• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গভীর রাতে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আশঙ্কাজনক স্বামী 
পূর্ব শত্রুতার জেরে লক্ষ্মীপুরে জোৎসনা আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে ‍কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলায় আহত স্বামী আলা উদ্দিনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের মেঘনা বাজার এলাকার নুরুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলাউদ্দিন মৃত শাহে আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী।  অভিযুক্তরা হলেন ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী বকুলের বাপের বাড়ির আবদুর ররের ছেলে সিরাজ, মাহফুজ ও নিজাম। তারা সম্পর্কে আলাউদ্দিনের খালাতো ভাই। আহত আলাউদ্দিনের মামা নুরুল হক ও স্বজনরা জানান, রমজান মাসে আলাউদ্দিনের ঘরের পাশে একটি পুকুরে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সিরাজ। এরপর গত সপ্তাহে ওই পুকুরে আবারও পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচ পাম্প বসায় সিরাজ। এতে বাড়ি-ঘর পুকুরে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বাধা দিলে আলাউদ্দিনের সঙ্গে সিরাজের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়  সিরাজ। এরইমধ্যে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন সিরাজের ভাই পারভেজ ও নিজাম। ওই বিরোধের জেরেই রোববার রাতে আলাউদ্দিনের ঘরে হামলা চালিয়ে তাকে ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জোৎসনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় আলা উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই জোৎসা বেগমের মৃত্যু হয়। তবে স্বামী আলাউদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৭

মিরপুরে বিস্ফোরণ / দগ্ধ ৬ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক
রাজধানীর মিরপুরে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ একই পরিবারের ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, দগ্ধদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এরমধ্যে দুজন এইচডিইউতে, একজন আইসিইউতে। বাকিদের রেড ইউনিটে রাখা হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে মিরপুরের ভাসানটেকের একটি বাসায় বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, পরিবার নিয়ে ওই বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন ফার্নিচার ব্যবসায়ী লিটন মিয়া। শুক্রবার ভোরে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। এতে নারী-শিশুসহ ওই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়। দগ্ধরা হলেন মেহরুন্নেছা (৬৫), সূর্য বানু (৩০), লিজা (১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৯) ও মো. লিটন (৫২)। এরমধ্যে মেহরুন্নেসার ৪৭ শতাংশ, সূর্য বানু ৮২ শতাংশ, লামিয়া ৫৫ শতাংশ, মো. লিটন ৬৭ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ এবং সুজনের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৯

সাভারে ৫ গাড়ির আগুনে নিহত বেড়ে দুই, তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক 
সাভারের হেমায়েতপুরে তেলের লরি উল্টে পাঁচটি গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে আরও এক দগ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হলো এ দুর্ঘটনায়। এ ছাড়া দগ্ধ বাকি ছয়জনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র।  এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হেমায়েতপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোরপুল এলাকায় একটি তেলের লরি ও পিকআপ ভ্যানের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তেলের লরিটি উল্টে দুর্ঘটনা কবলিত ওই দুই গাড়ি ছাড়াও পাশের আরও তিনটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই ইকবাল নামে একজনের মৃত্যু হয়। একটি সিমেন্টের ট্রাকে লোড-আনলোডের কাজ করতেন তিনি। এ ছাড়া এ ঘটনায় দগ্ধ হন আরও সাতজন। খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের ৩টি গাড়ি চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দগ্ধদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সেখানে পৌঁছানোর পরপরই মৃত ঘোষণা করা হয় নজরুল ইসলামকে। পেশায় তরমুজ ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি।  দগ্ধ বাকিদের নাম মিম (১০), আল-আমিন (৩৫), নিরঞ্জন (৪৫), মিলন মোল্লা (২২), সাকিব (২৪) ও হেলাল (৩০) বলে জানা গেছে। তারা কে কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন তা জানা না গেলেও তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।  দগ্ধ সবাইকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, হেমায়েতপুরে দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে ৭ জন এসেছে। তাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম নামে একজন আনার পরেই মারা যায়। বাকি ৬ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। তবে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬

‌‘মাদক বিস্তারে একটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমরা চলে এসেছি’
‘যেভাবে মাদক বিস্তার লাভ করছে, তাতে একটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমরা চলে এসেছি’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। আমরা মাদক উৎপাদন করি না। বিভিন্ন দেশ থেকে এসব মাদক আসে। এর ক্ষতির শিকার হচ্ছে আমাদের যুব সমাজ। আমাদের সব স্বপ্ন তাদের হাতে। তাদের যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি, আমাদের সব স্বপ্ন বিফলে যাবে। যেভাবে মাদক বিস্তার লাভ করছে, তাতে একটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমরা চলে এসেছি। ঐশীর কথা আমাদের নিশ্চয় মনে আছে। সে জায়গা থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তিনভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। মূল টার্গেট চাহিদা ও সাপ্লাই কমানো। যে কারণে আমরা সর্বাত্মকভাবে প্রচার করছি— এর ভয়াবহতার বিষয়ে। নেশা করলে সমাজে ও মানসিকভাবে ধিক্কৃত হতে হয়। একটা পরিবারে যদি কোনো মাদকাসক্ত সন্তান থাকে সেক্ষেত্রে সেই পরিবারের যে কী অবস্থা হয়, তা আমরা জানি। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো এ নিয়ে কাজ করছে।’ সব ধরনের অভিযান এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে যেসব অভিযান চলছে, যারা যারা অভিযানগুলো করছেন, তারা নিজস্ব আঙ্গিকে নিজ নিজ দায়িত্বে করছেন। সেজন্য আমরা চিন্তা করছি, সবাইকে এক ছাতার নিচে নিয়ে এসে এককভাবে এসব অভিযান পরিচালনা করার।’
২১ মার্চ ২০২৪, ২২:০৯

দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ম্যালওয়্যার সংক্রমণ
বাংলাদেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ম্যালওয়্যার সংক্রমণ। এসব ম্যালওয়্যার সম্ভাব্য র‍্যানসমওয়্যার ঝুঁকির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এক বছরের মধ্যে দেশের চারটি বড় প্রতিষ্ঠান র‍্যানসমওয়্যার হামলার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে দুটিই সরকারি প্রতিষ্ঠান। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার নিরাপত্তায় যথেষ্ট নজরদারি ও দক্ষতার অভাবে দেশের সাইবার জগতের ঝুঁকির বিষয়টি প্রায়ই আলোচনায় আসছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে র‍্যানসমওয়্যারের হুমকি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘বিজিডি ই-গভ সার্ট’। র‍্যানসমওয়্যার: আ ডেটা-ড্রাইভেন থ্রেট অ্যানালাইসিস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে ২০২২ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে র‍্যানসমওয়্যারের হামলা ও সম্ভাব্য ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে র‍্যানসমওয়্যার হামলা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। বিজিডি ই-গভ সার্টের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এ ম্যালওয়্যার সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে প্রায় ৭১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। র‍্যানসমওয়্যার হচ্ছে একধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রোগ্রাম বা ম্যালওয়্যার, যা কোনো কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে সংরক্ষিত তথ্যে ঢুকতে বাধা দেয় তার ব্যবহারকারীকে। ম্যালওয়্যার সংক্রমিত হলে যন্ত্র ‘লক’ হয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে যন্ত্রে থাকা তথ্য চুরি করে নিতে পারে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর পেছনে কলকাঠি নাড়া হ্যাকার বা সাইবার দুর্বৃত্তরা। কাঙ্ক্ষিত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তা মুছে ফেলতে পারে তারা। বিশেষ চাবি দিয়ে এনক্রিপ্ট করে ফেলতে পারে। কম্পিউটারে ঢুকতে বা সেখানে রাখা তথ্য ফিরে পেতে তখন সাইবার অপরাধীরা অর্থ দাবি করে থাকে। এজন্যই এর নাম র‍্যানসমওয়্যার। সাধারণত বড় কোনো প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসহ আর্থিক খাতগুলো র‍্যানসমওয়্যারের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকে। বিজিডি ই-গভ সার্টের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে র‍্যানসমওয়্যার হামলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি খাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। খাতগুলো হলো আর্থিক, অ্যাভিয়েশন (উড়োজাহাজ চলাচল), ওষুধ ও শিল্প। ক্ষতিগ্রস্ত খাতের কথা বলা হলেও র‍্যানসমওয়্যার হামলার শিকার কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। অবশ্য ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বিজিডি ই-গভ সার্টের প্রকাশ করা ‘র‍্যানসমওয়্যার ল্যান্ডস্কেপ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে র‍্যানসমওয়্যার হামলার শিকার প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। বিজিডি ই-গভ সার্টের ২০২৩ সালের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি র‍্যানসমওয়্যার হামলার শিকার হয়। ‘লকবিট ৩.০’ নামের একটি সাইবার অপরাধী গোষ্ঠী দাবি করে, তারা এই হামলা করেছে। কোম্পানির নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে ৭৫০ গিগাবাইট ডেটা দখলের কথা বলে তারা। এতে কোম্পানির কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্যও ছিল। গত বছরের মার্চে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় পরিবহন সংস্থায় র‍্যানসমওয়্যারের হামলা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘মানি মেসেজ’ নামের একটি সাইবার অপরাধী গোষ্ঠী এ হামলা করে। সংস্থাটির ১০০ গিগাবাইট তথ্যের সার্ভার দখলে নিয়ে গোষ্ঠীটি মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করে। এর মধ্যে ছিল ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য। সে সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সার্ভার র‍্যানসমওয়্যারের হামলার শিকার হয়েছে। তবে বিমান এয়ারলাইনস এ হামলার কথা স্বীকার করেনি। দেশের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গত বছরের জুনে এএলপিএইচভি/ব্ল্যাকক্যাট নামের একটি সাইবার অপরাধী দলের র‍্যানসমওয়্যার হামলার শিকার হয়। হ্যাকাররা ১৭০ গিগাবাইট সংবেদনশীল তথ্য দখলে নেওয়ার দাবি করে। সূত্র জানায়, র‍্যানসমওয়্যার হামলার শিকার এই আর্থিক প্রতিষ্ঠান একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। একই মাসে র‍্যানসমওয়্যারের হামলার শিকার হয় দেশের আরেকটি শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী। ‘আকিরা’ নামের হ্যাকার দল এ হামলার দায় নেয়। তারা বলে, অর্থ দাবির আলোচনায় যেতে চায়নি শিল্পগোষ্ঠীটি। তাই তাদের কাছে থাকা তথ্য তারা ডার্ক ওয়েবে প্রকাশ করে দেয়। ডার্ক ওয়েব হলো ইন্টারনেট জগতে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মার্কেটপ্লেস। র‍্যানসমওয়্যার হামলা প্রসঙ্গে বিজিডি ই-গভ সার্ট বলছে, সিস্টেমের দুর্বলতার সুযোগে বাইরে থেকে কেউ কোনও কোড দিয়ে সিস্টেমে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে। র‍্যানসমওয়্যার আক্রান্তের ঝুঁকি রয়েছে, এমন তিনটি উল্লেখ্যযোগ্য ম্যালওয়্যার তারা চিহ্নিত করেছে।  তাদের বিশ্লেষণ বলছে, আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানোর ক্ষেত্রে ম্যালক্স জাতীয় ম্যালওয়্যারের সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে র‍্যানসমওয়্যার ট্রোজান। ম্যালওয়্যারটিতে ক্ষতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের পরই আছে ইয়েমেন, দক্ষিণ কোরিয়া, মোজাম্বিক, সুদান, ফিলিস্তিন, তাইওয়ান, আফগানিস্তান, চীন ও সিরিয়া। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সাইবার নিরাপত্তা অনুশীলনের অভাবেই মূলত বাংলাদেশে র‍্যানসমওয়্যার হামলা বাড়ছে। বিজিডি ই-গভ সার্ট গত এক বছরে বাংলাদেশের ২৫ হাজার ৩৮টি আইপি ঠিকানা পেয়েছে, যেগুলো ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত। এছাড়া এসময়ে তারা ৭টি র‍্যানসমওয়্যার ঝুঁকি শনাক্ত করেছে। তবে এর সবকটি হামলায় সফল হয়নি।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৬

অগ্নিদগ্ধ ৮ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক
মানসিক ট্রমা, পোড়া শ্বাসনালী নিয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আটজনই। তাদের কারও  শরীরের ৫, ৮ থেকে ৯ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রত্যেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে বার্ন ইউনিট। কারণ, সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। আরও পড়ুন : শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত, ২ শিক্ষক আটক   তিনি বলেন, দগ্ধ আসিফ মোহাম্মদ খানের শরীরে ৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। নাফিজ আলমের ৫ শতাংশ পুড়েছে। সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি তাদের। সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর আগে ঢাকা-মাওয়া রেলপথে বেনাপোল এক্সপ্রেসে রাত ৯টা ৫ মিনিটে আগুনের ঘটনা ঘটে। রাত ১০টা ২২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও পড়ুন : সড়কে গাড়ি কম, ভোগান্তিতে যাত্রীরা   ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ট্রেনটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। ট্রেনের চারটি বগি পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে আটটি ইউনিট। গত ১৯ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে এক নারী ও তার শিশু সন্তানসহ চারজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবরের পর ট্রেনে আগুনের ঘটনায় মোট আটজনের মৃত্যু হলো।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়