• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘মানুষ যে আশা নিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিল, তা আজও পূরণ হয়নি’
১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল, তা আজও পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ এ জাতি শুরু থেকেই অধিকার আদায়ের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। ১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল, তা আজও পূরণ হয়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশে অরাজকতা কায়েম করা হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রপতি জিয়ার হাত দিয়ে, তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন। সেটিও আজকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ চালু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা ও নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে অমানবিক হয়রানি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। নজিরবিহীন দুর্নীতি, সীমাহীন নির্যাতন ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।  বাণীতে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এই মহান দিনে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, দলমত নির্বিশেষে ইস্পাত দৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই দেশবিরোধী-গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে অপসারিত করে জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৬

অপহৃত নাবিকদের উদ্ধারে অচিরেই সুসংবাদ পাওয়ার আশা নৌপ্রতিমন্ত্রীর
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকার কূটনৈতিক চ্যানেলে কাজ করছে। আমাদের ডিপ্লোমেটিক যে চেইনগুলো আছে, সেগুলোতে যোগাযোগ করা হচ্ছে। জলদস্যুদের হাত থেকে জাহাজ উদ্ধার করার জন্য পৃথিবীর অনেকগুলো সংস্থা ও গ্রুপ কাজ করে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অচিরেই ফল আসবে বলে আশা করা যায়। সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।    নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিম্মি জাহাজের নাবিকরা এখনো নিরাপদে আছেন। তাদের উদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকটি মাধ্যমেই চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে দস্যুদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি। যেহেতু জিম্মিকারীদের সঙ্গে ডিল করতে হবে, উদ্ধার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।  আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নাবিকরা অনেক অভিযান করে। সেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীর টহল রয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করে। এই ধরনের ঘটনা যখন ঘটে তখন বিভিন্ন ধরনের আলোচনা আসে।  এর আগে, রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) প্রধান কার্যালয় ফেয়ারলি হাউজে ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা দেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। 
১৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৬

বড় পর্দায় পা রাখছেন কিংবদন্তি আশা ভোঁসলের নাতনি
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারকা পরিবারের সন্তানরাও তাদের দেখানো পথেই হাঁটেন। সেই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে রুপালি পর্দায় পা রেখেছেন সুহানা খান, খুশি কাপুর, সারা আলী খান, সোনম কাপুরসহ আরও অনেকেই। এবার শোবিজে পা রাখতে যাচ্ছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলের নাতনি ভোঁসলে ডেবিউ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাতনির রুপালি পর্দায় অভিষেকের বিষয়টি একটি পোস্টের মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন আশা ভোঁসলে। তবে কোন সিনেমায় ও কোন চরিত্রে দেখা যাবে ভোঁসলে? এমন প্রশ্ন রীতিমতো রহস্যে্র জট বেঁধেছে গায়িকার ভক্তদের মনে। এক্স হ্যান্ডলে আশা ভোঁসলে লেখেন, আমার নাতনি ভোঁসলে আসন্ন গ্র্যান্ড এপিক ‘দ্য প্রাইড অব ভারত ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখতে দেখে আমি ভীষণ আনন্দিত। আমি আশা করি সিনেমার ইতিহাসে ও নিজের প্রত্যাশিত স্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে এবং ওকে ও সন্দীপ সিংকে শুভেচ্ছা জানাই। সিনেমাটি নির্মাণ করবেন পরিচালক সন্দীপ সিং। তিনি বলেন, ভোঁসলের সঙ্গে কাজ করতে পারার জন্য আমি অত্যন্ত সম্মানিত এবং সম্পূর্ণভাবে সৌভাগ্যবান বোধ করছি। লতা মঙ্গেশকরজী-আশা ভোঁসলেজির নাতনি তিনি। তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি নাচেও বেশ পারদর্শী। আশা করছি ‘রানি সাই’ চরিত্রটি তিনি সুন্দরভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।  প্রসঙ্গত, ‘দ্য প্রাইড অব ভারত ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ’ সিনেমার জন্য বিশাল আকারে সেট তৈরি হচ্ছে। এটি ২০২৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা। কারণ এদিন দিন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ জয়ন্তী।   সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস    
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৬

৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলার আশা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে ২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। রোববার (১০ মার্চ) ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উপলক্ষে শনিবার (৯ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরের মতো দেশব্যাপী ১০ মার্চ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়ব, স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ব’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেকসই ও সমন্বিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে আগাম সতর্কবার্তা উপকূলীয় এলাকার জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে তিনি দুর্যোগ মোকাবিলার উন্নত টেলিযোগাযোগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। জাতির পিতা ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় সেই সময় উপকূলীয় অঞ্চলে ১৭২টি উঁচু মাটির কিল্লা তৈরি করেন, যা ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত। সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সরকারের দুর্যোগ নিয়ে পূর্বপ্রস্তুতি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে দুর্যোগে প্রাণহানি এক ডিজিটে নামিয়ে আনা সক্ষম হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় চিরাচরিত ‘দুর্যোগ পরবর্তী সাড়াদান ব্যবস্থাপনা’ থেকে ‘আগাম ব্যবস্থাপনা’ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমেছে। আমরা ‘মুজিব কিল্লা’কে সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করে মানব ও প্রাণিসম্পদের জন্য নিরাপদ ও টেকসই আশ্রয়স্থল করেছি। একইভাবে পুরুষের সঙ্গে নারী স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্ত করে আধুনিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। আমরা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিতে (সিপিপি) নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছি। ফলে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ব্যবস্থাপনায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ কারণে জেন্ডার রেসপনসিভ ক্যাটাগরিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্মানসূচক জাতিসংঘ জনসেবা পদক-২০২১ অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিনিয়োগ, দুর্যোগের পূর্বাভাস ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন, নতুন বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং দুর্যোগের প্রস্তুতি ও উদ্ধার কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবীদের নিবেদিত প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যেকোনো দুর্যোগে প্রাণহানির সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে, যা পরিসংখ্যানগত তথ্য বিশ্লেষণ করলে উপলব্ধি করা যায়। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোনে প্রাণহানির সংখ্যা ১০ লাখ জন, ১৯৯১ সালের সাইক্লোনে প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার জন, ২০০৭ সালের সাইক্লোন সিডরে তিন হাজার ৬৬৩ জন, ২০০৮ সালের সাইক্লোন আইলায় ১৯০ জন, ২০১৬ সালের সাইক্লোন রুয়ানুতে ২৭ জন, ২০১৯ সালের সাইক্লোন বুলবুলে ২৪ জন, ২০১৯ সালের সাইক্লোন ফণিতে আট জন, ২০২০ সালের সাইক্লোন আম্ফানে আটজন, ২০২১ সালের সাইক্লোন ইয়াসে সাতজন, ২০২২ সালের সাইক্লোন সিত্রাংয়ে একজন এবং ২০২৩ সালের সাইক্লোন মোখায় মৃতের সংখ্যা শূন্য। বাংলাদেশের এই ক্রমোন্নয়ন ‘সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন’ এর শর্ত শতভাগ অর্জন করেছে এবং বিশ্বব্যাপী বিপুলভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একটি শক্তিশালী ও কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সময়োপযোগী আইন, বিধি পরিকল্পনা, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের ওপর গুরুত্বারোপ করে ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
১০ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৯

এখনও সিরিজ জয়ের আশা স্টোকসের
জয়সওয়ালের অপরাজিত ২১৪ রানে ভর করে ইংল্যান্ডকে ৫৫৭ রানের পাহাড়সমান লক্ষ্য দিয়েছিল ভারত। তবে ভারতীয় স্পিনারদের তোপের মুখে দাঁড়াতেই পারেনি ইংলিশ ব্যাটিং লাইন-আপ। জাদেজার ফাইফারে ১২২ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৩৪ রানের জয়ের স্বাদ নেয় স্বাগতিকরা। তবে রাজকোট টেস্টে রীতিমতো উড়ে যাওয়ার পরও সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে আশাবাদী বেন স্টোকস।  ইংলিশ অধিনায়কের বিশ্বাস, সিরিজে বিজয়ী হিসেবে শেষ করাটা এখনও সম্ভব। ইংলিশ অধিনায়কের ভাষ্যমতে, আমরা জানি যে কিছু বিষয় সবসময় আপনি যেভাবে চান, সেটা ঠিক সেভাবে কাজ করে না। তবে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও এখনও দুটি ম্যাচ বাকি আছে। তাই আমাদের কাছে সামনে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হিসেবে ফেরার একটি দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের মন্তব্য, আরও বড় ইনিংস খেলা উচিত ছিল তার।  বেন স্টোকসের মতে, আমার মধ্যে একটা অবিশ্বাস্য বিশ্বাস ছিল যে আমি এটা (বড় ইনিংস খেলা) করতে পারি। ঠিক যেভাবে আমার দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের ওপর অবিশ্বাস্য বিশ্বাস আছে যে, তাদের দিনে, তারা আমাদের জন্য ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমরা তৃতীয় দিনের শেষের দিকে বোলিং করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কিছু ব্যাপার এমনই হয়। সব সময় কিছুই আপনার পক্ষে যায় না।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২০

আ.লীগকে সরিয়ে আবারও নির্বাচনের আশা মঈন খানের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আওয়ামী লীগকে সরিয়ে পুনরায় নির্বাচন করা হবে। ৭ জানুয়ারি শুধু বিএনপি ভোটাররা নয়, আওয়ামী লীগের ভোটাররাও ভোট দেননি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে প্রহসন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তাঁতী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার অংশ হিসেবে সরকার বিএনপিকে নিষিদ্ধের অপচেষ্টা করছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার খেলায় মেতেছেন। এজন্য বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছেন তারা। ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্রকে হরণ করেছে অভিযোগ করে ড. মঈন খান আরও বলেন, রাজপথের আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে; আওয়ামী লীগকে সরিয়ে পুনরায় নির্বাচন হবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪১

আশা হোম কেয়ারের সাফল্যের ৬ বছর 
সাফল্যের ৬ বছর পূর্ণ করেছে আশা হোম কেয়ার ও আশা সোশ্যাল অ্যাডাল্ট ডে কেয়ার।  জনপ্রিয় এ দুটি প্রতিষ্ঠানের ৬ বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আশা পরিবার। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন আশা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আকাশ রহমান। অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার আকাশ রহমান বলেন, নিউইয়র্কে হোম হেলথ কেয়ার সেবায় বাংলাদেশি কমিউনিটির সর্বাধিক জনপ্রিয় এ দুটি প্রতিষ্ঠান স্বল্প সময়ে দ্রুত প্রসার লাভ করেছে। নিউইয়র্ক থেকে বাফেলো। লং আইল্যান্ড থেকে স্টেটেন আইল্যান্ড। কমিউনিটির সিনিয়রদের ঘরে বাইরে হোম কেয়ার ও ডে কেয়ার সেবায় সুনামের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে আশা পরিবার। অতি স্বল্প সময়ে সফলতার জন্য নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ইঞ্জিনিয়ার আকাশ রহমান আরও বলেন, আশা হোম কেয়ার সেবার মানে অতি স্বল্প সময়ে অর্জন করেছে নিউইয়র্ক স্টেট, নিউইয়র্ক সিটি স্বাস্থ্য বিভাগের সফল সম্মাননা। পেয়েছে বৃহত্তর লং-টার্ম কেয়ার এনথেম ব্লুক্রস অ্যাওয়ার্ড, এশিয়ান আমেরিকান চেম্বার অ্যাওয়ার্ড, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি মেরিট সার্টিফিকেট, কুইন্স কাউন্টি বেস্ট বিজনেস অ্যাওয়ার্ডসহ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের বহু সম্মাননা সনদ। সিডিপেপ ও পিসিএ হোম হেলথ কেয়ার সেবায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রথম সারির হোম কেয়ারে স্থান করে নিয়েছে আশা হোম কেয়ার। এ সময় নিউইয়র্কে কমিউনিটির সার্বিক সহায়তায় দিন দিন ব্যবসা প্রসারে এগিয়ে যাওয়ার ৬ বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জ্যামাইকা আশা সোশ্যাল অ্যাডাল্ট ডে কেয়ারে সিনিয়র সেবাগ্রহীতাদের নিয়ে কেক কাটেন আশা হোম কেয়ারের কর্ণধার আকাশ রহমান। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ফেয়ার মেরিনায় অনুষ্ঠিত হবে ৬ বছর পূর্তির আরেকটি আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেবেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির সিনিয়র, মূলধারার প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।  অনুষ্ঠানে অতি স্বল্প সময়ে সফলতার জন্য নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান আশা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আকাশ রহমান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ঈশা রহমান।  তারা জানান, কমিউনিটির সেবায় আগামীতে নিজস্ব নার্সিং সেন্টার, থেরাপি সেন্টার, পিসিএ ট্রেনিং স্কুল ও সর্বাধুনিক নিজস্ব ডে কেয়ার ভবন স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে আশা পরিবার। 
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:২১

প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখলো সিলেট
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না দলটির। চরম নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো তারা। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৩ রান তুলে খুলনা। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে সিলেট। আসরে টিকে থাকতে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৩ রানেই উইকেট হারায় বন্দরনগরীর দলটি। ১৩ রানে ফেরেন ওপেনার সামিত প্যাটেল। এরপর দ্রুতই ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। এই দুই ব্যাটার ফেরার পর হ্যারি টেক্টরকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। তবে খানিকটা আগ্রাসী ইঙ্গিত দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মিঠুনও। মার্ক দেয়ালের বলে আউট হওয়ার আগে খেলেন ২৪ রানের এক ইনিংস।  দলপতি ফিরলেও জয়ের আশা ঠিকই জিইয়ে রাখেন টেক্টর। নিজের ফিফটি তুলে নিয়ে দলের জয়ের পথ আরও সহজ করেন আইরিশ এই ব্যাটার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ বলে ৬১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর বাকি কাজটা সারেন রায়ান বার্ল। তার ১৬ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট। এর আগে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৯ রানেই ধাক্কা খায় খুলনা। ১০ বলে ১২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার লুইস। এরপর তিনে নেমে দলের হাল ধরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে দলীয় ৫০ পার হওয়ার পরই ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৩ বাউন্ডারিতে ১৬ বলে খেলেন ২৪ রানের কার্যকরী এক ইনিংস।  চারে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়ও। ৬ বলে ১ রানে টপ-অর্ডার এই ব্যাটার ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে খুলনা। সেখানে একপ্রান্ত আগলে রেখে চাপ সামাল দেন দলপতি বিজয়। দলপতির সঙ্গে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন তরুণ সোহান। সাবধানী ব্যাটিংয়ে দ্রুতই চলতি আসরের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন বিজয়। অর্ধশতক হাঁকালেও কিছুটা ধীরগতির ইনিংস সাজান তিনি। তবে খুলনার সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেন সোহান। উইকেটে খানিকটা থিতু হয়েই বেনি হাওয়েলের এক ওভারে জোড়া ছক্কা হাঁকান হাবিবুর। তানজিমের করা পরের ওভারে আরও দুটি বাউন্ডারির মালিক বনে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ৯৯ রানের জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে খুলনা। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ বলে বিজয় ৬৭ এবং ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩০ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। সিলেটের হয়ে সামিত প্যাটেল, সানজামুল ইসলাম ও বেনি হাওয়েল একটি করে উইকেট শিকার করেন।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২১

রপ্তানি খাত / আশা জাগিয়েও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির বৃত্তে আটকে যাওয়ার শঙ্কা 
বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনেও দেশের রপ্তানি খাতে সুবাতাস ছিল জানুয়ারিতে। হতাশার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে নতুন আশার আলো দেখতে পাচ্ছিলেন দেশের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা। কিন্তু হঠাৎ করেই সরকারের প্রণোদনা কমানোর ঘোষণায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের কপালে। আশা জাগিয়েও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির বৃত্তে আটকে যাওয়ার শঙ্কা পেয়ে বসেছে রপ্তানিকারকদের।  চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জনে বাকি ৫ মাসে রপ্তানি করতে হবে রেকর্ড ৫৭৫ কোটি ডলার হারে। যাকে একরকম অসম্ভব বলছেন উদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকরা। এ অবস্থায় তৈরি পোশাক, চামরাসহ বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা কমানোর আকস্মিক ঘোষণা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।  ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈশ্বিক টানাপোড়েন, অভ্যন্তরীণ সংকট আর হঠাৎ করেই প্রণোদনা কমানোর ঘোষণা-সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তার ঘেরাটোপে পড়ে গেছে দেশের রপ্তানি খাত।  তবে এমন অবস্থার মধ্যেও জানুয়ারিতে সেই ছাপ পড়েনি এই খাতে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে আয় এসেছে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি ডলার। যা বছর ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ। তবে বাকি ৫ মাসে এই খাতের লক্ষ্যমাত্রা কতটা অর্জিত হবে, তা নিয়ে সন্দিহান উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কাস্টমস জটিলতা এবং গ্যাস সংকট-এই দুটিই হচ্ছে আমাদের আমদানি-রপ্তানির জন্য প্রধান বাধা। ইতোমধ্যে পোশাক খাতে নগদ সহায়তা কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি। এতে আমাদের ওপর দুশ্চিন্তার চাপ বেড়েছে। হঠাৎ করে আশা জাগিয়ে লম্বা সময় ধরে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির বৃত্তে আরেক সম্ভাবনার খাত হোমটেক্সটাইল। সবশেষ অর্থবছরে রপ্তানি আয় শত কোটি ডলার ছাড়ালেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রপ্তানি হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার এক-তৃতীয়াংশ। অন্যদিকে, দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত চামড়া ও চামড়াজাতপণ্যেও ঠেকানো যাচ্ছে না প্রবৃদ্ধির পতন। লেদার ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস সোসাইটির সভাপতি এ কে এম মুশফিকুর রহমান মাসুদ বলেন, ডলার সংকটের কারণে অনেক সময় আমরা আমদানি করতে পারি না। বাজারে কেমিক্যালসের দাম বেশি থাকে। ফলে চামড়ার খরচ বেড়ে যায়। ক্রেতার টার্গেট পূর্ণ করতে পারি না। ফলস্বরূপ ক্রয়াদেশ বাতিল করতে হয়।  প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রপ্তানির লক্ষ্য ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার। যা অর্জনে বাকি ৫ মাসে আয় করতে হবে ৫৭৫ কোটি ডলার হারে। অথচ গেলো ৭ মাসের গড় রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ৪৭৫ কোটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ছাড়া অসম্ভব এই অর্জন। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ডলারে সরবরাহ নিশ্চিত রাখতে হবে। যাতে আমদানিকারকদের আমদানি ব্যাহত না হয়। একইসঙ্গে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে। যাতে রপ্তানিকারকদের উৎপাদন ব্যাহত না হয় এবং নিয়মিত রপ্তানি করতে পারেন।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৬

‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ শুরুটা আশা জাগানিয়া
আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনি ইশতেহার ছিলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের। ১১ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর উদ্যোগ ও বক্তব্য বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শুরুটা বেশ আশা জাগাচ্ছে। এখন দরকার ধারাবাহিকভাবে কাজগুলো করে যাওয়া।  বনভূমি উজাড়ের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন প্রথম দিকে হওয়ার কথা বেশকিছুদিন ধরে নানা জায়গায় উদ্ধৃত হলেও এবারই জোরেশোরে সরকারি বক্তব্য পাওয়া গেলো। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানই বন ধ্বংস করে প্রকল্প বাস্তবায়নের করার চেষ্টা করে বলে স্বীকার করলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বললেন, দখল হওয়া আড়াই লাখ একর বনভূমির মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিটাও উদ্ধার করা হবে বলে জানালেন মন্ত্রী। সরকারি হিসেবে এক লাখ ৬০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রায় আড়াই লাখ একর বনভূমি দখল করে রেখেছে। যেখানে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯৩ হাজার ৯২৩ একর বনভূমি। নির্বাচনের পর হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক বলে গত ২২ জানুয়ারি মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এর পেছনে কারা, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। অস্বাভাবিকভাবে দুরভিসন্ধিমূলক মজুদ করলে তাদের খুঁজে বের করে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেলে দিতে হবে। মানুষের খাদ্য নিয়ে খেলা মেনে নেওয়া হবে না। কেউ কালোবাজারি বা জিনিস মজুদ করলে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে, প্রয়োজনে প্রশাসনকে জানাতে হবে।সেদিন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের এবার ইতিহাস তৈরি হয়েছে। ১৯৭৫ এর পর প্রতিটি নির্বাচন সম্পর্কে জানা আছে। মানুষের ভোট-ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। তার আগের দিন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা। আন্তঃমন্ত্রণালয় এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও বৈঠকে অংশ নিয়েছে। বৈঠকে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করা এবং প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করা নিয়ে কর্মকৌশল ঠিক করা হয়। এদিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রথমদিনেই বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না এবং বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। তিনি বলেন, “মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে।” মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, যারা সাম্প্রদায়িক মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করে তারা নিজেদের জন্য গণতন্ত্র চায়, কিন্তু তারা অন্যদের গণতান্ত্রিক অধিকার দিতে চায় না। মৌলবাদ ও ধর্মান্ধতা গণতন্ত্রবিরোধী।” তিনি বলেন, প্রথমে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে, তারপর গণতন্ত্রের সন্ধান করতে হবে। সাবেক কূটনীতিক মুন্সি ফয়েজ মনে করেন এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়। তিনি বলেন, নির্বাচন হয়ে গেছে, বাইরের দেশগুলো যাকিছু চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে সেগুলো এখন আর থাকবে না। ফলে এখন সরকার যদি তার কাজের জায়গাগুলো ধরে এগিয়ে যায় তাহলে সেটাই এই জয়ের প্রধান লক্ষ্য। 
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়