• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এ সরকারকে আমরা কখনও মেনে নেব না : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ নাই, তারা এখন পুলিশ লীগে পরিণত হয়েছে। তাদের এ সরকার বার বার ক্ষমতা দখল করে নিচ্ছে। দখলদারের সরকার আমরা কোনোদিন মেনে নেইনি, আমরা এখনও মেনে নেব না। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার হাটপুকুর গ্রামের যুবদল নেতা আকরাম হোসেনের শোকসভায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী অন্যায়ভাবে দলের ছেলেদের হত্যা করছে। অত্যাচার নির্যাতন করে আজ তারা দেশ শাসন করছে। আমরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই, আর স্বাধীনতার জন্যই লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছি। সবাইকে এ লড়াই সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণকে বোকা বানিয়ে, জনগণের পয়সা লুটে নিয়ে তারা ব্যাংক বীমা সব লুট করছে, শুধু তাই নয় তারা বিদেশে টাকা পাচার করছে।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৯

‘মেট্রোরেলের ভাড়ায় ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর কারা ভ্যাট বসিয়েছে জানি না। আমরা এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর খামারবাড়ির টিঅ্যান্ডটি মাঠে দুস্থ, গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল বিশেষ সেবাধর্মী পরিবহন। মানুষ এর সুফল পাচ্ছে। আগামী জুলাই থেকে মেট্রোরেলের ভাড়ায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর ঘোষণা হঠাৎ করে কারা দিলো? সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কোনো সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে হুট করে কারা এ ধরনের খবর দিলো জানি না। আমরা এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তও নিইনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করব। মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়ীদুর রহমান, কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করার আদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত ৪ এপ্রিল এই আদেশ জারি করে এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ। আদেশে বলা হয়, মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট মওকুফ আছে, যার সময়সীমা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এনবিআর এই মওকুফ সুবিধা আর অব্যাহত রাখতে আগ্রহী নয়। এজন্য আগামী অর্থ বছর অর্থাৎ  চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর হবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৯

কোথাও আমরা আইনের শাসন পাচ্ছি না : ড. ইউনূস
আইনের শাসন বলে যে একটা জিনিস, সেটা আমরা কোথাও পাচ্ছি না বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমার ও দেশের মানুষের ওপর বালা-মুসিবত এসেছে, দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এ থেকে রেহাই না পেলে মুক্তি নাই। একটা বালা-মুসিবত পৃথিবীর চারদিকে ঘিরে আছে। সেই মুসিবত থেকেও আমাদের উদ্ধার পেতে হবে। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা কিছুটা নির্দেশনা দিতে পারছি যে, এই পথে গেলে আমরা মুক্তিটা পাব। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে অর্থপাচার ও আত্মসাতের মামলায় ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। দেশের বালা-মুসিবত কী জানতে চাইলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা তো রোজ লিখছেন সেটা কী, আমাকে বলতে বলছেন কেন? বালা-মুসিবত হচ্ছে মানুষ যেভাবে বাঁচতে চায়, যেভাবে থাকতে চায়, সেভাবে থাকতে পারছে না। আইনের শাসন বলে যে একটা জিনিস, সেটা আমরা পাচ্ছি না কোথাও। রোজ আপনারা লিখছেন সেগুলো, আমরা আপনাদের কাছ থেকে তো শিখছি, বুঝে নিচ্ছি। আপনি কোথায় দেখছেন আইনের শাসন নেই—জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি কাগজের বস্তাটা আপনার হাতে তুলে দেই। এটা আপনি পাতা উল্টে উল্টে লিস্ট করেন, আমি বলে দেবো। অসুবিধা নেই তো। এগুলো আপনারা দেখবেন।’ আপনি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্ন করলে ড. ইউনূস বলেন, আপনারা যেভাবে দেখছেন, আমিও সেভাবে দেখছি। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে দেখছি, আপনিও দেশের নাগরিক হিসেবে দেখেন। আমরা তো দেশের অংশীদার। আমরা সবাই মিলেই তো এ দেশ। আদালত আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিলেন। আপনি ন্যায়বিচার পাচ্ছেন কি না? জানতে চাইলে জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এখনো তো বিচার শুরু হয়নি। তিনি বলেন, আমার মাঝে মাঝে খুব দুঃখ হয়, সারা পৃথিবী যেখানে আমাদের থেকে শিখতে চায়, আমাদের সেটাতে গৌরব বোধ করার কথা। সেটা না করে আমরা এমন কাজ করছি যে, আমরা যেন পাপের কাজ করে ফেলেছি। এমন অনুভূতি হওয়ার তো কারণ ছিল না। আমরা কাউকে বাধ্য করছি না, সারা দুনিয়া থেকে লোকজন উৎসাহ নিয়ে আসছে। সেই সুযোগটা আমরা দেবো না কেন? বাধাপ্রাপ্ত কেন হচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে ড. ইউনূস বলেন, সেটা আপনারা বিচার করেন। আমরা কী ব্যাখ্যা দেবো বলেন? ড. ইউনূস বলেন, আমার অনুরোধ, এই রমজান মাসে আমরা সবাই মিলে নিজেদের দিকে তাকাই। আমরা নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে পারছি কি না? আমরা যেটা করতে চাচ্ছিলাম, সেটা করতে পারছি কি না? না করতে পারলে কীভাবে আমরা প্রতিবাদ জানাব। কীভাবে আমাদের কথাগুলো আমরা শোনাতে পারব, সেই শোনাবার পথ আমরা বের করি। পথ আমাদের বের করতেই হবে। এটা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫২

চারদিকে শুধু আমরা আহাজারি আর কান্না দেখতে পাই : রিজভী
চারদিকে শুধু আমরা আহাজারি আর কান্না দেখতে পাই। আজ যদি কেউ লঙ্গরখানা খোলে তাহলে সেখানে দেখা যাবে গরিব মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।   তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশ নাকি কানাডা-ইউরোপের মতো উন্নত হয়েছে। এক মন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু আমরা গণমাধ্যমে কী দেখি? মা তার সন্তানকে বিক্রি করতে হাটে নিয়ে গেছেন। চারদিকে ভিক্ষার আওয়াজ, ভাত চাওয়ার আওয়াজ, চাল চাওয়ার আওয়াজ শোনা যায়। শ্রমজীবী মানুষের মাসিক আয় কত যে ৮০ টাকা আলু কিনবে? লেবুর হালি কিনবে ১২০ টাকায়? মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নয়াপল্টনে জিয়া প্রজন্ম দলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ৭২ থেকে ৭৫ সালে যেভাবে বাংলাদেশেকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করা হয়েছিল শেখ হাসিনা দেশকে সে অবস্থায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। রিজভী বলেন, অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ করছে সরকার। তারা সবকিছুর অনুমতি দিলেও ইফতারের অনুমতি দেয় না। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইফতারেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটা করেছে তাদের প্রভুদের খুশি করতে। টার্গেট করে করে এদেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করছে সরকার। বিএনপির মুখপাত্র আরও বলেন, সারা দুনিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত ‘অবৈধ’ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। সেটা ২০১৪ হোক, ২০১৮ হোক বা ২০২৪ সালের নির্বাচন হোক। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ, যারা নিজেদের গণতান্ত্রিক দেশ বলে দাবি করে, তারা একটি দলের হয়ে সারা বিশ্বে ওকালতি করছে। অবৈধ নির্বাচনকে জায়েজ করতে চেষ্টা করছে। তারা বাংলাদেশের জনগণকে সম্মান করে না, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। তারা শুধু চায় বাংলাদেশে একটি দল আজীবন ক্ষমতায় থাকুক আর তাদের তাঁবেদারি করুক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা ফিরোজ আলম, ছাত্রদল নেতা মুশফিক, আশরাফুল আসাদ প্রমুখ।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৫

আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না। নর-নারী-শিশু হত্যা আমাদের তীব্রভাবে ব্যাথিত করে। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই শান্তি বিরাজমান থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তির নীতি অনুসরণ করি। ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করি কালরাতে আত্মোৎসর্গকারী সেই সব শহীদদের, যাদের তাজা রক্তের শপথ বীর বাঙালিদের অস্ত্রধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না। নর-নারী-শিশু হত্যা আমাদের তীব্রভাবে ব্যাথিত করে। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই শান্তি বিরাজমান থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তির নীতি অনুসরণ করি। শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছর ধরে শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার প্রয়াসে সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন। সেই থেকে ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর একুশ দফা, ’৬২-এর আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সব আন্দোলন সংগ্রামে অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এদেশটির নাম হবে পূর্ব-পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশ।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছিলেন এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পুরো জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ’৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু, পাক-সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে। বৈঠকের মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে নিরস্ত্র বাঙালি নিধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন; ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন এবং ১৫ মার্চ থেকে ৩৫ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ সারা পূর্ব-বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সব প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তার আদিষ্ট পথেই পরিচালিত হতে থাকে। বাংলাদেশে ইয়াহিয়ার শাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। ইয়াহিয়া-ভুট্টো বারবার সমঝোতার প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অটল থাকেন। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সারাদেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্য রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিচালনা করে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, বাঙালি পুলিশ ও সামরিক সদস্যদের হত্যা করতে থাকে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে। এর অব্যবহিত পূর্বেই জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান- ‘ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। —চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।’—যা প্রথমে ইপিআর এর ওয়্যারলেস মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে এই বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানিরা বন্দি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়; এমনকি তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। ১৩ জুন পাকিস্তানি সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যুক্তরাজ্যের ‘দ্য সানডে টাইমস’ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘জেনোসাইড’ শিরোনামে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম বর্বরতার বাস্তবচিত্র নির্ভর একটি বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করলে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি ত্বরান্বিত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়, ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারায় এবং গোটা দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির পিতা, রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের নির্জন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তার প্রাণাধিক প্রিয় স্বাধীন মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। শূন্য হাতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিয়ে ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসন করেন, অবকাঠামো পুনঃস্থাপন ও উন্নয়ন করেন এবং উৎপাদন খাত ও অর্থনীতিকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি প্রদান করে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ’৭১-এর পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাতে থাকে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট আরেক কালরাতে ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন। খুনি মোস্তাক-জিয়া ও তাদের উত্তরসূরিরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করে। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ২৫ মার্চে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কুশীলব, মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার খুনিদের মহান সংসদে বসিয়ে ও তাদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র পতাকা তুলে দিয়ে বাঙালি জাতির গর্বিত ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর আমরা জাতিসংঘের গণহত্যা বিরোধী কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করি। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শান্তির সংস্কৃতির ওপর রেজুল্যুশন গ্রহণের প্রস্তাব করি, যা ১৯৯৯ সালে গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তির সংস্কৃতির বর্ষ’ এবং ২০০১-২০১০ সময়কে ‘শান্তির সংস্কৃতি এবং অহিংস দশক’ ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৮ সাল থেকে সবকটি নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে গত ১৫ বছরের বেশি সময় একটানা তাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত ‘দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম : নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড এ ফরগটেন জেনোসাইড’ -শীর্ষক গ্রন্থে তৎকালীন ঢাকাস্থ আমেরিকার কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাড-এর স্টেট ডিপার্টমেন্টে লেখা নিয়মিত প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিচালিত বর্বরতম গণহত্যার ভয়াল চিত্র উঠে এসেছে। তিনি বলেন, আমরা ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছি। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা এড়াতে ভীত-সন্ত্রস্ত ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছি। বিশ্বের যেকোন স্থানে সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমরা ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি; ভবিষ্যত প্রজন্ম এই পরিকল্পনাকে সময়োপযোগী করে বাস্তবায়ন করতে পারবে। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণহত্যা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। একইসঙ্গে তিনি সব প্রকার বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ও সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৯

‘ঘরের মাঠে আমরা শক্তিশালী দল’
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম লেগে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ দল। কুয়েতে শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে জামাল-তপুরা। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা বাংলাদেশের। আগামী ২৬ মার্চ বসুন্ধরার কিংস অ্যারেনায় ফিলিস্তিনকে স্বাগত জানাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাই বসুন্ধরার স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ দল। শনিবার (২৩ মার্চ) অনুশীলনের সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। তিনি বলেন, ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে নিতে হবে, আর হ্যাঁ আমাদের বেশ কিছু সমন্বয় দরকার। যেভাবে প্রথমার্ধ শেষের আগে পারফরম্যান্সের মান পড়ে গেল, তা চিন্তার বিষয়।  ‘এই বিষয়টাকে পরিবর্তন করতে হবে আমাদের। নিজেদের কাছে আরও ভালো পারফরম্যান্স চাইতে হবে। ইতিবাচকভাবে দেখতে হবে পরিস্থিতিটা, আমরা ঘরের মাঠে অ্যাওয়ে থেকে শক্তিশালী দল।’  তিনি বলেন, আমরা ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০০ দলের একটার বিপক্ষে খেলছি যারা শেষ এশিয়ান কাপের শেষ ষোলোয় খেলেছে। প্রথম ৪০ মিনিটে আমরা ভালো খেলেছিলাম। এই পারফরম্যান্স আমাদের সঙ্গে নিতে হবে। সেই ৪০ মিনিটকে বিশ্লেষণ করতে হবে ভালোভাবে। এটা খুঁজে বের করতে হবে যে সেই মানের পারফরম্যান্স কেন আমরা ৯০ মিনিট ধরে দিতে পারলাম না! আগের ম্যাচের ভুলগুলো সম্পর্কে কাবরেরা বলেন, হাইলাইন ডিফেন্স খেলিয়ে আমরা একটু ঝুঁকি নিয়েছিলাম। প্রতিপক্ষ কাছ থেকে তাড়াতাড়ি বল দখলে নিয়ে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হতে চেয়েছিলাম আমরা। ওই সব পরিস্থিতি থেকে আমরা দুটো সুযোগও পেয়েছিলাম। তবে আমরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।  সুযোগ হাত ছাড়া হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, হয়তো আমরা ওই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে খেলাটা অন্যরকমও হতে পারত! হ্যাঁ, আমরা গোলগুলো হজম করেছি। তারা শক্তিশালী দল, ভালো খেলোয়াড়, শক্তিশালী খেলোয়াড় আছে। এখন আমাদের পুনরায় সমন্বয় করার সময়, দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময়। 
২৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৫

‌‘মাদক বিস্তারে একটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমরা চলে এসেছি’
‘যেভাবে মাদক বিস্তার লাভ করছে, তাতে একটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমরা চলে এসেছি’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। আমরা মাদক উৎপাদন করি না। বিভিন্ন দেশ থেকে এসব মাদক আসে। এর ক্ষতির শিকার হচ্ছে আমাদের যুব সমাজ। আমাদের সব স্বপ্ন তাদের হাতে। তাদের যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি, আমাদের সব স্বপ্ন বিফলে যাবে। যেভাবে মাদক বিস্তার লাভ করছে, তাতে একটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমরা চলে এসেছি। ঐশীর কথা আমাদের নিশ্চয় মনে আছে। সে জায়গা থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তিনভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। মূল টার্গেট চাহিদা ও সাপ্লাই কমানো। যে কারণে আমরা সর্বাত্মকভাবে প্রচার করছি— এর ভয়াবহতার বিষয়ে। নেশা করলে সমাজে ও মানসিকভাবে ধিক্কৃত হতে হয়। একটা পরিবারে যদি কোনো মাদকাসক্ত সন্তান থাকে সেক্ষেত্রে সেই পরিবারের যে কী অবস্থা হয়, তা আমরা জানি। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো এ নিয়ে কাজ করছে।’ সব ধরনের অভিযান এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে যেসব অভিযান চলছে, যারা যারা অভিযানগুলো করছেন, তারা নিজস্ব আঙ্গিকে নিজ নিজ দায়িত্বে করছেন। সেজন্য আমরা চিন্তা করছি, সবাইকে এক ছাতার নিচে নিয়ে এসে এককভাবে এসব অভিযান পরিচালনা করার।’
২১ মার্চ ২০২৪, ২২:০৯

দাম বাড়লে আমরা বেশি কিনি, অন্যরা বর্জন করে : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কোনো জিনিসের দাম বাড়লে সেই জিনিস লোকে কম কিনে বা বর্জন করে। আর আমাদের দেশে দাম বাড়লে সেই জিনিস কিনে কিনে বাসায় জমায়। তখন আমরাই বাড়িতে ছোটখাটো মজুতদার হয়ে যাই।  বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেপুরে শেখ রাসেল পৌর মিলনায়তনে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ এবং যুব মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. দীপু মনি বলেন, কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তারা তরমুজের দাম বাড়িয়ে দেয়। আমরা যদি ঠিক করি যে, আমরা সাত দিন কিংবা ১০ দিন সারাদেশে একটা মানুষও তরমুজ খাব না। ওই তরমুজ ব্যবসায়ীর সব তরমুজ পচে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা কী করি? দাম বাড়লে আরও বেশি কিনি। যত বেশি কিনি সেই অসাধু ব্যবসায়ীরা আরও বেশি দাম বাড়ায়।  সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার মানেই হচ্ছে মানুষের সরকার, জনমানুষের সরকার, জনবান্ধব সরকার। এটি ঠিক যে আজকে আমরা দেখছি, রোজার মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যারা নিত্যপণ্যের জিনিসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়ার চেষ্টা করছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে সরকার দাম বেঁধে দিচ্ছে। এই সময়ে মানুষ যাতে একটু স্বস্তিতে থাকে সেজন্য সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিযে যাচ্ছে। কিছু কিছু ব্যবসায়ী তারপরও ঝামেলা করছে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীরা সবসময় মানুষের পাশে থাকেন। কেননা, বঙ্গবন্ধু মানুষের আদর্শের রাজনীতি করতেন। তিনি দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কীভাবে এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক মুক্তি মিলবে। কীভাবে এদেশের মানুষ ভালো থাকবে-সুখে থাকবে সেই চেষ্টা করতেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই কাজটি করছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন। দীপু মনি বলেন, এই বাংলাদেশে যেভাবে দারিদ্র ছিল, যেভাবে হতদরিদ্র ছিল। এখন দেখুন দারিদ্রের হার অর্ধেকের অনেক বেশি নেমে গিয়েছে। বর্তমানে দারিদ্রের হার ৪১ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে নেমে এসেছে। হতদরিদ্রের সংখ্যা ২১ ভাগ থেকে এখন ৫ দশমিক ৬ ভাগে নেমে এসেছে। আর সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা একজন মায়ের মন দিয়ে তিনি দেশটা চালান। একজন মা যেমন শত প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও তার সন্তানের ভালোর জন্য তার পথ থেকে কেউ বিচ্যুত করতে পারে না, ঠিক তেমনি শেখ হাসিনা তার দেশের মানুষের জন্য কল্যাণের জন্য শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এগিয়ে চলেছেন দৃঢ় পায়ে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গুলি, বোম, গ্রেনেড মারা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং বাংলার মানুষের দোয়াতে তিনি বেঁচে গিয়েছেন। তার বেঁচে থাকাটা যে আমাদের জন্য কত নেয়ামত সেটি আমরা যদি চিন্তা করি যে, ১৫ বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম আর এখন কোথায় আছি। বাগমারা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কোহিনুর বানুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক পিএম সফিকুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন, জাকিরুল ইসলাম সান্টু, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক মাহবুবুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক নাসরিন আক্তার মিতা,জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপাশা খাতুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।   
২০ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৫

আমরা নিপুণের প্যানেলে গিয়ে ভুল করেছিলাম : নানা শাহ (ভিডিও)
আগেরবার আমি ও ডি এ তায়েব নিপুণের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। ভালো কিছু কাজের আশা করেই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। তারা কথা দিয়েছিল সিনেমা নির্মাণ করবে। একটি কথা মনে রাখবেন শিল্পী সমিতি কিন্তু সিনেমা নির্মাণ করতে পারে না। কিন্তু নিপুণ কথা দিয়েছিল ৬টি সিনেমা নির্মাণ করবে। আমি তার কথা অনুযায়ী এগিয়ে ছিলাম। দুটি সিনেমা এন্টি করেছিলাম। কিন্তু তারা আমার পাশে কেউ আসেনি। আমরা শিল্পীরা সম্মান ও ভালোবাসা চাই। এটা যখন আমরা হারিয়ে ফেলি তখন খুব কষ্ট পাই। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের অনেক শিল্পী এখন বেকার। তাদের জন্য শিল্পী সমিতি দুই বছর কি করতে পেরেছে? দুই বছরে শিল্পী সমিতির সফলতা দেখছি না। আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলেছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা নানা শাহ। দুই বছরে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের কাজের সফলতা না দেখলেও অদ্ভুত সফলতা দেখেছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের টেলিভিশনের নায়ক চঞ্চল চৌধুরী ভারতে পুরস্কার পেয়েছে সেটি নাকি শিল্পী সমিতির আবেদন। এখানে শিল্পী সমিতি কী? এটি তো তার কর্মে পেয়েছে। কাজ করতে হবে, এরকম অদ্ভুত কথা বলে লাভ নেই। ওই কমিটিতে আমরা গিয়ে ভুল করেছি। তাই এবার আগেই ঠিক করেছি মিশা-ডিপজল প্যানেলে আসব। যারা কিছু করতে পারবে তারাই এই প্যানেলে আছে। আগের প্যানেলে প্রযোজক ছিল না। কিন্তু এই প্যানেলে প্রযোজক-পরিচালক ও শিল্পী তিনটিই আছে। ডিপজল, মিশা, আমি, রোজিনা, তায়েব, জ্যাকি আলমগীর প্রযোজক। আমরা বলব না কি করব, কাজে দেখাব। আমরা কোন অন্যায় চাই না, বিভাজন চাই না। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি কিন্তু এখন কেমন যেন এক অদ্ভুত পরিস্থিতি হয়েছে। সম্প্রতি চাউর হয়েছে শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন হবে না। তবে নানা শাহ বলেছেন কেউ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। তা হতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, আমি শুনতেছি নির্বাচন বন্ধ করে দিবে, হবে না। এসব ফালতু কথা বলে কোন লাভ নেই। নির্বাচন হবেই। আমরা সব শিল্পীরা মিলে নির্বাচন করব। কেউ যদি বাধা দেয়, নির্বাচন বানচাল করতে চায় আমরা তাকে বাধা দেব। কিন্তু শিল্পী সমিতির নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। প্রযোজক-পরিচালক এবং সনি সিনেমা হলের মালিক মোহাম্মদ হোসেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমিতিতে ঝামেলা তৈরি করছে। সে কথা উল্লেখ করে তার কাছে অনুরোধ জানিয়ে ‘মাটি ও মানুষ’ সিনেমার এই নায়ক বলেন, মোহাম্মদ হোসেনের কাজ হচ্ছে ঝামেলা তৈরি করা। প্রযোজক সমিতি নষ্ট করে এসেছে শিল্পী সমিতি নষ্ট করতে। তার কাছে আমার হাত জোর অনুরোধ—দয়া করে আপনি বাড়ি চলে যান। আমাদের শিল্পীদের নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। আপনি সিনেমা বানান। আমাদের নিয়ে কেন খেলছেন? দয়া করে আপনি আমাদের শিল্পীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করবেন না। সম্প্রতি নিপুণের সভাপতির খোঁজে মাঠে নেমে সমালোচনায় জড়ান আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলম। তাদের কাছে আশা ব্যক্ত করে নানা শাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে বিতর্ক শুনেছি। কিন্তু তাদের কাছে আশা করব, এরকম বিতর্ক যেন আর না হয়। তারা সুস্থ ও সুন্দর একটি নির্বাচন পরিচালনা করবেন সেই আশা ব্যক্ত করছি। গত নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের ইশতেহারে প্রথম গুরুত্ব ছিল এফডিসিতে প্রধানমন্ত্রীকে আনার বিষয়টি। কিন্তু তারা তা পারেনি। সে প্রসঙ্গে এই অভিনেতা বলেন, মুখে তো অনেক কথাই বলা যায়। আমরা একটি কথাই বলতে চাই—সব শিল্পী এক হব এবং সবাই একসঙ্গে হয়ে বাঁচার চেষ্টা করব। যাতে আমাদের কষ্ট না হয়। সবাই যেন ভালো থাকতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করি, প্রধানমন্ত্রী নিজে আনন্দের সঙ্গে বলবেন—আমার বাবা এই এফডিসি তৈরি করেছেন। আমি নিজে গিয়ে একদিন শিল্পী সমিতি গিয়ে বসব। আমাদের আনার শক্তি নেই। এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে বেশ কয়েক জন শিল্পীদের দৌড়ঝাঁপ ছিল চোখে পড়ার মতো। এসব শিল্পীদের উদ্দেশ্য ‘আনন্দ অশ্রু’ সিনেমার এই অভিনেতা বলেন, একজন শিল্পীকে সারা বাংলাদেশ চিনে। আর একজন এমপিকে একটা এড়িয়ার লোক চিনে। আমাদের কিছু শিল্পী বোকা তারা এমপি হওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। অভিনয় চালিয়ে যান আপনাকে সারা বাংলাদেশের মানুষ চিনবে। আপনি কেন এমপি হওয়ার জন্য দৌঁড়াচ্ছেন। সর্বশেষ সবার কাছে দোয়া চেয়ে নানা শাহ বলেন, আমরা যারা এক হয়েছি তারা যেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এক থাকতে পারি সবাই দোয়া করবেন। প্রসঙ্গত, নানা শাহ ১৯৮২ সালে আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘মাটি ও মানুষ’ সিনেমাতে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তারপর হাসিবুল ইসলাম মিজানের ‘প্রেমের কসম’ ও হাফিজ উদ্দিনের ‘বাজিগর’ সিনেমাতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করার পর দর্শকদের ভালোবাসা কুড়ান। এরপর ‘পৃথিবী আমাকে চায় না’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘তুমি আমার ভালোবাসা’সহ বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করেন তিনি। চলচ্চিত্রে প্রথমে নায়ক চরিত্রে ক্যারিয়ার শুরু করলেও খল নায়ক চরিত্রে কাজ করে দর্শকপ্রিয়তা পান নানা শাহ।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৪

‘ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য আমরা প্রস্তুত’
বিশ্বকাপ বাছাইকে সামনে রেখে সৌদি আরবে সুদানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। তবে এক ম্যাচেও জয় পায়নি জামাল-তপুরা। প্রথমটি গোলশূন্য ড্রয়ের পর গত রাতে ৩-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে এমন মন্তব্য করেছেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে কোচ কাবরেরা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচের পর আত্ববিশ্বাসী কণ্ঠে বলেছেন, এই দুইটা ম্যাচ আমাদের ২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে নামার প্রস্তুতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। আমরা এখন অনেক ভালো অবস্থানে আছি এবং এখানে আসার আগের অবস্থার তুলনায় ভালো খেলছি। ফিলিস্তিন মার্চের জন্য আমরা এখন অনেকটাই প্রস্তুত। তিনি বলেন, আরেকটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেললাম আমরা সুদানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। শারীরিক শক্তি তুলনায় সুদান আর ফিলিস্তিন প্রায় কাছাকাছি। শারীরিক শক্তিতে ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তারপরও দলের সবাই জোর লড়াই করে গেছে। আমি মনে করি দুটি ম্যাচ থেকেই ইতিবাচক অনেক কিছু মিলেছে আমাদের।’ আগামী রোববার কুয়েত যাবে বাংলাদেশ দল। ২১ মার্চ সেখানে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ২৬ মার্চ কিংস অ্যারেনাতে হবে হোম ম্যাচ।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়