• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এমভি আবদুল্লাহ / মুক্ত দুই নাবিক ফিরবেন বিমানে, বাকিরা জাহাজে  
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে ৩২ দিনের জিম্মি জীবন কাটানো শেষে মুক্ত ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে নিয়ে দুবাইয়ের পথে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানকার আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন তারা। তবে সহসাই জলদস্যুদের ডেরা থেকে ফেরা নাবিকদের কাছে পাচ্ছেন না উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে পুরো রমজান মাস ও ঈদ কাটানো স্বজনরা।  কারণ, কেবল দুজন নাবিক দেশে ফিরছেন বিমানযোগে। বাকি ২১ জন নাবিক ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহতেই। অবশ্য নাবিকদের নিজ নিজ ইচ্ছাতেই এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (১৭ এপ্রিল) এ বিষয়ে কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ আগামী ২২ এপ্রিল সকালে আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। সেখান থেকে দুজন নেমে গিয়ে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। বাকিরা জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন।  প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল এসআর শিপিংয়ের জাহাজটির। কিন্তু পথিমধ্যে ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। ২৩ নাবিককে জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যায় তারা। এরপর পুরো রমজান মাস ও ঈদ জিম্মি অবস্থাতেই কাটে নাবিকদের। চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ঘিরে থাকে তাদের স্বজনদের। অবশেষে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। জাহাজটির মালিকপক্ষের দাবি, ২৩ নাবিক ও জাহাজটিকে মুক্ত করতে দস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা। ওইদিন বিকেলে একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুঁড়ে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে ব্যাগ তিনটি কুড়িয়ে নেন দস্যুরা।    দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতেই সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নিরাপদ জলসীমায় আনা পর্যন্ত জাহাজটিকে নিরাপত্তা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। একইসঙ্গে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয় জাহাজের চারদিকে। প্রস্তুত করে রাখা হয় জাহাজে নিরাপত্তার জন্য সংরক্ষিত এলাকা সিটাডেল, ইমার্জেন্সি ফায়ার পাম্প এবং সাউন্ড সিগন্যাল। এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই মালিকপক্ষের আরেক জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০২

উচ্চঝুঁকিপূর্ণ রুট পার হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ, পাহারায় ইইউ’র যুদ্ধজাহাজ
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে দীর্ঘ ৩১ দিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। মুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের পথে রওনা দিয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করেছে। জাহাজটি বর্তমানে ৮ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে এখনও জাহাজটি এখনও উচ্চঝুকিপূর্ণ নৌ-সীমার মধ্যে থাকায় বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে সেটিকে দুবাইয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। তাদের সঙ্গ দিচ্ছে তিনটি দ্রুতগতির টহল বোট।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নেওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এছাড়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপও। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাহাজটি এখনও উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জাহাজের রেলিংয়ে কাঁটাতার দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ডেকে উচ্চ চাপের ফায়ার হোস, সিটাডেল, জরুরি ফায়ার পাম্প ও সাউন্ড সিগন্যাল প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া নাবিকদের থাকার জায়গা এবং ইঞ্জিন রুমের দরজা এবং ঢোকার পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর নিরাপদ জলসীমায় আনার আগ পর্যন্ত পাহারা দিচ্ছে দুটি যুদ্ধজাহাজ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সদস্যরা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। খোঁজখবর নিয়েছেন।’ জানা গেছে, অপারেশন আটলান্টার আওতায় সোমালিয়া উপকূল, এডেন, আকাবা, সুয়েজ, লোহিত সাগর ও আশপাশের এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। মূলত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির জাহাজ নিরাপত্তা দেওয়া এবং দস্যুতাবিরোধী কার্যক্রম তদারকিই তাদের মূল উদ্দেশ্য। সূত্র জানায়, জাহাজের সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা হিসেবে সিটাডেল প্রস্তুত করা হয়। এর মোটা স্টিলের পাত ভেদ করে ঢোকা প্রায় অসম্ভব। এর ভেতরে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারেন নাবিকরা। আগামী ২০ এপ্রিল জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছে কেএসআরএম গ্রুপ। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি আরব আমিরাতে যাচ্ছিল। ৩১ দিন জিম্মি থাকার পর শনিবার বিকেলে ২৩ নাবিকসহ মুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ। মুক্ত হওয়ার পর থেকেই কাছাকাছি থাকা ইইউ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দুবাইয়ের দিকে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২১

জলদস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ার ছবি নিয়ে সন্দেহ নৌ-প্রতিমন্ত্রীর
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ও ২৩ নাবিককে মুক্ত করার জন্য মুক্তিপণ হিসেবে ডলার ভর্তি ব্যাগ সাগরে ফেলার যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তার দাবি, জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের মুক্ত করতে মুক্তিপণ লেগেছে এমন কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। সোমালিয়ান জলদস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ার ছবির প্রসঙ্গটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও এডিট করা হয়ে থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রতিমন্ত্রী।  খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘জানতাম পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। ডলারের মতো এত দামি জিনিস যে পানিতে ফেলে, তা জানা ছিল না!’ তিনি বলেন, ‘এটা এখন কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। ‌এমন ছবি তো আমরা অনেক সিনেমায় দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কীভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না।’ জলদস্যুদের কবল থেকে ছাড়া পাওয়া জাহাজ ও নাবিকদের সবশেষ অবস্থা প্রসঙ্গে এরপর তিনি বলেন, জাহাজটি এখন দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। আগামী ১৯ বা ২০ এপ্রিল গিয়ে এটি সেখানে পৌঁছাবে। এরপরের পুরো বিষয়টি জাহাজ এবং নাবিকদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়। নাবিকরা কত দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছেন, সেই চুক্তি তারা বহাল রাখবেন, নাকি তারা ফিরে আসবেন। তিনি যোগ করেন, তবে মালিকরা গতকালকে খুব ভালো একটি কথা বলেছেন। গতকালকে আমি শুনেছি, তারা যদি চায় বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। তাদেরকে বিমানযোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। সেখানে তাদের স্থালাভিসিক্ত কারা হবে সেটা নিয়েও হয়তো মালিকপক্ষ কাজ করছে। এরপর আন্তর্জাতিক নৌপরিবহন নিরাপদ করা প্রসঙ্গে খালিদ মাহমুদ বলেন, আমরা আইএমওর (আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থা) সি ক্যাটাগরি সদস্য। আমরা একটা প্রস্তাবনা তৈরি করছি, যেটা নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। আইএমওতে যে ১৭৪টা দেশ আছে তাদের কাছে আমরা একটা প্রস্তাবনা দেব, কীভাবে আমাদের সমুদ্রপথটাকে নিরাপদ রাখতে পারি।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৪

৫ দিন পর দুবাইতে পৌঁছাবে দস্যুমুক্ত এমভি আবদুল্লাহ
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে ৩১ দিন পর মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ আগামী ১৯ এপ্রিলের দিকে দুবাইয়ের বন্দরে পৌঁছবে। রোববার (১৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিম্মি জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম। এর আগে শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি তিনটি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় তারা। মিজানুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ দুবাই যাবে। সেখানে ওই জাহাজে যোগ দেবেন নতুন নাবিকরা। মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিককে বিমানে চট্টগ্রামে নেওয়া হবে। চট্টগ্রামে পৌঁছানের পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা ফিরবেন স্বজনদের কাছে।  তিনি জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ পাওয়ার পর শনিবার বিকেল ৪টায় ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ত্যাগ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তবে মুক্তিপণ হিসেবে জলদস্যুদেরকে কতো ডলার দেওয়া হয়েছে কিংবা তারা চেয়েছিল কতো, তার কিছুই এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে জানানো হয়নি জাহাজটির মালিকপক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এর আগে, ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩২

৩১ দিন পর মুক্ত জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ২৩ নাবিক 
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে ৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। সঙ্গে ছাড়া পেয়েছে জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ও। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি তিনটি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় তারা। রোববার (১৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিম্মি জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম।  তিনি জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।  মিজানুল ইসলাম আরও জানান, মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিককে বিমানে চট্টগ্রামে নেওয়া হবে। চট্টগ্রামে পৌঁছানের পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা ফিরবেন স্বজনদের কাছে। আর উদ্ধার হওয়া জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ যাবে দুবাইয়ে। সেখানে ওই জাহাজে যোগ দেবেন নতুন নাবিকরা।  এর আগে ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ পাওয়ার পর শনিবার বিকেল ৪টায় ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ত্যাগ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তবে মুক্তিপণ হিসেবে জলদস্যুদেরকে কতো ডলার দেওয়া হয়েছে কিংবা তারা চেয়েছিল কতো, তার কিছুই এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে জানানো হয়নি জাহাজটির মালিকপক্ষ থেকে।  উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এর আগে, ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়। 
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭

জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের অঙ্ক চূড়ান্ত
বীমা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দরকষাকষির পর সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে মুক্তিপণের অঙ্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে কত টাকায় এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে তা জানা যায়নি। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, সোমালীয় জলদস্যুদের কাছে কিভাবে মুক্তিপণ পৌঁছানো হবে তা আলোচনা করা হয়েছে। এবার জিম্মি নাবিকদের মুক্তি দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করতে বীমা প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিচ্ছে জাহাজটির মালিক-পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। তবে জলদস্যুরা মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত মুক্তির তারিখ দিচ্ছে না। মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের মুক্ত করার বিষয়ে অগ্রগতির কথা স্বীকার করেছে এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ। তবে মুক্তিপণের অঙ্ক কত, জানাতে নারাজ কেএসআরএম গ্রুপ। অন্যদিকে, জিম্মি জাহাজটিকে দেশে আনতে বিকল্প ২৩ নাবিককে প্রস্তুত করে রেখেছে মালিকপক্ষ। কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, নাবিকদের মুক্ত করার ব্যাপারে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। বীমা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলা যাবে না। জিম্মি নাবিকদের মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে আমরা সবাইকে জানিয়ে দেব।  তিনি বলেন, মুক্তিপণ ছাড়া সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার নজির নেই। দয়া করে আর বেশি কিছু জানতে চাইবেন না।  বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশেনের সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি, জিম্মি নাবিকদের মুক্ত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চাপের কারণে এবারে মুক্তিপণের টাকা পেতে জলদস্যুদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কোন প্রক্রিয়ায় তারা মুক্তিপণের টাকা পাবে, সে বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার আগে তাই জিম্মিদের মুক্তির দিনক্ষণ ঘোষণা করছে না তারা। তবে ঈদের আগে নাবিকরা মুক্ত হচ্ছেন না– এটি অনেকটা নিশ্চিত। মুক্তিপণ প্রদানের বিষয়টি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয় জানিয়ে ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী জানান, জাহাজের মালিকপক্ষ প্রথমে যোগাযোগ করে বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এরপর আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান। মধ্যস্থতাকারীরা জলদস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই তিন পক্ষ পরস্পর আলোচনা করে মুক্তিপণের অঙ্ক ও প্রদান প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে। মুক্তিপণের টাকা ভাগ হয় পাঁচ ভাগে। জলদস্যুরা নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগ করে তিনটি স্তরে। এই ভাগ যায় মধ্যস্থতাকারী ও মুক্তিপণের টাকা পরিবহন করে দেওয়া গ্রুপের কাছেও। ১৪ বছর আগে এমভি জাহান মণি জাহাজের ক্ষেত্রেও এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছিল। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৮

জিম্মি নাবিকদের প্রসঙ্গে সবশেষ যা জানা গেল
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, সোমালিয়ায় জিম্মি জাহাজের নাবিকরা ভালো আছেন এবং তাদের উদ্ধারে আলোচনা চলছে। শনিবার (৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নাবিকদের খাবার-দাবারের কোনো অসুবিধা নেই। তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি, সহসা তাদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, জিম্মি জাহাজের আশপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের ওপর নানা চাপও রয়েছে। আশা করছি, সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। সেইজন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভব নয়। তবে, এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।  ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জাহাজে যারা চাকরি করে ঈদের আগে-পরে হিসেব করে তাদের কোনো ছুটি হয় না। তারা যায় ছয় মাস কিংবা এক বছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার কথা ছিল না। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৭

জলদস্যুদের সঙ্গে মুক্তিপণের দরকষাকষি চূড়ান্ত পর্যায়ে
বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করা জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২৩ নাবিক ও জাহাজের মুক্তিপণের দরকষাকষি শেষ পর্যায়ে। যে কোনও সময় মুক্তি মিলতে পারে। ঈদের আগে নাবিকদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাদের দেশে আসতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। এমন তথ্য জানিয়েছেন কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, নাবিক ও জাহাজের মুক্তি বিষয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। যে কোনো সময় হয়তো ভালো খবর আসতে পারে। জানা যায়, ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই হওয়ার আট দিনের মাথায় তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে শুরু হয় আলোচনা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। জিম্মিদশার অবসান হতে পারে কয়েক দিনের মধ্যে। ঈদের আগেই নাবিকরা মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মুক্তি পাওয়ার পর ৫ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে নাবিকদের দেশে ফিরতে। কেননা তারা মুক্তি পাওয়ার পর তৃতীয় কোনো দেশ হয়ে দেশে ফিরবেন। সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে আলোচনা চলছে মুক্তিপণ নির্ধারণ ও প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়ে। অতঃপর মুক্তিপণের অর্থ পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি পরিবহন সংস্থাকে নিয়োগ করা হবে। ওই পরিবহন সংস্থা নগদ ডলার কিংবা জলদস্যুদের চাহিদামতো মুদ্রায় পৌঁছে মুক্তিপণ পৌঁছে দেবে নির্ধারিত স্থানে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৮

জিম্মি জাহাজ উদ্ধার প্রসঙ্গে যা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধার করার বিষয়ে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যোগাযোগের মধ্যে আছি। নাবিকদের রিলিজ করার জন্য আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নাবিকদের আনহার্ট (কোনো ক্ষতি যেন না হয়) অবস্থায় উদ্ধার করা এবং একইসঙ্গে জাহাজটা উদ্ধার করা। শুধু এতটুকু বলতে চাই, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘অতীতে যখন জাহাজ হাইজ্যাক হয়েছে কখনও খাদ্য সংকট হয়নি। তিন বছর ছিল তখনও হয়নি, ১০০ দিন ছিল তখনও হয়নি। আশা করি এক্ষেত্রেও হবে না।’ এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) জাহাজটির মালিকপক্ষ ও নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজে খাবার কমে আসছে। তবে খাবার কমলেও নাবিকদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ তীর থেকে দস্যুরা জাহাজে খাবার সরবরাহ করছে। এ বিষয়ে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, জিম্মি নাবিকেরা সুস্থ আছেন। জাহাজে নাবিকদের খাবার কমলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ তীর থেকে দস্যুরা জাহাজে খাবার নিয়ে আসছে। নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, দস্যুরা নিজেদের স্বার্থেই খাবার নিয়ে আসে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজেও তেহারিজাতীয় খাবার নিয়ে আসার খবর পেয়েছি। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। দস্যুদের কাছে জিম্মি হয় ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটিকে সবশেষ সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করে রাখা হয়েছে। জাহাজসহ নাবিকদের উদ্ধারে নানানভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার ও জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠানটি।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:২২

জিম্মি নাবিকদের ঈদের আগেই মুক্তির চেষ্টা
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের ঈদের আগেই মুক্ত করার চেষ্টা করছে কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং করপোরেশন। ইতোমধ্যে দস্যুদের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলাপও শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার ওপর জোর দিচ্ছি। ইতোমধ্যে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছি আমরা। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে জিম্মিদশার অবসান হবে। তবে এখনও কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবি করেননি সোমালিয়ার জলদস্যুরা।’ এদিকে ছিনতাই করা জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে ইতোমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে ইইউ নেভাল ফোর্স। তাদের ‘অপারেশন আটলান্টার’ একটি যুদ্ধ জাহাজ আবদুল্লাহকে কাছাকাছি দূরত্ব থেকে অনুসরণ করছে। আর জলদস্যুদের পান্টল্যান্ডের ভূমির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান শুরু করেছে সোমালিয়ার পুলিশ। ইতোমধ্যে জিম্মি জাহাজে দস্যুদের জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার নিয়োজিত একটি গাড়িকে আটক করা হয়েছে। ফলে সোমালিয়ান জলদস্যুরা ভূমিতে এবং সাগরে চাপেই রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা বোঝাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। মোগাদিসু থেকে এক হাজার ১১১ কিলোমিটার পূর্বে ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করে বাণিজ্যিক কার্গো জাহাজটিকে প্রথমে নেওয়া হয় সোমালিয়ার গারাকাড এলাকায়। উপকূল থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা হয় সেটিকে। এরপর আবার অবস্থান বদলে আবদুল্লাহকে নেওয়া হয় গদবজিরান উপকূল এলাকায়। সেখান থেকে সরিয়ে নোঙর করা হয় উপকূলের মাত্র সাড়ে ৭ কিলোমিটার দূরে। তারপর আরও এগিয়ে উপকূলের পৌনে তিন কিলোমিটার দূরত্বে নেওয়া হয়েছে। জাহাজটিতে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়