• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অসুস্থ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অসুস্থদের চিকিৎসা সহায়তা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে মোহনপুর উপজেলা হলরুমে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে এসব চেক বিতরণ করা হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ। এ সময় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করে। ঈদ আসলে অতীতে এই কাজগুলো হয়নি।  এখন অসুস্থ রোগীদের সহায়তা করছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সব সময়ই মানুষের পাশে দাঁড়ান। এরই অংশ হিসেবে আজকের এই সহায়তা প্রদান।   তিনি বলেন, আজকে যে সহযোহিতা দেয়া হচ্ছে, এই টাকায় হয়তো আপনাদের চিকিৎসা হবে না। কিন্তু চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে সহযোগিতা সেটি হবে। আমি মনে করি এটি দেশরত্ন শেখ হাসিনার অনুদান। এটি টাকার জায়গাতে ছোট মনে হলেও আন্তরিকতার জায়গা থেকে অনেক বড়।   মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান মেহবুব হাসান রাসেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজীদা রহমান রিক্তা, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক প্রমুখ। পরে সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়িত ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ১১ জন রোগীর মাঝে এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে চেক দেয়া হয়। একই সময় জাতীয় সমাজকল্যান পরিষদের অর্থায়নে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১৮টি পরিবার ও ৫ শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৬

‘আর্থিক খাতের দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে’
বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি, ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তবে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে বলছে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে, জ্বালানির মূল্য সমন্বয়, রপ্তানি ভর্তুকি কমানো এবং মনিটারি পলিসি টাইট করা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত অক্টোবরেও একই পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীতে নিজেদের কার্যালয়ে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ রণজিৎ ঘোষ। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক। বিশ্বব্যাংক বলেছে, আগামী ২০২৪-২৫ সালে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পরে। যদিও গত অক্টোবরে এটা ৫.৮ হওয়ার কথা বলেছিল ব্যাংকটি। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরো বেড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু যথাযথ সংস্কার পদক্ষেপ না নিলে অর্থনৈতিক দুর্বলতা আরো প্রকট হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হতে পারে। ব্যাংকে ঋণখেলাপির পরিমাণ অনেক বেশি। এ খাতে সংস্কার আনতে সহায়তা করতে প্রস্তুত বিশ্বব্যাংক। ব্যাংক মার্জার করার ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করা উচিত। বাজারভিত্তিক বিনিময় হার করা উচিত। সব মিলিয়ে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২৩-২৪ সালের আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ শতাংশ। আর ২০২৪-২৫ সালে তা ৬.১ শতাংশ হবে। ভারত, বাংলাদেশ এতে মূল ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার অবস্থাও উন্নতি হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। পাকিস্তানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হবে ১.২ শতাংশ। এছাড়া ভুটানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, নেপালে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ২ শতাংশ, মালদ্বীপে ৪.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৮

ডিএমপির আর্থিক অনুদান পেলেন ২১৭ পুলিশ সদস্য
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কল্যাণ তহবিল থেকে কর্তব্যরত অবস্থায় আহত ও অসুস্থ পুলিশ সদস্যের চিকিৎসা এবং নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয় । এ সময় ২১৭ জন পুলিশ সদস্যের অনুকূলে ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয়। সোমবার (১ এপ্রিল) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি পরিবার। ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’ কবির এ নীতির উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আমাদের এই আর্থিক সহায়তা চলমান থাকবে। তিনি বলেন, ডিএমপির অসুস্থ সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ ও রোগ মুক্তি কামনা করছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যারা আহত হয়েছেন তারা আমাদের সহকর্মী, তাদের সুস্থ করার জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হবে। আমাদের পারস্পরিক বন্ধন সম্পর্ক যেন অটুট থাকে, আরও বেশি মজবুত হয় সে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে সবচেয়ে ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বসেন। এজন্য কারো চিকিৎসার প্রয়োজন হলে ডিএমপির ব্যবস্থাপনায় সেখানে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমি নিজেই কথা বলবো। অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৫

অবশেষে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংস্কারের উদ্যোগ
ব্যাংক খাতে ‘সুশাসন' প্রতিষ্ঠার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগে নতুন নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নীতিমালায় এমডির যোগ্যতা, নিয়োগ পদ্ধতি ও অপসারণসহ বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। বিশ্লেষদের একাংশ বলছেন, এমডিদের জন্য যে নীতি করা হয়েছে তা ইতিবাচক, তবে ব্যাংক খাতে সুশাসনের প্রধান অন্তরায় এখন পরিচালনা নীতি ও পরিচালনা পর্ষদ আইন, সেখানে পরিবর্তন না আনলে সুশাসনের পথে এগোনো যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকের এমডিদের নিয়োগ হবে সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য। ব্যাংক ও আর্থিক খাতে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বয়স হতে হবে ৪৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। এমডি হতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়োগ কমিটির কাছে মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে। কেউ হঠাৎ করেই এমডির পদ ছাড়তে পারবেন না। আবার কোনো ব্যাংক চাইলেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া অপসারণ করতে পারবে না। দুই ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিটির কাছে ব্যাখ্যা দিতে হবে। কমিটি যে সিদ্ধান্ত দেবে, তাই চূড়ান্ত হবে। এমডি নিয়োগের ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ অবলোপন ও আদায়ে পারদর্শিতা দেখবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমডি পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই নীতি। তবে পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে এমডি থাকাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো ধরনের পরিদর্শনে কেনো নেতিবাচক রিপোর্ট থাকতে পারবে না। এমডিদের এই সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি তাদের দায়িত্বও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এমডির পরিবারের কোনো সদস্য ওই ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। আর তাদের বেতন, সুযোগ-সুবিধা কী হবে তা-ও বলা হয়েছে নীতিমালায়। বাংলাদেশে বিদেশি ব্যাংকের এমডি নিয়োগেও একই নিয়ম কার্যকর হবে। যমুনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আমিন বলেন, কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতে সুশাসন আনার জন্য কিছু নীতিমালা করছে। এর আগে তারা পরিচালনা পর্ষদের গঠন কেমন হবে তা নিয়েও একটা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এখন এমডি নিয়োগের ব্যাপারে একটা নীতিমালা করলো। এমডি নিয়োগের নীতিমালাকে আমি ভালোই বলবো। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি কমিটির মাধ্যমে তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার যে বিধান করেছে তাতে এখন থেকে আর লুকিয়ে লুকিয়ে এমডি নিয়োগ দেয়া যাবে না। এর আগে আমরা দেখেছি শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ আরো অনেক বিষয় গোপন রাখা হয়েছে এমডি নিয়োগের ক্ষেত্রে।  তবে তিনি মনে করেন, ব্যাংক খাতের সুশাসন নির্ভর করে বাস্তবায়নের ওপর। যেসব নতুন নীতি করেছে তা কতটা বাস্তবায়ন করা যাবে তার ওপর। বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিটি কতটা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে সেটাও দেখার আছে। আরেকটি বিষয় হলো, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। এখন একই পরিবারের তিনজনসহ তাদের পাঁচজন পরিচালনা পর্ষদে নিয়োগ দেয়ার সুযোগ আছে। তিনজন একই পরিবারের আর দুইজন তাদের প্রতিষ্ঠানের। ফলে তারা পরিচালনা পর্ষদে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। পরিচালনা পর্ষদই ব্যাংকের মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী, বলেন তিনি। তার কথা, অনেক সময় একজন পরিচালকই তো অনেক কিছু করে ফেলেন তার প্রভাবের কারণে। সেখানে পাঁচ জন হলে তো কথাই নেই। এখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বা পরিচালক হওয়ার নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিচালক হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স করা হয় ৩০ বছর। আগে ২২ বছর বয়সেও ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার উদাহরণ আছে। এছাড়া ব্যবসা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা এবং ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে কোনো অভিজ্ঞতা বিবেচনায় না নেয়া, কর খেলাপি, ঋণ খেলাপি না হওয়া, আর্থিক অপরাধে দণ্ডিত না হওয়া -এই বিষয়গুলো আছে। কিন্তু যেটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আপত্তি, সেই একই পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের মোট পাঁচজন পরিচালক হওয়ার বিধান বহাল আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, ব্যাংকের সুশাসনের বড় অন্তরায় হলো পরিচালনা পর্ষদ। সেখানে আগে সংস্কার প্রয়োজন। এমডি নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের বিষয়টি ঠিক আছে। তারা পরীক্ষা নেবে, সেটা হলে তাদের সার্টিফিকেট, অভিজ্ঞতা এগুলো চেক করবে। তারা এমডিকে একটা কমফোর্ট জোনে রাখতে চায়। এই বিষয়গুলো ভালো। কিন্তু মূল সমস্যা তো পরিচালনা পর্ষদে। তিনি মনে করেন, আগে পরিচালনা পর্ষদের বিষয় ঠিক করতে হবে। সেটা না করে এগুলো খুব বেশি কাজে আসবে বলেন মনে হয় না। পরিচালনা পর্ষদের কাছে তারা তো অসহায়। এমডিরা চাইলেও তাদের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারবেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক এমডিদের মেয়াদ তিন বছর করলেও অনেক ব্যাংকে পাঁচ বছর মেয়াদে এরই মধ্যে এমডি নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত বা নিয়োগ রিভিউ করা হবে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, যারা এখন এমডি হিসেবে নিযুক্ত আছেন, তাদের ব্যাপারে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে না। তবে নতুন নিয়োগ এবং যখন নিয়োগ নবায়ন হবে, তখন নতুন নীতি কার্যকর হবে। নিয়োগ নবায়ন বা পুনর্নিয়োগ নতুন নিয়োগ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিচালনা পর্ষদে একই পরিবার ও তাদের প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পাঁচজন নিযুক্ত হওয়ার নিয়ম বহাল থাকলেও আমরা নিয়ম করে দিয়েছি কত অংশ শেয়ার থাকলে কতজন পরিচালক হতে পারবেন। তার কথা, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে আমরা সংস্কার শুরু করেছি। এটা অব্যাহত থাকবে। প্রসঙ্গত, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এজন্য দুর্বল ব্যাংকগুলো তাদের অবস্থার উন্নয়নে পাঁচ বছর সময় পাচ্ছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২২

এক বছরে আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬৪.৫৮ শতাংশ
দেশের আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) বেড়েই চলছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন ছিল ১৪ হাজার ১০৬টি। যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি।  তথ্য বলছে, এক বছরের ব্যবধানে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৫ হাজার ৫৩৫ বা প্রায় ৬৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর গত ২০২০-২১ অর্থবছরে সন্দেহজন লেনদেনের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২৮০টি। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ)। সংবাদ সম্মেলনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এ সময় বিএফআইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৩

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও অংশ নিতে নির্দেশ
এবার ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সরকার জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩ এবং ১৩ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা-২০২৩ প্রণয়ন করে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং কর্মচারী বা প্রতিষ্ঠানের মালিক, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি, দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তি ও বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিকের অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই এবং সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে অন্তর্ভুক্তি করার উদ্দেশ্য পূরণে ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৪

ভোটের দিন বন্ধ থাকবে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোট গ্রহণের সুবিধার্থে আগামী ৭ জানুয়ারি সব তফসিলি ব্যাংক ও নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সোমবার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত ২৮ ডিসেম্বরের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারী এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে সারাদেশে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ এর ৪১(২)(ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়