• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
শেষবারের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু 
ভাষাসৈনিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাঁটি বাজার ঈদগাহ ময়দানে।  শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা থেকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স তার গ্রামে এসে পৌঁছায়। পরে সকাল ৯টার দিকে অনুষ্ঠিত হয় জানাজা।  জানাজার পূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ কৃতী সন্তানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন ও পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিক অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হয়।  শেষ বারের মতো গুণী এ মানুষটিকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এমদাদুল হক, অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর ছোট মেয়ে ডানা নাজলী, জামাতা সাহিনুর রহমানসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই।  এ সময় স্মৃতিচারণকালে সবার কথায় উঠে আসে অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর দেশপ্রেম, গ্রামের মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা, মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, তার কর্মময় জীবনের সততার কথা।  চাঁপাইনবাবগঞ্জে জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর মরদেহ নেওয়া হয় রাজশাহীতে। সেখানে রাজশাহী কলেজে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জানাজা শেষে ঢাকায় নেওয়ার পর শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।  অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু ১৯৩১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের রাজশাহী অঞ্চলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।  বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের উদ্দেশ্যে ২০১০ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯৩ বছর।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৩

গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ভাষাসৈনিক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে পৃথক বার্তায় তারা এই শোক প্রকাশ করেন। শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যু দেশের আইন অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এদিকে গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এর আগে, সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোলাম আরিফ টিপু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১

গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতির শোক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক শোকবার্তায় তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এর আগে সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোলাম আরিফ টিপু। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (এডমিন) মোখলেসুর রহমান বাদল। গোলাম আরিফ টিপু ১৯৩১ সালের ২৮ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আফতাব উদ্দিন আহমদ ছিলেন জেলা রেজিস্ট্রার। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে টিপু দ্বিতীয়। তিনি কালিয়াচর বিদ্যালয় থেকে ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক ও রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৫০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। একই কলেজ থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্নের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা আন্দোলন কর্মী ছিলেন।  এ ছাড়া তিনি ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর (অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদায়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৫২ সালে রাজশাহীতে বাংলা ভাষা আন্দোলন মূলত তার নেতৃত্বে সংগঠিত হয়। তিনি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের রাজশাহী অঞ্চলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৮

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর টিপু মারা গেছেন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু আর নেই। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (এডমিন) মোখলেসুর রহমান বাদল। তিনি বলেন, আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টিপু সাহেব মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন। তার জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৯

সাংবাদিকদের বিপদে ফেলতে পারে সাইবার আইনের ৫টি ধারা : বিচারপতি শেখ আরিফ
সাইবার নিরাপত্তা আইনের পাঁচটি ধারা সাংবাদিকদের বিপদে ফেলতে পারে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে ল' রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা জানান তিনি। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ বলেন, 'সাইবার নিরাপত্তা আইনের পাঁচটি ধারা মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে সাংবাদিকতায়। এগুলো হলো ধারা ২২, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৮।' তিনি বলেন, '১৯৯১ সাল থেকেই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রচণ্ড ইনটলারেন্স দেখেছি আমরা। কোনও ধরনের সমালোচনা হলেই গ্রেপ্তার-নির্যাতন ছাড়া আর কোনো পন্থা তাদের হাতে আছে বলে তারা মনে করেন না। এক্ষেত্রে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দমন করতে গিয়ে দেখা যায় সাংবাদিকরাও এর ভিকটিম হয়ে যেতে পারেন।' তবে, সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনারা সঠিকভাবে সংবাদ লিখেন, কারও কিছু করার থাকবে না। করলে আদালত তো আছেই।' কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়