• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ভেঙে পড়েছে মিয়ানমার সেনা ঐক্য, বাড়ছে আত্মসমর্পণ
মিয়ানমারে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির প্রবল আক্রামণে টিকতে না পেরে দেশটির সেনাবাহিনীতে ঐক্য ভেঙে পড়েছে। অনেকের মনোবল ভেঙে গেছে। এর ফলে বাড়ছে আত্মসমর্পণের ঘটনা। অন্তত ৩০ জনের বেশি সেনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এমন খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ও ওয়াশিংটন পোস্ট। গত বছরের ২৭ অক্টোবর ‌‘১০২৭’ নামে অপারেশন শুরুর পর থেকে গত তিন মাস ধরে আত্মসমর্পণ কিংবা পালিয়ে যাওয়া সেনারা জানান, বিদ্রোহী আক্রমণের ফলে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মনোবল ভেঙে গেছে। একই সঙ্গে তারা অস্ত্র সংকটেও ভুগছেন। যা তাদের ব্যাপকভাবে আত্মসমর্পণে বাধ্য করছে। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক যুদ্ধক্ষেত্রের সাফল্য কেবল অঞ্চল দখলেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সামরিক জান্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সংহতিকেও ক্ষুণ্ন করছে। এদিকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী হারানো সেনা ঘাঁটতি পূরণ করতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে জান্তা সরকার। আগামী এপ্রিল থেকে যুবকদের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করছে দেশটির সরকার। একইসঙ্গে গত পাঁচ বছরের মধ্যে যারা অবসরে গেছেন, তাদেরও সেনাবাহিনীতে আবার যোগ দিতে হবে।  গত শনিবার জান্তা সরকার ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষ এবং ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী নারীদের অন্তত দুই বছর বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে– এ-সংক্রান্ত একটি আইন ঘোষণা করে। যা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন, যোগদানের ক্ষেত্রে মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে। প্রতি ধাপে লোক নিয়োগ হবে ৫ হাজার।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৮

মিয়ানমারে ফিরে যেতে আরাকান আর্মির দিকে তাকিয়ে রোহিঙ্গারা
রাখাইনে চলমান সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য ওপারে সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমারের অনেক রোহিঙ্গা। তবে তাদের এদেশে ঢোকার ব্যাপারে বিরোধিতা করছে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। তারা বলছেন, নিজ দেশ ছেড়ে এবার ভুল করা যাবে না।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পে আয়োজিত কনভেনশনে রোহিঙ্গা নেতারা বলেছেন, আরাকান আর্মি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করলে এখনই তারা ফিরে যাবেন মিয়ানমারে। দেশটির অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তুমুল সংঘর্ষ চলছে। ইতোমধ্যে রাখাইন রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা দখলে নিয়েছে সংগঠনটি। ফলে বুচিডংসহ রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে। এদিন উখিয়া ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, রাখাইনে দুই পক্ষের হামলায় রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই তারা বাংলাদেশে চলে আসার জন্য নিয়মিত যোগাযোগ করছেন এখানকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে। তবে এবার নিপীড়নের শিকার হলেও কোনো অবস্থাতেই জন্মভূমি না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা। তারা বলছেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এসে ভুল করেছেন তারা। সেটা দ্বিতীয়বার যেন অন্যরা না করেন। মিয়ানমারে এখন জান্তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে এখনই স্বদেশে ফিরে যাওয়া জরুরি। এক রোহিঙ্গা  বলেন, আমরা আর কোনও রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে দিতে চাই না। বরং এখনই সময় সেখানে আমাদের চলে যাওয়ার। এসময়ে যেতে পারলে খুবই ভালো হয়। সেই সুরে সুর মিলিয়ে আরেক রোহিঙ্গা বলেন, কষ্ট পেলেও, জুলুমের শিকার হলেও মিয়ানমারেই থাকা দরকার ওপারের রোহিঙ্গাদের। তারা থাকতে পারলে পরে আমরাও যেতে পারবো। মিয়ানমারে দ্রুত ফিরে যাওয়ার জন্য এদিন সকালে উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে সম্মেলন করেন এফডিএমএন রিপ্রেজেন্টেটিভ কমিটি। এতে নির্বাচিত বিভিন্ন ক্যাম্পের ৪ হাজার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। আরাকান আর্মিকে ইঙ্গিত করে কমিটির নেতা মাস্টার ছৈয়দ উল্লাহ বলেন, সংগঠনটি রোহিঙ্গাদের অবস্থান স্পষ্ট করলে তারা এখনই চলে যেতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের আরকানে আমাদের আত্মীয়স্বজন, মা-বাবা, ভাই-বোন আছে। তাদের ওপর অনেক নির্যাতন হচ্ছে। তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা যেন কোনদিনও দেশ ছেড়ে চলে না আসে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করে উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় একজোট হয়ে আমরা মিয়ানমারে ফিরে যাব।’ ছলিম উল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘আমাদের দেশ আছে। মিয়ানমারের আরকান আমাদের দেশ। আমরা দেশে ফিরে যেতে চাই।’ এদিকে শরণার্থী কমিশন বলছে, নতুন করে যেকোনো অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসান কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমাদের বর্ডার গার্ড (বিজিবি) অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য প্রবেশ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একজন রোহিঙ্গাকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা সব সময়ই সজাগ আছি।  
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৭

রাখাইনের রাজধানীতে কারফিউ জারি
মিয়ানমারের রাখাইনের সিত্তে শহরে কারফিউ জারি করেছে জান্তা সরকার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কারফিউ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়। জান্তা প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ থাকবে। গত বছরের অক্টোবর থেকে সামরিক জান্তার অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এরপর রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র লড়াই শুরু হয়। যা এখনো চলমান রয়েছে। এতদিন রাজধানী সিত্তের আশপাশে লড়াই চলছিল। তবে এখন এটি সিত্তেতে পৌঁছে গেছে। ফলে অনেকে এখন রাজ্যটির রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। সিত্তের এক বাসিন্দা বলেছেন, তারা শহরে ছোট বাহনে করে ঘুরে বেরিয়ে লাউড স্পিকার এবং হ্যান্ড মাইকে কারফিউর ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যারা রাতে বাইরে বের হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারফিউ সিত্তের পৌরসভাগুলো ছাড়াও বেশ কয়েকটি দুর্গম এলাকায় জারি করা হয়েছে। সিত্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা এখন নিয়মিত রাতের বেলা গোলাগুলি এবং সেনাবাহিনীর বিমান ওঠা-নামার শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। এ ব্যাপারে এক বাসিন্দা নারিনজারা নিউজকে বলেছেন, রাতের বেলা, আমরা সামরিক বিমানের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমান ওঠার শব্দ শুনতে পাই। এরপর আবার নামার শব্দ শুনি। আমরা প্রতিদিন গোলাগুলির শব্দও শুনতে পাচ্ছি। সূত্র : নারিনজারা নিউজ
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়