• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত
বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি কমিটির শান্তি আলোচনা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শান্তি কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লা। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সভা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য ২০২৩ সালের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৯ জুন স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফ’র মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর উভয় পক্ষের মতামতের ভিক্তিতে সরাসরি সংলাপে বসার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়। ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর এবং পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ৫ মার্চ দুই দফা সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সংলাপে কেএনএফ’র সকল প্রকার সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়। কিন্তু তারা সম্পূর্ণভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে বিভিন্ন সময় সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। কমিটির তরফ থেকে এ বিষয়টির ব্যাপারে বারবার অবগত করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। বরং বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সময় স্থানীয়দের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি, অপরহণসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে গেছে। সর্বশেষ গত ২ এপ্রিল রুমায় তারাবি নামাজিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি করে হামলা, অর্থ লুটের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া এবং ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুট করে কেএনএফ সদস্যরা। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানান তিনি। কয়েক দফায় চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি কমিটির সকল শান্তি আলোচনা স্থগিতের ঘোষণা দেন তিনি।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪১

আরসিসি-এসবিএফ কিডনি এন্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালের স্থাপত্য নকশা নিয়ে আলোচনা
রাজশাহীতে আরসিসি-এসবিএফ কিডনি এন্ড স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপনের লক্ষ্যে স্থাপত্য নকশা এবং দ্রুত সময়ে বাস্তবায়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে নগর ভবনের মেয়র দপ্তরকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সভায় রাসিক মেয়রকে এসবিএফ এর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, রাজশাহীতে আরসিসি-এসবিএফ কিডনি এন্ড স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপনের লক্ষ্যে গত ২৪ ডিসেম্বর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী  রাজশাহী মহানগরীর ১১নং ওয়ার্ডের হেতেমখা নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র ব্যবহারের জন্য অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনকে প্রদান করবে রাসিক। প্রথম পর্যায়ে সেখানে স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে সেখানে অত্যাধুনিক বহুল ভবন নির্মাণ, কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা হবে। উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন-বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে সভায় অংশগ্রহণ করেন সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের হেড অফ অপারেশনস্ আল-ইমরান সরকার, পরিচালক (উন্নয়ন) আবদুল্লাহ আল-মামুন, পরিচালক (অর্থ) আলিমুর রহমান, এসবিএফ পরিচালিত ইমদাদ-সিতারা খান কিডনী ডায়ালাইসিস সেন্টার, রাজশাহী এর প্রধান নেপ্রোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোনায়ারুল ইসলাম; পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, রাজশাহী শাখার উপপরিচালক আব্দুর রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কামরুজ্জামান, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ১৫নং ওয়ার্ড কাইুন্সলর আব্দুস প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সাহেল মো. নূর-ঈ-সাঈদ, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আহমেদ আল মঈন পরাগ প্রমুখ। 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৩

ফের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন অস্ত্রবিরতির আলোচনা শুরু 
ইসরায়েল ও গাজার শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাসের মধ্যে ফের শান্তি আলোচনা শুরু হবে। মিশরের কায়রোতে এ নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশরের আল ক্বাহেরা নিউজ টিভির বরাতে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। শুরুতে হামাসের কোনো প্রতিনিধি না থাকলেও বৈঠকে ইসরায়েল একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে। গাজা ভূখণ্ডে প্রায় ছয় মাসের যুদ্ধের পর এটি হবে অস্ত্র বিরতির সবশেষ প্রচেষ্টা।  এ বিষয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, তেলআবিব রোববার কায়রোতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে। তবে হামাস জানায় প্রথমে তারা কায়রোর মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনার ফলাফল জানার জন্য অপেক্ষা করবেন। এদিকে সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়। এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। এ প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। কোনো পক্ষ যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল। এর আগে যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতিনিধিদল সরে আসে। তারা বলেছে, তাদের প্রতিনিধি দল মিশর ত্যাগ করেছে, কিন্তু ইসরাইলের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা আগামী সপ্তাহে অব্যাহত থাকবে। যদিও পরে আর এই আলোচনা এগোয়নি। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি আলজাজিরাকে বলেছেন, মিশরের রাজধানী কায়রোতে চার দিনের আলোচনায় কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ বন্ধ, তাদের বাহিনী প্রত্যাহার, ত্রাণের প্রবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তুচ্যুত লোকদের প্রত্যাবর্তনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। সামি আবু জুহরি বলেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য মধ্যস্থতাকারীদের সব প্রচেষ্টা ইসরায়েল ‘নস্যাৎ’ করে দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমজানের আগে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সব পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত ও প্রায় ২৫০ জনকে বন্দি করা হয়। নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় ১০০ জনেরও বেশি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এদিকে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:২৭

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইডিয়ালে আলোচনা সভা
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৪ মার্চ) প্রতিষ্ঠানের অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গভর্নিং বডির সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম। প্রধান অতিথি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতৃস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নেতৃত্বমূলক ভূমিকা রাখবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ মোহম্মদ এমাম হোসাইন। সভায় উপস্থিত ছিলেন ডা. এ কে মোহাম্মদ কুদরত-ই-হাসান, অভিভাবক সদস্য, গভর্নিং বডি (এডহক কমিটি), শাহেলী পারভীন, সাধারণ শিক্ষক সদস্য ও কলেজ তত্ত্বাবধায়ক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকরা।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০১:৩০

পিটার হাসের নৈশভোজে ড. ইউনূস, হয়েছে যে আলোচনা
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেন নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস।  সোমবার (৪ মার্চ) রাতে পিটার হাসের বাসভবনে এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির সহায়তাকারী ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ‘অপরচুনিটি ইন্টারন্যাশনালে’র প্রধান চিফ টেকনোলজি অফিসার  গ্রেগ নেলসনের সঙ্গে প্রফেসর ইউনূসের সাক্ষাৎ উপলক্ষে পিটার হাস এই নৈশভোজ ও বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকে গ্রামীণ এবং অপরচুনিটি ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মসূচি নিয়ে প্রতিষ্ঠান দুইটির মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়।  অ্যামি হাস, লরি নেলসন এবং গ্রামীণ শিক্ষার এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান নূরজাহান বেগমও এই নৈশভোজ ও আলোচনায় অংশ নেন। লিংকডইন পোস্টে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুস এবং নুরজাহান বেগমের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির লক্ষ্যে তাদের অসাধারণ কাজ সম্পর্কে কথা বলা একটি অবিশ্বাস্য সৌভাগ্যের বিষয় ছিল। তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে এবং আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। আপনারা যে কাজ করেন তার জন্য ধন্যবাদ।’
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৭

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘ভাষার অধিকার থেকে স্বাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির পেছনের যে ইতিহাস সেই ইতিহাসে গর্জে ওঠা যে শব্দমালা তারমধ্যে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের উচ্চকণ্ঠ উচ্চারিত হয়েছিল। সেই থেকে শুরু করে অদ্যাবধি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির পেছনের মূল কারিগর খেটে খাওয়া সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ।  তিনি বলেন, মাতৃভাষার আলিঙ্গন, ব্যবহার- সেটি ঘরের হোক, বাইরের হোক, ভাষা সুরক্ষায় সাধারণের যে দরদ ও আন্তরিকতা সেটিই বাঙালি জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রধান ভিত্তি। ভাষাভিত্তিক আলোড়নটি স্বাধিকারের পর্যায় নিয়ে যাওয়ার মূলকারণ ভাষার মধ্যে যে হৃদ্যতা সেটি অনন্য। সেটি ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে প্রতিটি শব্দমালায় এবং উচ্চারণে প্রস্ফুটিত হয়েছিল। সে কারণেই সাধারণ মানুষ সেটি গ্রহণ করেছে। জাতীয়তাবাদী শক্তির মূল জায়গায় ভাষার শক্তি ছিল প্রগাঢ়। মশিউর রহমান আরও বলেন, আমাদের সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ আধুনিকতাকেও গ্রহণ করেছে। সামরিক শাসনকে বর্জন করেছে। পুঁজিবাদের ছোবল, অন্য ভাষার ছোবল, অন্য সংস্কৃতির হানা এসব থাকবে ঠিকই কিন্তু সাধারণের শক্তির কাছে সবসময় সবকিছু পরাভূত হবে। এমনকি সামরিক শাসন ও অগণতান্ত্রিক শাসনও। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন প্রজন্মকে মানবিক ও দক্ষ করে গড়ে তুলছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অবশ্য পাঠ্য করে থেমে থাকেনি। যখনই আমরা বুঝতে পেরেছি ভাষার ব্যবহারের শক্তির সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সংযোগ আছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয় রয়েছে- তখনই আমরা আইসিটিকে পাঠ্য করেছি। আমরা উদ্যোক্তা সৃষ্টিকে অবশ্য পাঠ্য করেছি। নতুন নতুন বিষয়কে কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করছি। ভাষার শক্তি দিয়ে আধুনিকতাকে, বিজ্ঞানকে গ্রহণ করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে এই আলোড়নটি তৈরি করতে চায়। এর মূল লক্ষ্য বিজ্ঞানমুখী, প্রযুক্তিমুখী, আধুনিক এক ভিন্ন বাংলাদেশ তৈরি যেটি আগামী দিন বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার বলেন, শুধু দেশ নয়, ভাষা সুরক্ষায় সারাবিশ্ব নিয়ে ভাবতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কারণ দেশের ভাষা ব্যবস্থা ভাষাকে প্রভাবিত করছে। একটা দেশে যখন অনেকগুলো ভাষা থাকে তখন সিঁড়ির মতো তাদের ধাপে ধাপে অবস্থান থাকে। একটা আরেকটার পাশে লেগে থাকে। কিন্তু আমাদের মাথার উপর চেপে আছে ইংরেজি। ভাষাকে ব্রাহ্মণত্বের পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। জাত মুছে দিতে হবে। ভাষার ক্ষমতায়নের দ্বারা এটি করতে হবে। নানা জায়গায় ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভাষার লিপি থাকতে হবে। সাহিত্য থাকতে হবে। এর ডিজিটাইজেশন থাকতে হবে। যত রকম শিক্ষা আছে সেটি মাতৃভাষায় নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মাতৃভাষায় সমস্ত রকম শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। ডাক্তারি, আইন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ সকল শিক্ষা আমার মাতৃভাষায় শেখাব। অর্থাৎ প্রমিত ভাষায় শেখাব। ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামসহ অনেক ছোট ছোট দেশ এটা করেছে। কিন্তু ইংরেজিটাও শেখাব সেটা যখন দরকার হবে। আমাদের ইচ্ছা থাকলে এটা সম্ভব। বাংলাদেশের পক্ষে এটা অসম্ভব হবে না। কারণ বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানে অনেক উন্নতি করেছে। ড. পবিত্র সরকার আরও বলেন, আমরা ভাষাকে যেন জগাখিচুড়ি না করি। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। প্রমিত বাংলা ভাষার প্রতি আমাকে তাকাতে হবে। আমার ভাষা অন্যদের দ্বারা দমিত হচ্ছে কিনা বা কাউকে দমিত করছে কিনা সে বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে। ভাষা নিয়ে আমাদের বহুমুখী লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ে আমরা সকলে শামিল আছি। ভাষাকে ভালোবেসে একসঙ্গে যদি এই লড়াই করি তাহলে আমরা অবশ্যই জয়ী হব। প্রবন্ধকার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম ভাষা সৃষ্টির আন্দোলন সম্পর্কে বিষদ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই স্বাধীন বাংলাদেশ ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বীজ রোপিত হয়েছিল। সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫২

পঞ্চগড়ের সীমান্তে হাতি আতঙ্ক, ২ দেশের মধ্যে জরুরি আলোচনা
পঞ্চগড়ের সীমান্ত এলাকায় হাতির অনুপ্রবেশের ঘটনার জের ধরে ভারত ও বাংলাদেশের বন কর্মকর্তাদের মধ্যে এক জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার পুরাতন বাজার এলাকার ভারতের অভ্যন্তরে হাফতিয়াগছ সীমান্তের মেইল পিলার ৪৪৩ হতে ২০০ গজ দূরে ভারতের হাফতিয়াগছ বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার একটি জঙ্গলে এ আলোচনা হয়। তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি, তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের সদস্যরাসহ সংশ্লিষ্টরা তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের তেলিপাড়া ও ভারতের হাফতিয়াগছ জঙ্গলের শূন্যরেখায় ভারতীয় বন দপ্তরের প্রতিনিধি, ভারতীয় পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দুদেশের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার ভারত থেকে পঞ্চগড়ের রওশনপুর দিয়ে বাংলাবান্ধা এলাকায় দুটি হাতি প্রবেশ করে। পরে ভুট্টাখেতে একদিন অবস্থান করে আবারও ভারতে ফিরে যায় হাতি দুটি। ফের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার পুরাতন বাজার সীমান্ত এলাকার একটি জঙ্গলে বন্য হাতি দুটিকে দেখা যায়। ভারতের হাফতিয়াগছ সীমান্তের মেইল পিলার ৪৪৩ হতে ২০০ গজ দূরে ভারতের হাফতিয়াগছ বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার একটি জঙ্গলে বন্য হাতি দুটি ঘোরাঘুরি করছিল। এ দিকে সীমান্ত এলাকায় বন্যহাতির দেখা মেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন ও হাতিকে বিরক্ত করা থেকে বিরত থাকতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী সচেতনামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে।   দুদেশের প্রতিনিধিদের আলোচনায় জানা গেছে, বর্তমানে ভারতের অভ্যন্তরে থাকা হাতি দুটিকে ট্রাংকুলাইজার ব্যবহার করে দ্রুত উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।  আলোচনার প্রেক্ষিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বন বিভাগের নর্দান সার্কেলের বৈকণ্ঠপুর ডিভিশন ট্রাংকুলাইজার ব্যবহার করে গাড়িতে করে হাতি দুটিকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মর্মে জানা গেছে। এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি জানান, দুদিন পর আবারো তেঁতুলিয়ার হাতি দুটি বাংলাদেশে প্রবেশের আশঙ্কা থাকায় আমরা সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। হাতি দুটি যেন বাংলাদেশে আর প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বন্য হাতিকে দেখে কেউ যেন বিরক্ত না করে এবং মানুষকে নিরাপদে থাকতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচারণা করা হচ্ছে। আমরা এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছি। উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে তেতুঁলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের ইসলামবাগ এলাকার মেইন পিলার ৭৩৫ এর ২ ও ৩ সাব পিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে বুধবার সকালে উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের দলুয়াপাড়া এলাকায় হাতির আক্রমণ করে একটি গরুকে আহত করে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ এলাকার একটি ভুট্টাখেতে অবস্থান করে। পরে ওইদিন বিকেলে হাতির আক্রমণে নুর জামাল (২৩) নামে এক প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৯

শহীদ দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আ.লীগের আলোচনা সভা
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এদিন বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে  ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  এতে বলা হয়, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৫

লক্ষ্মীপুরে বাংলা ইশারা ভাষা দিবসে আলোচনা সভা 
বাংলা ইশারা ভাষার প্রসার করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে লক্ষ্মীপুরে পালিত হলো বাংলা ইশানা ভাষা দিবস।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দিবসটি উপলক্ষে জেলা কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণ থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।  পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান। জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম পাটওয়ারির সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান, সদর উপজেলার সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. শরীফ হোসেনসহ অন্যান্যরা। আলোচনা সভা শেষে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ক্ষুদে শিল্পীদের সমন্বয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০০

‘ভারত সফরে মিয়ানমার ইস্যুতে আলোচনা হবে’
নয়াদি‌ল্লি সফ‌রে মিয়ানমা‌র সীমান্তের চলম‌ান প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান। তিন দি‌নের সফ‌রে আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) দি‌ল্লি যাওয়ার কথা র‌য়ে‌ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। সেখানে মিয়ানমারের ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতে গিয়ে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, সিকিউরিটি অ্যাডভাইজারের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে সার্বিক বিষয়গুলো আলোচনা করব। যেহেতু মিয়ানমার ভারতেরও প্রতিবেশী রাষ্ট্র, আমাদেরও প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তিনি আরও বলেন, আমরা এরই মধ্যে সবসময়ই ভারতের সহযোগিতা চেয়ে এসেছি। মিয়ানমার থেকে যাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের সহায়তা আমরা বহু আগে থেকেই চেয়েছি। সুতরাং এ বিষয়গুলো স্বাভাবিকভাবেই আলোচিত হবে। এদিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশে দুজনের মৃত্যু এবং সীমান্তে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। পরে ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে আসেন রাষ্ট্রদূত। জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মুহাম্মদ মাইনুল কবির তাকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানান। এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে বান্দরবানের এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২২৯ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। একইদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা তাদের নাগরিক ও সীমান্তরক্ষীদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। এখন তাদেরকে বিমান নাকি নৌকায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সীমান্ত পরিস্থিতি এবং তৃতীয় দেশ বা জাতিসংঘের যুক্ততা নিয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত যথেষ্ট সুরক্ষিত আছে। তারা পালিয়ে আসায় তাদের আশ্রয় দিয়েছি। যেহেতু দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে, সেহেতু তৃতীয় পক্ষকে এখানে জড়িত করার কোনো প্রশ্ন নেই।’
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়