পাশে ছিল না, পুলিশ ছিল মানুষের পাশে। মৃত লাশ দাফন কাফনের ব্যবস্থাও করেছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগে বাধা দিতে যাওয়ায় পুলিশের ওপরও হামলা হয়েছে। তাদের পিটিয়ে মারা হয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ জীবন দিয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজারবাগে ঢুকে ওই জামায়াত-বিএনপি হামলা করেছে। পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করেছে। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে গিয়েও আমাদের পুলিশ বাহিনী বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অনেকে জীবনও দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বেও শান্তি রক্ষায় তাদের অবদানের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। এ সময় জীবন উৎসর্গকারী নয়জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ৬০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামলূক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ২১০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ পদকে ভূষিত করা হয়। বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা- এই চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যারা এ পদকে ভূষিত হন তাদের নামের শেষে বিপিএম-পিপিএম উপাধি যুক্ত হয়। পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মঅধিবেশনে গত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১০

আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে আর কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ বা আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবিতে ‘মহান একুশে চসিক স্মারক সম্মাননা পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। প্রতি বছর ৩৫ হাজার নতুন রোহিঙ্গা শিশু জন্মগ্রহণ করে। আমাদের পক্ষে আর কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ কিংবা আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সম্প্রতি মিউনিখে সিকিউরিটি কনফারেন্সে আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল আসছে, সেখানে নিশ্চিতভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আলোচনা করব।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে ইতিপূর্বে যে ধরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, আশা করব সেই ধরণের পরিস্থিতি আবার উদ্ভব হবে না। তিনি বলেন, মানবিক কারণে ইতিপূর্বে আশ্রয় দেওয়াদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আমরা কাজ করছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সমস্ত রাষ্ট্রসমূহের সহায়তা কামনা করেছি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি।  অনুষ্ঠানে নানা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী (মরণোত্তর), শিল্প উন্নয়ন ও সমাজসেবায় মো. নাছির উদ্দিন (মরণোত্তর), চিকিৎসায় প্রফেসর ডা. মো. গোফরানুল হক, নাট্যকলায় শিশির দত্ত, সংস্কৃতিতে শ্রেয়সী রায়, শিক্ষায় প্রফেসর প্রদীপ ভট্টাচার্য, সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশ ও মানোন্নয়নে সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ, সাংবাদিকতায় জসীম চৌধুরী সবুজ, ক্রীড়ায় জাকির হোসেন লুলু, স্বল্পদের্ঘ্য চলচিত্র নির্মাণ ও গবেষণায় শৈবাল চৌধুরী, লোকসাহিত্য ও গবেষণায় শামসুল আরেফীন, প্রবন্ধে শামসুদ্দিন শিশির, কবিতায় আবসার হাবীব ও ভাগ্যধন বড়ুয়া, শিশু সাহিত্যে ছড়াকার অরুণ শীল ও  শিবু কান্তি দাশ।  
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৩৯

যে কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় চাইলেন কবীর সুমন 
দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। নিজের শেষ জীবনটা ভালোবেসে বাংলাদেশেই কাটাতে চান এই গায়ক। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নিজের ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্টে এমনটাই জানিয়েছেন সুমন।  শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে থাকার জন্য আশ্রয়ও চেয়েছেন সুমন। এই গায়কের ইচ্ছা, তিনি মারা গেলে তার মরদেহ যেন বাংলাদেশেরই কোনো হাসপাতালে কাজে লাগানো হয়। পাঠকদের সুবিধার জন্য সুমনের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো—   এই কথা আমি আগেও অনেক বার বলেছি। তাও ফের বলছি কারণ আমার কথায় কোনো কাজ হচ্ছে না। এমন নয় যে সনাতনধর্মীয় নামধারী কোনো বঙ্গজ আমাকে সম্মান করেন না। অধিকাংশ সনাতনধর্মীয় বঙ্গজ আমাকে ঢাক পিটিয়ে ঘৃণা করেন, এবং সেটা জাহির করে সনাতনী সুখ পান। আর এক শ্রেণীর সনাতন-বঙ্গজ আছে যারা আমাকে কবীর নামে ডাকতে চায় না। যা দেখেছি এরা ‘বামপন্থী’। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আমার নাম ভারতের সংবিধান মোতাবেক, ঘোষিতভাবে কবীর সুমন। ফার্স্ট নেম কবীর। সার্নেম সুমন।   আমার আয়কর ফাইল, র‍্যাশন কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার আইডি, আধার কার্ড সর্বত্র এই নামটাই আছে। এই নামে আমি ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে মাননীয় সিপিআইএম সদস্য ডক্টর সুজন চক্রবর্তীকে হারিয়ে দিয়ে লোকসভার সাংসদ হয়েছিলাম। ভারতের অন্তর্ভুক্ত পশ্চিম বাংলায় সেটা সকলের জানার কথা। তা সত্ত্বেও সিপিআইএম করা বঙ্গজরা আমায় আমার বর্জিত নামে ডাকেন। শুধরে দিলেও শুধরে নেন না। আর নকশালপন্থী দলের বঙ্গজ নেতাও (নামে সনাতনধর্মীয়) আমাকে ভুলেও কবীর সুমন বলেন না, কবীর তো নয়ই। তিনি অবিরাম সুমন সুমন করে যান। এদিকে সকলেই নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার, ব্যক্তিগত অধিকার বলতে গদগদ। আর একদল আছে, যারা আমায় গানওলা বলে ডাকে। যা বুঝেছি, আমায় নির্দ্বিধায় আমাকে প্রাপ্য সম্মানটুকু দেন যারা, তারা বাংলাদেশের নাগরিক। পশ্চিমবঙ্গের সনাতনধর্মীয় বঙ্গজদের মতো বাংলাদেশের কেউ আমাকে যে কোনো উপায়ে অপমান করে যান না।   আর মাসখানেক পরে আমি ৭৫ পুরো করে ৭৬-এ পড়ব। কলকাতা আমার প্রথম প্রেম। কলকাতা নামটা আমার গানে যতবার এসেছে আর কারও কবিতায় গানে সেটা  আসেনি। আমায় যারা বাঁচিয়ে রেখেছেন তারা সকলেই কলকাতার সনাতনধর্মীয় বঙ্গজ। তাদের ছেড়ে থাকতে পারব না। কিন্তু, কারও কোনো ক্ষতি না করা সত্ত্বেও সমানে অপমানিত হতে হতে এবারে আমি চাইছি এই দেশটা, মায় এই শহরটাও ছেড়ে চলে যেতে। এখানকার সনাতনধর্মীয় বঙ্গজদের মধ্যে অন্তত দুজন ফেসবুকে ঘোষণাও করেছেন— ‘হাসপাতাল থেকে ফিরে না এলেই ভালো হত’। তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু লেখেনি।  আমার শেষ জীবন আমি যদি বাংলাদেশে থেকে আমার মাতৃভাষার সেবা করতে পারতাম, বাংলা খেয়াল শেখাতে পারতাম আমার আজকের স্বাস্থ্য যতটা অনুমতি দেবে ততটা অন্তত। আমি এগনোস্টিক (অজ্ঞেয়বাদী)। মরে যাবার পর কোনো ধর্মীয় শেষকৃত্যের প্রশ্নই উঠবে না। আমার দেহ দান করা আছে। বাংলাদেশে মরলে সেখানকার কোনো হাসপাতালে আমার শরীর কাজে লাগানো যেতে পারে।   আজও আমি ফেসবুকে আমার সম্পর্কে সনাতনধর্মীয় বঙ্গজদের খিস্তি পড়েছি। এতে আমার মধ্যে কোনো উত্তেজনা জাগেনি। এই ‘বিদেশটা’ ত্যাগ করে ভাষা মতিনের দেশে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া, সেই দেশের কাজে লাগার ইচ্ছে জেগেছে। প্রকাশ্যে সাহায্যও আশ্রয় চাইছি।  এই রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমার আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলা খেয়ালকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, রাজ্য ক্লাসিক্যাল মিউজিক কনফারেন্সে আমাকে বাংলা খেয়াল গাইতে দিয়েছেন। এ রাজ্যের একজন শিল্পীও কিন্তু সংহতি জানাননি আমার সঙ্গে। যতদিন বেঁচে থাকব শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব, তার পক্ষে থাকব।  কেউ যদি পারেন আমাকে সাহায্য করুন। জয় বাংলা, জয় বাংলা খেয়াল!  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৮

এবার টেকনাফে আশ্রয় নিলো ৬৪ বিজিপি সদস্য, আরও প্রবেশের আশঙ্কা 
মিয়ানমারে চলমান সংঘাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে এবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে সে দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ ( বিজিপি) ৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে ডুকে পড়েছে। তাদেরকে বিজিবি’র হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তারা প্রবেশ করেন। পরে তাদেরকে নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেন হোয়াইক্যং বিওপি। সীমান্ত পারের লোকজন ও সংশ্লিষ্টরা আরও বেশ কিছু বিজিপি প্রবেশ করবেন বলে আশঙ্কা করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, মিয়ানমারে যেসব ক্যাম্প রয়েছে সেখানে কোনো প্রকার খাদ্যদ্রব্য পৌঁছাতে পারছে না। সেই সঙ্গে বিদ্রোহীদের অব্যাহত আক্রমণে কাবু হয়ে পড়েছেন বিজিপির সদস্যরা। তাই তারা প্রাণ বাঁচাতে এ পারে চলে আসছেন। এই যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিজিপির সদস্যরা প্রবেশ অব্যাহত রাখবেন বলেও ধারণা টেকনাফ সীমান্তে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিজিবি ও গ্রামবাসীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, মঙ্গলবার দিনগত রাতে বেশ গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও বুধবার সকাল থেকেই শান্ত হতে শুরু করে সীমান্ত। বেলা ১১টা নাগাদ মাঝে মধ্যে গুলির আওয়াজ শোনা গেলেও এরপর থেকে হোয়াইক্যং সীমান্ত শান্ত রয়েছে। তবে দুপুরের দিকে সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের ৬৪ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে তাদেরকে বিজিবি নিরস্ত্র করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ভোর থেকে গোল‍াগুলির আওয়াজ শোনা না গেলেও দুপুরের দিকে হঠাৎ করে বেশ কিছু বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বিজিবি রামুর সেক্টর কমান্ডার মেহেদি হাসান বলেন, হোয়াইক্যং পয়েন্ট দিয়ে বুধবার ৬৪ জন বিজিপির সদস্য প্রবেশ করেছেন। তাদেরকে নিরস্ত্র করে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২১

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের আশ্রয় দেওয়ায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে বিএনপি 
মিয়ানমারে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধে পরাস্ত হয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তাপন্থী সীমান্তরক্ষীদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এবং তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের নমনীয়তায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে বিএনপি। একইসঙ্গে দেশের জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে সরকার বিভিন্ন সময় অপচেষ্টা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের। বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধিত্ব করে এসব কথা বলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।  তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া নতুন কোনো ষড়যন্ত্র কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। একদিকে ভারতের সীমান্তে হত্যা, অন্যদিকে মিয়ানমার সীমান্তে সৃষ্ট সংঘাতে বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারে। ব্যর্থতা দূরে রাখতে সরকার নিজেরাই বাহিরের শক্তিকে নিয়ে কোনো পরিস্থিতি তৈরি করছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার। গয়েশ্বর এরপর বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার নিজ অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে ভারত, চীন ও রাশিয়াকে অবৈধ অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা দিয়ে তাদের সমর্থন আদায় করেছে। তিনি যোগ করেন, শুধু ক্ষমতায় থাকতে বারবার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি এমন অসহনীয় থাকলে দেশের অর্থনৈতিক, কূটনীতিকসহ সব খাতে বিপর্যয় হবে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে। বিএনপি আন্দোলন থেকে সরে এসেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলনের গতিবিধি এক থাকে না। বিভিন্ন সময় আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হয়। বিএনপির আন্দোলন চলমান আছে, আন্দোলনের গতি প্রকৃতি শিগগিরই আরও স্পষ্ট হবে। গণতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষের লড়াই চলছে। বিএনপির লড়াই আজ কেবল আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়। এ লড়াই জনবিদ্বেষী সরকারের সব দোসরের সঙ্গে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের। সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইমলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সিরাজুদ্দিন আহমেদ, আবুল খায়ের ভুইয়া, সুকোমল বড়ুয়া, তাহসিনা রুশদির লুনা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুন অর রশিদ প্রমুখ।  
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৩

‘আশ্রয় নেওয়া ২৬৪ জনকে মিয়ানমার ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত’ 
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৬৪ জনকে দেশটি ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।  অবৈধভাবে কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বিষয়টি সত্য নয়। তারপরও সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সে লক্ষ্যে সীমান্তে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবি সদস্যের নির্দেশ দেন তিনি। বিজিবি মহাপরিচালক আজ সকালে কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন বাংলাদেশ—মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনের পূর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।  এরপর বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন এবং পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেন।  এরপর বিজিবি মহাপরিচালক মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের খোঁজখবর নেন। সাংবাদিকদের বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ২৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় এবং আহতদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১১

মিয়ানমারের ১৪ সীমান্তরক্ষী আশ্রয় নিয়েছে তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকার বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের ১৪ সীমান্তরক্ষী। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শূন্যরেখা পেরিয়ে তুমব্রু ক্যাম্পে আশ্রয় নেন তারা। এর আগে সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন এক বাংলাদেশি। তুমব্রু কোনার পাড়ার বাসিন্দা ভুলু বলেন, রাত ১১টার দিকে মর্টারশেলের বিস্ফোরিত অংশ আমার ঘরের চাল ভেদ করে ভেতরে পড়েছে। একটুর জন্য আমাদের পরিবার প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। আমরা খুব ভয়ে আছি, ঘরেও নিরাপদে থাকতে পারছি না। ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ভোর থেকে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। এতে বিকট শব্দে কেপে উঠছে, ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তবর্তী এলাকা। এলাকাবাসীদের বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৮

আর একজন রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দেবে না বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে আর একজন  রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দেওয়া হবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাবেক ব্রিটিশ এমপিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি।  মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই সেখানকার একমাত্র সমাধান বলে তাদের জানিয়েছি। বাংলাদেশ আর একজন রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দেবে না। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে ক্ষমতাসীন জান্তার সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। উদ্বিগ্ন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মিয়ানমারের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটছে। বাংলাদেশেও প্রবেশের চেষ্টা করছে তারা। এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে নেতিবাচক প্রভাব রাখবে। সীমান্তে আমাদের বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি রাখাইন রাজ্যের পালেতওয়া শহরটি দখলে নেওয়ার দাবি করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। গতকাল শুক্রবার আরাকান আর্মি জানায়, তারা রাখাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দনগরী পাকতাও দখল করে নিয়েছে। এরপর থেকেই মূলত সেনাবাহিনী ও আরাকার আর্মির সঙ্গে তুমুল লড়াই শুরু হয়। আরাকান আর্মি এখন পুরো রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। 
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৩

৭ তারিখ নৌকায় ভোট দিয়ে পুনরায় আশ্রয় দেবেন : শাহজাহান ওমর
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধকালে সম্মুখযুদ্ধে পাকবাহিনীর গুলিতে আহত হয়েছিলাম। তখন আপনাদের এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এখন আবার আপনাদের কাছে এসেছি; আহত নয়, সুস্থ-সবল ব্যক্তি হিসেবে। আবার আহত হব যদি ৭ তারিখে আপনারা নৌকায় ভোট না দেন। ৭ তারিখে নৌকায় ভোট দিয়ে পুনরায় আশ্রয় দেবেন। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে রাজাপুর উপজেলার নিজগালুয়া-জীবনদাশকাঠি এলাকার পথসভায় এসব কথা বলেন শাহজাহান ওমর। শাহজাহান ওমর বলেন, ৫২ বছর আগে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এ এলাকাই আমার বিপদের মাঠ, সংগ্রামের মাঠ, মুক্তিযুদ্ধের মাঠ। অনেক স্মৃতিবিজড়িত এলাকা। এ এলাকার মানুষ সচেতন ও সক্ষম। তাদের কাছে আমার বলার তেমন কিছুই নেই। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খায়রুল আলম সরফরাজসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়