• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের আবু রায়হান
সেনেগালে অনুষ্ঠিত ১১তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশের হাফেজ ক্বারি আবু রায়হান। এই কেরাত প্রতিযোগিতায় ৩০টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়েছেন তিনি।  প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে আবু রায়হান পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১০ মিলিয়ন ফ্রান্ক বা ১৬ হাজার ৬০০ শত মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৯ লাখ টাকা।  সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে ক্বারি আবু রায়হান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেই এই সাফল্যের কথা জানান।  স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আলহামদুলিল্লাহ ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। আফ্রিকার সেনেগালের ভূমিতে লাল সবুজের বিশ্বজয়, ৩০ দেশকে পেছনে ফেলে ক্বারি আবু রায়হানের বিশ্বজয়। ক্বারী হাফেজ আবু রায়হানের বাড়ি নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে। তিনি মুফতি আবদুল কাইয়ুম মোল্লা পরিচালিত বল্লভদী আল ইসলামিয়া ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র। আরটিভি আলোকিত কোরআন ২০১৬ সালে আবু রায়হান চ্যাম্পিয়ন হয়। তিনি আরটিভির বিভিন্ন ইসলামিক অনুষ্ঠানের নিয়মিত অতিথি।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪২

এক ম্যাচেই ৭ উইকেট শিকার, যা বললেন রনি
পেসার আবু হায়দার রনির বিধ্বংসী বোলিংয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) বল বিবেচনায় বড় জয়ের রেকর্ড গড়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে ২৬২ বল বাকি রেখে ৯ উইকেটের জয় পায় মোহামেডান। ২০১৩-২০১৪ সালে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাবার পর ডিপিএলের ইতিহাসে বল বিবেচনায় এটিই সবচেয়ে বড় জয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রনির বোলিং তোপে টুর্নামেন্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মাত্র ৪০ রানে অলআউট হয় গাজী টায়ার্স। ৬ ওভারে ১ মেডেন ও ২০ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেন রনি। এটি ডিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে, ২০১৭-২০১৮ মৌসুমে ডিপিএলে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের তরুণ পেসার ইয়াসিন আরাফাত। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমে রনির ভাষ্য, ‘আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সো ফার খুব ভালো দিচ্ছে। আজকের ম্যাচটা তো আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো, আমার লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো (বোলিং) ফিগার। ভালো করতে সবসময় ভালো লাগে। যেহেতু এই ফরম্যাটে সবচেয়ে ভালো বোলিং ফিগার। আজকের দিনটা অবশ্যই আমার জন্য স্পেশাল।’ নিজের সামনের বড় লক্ষ্য নিয়ে তার মন্তব্য, ‘আসলে বড় টার্গেট নিলে কী হয় মাঝখানে একটু স্লিপ করার চান্স থাকে। আমি সবসময় প্ল্যান করি যে ম্যাচ বাই ম্যাচ যাতে সামনে এগোনো যায়। একটা করে ম্যাচ চিন্তা করছি। ঈদের পর প্রথম ম্যাচ শাইনপুকুরের সঙ্গে। তো এখন চিন্তাভাবনা ওইটা নিয়েই। যদি ওইটা ওভারকাম করতে পারি, তাহলে হয়ত পরের ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করব।’ রনি যোগ করেন, ‘অবশ্যই ভালো করতে থাকলে তো তখন সামনে খেলার চিন্তাগুলা আসে। প্রক্রিয়া তো একটাই থাকে মাঝখানে হয়তো একটু খারাপ সময় গিয়েছিল। এখন আলহামদুলিল্লাহ ওভারকাম করেছি। গত ২ বছর খুব চেষ্টা করছিলাম যে কীভাবে ওভারকাম করা যায়। পরিশ্রম করে বলের পেসটা একটু বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। লাইন লেংথ ঠিক করার চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ ওই ২ বছরের চেষ্টার হয়তো আমি এখন ফলটা পাচ্ছি। সবকিছু কিন্তু একটা প্রক্রিয়া। আমি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। এটা ধরে রাখতে পারলে আশা করি সামনে ইনশাল্লাহ আরও ভালো কিছু হবে।’
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৭

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও চবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।   মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে আগামী চার বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। আদেশে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১২ (২) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. মো আবু তাহেরকে ভাইস-চ্যান্সেলর পদে সাময়িকভাবে শর্ত সাপেক্ষে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।  অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের জন্মস্থান চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। সেখানকার কাঞ্চনা হাইস্কুল মাধ্যমিকের পর চট্টগ্রাম কলেজে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে উচ্চতর শিক্ষা এবং গবেষণা সম্পন্ন করেন তিনি। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কমার্স কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০৪ সালে ওই বিভাগে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। দেশ-বিদেশে তার শতাধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার রচিত ব্যবসায় প্রশাসনবিষয়ক ১৫টি গ্রন্থ অনার্স এবং মাস্টার্স পর্যায়ে পাঠ্য হিসেবে পঠিত হচ্ছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৪

ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান বিচারপতি আবু আহমেদ
মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদারকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তাকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এদিকে ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ করতে না চাওয়ায় চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামকে হাইকোর্ট বিভাগে ফেরত আনা হয়েছে। আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ট্রাইব্যুনাল হতে হাইকোর্ট বিভাগে প্রত্যাবর্তন করার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি অভিপ্রায় ব্যক্ত করায় দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ এর ধারা ৬ (৪) এর বিধান মোতাবেক ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণাক্রমে ট্রাইব্যুনালের বর্তমান সদস্য বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদারকে চেয়ারম্যান এবং তার শূন্য পদে এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা ও দায়রা জজকে (পিআরএল ভোগরত) তার পিআরএল বাতিলক্রমে ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমকে তার পদে বহাল রাখা হলো। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগে প্রত্যাবর্তন করবেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কর্মরত থাকাকালে তাকে প্রদত্ত সব নিরাপত্তা সুবিধাসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুবিধাদি বিধি মোতাবেক অব্যাহত থাকবে। উক্ত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত একজন বিচারপতির সমমর্যাদার বেতন-ভাতাদি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫১

রওশ‌নের স‌ঙ্গে যোগ দেওয়ায় বাবলাকে অব্যাহতি জি এম কা‌দেরের
রওশ‌ন এরশাদের স‌ঙ্গে যোগ দেওয়ায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হো‌সেন বাবলা‌কে সব পদ থে‌কে অব্যাহতি দি‌য়ে‌ছেন দ‌লটির চেয়ারম্যান জি এম কা‌দের। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলাকে পার্টির কো-চেয়ারম্যান পদসহ দলীয় সব পদপদবি থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন; যা ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। এদিকে এদিন দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে আগামী ৯ মার্চ কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। এসময় দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে রওশন এরশাদ বলেন, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাজী ফিরোজ রশীদ, কো-আহ্বায়ক থাকবেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, যুগ্ম আহ্বায়ক থাকবেন গোলাম সরোয়ার মিলন, সদস্য সচিব থাকবেন রফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন তিনি।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৫

ড. ইউনূসের পক্ষে ১২ মার্কিন সিনেটরের চিঠি কি অজ্ঞতাপ্রসূত?
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সমালোচনা এখন তুঙ্গে। সম্প্রতি তাঁকে ‘হয়রানি’ করা হচ্ছে বলে দাবি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ১২ জন সিনেটর। এই নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছেন তারা। গত ২২ জানুয়ারি ইস্যুকৃত চিঠিটি পড়ে জানা যায়, ড. ইউনূসের প্রতি কথিত ক্রমাগত হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তারা। তবে এতে করে একটা জিনিস স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, তাদের এ প্রতিবাদের সঙ্গে কৌশলে বাংলাদেশ ও এর সরকারবিরোধীদের পক্ষ নিয়ে তাদের পক্ষে দাবি জুড়ে দিয়েছেন তারা। তাছাড়াও সরকারবিরোধীদেরকে কৌশলে ‘সরকারের সমালোচক’ তকমা দিয়ে ঐ ১২ সিনেটর বলেছেন, তাদেরকে লক্ষ্য করে আইন ও বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর পাঠানো এ চিঠিতে মার্কিন সিনেটররা লিখেছেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ১৫০টিরও বেশি অপ্রমাণিত মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রমে অনিয়ম হয়েছে। দেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে  নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। আর এখানেই রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারিক অপব্যবহার দেখতে পাচ্ছেন ১২ মার্কিন সিনেটর। এবারে ঘোলা জল কিছুটা পরিষ্কার করা হোক!   ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এ মামলা সরকার করেনি। বরং শ্রমিকেরাই করেছেন এ মামলা। ছুটি নগদায়ন এবং শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের বিভিন্ন বকেয়া পাওনার দাবিতে ২০১৬ সালে প্রথম মামলা করেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ১৪ কর্মী, সরকার নয়। পরে বকেয়া পাওনা চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ৯৩টি মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকমের বর্তমান কর্মীরা।  ঢাকার শ্রম আদালতে সব মিলিয়ে ১০৭টি মামলা করা হয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এখানে সরকারকে কোথা থেকে খুঁজে পেলে মার্কিন সিনেটররা? আসলে বাংলাদেশ সরকারকে চাপে রাখার যে মার্কিন খোলামেলা অপচেষ্টা অনেকদিন ধরে করে আসছে; বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে, এখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে ১২ মার্কিন সিনেটরের এসব বানোয়াট বিবৃতি সেই মিশনেরই অংশ।  আমাদের কাছে এর যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে।নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ কাগজে কলমেও প্রমাণিত হয়েছে। ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় গত ১ জানুয়ারি ২০২৪ এ রায় দেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।  ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এবারে আমরা যদি একটু পিছনে ফিরে তাকাই, তাহলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে উঠবে। ১৯৯৭ সালে কোম্পানি আইন অনুযায়ী গঠিত হয় “গ্রামীণ টেলিকম”। কোম্পানি গঠনের শর্ত মোতাবেক গ্রামীণ টেলিকম তাদের অর্জিত লভ্যাংশের ৫% হারে শ্রমিক কর্মচারী কল্যাণ তহবিলে দেওয়ার কথা। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ টেলিকম কোম্পানি “গ্রামীণ ফোনের” ৩৪.২০% শেয়ারের মালিক গ্রামীণ টেলিকম। কিন্তু কোম্পানি আইনের শর্তে গ্রামীণ টেলিকম কোনো শ্রমিক কর্মচারী কল্যাণ তহবিল তো গঠন করেইনি, জমাও করেনি লভ্যাংশের ৫%। এ লভ্যাংশের এক দশমাংশ দেওয়ার কথা ছিল জাতীয় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে। কিন্তু নথি ঘেঁটে দেখা যায় ২০১৩-১৭ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে ৫% লভ্যাংশের দশ ভাগের এক ভাগ হিসেবে ৯৪ কোটি ২ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮ টাকা জমা দিয়েছে “গ্রামীণ টেলিকম”। ৫ বছরে গ্রামীণ টেলিকমের “শ্রমিক কর্মচারী কল্যাণ তহবিলে” দেওয়ার কথা ৯৪০ কোটি টাকার মতো। ১৯৯৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ২৫ বছরে ৫% লভ্যাংশ হিসাবে শ্রমিক কর্মচারী কল্যাণ তহবিলে জমা হওয়ার কথা এর ৫ গুণ টাকা। যার মোটামুটি হিসাব দাঁড়ায় ৪৭০০ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। কিন্তু বারবারই মিথ্যাচার করে পার পেয়ে গেছেন তিনি। গ্রামীণ টেলিকম জানিয়েছে, তারা ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২৮ নম্বর ধারায় সৃষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে তারা বলছে ‘নট ফর প্রফিট কোম্পানি। বস্তুত এই আইনের দোহাই দিয়েই তারা বক্তব্যে উল্লেখ করেছে, “কোম্পানি আইন অনুযায়ী যার (গ্রামীণ টেলিকম) লভ্যাংশ বিতরণযোগ্য নয়।”  কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা তলিয়ে দেখলেই তাদের মিথ্যাচারটি ধরা পড়ে। কেননা এই আইনের প্রথম উপধারাতেই আছে, “যদি সরকারের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রমাণিত হয় যে, সীমিতদায় কোম্পানি হিসাবে গঠিত হওয়ার যোগ্য কোন সমিতি বাণিজ্য, কলা, বিজ্ঞান, ধর্ম, দাতব্য বা অন্য কোন উপযোগিতামূলক উদ্দেশ্যের উন্নয়নকল্পে গঠিত হইয়াছে অথবা গঠিত হইতে যাইতেছে এবং যদি উক্ত সমিতি উহার সম্পূর্ণ মুনাফা বা অন্যবিধ আয় উক্ত উদ্দেশ্যের উন্নতিকল্পে প্রয়োগ করে বা প্রয়োগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং উহার সদস্যগণকে কোন লভ্যাংশ প্রদান নিষিদ্ধ করে, তবে সরকার উহার একজন সচিবের অনুমোদনক্রমে প্রদত্ত লাইসেন্সের মাধ্যমে এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবে যে, উক্ত সমিতির নামের শেষে “সীমিতদায়” বা “লিমিটেড” শব্দটি যোগ না করিয়াই উহাকে একটি সীমিতদায় কোম্পানি হিসাবে নিবন্ধনকৃত করা হউক, এবং অতঃপর উক্ত সমিতিকে তদনুযায়ী নিবন্ধনকৃত করা যাইতে পারে।” সুতরাং এখানেই প্রমাণিত হয় যে, এ মামলাতে মিথ্যাচার করা হয়েছে। এবারে আসি চাকরি স্থায়ীকরণ না করা প্রসঙ্গে।  ড. ইউনুসের পক্ষে থেকে বলা হয়েছে, “গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়।” তারা যুক্তি দিয়ে বলেছে, যেহেতু গ্রামীণ টেলিকমের সকল ব্যবসায়িক কার্যক্রম চুক্তিভিত্তিক, তাই তাদের নিয়োগও চুক্তিভিত্তিক। তবে আইন অনুযায়ী তাদের দাতব্য বা উন্নয়নমূলক কাজ করার কথা। অর্থাৎ তার নিজের কথাতেই নিজের কাজের অসামঞ্জস্য ফুটে উঠেছে। গ্রামীণ টেলিকম তাদের বক্তব্যে  বলেছে, তারা কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে স্থায়ী করে না, বরং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়, এ দাবিটি মিথ্যা ও আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিমূলক।  শ্রমিক ঠকানোর জন্য তারা শিখণ্ডী হিসেবে শ্রম আইন ২০০৬ এর চতুর্থ ধারার কথা উল্লেখ করেছে। কিন্তু এ আইন তারা মানেনি। একটু তলিয়ে দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়। শ্রম আইনের ৪(১) ধারা অনুযায়ী শ্রমিকের যে শ্রেণিবিন্যাস দেওয়া আছে, সেখানে ‘চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক’ বলে কোনো কথা নেই, কোনো শ্রেণিবিন্যাসও নেই। এ আইনের ৫, ৬ ও ৭ ধারায় বিভিন্ন শ্রেণির শ্রমিকের কাজের বণ্টন দেওয়া আছে। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালা যে শ্রমিকদের কীভাবে বঞ্চিত করছে, এটাই তার স্পষ্ট  প্রমাণ। এবারে আসি  লভ্যাংশের টাকার ব্যাপারে। রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের আর্থিক প্রবাহ থেকে দেখা যাচ্ছে- এই টাকা প্রথমে গেছে ‘গ্রামীণ উদ্যোগ’ নামের প্রতিষ্ঠানে। সেখান  থেকে গেছে ‘গণশিক্ষা-গ্রামীণ টেক্সটাইল মিল’ ও ‘গ্রামীণ শিক্ষা’ নামক প্রতিষ্ঠানে। আরও টাকা গেছে ‘গ্রামীণ সলিউশনস লিমিটেড’, ‘গ্রামীণ আইটি পার্ক লিমিটেড’, ‘গ্রামীণ-ডানো ফুড লিমিটেড’, ‘গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড’, ‘গ্রামীণ ফেব্রিকস ও ফ্যাশন লিমিটেড’ ও ‘গ্রামীণফোন’ নামক কোম্পানিতে। টাকা গেছে ‘গ্রামীণ হেলথ কেয়ার সার্ভিস লিমিটেডে’। এখান থেকে টাকা গেছে ‘গ্রামীণ ভ্যেয়োলা ওয়াটার লিমিটেডে’। টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে ‘গ্রামীণ হেলথ কেয়ার ট্রাস্ট লিমিটেডে। এর টাকা আবার বিনিয়োগ হয়েছে ‘বিএএসএফ গ্রামীণ লিমিটেডে’। টাকা গেছে ‘গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট’ নামক কোম্পানিতে। এর টাকা আবার গেছে ‘গ্রামীণ মৎস্য ও পশু সম্পদ ফাউন্ডেশনে’।  অর্থাৎ কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা ভঙ্গ করে তারা এক কোম্পানি থেকে আরেক কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে (অনুদান নয় কিন্তু)।প্রতিটি কোম্পানি ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে, কারণ তাদের অডিট প্রতিবেদনে আরও বাণিজ্যিক বিনিয়োগের তথ্য আছে। অর্থাৎ যে আইনের দোহাই দিয়ে তারা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করলো না, সেই একই আইন ভঙ্গ করে তারা বাণিজ্যিক বিনিয়োগ করলো। এমনকি শ্রম আইন লঙ্ঘনের সকল অভিযোগ,  মামলা ধামাচাপা দেয়ার জন্য এবং রায় নিজের পক্ষে আনার জন্য নীল নকশা তৈরি করে। পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দালালের আশ্রয় নেয়।  এবারে আমার প্রশ্ন হচ্ছে,এতকিছুর পরেও কীভাবে মার্কিন সিনেটররা দাবি করে যে ড. ইউনূসের সাথে অন্যায় হচ্ছে। এবং সে ইস্যুতে দেশের সরকার বরাবর চিঠি পাঠাচ্ছে? বরং এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ন্যায়ের নাম করে তারা অজ্ঞাতভাবেই সরকার বিরোধী কাজ করছে যা আপাত দৃষ্টিতে সরকারবিরোধীদেরকেই সমর্থন করছে। লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৩

প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার পদে পুনঃনিয়োগ পেলেন আবু জাফর রাজু 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার-২ হিসেবে পুনঃনিয়োগ পেলেন মোঃ আবু জাফর রাজু।  তিনি ২০১৯ সাল থেকে এ পদে কর্মরত আছেন। মোঃ আবু জাফর রাজুর বাবা ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার।  তাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্নেহ করতেন ও ভালবাসতেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারের নিমর্মভাবে হত্যার পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এ জন্য তাকে বেশ কয়েকবার কারাবরণ ও অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। এর আগে, মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ পদে থাকাকালীন অবস্থায় কুলাউড়া সংসদীয় আসনের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।  তিনি প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইটালি, স্পেন, আজারবাইজান, মালদ্বীপ, ভারত, সংযুক্ত আরব আমীরাত, সৌদি আরব, সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্নদেশ সফর করেছেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৩

নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে সরে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিএনপির আবু হানিফ হৃদয়
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচন বর্জন করেছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয়।  শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।  সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার শুরু থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বাবু এমপি তার চরিত্রহরণ, গালিগালাজসহ ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে প্রচারণা থেকে দূরে সরে থাকতে বলেছেন। এ নিয়ে কমিশনে অভিযোগ করেও কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি।  কে এম আবু হানিফ আরও বলেন, সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন প্রতিটি গ্রামে কাউকে এজেন্ট না থাকার জন্য ভয়ভীতি-আতঙ্ক সৃষ্টি করে সিল মারার পরিকল্পনা করছে। তাদের এই কৌশলগত ভয় ছড়ানোর কারণে কেউ এজেন্ট হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিতে রাজি নন। এ কারণে সোনালী আঁশ প্রতীকের এ প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসন থেকে নির্বাচন বর্জন করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন। তবে তিনি ঢাকা-৫ আসনে নির্বাচনে প্রার্থী রয়েছেন।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়