• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
অনেক আগে থেকেই আমরা আলাদা থাকছি : মাহি
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা মাহিয়া মাহি তার স্বামী রকিব। বলা চলে এই দম্পতি বেশ ভালো ভাবেই তাদের দিন কাটাচ্ছিলেন। কেননা সামাজিক যোগাযোগ তাদের একসঙ্গে কাটানো নানা মুহুর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেই বুঝা যেতো। হুট করেই বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন মাহি। শুক্রবার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে এই নায়িকা তাদের বিচ্ছেদের কথা জানান।  মাহি জানান, আমাকে এমন একটি কাজ  করতে হবে আমি কখনো ভাবি নাই। তবে আমার মনে হয়েছে এখন সবাইকে বলার সময় হয়েছে আমাদের নিজেদের ভালোর জন্য। আমি আর রকিব খুব ভালো বোঝা পরা থেকে বিয়ের সিদ্ধান্তে এসে ছিলাম। আমরা খুব ভালোই ছিলাম। কিন্তু জীবনের এক পর্যায় এসে বুঝলাম আমরা আসলে দুজন দুজনের জন্য না। সে অনেক ভালো একজন মানুষ। এতগুলো দিন ওর সঙ্গে কাটিয়েছি সে আমাকে খুব কেয়ার করেছে। সব সময় একটা ছাতার মত করে আগলে রেখেছে। কিন্ত আসলে কি কারণে একটি ছাদের নিচে দুইটি মানুষ কেনো ভালো  নেই সেটি তৃতীয় পক্ষ কেউ বলতে পারবে না সেই দুইজন মানুষ ছাড়া। আর তাই সব কিছু মিলিয়েই দুজন দুজনের প্রতি সম্মান জানিয়েই আলাদা হচ্ছি। তাছাড়া আমরা অনেক দিন ধরেই আলাদা আছি।   
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫

মা-বোনকে আলাদা রুমে আটকে স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী
মা-বোনকে আলাদা রুমে আটকে রেখে নিজের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার লিপিকে (২৫) শাবল দিয়ে হত্যার দায়ে রুবেল হোসেন (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।  মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৫ সদর দপ্তরে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। ঘাতক রুবেল হোসেন রাজশাহীর বাগমারা এলাকার মৃত ওসমান আলীর ছেলে। র‌্যাব জানায়, সোমবার রাত ১১টার দিকে নগরীর কাটাখালীর মাসকাটাদীঘি পূর্বপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্ত্রী হত্যা মামলার মূলহোতা পলাতক আসামি রুবেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুবেল হোসেন পেশায় একজন রডমিস্ত্রি। প্রায় ৭ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে ঝর্ণা আক্তার লিপিকে বিয়ে করেন রুবেল।  রুবেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‌্যাব জানায়, রুবেল-ঝর্ণা আক্তার দম্পতির এক ছেলে রয়েছে। রুবেল একজন মাদকাসক্ত। এ ছাড়া ব্যাংক ও এনজিও থেকে বিভিন্ন অঙ্কের ঋণ নেওয়া ছিল বিধায় হতাশাগ্রস্ত ছিল রুবেল। যার প্রেক্ষিতে বিয়ের পর থেকেই সংসারের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এ ছাড়া লিপির অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করত রুবেল। যার ফলে সার্বক্ষণিক পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো।  র‌্যাব জানায়, একপর্যায়ে তার স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন রুবেল। কয়েক দিন পর রুবেল তার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে লোকজনের নিকট মাফ চেয়ে লিপিকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। গত ২৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসামি ও ভুক্তভোগী ঘুমিয়ে পড়েন। ২৯ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রুবেল তার মা ও বোনকে অন্য একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে আটকে রেখে লোহার শাবল দিয়ে লিপির গলা, বুক ও থুতনিতে গুরুতর আঘাত করে নৃশংসভাবে খুন করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ২৯ জানুয়ারি বাগমারা থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই। পরে কাটাখালীর মাসকাটাদীঘি পূর্বপাড়ায় অভিযান চালিয়ে বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা রুবেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  আরও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বাগমারা থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে র‍্যাব জানায়।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়