• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মেয়র-সায়মা ওয়াজেদ বৈঠক / ডিএনসিসির স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ডিএনসিসির প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন সায়মা ওয়াজেদ। রোববার (২৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় সায়মা ওয়াজেদকে অভিনন্দন জানান। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নাগরিকদের নিজস্ব সক্ষমতায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে এডিবির (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) সহায়তায় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি ওয়ার্ডে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি আগামী এক বছরের কম সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঢাকা শহরে প্রতিদিনই নদীভাঙা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে অর্থায়ন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি, জনবল ইত্যাদি নানাবিদ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উন্নয়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা কামনা করেন। এ সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ডিএনসিসির প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উন্নয়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কারিগরি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বার্ধন জং রানা, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী এবং ডিএনসিসি মেয়রের উপদেষ্টা ইমরান আহমেদ।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩২

জিম্মি নাবিকদের খাবারের অভাব হবে না, জলদস্যুদের আশ্বাস
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ৩৫ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। যখন জাহাজটি এ দুর্ঘটনায় পড়ে তখন সেটিতে ২৫ দিনের খাবার ও পানি মজুত ছিল। গত ১০ দিন সেই খাবার ও পানিতে ভাগ বসায় জলদস্যুরা। ফলে দ্রুত সেগুলো শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছিল নাবিকরা। এ খবরে তাদের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। জাহাজ জিম্মির ৮ দিন পেরোনোর পর বুধবার (২০ মার্চ) জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দূর হয় সেই উৎকণ্ঠা। কারণ, জিম্মি নাবিকদের খাবার ও পানির অভাব হবে না বলে জানিয়েছে দস্যুরা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষের মুখপাত্র ও কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, নাবিকদের সঙ্গে আমাদের আজও যোগাযোগ হয়েছে। জিম্মি থাকলেও তারা সবাই সুস্থ আছেন। এখন জাহাজে যে খাবার ও পানি আছে, তা বেশি দিন যাবে না। কিছুদিনের মধ্যে এটা ফুরিয়ে যাবে। তবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে জলদস্যুরা উপকূল থেকে এনে প্রয়োজন মেটাবে বলে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মিজানুল ইসলাম বলেন, সোমালিয়া উপকূলে জিম্মি থাকা অনেক জাহাজকে এক বছরও অপেক্ষা করতে হয়। এটা নির্ভর করে অনেক কিছুর ওপর। তখনও কেউ খাবার ও পানির কষ্ট করে না। জলদস্যুরা নিজ দায়িত্বে এটার ব্যবস্থা করে। তারপরও আমরা বিকল্প পথে এগোচ্ছি। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে খাবার ও পানির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। এদিকে জিম্মি জাহাজে খাবার ও পানি পাঠাতে কেনিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের সাহায্য চেয়েছে মালিকপক্ষ। সেই সঙ্গে কয়েকটি বীমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে তারা। তবে জলদস্যুরা সরাসরি যোগাযোগ করায় বিষয়টি সহজ হয়েছে। এর আগে গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে ৩৫ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর মাস থেকে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। এ যাবত ২০টিরও বেশি আক্রমণ চালিয়েছে তারা। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রমণে সফলও হয়েছে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা।
২২ মার্চ ২০২৪, ০২:২৫

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা  / সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস উপাচার্যের
শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। শনিবার (১৬ মার্চ) মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ আশ্বাস দেন। শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে যৌন হয়রানি ও মানসিক চাপের অভিযোগ তুলে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান তিনি। অবন্তিকার এই মৃত্যুর খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস। শুক্রবার রাত থেকেই ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দীকির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ তুলে তাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এরপর উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম কথা বলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।  উপাচার্য তাদের বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি তদন্ত কমিটি সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। তাছাড়া এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ঘটা ঘটনারও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আর আমার হাতে যত আইন আছে, সব আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করবো।’ এ সময় শিক্ষার্থীরা তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডিরও তদন্ত এবং দোষীদের দ্রুত আটক করার দাবি জানান। তখন উপাচার্য তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডির তদন্তের আশ্বাস দেন। অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘পূর্ববর্তী যত যৌন হয়রানির ঘটনার অভিযোগ আছে, সবগুলো আগামী সিন্ডিকেটে তুলে বিচারের আওতায় আনা হবে। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল দায়িত্ব থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’ উপাচার্যের আশ্বাসের পরও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে নিজের আত্মহত্যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে গলায় ফাঁস নেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। পরে কুমিল্লার বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড়ের নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অবন্তিকার মরদেহ উদ্ধার করে।  
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৭

অগ্নিকাণ্ডের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস আইনমন্ত্রীর
অগ্নিকাণ্ডের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত শেষে আদালতে মামলা শুরু হলে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রসিকিউশনকে যে নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন, সেটা দেওয়া হবে। এ সময় মামলা জট নিরসনের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, বক্তব্যের শুরুতেই ডিসিদের কাছে মামলা জটের বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি। মামলা জট নিরসনের জন্য তারা যেন সহযোগিতা করে। বাজার ব্যবস্থার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, পণ্য মজুত করে কেউ বাজার অস্থিতিশীল করলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য ১৯৭৪ সালে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট করা হয়েছিল। কেউ বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিসি সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্ত্যব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যারা গুজব ছড়ায় তাদেরকে চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে থাকছে ৩৫৬ প্রস্তাব। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২২টি প্রস্তাব পড়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে। সম্মেলনে সর্বমোট অধিবেশন ৩০টি। এরমধ্যে কার্য-অধিবেশন ২৫টি।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৫

শিক্ষক প্রশিক্ষণে আরও বেশি সহায়তার আশ্বাস এডিবির
শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে আরও বেশি সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন এডিবির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মহাপরিচালক (ডিজি) তাকিও কনিশি। তিনি বলেন, কারিগরি ও সাধারণ ধারার মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং গতিশীল শিক্ষা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বর্তমান সরকার গতানুগতিক শিক্ষাক্রমের পরিবর্তে দক্ষতানির্ভর এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করেছে। নতুন শিক্ষাক্রম দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা মোকাবিলা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর শিখন অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে এডিবি ভূমিকা রাখতে পারে। এর আগে এডিবির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ইডিমন গিন্টিং।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৫

গ্যাস সংকট থাকবে না, আশ্বাস তিতাসের
শীত আসতেই গ্যাস সংকটে রাজধানীবাসী। রান্না করতে গিয়ে পড়ছেন বিপাকে। বাধ্য হচ্ছেন সিলিন্ডার বা লাকড়ির চুলা ব্যবহার করতে। গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। তবে,  এই সমস্যা সাময়িক জানিয়ে চলতি সপ্তাহ শেষে এই গ্যাস সঙ্কট থাকবে না বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তিতাসের পক্ষ থেকে। বেশ কিছু দিন ধরেই তীব্র গ্যাস সংকটে দিন পার করছেন রাজধানীবাসী। তারা বলছেন, সময় মতো রান্না করতে না পারায় ব্যাঘাত ঘটছে পুরো পরিবারের খাওয়া-দাওয়ায়। বাধ্য হয়ে অনেকে ব্যবহার করছেন সিলিন্ডারের গ্যাস। সিলিন্ডার বিক্রেতারাও বলছেন চাহিদা বেড়েছে তাদের পণ্যের। অথচ মাসের পর মাস তিতাসকে গুনতে হচ্ছে বিল। রাজধানীর হাতিরপুল এলাকার এক নারী বলেন, গরমের দিনেই গ্যাস সংকট থাকে। শীতে এ সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। দিনে রান্না করা খুব সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকাল ৭টার দিকেই গ্যাস চলে যায়। দুপুরের পর কিছুটা পাওয়া যায়। এরপর সন্ধ্যার পর গ্যাস সরবরাহ মোটামুটি ঠিক থাকে।   কাঁঠালবাগানের আরেক নারী বলেন, কোথাও কোথাও একটু একটু গ্যাস আসে। কোথাও তো একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার গ্যাসে রান্না করতে হচ্ছে। সিলিন্ডার বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সময় বেশিরভাগ বাসাতেই গ্যাস থাকে না। সেই হিসাবে সিলিন্ডারের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। এদিকে আয় ব্যায়ের হিসাব মেলাতে না পেরে সিলিন্ডার কিনতে পারছেন না অনেকেই। তাদের ভরসা লাকড়ির চুলা। এক নারী বলেন, সকাল বা বিকেল কখনোই গ্যাস পাচ্ছি না। অন্তত এক বেলা পেলেও তো রান্না করে খাওয়া যায়। সব সময় লাকড়ি দিয়ে রান্না করাও সম্ভব না। গ্যাস বিল তো ঠিক মতোই দিচ্ছি। কিন্তু গ্যাস তো ঠিক মতো পাচ্ছি না। আবাসিকে গ্যাস সঙ্কটের কথা স্বীকার করছে তিতাস। তাদের দাবি, শীতে সঞ্চালন লাইনে সমস্যার কারণেই এই সঙ্কট। এ মাসের ১৯ তারিখের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস তাদের। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশীদ মোল্লাহ সময় সংবাদকে বলেন, এ সমস্যা সাময়িক। আগামী ১৮ বা ১৯ তারিখের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এতে ১৯ তারিখ থেকে গ্যাস সরবরাহ বাড়বে। তখন এত সমস্যা থাকবে না।  
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়