• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রজতজয়ন্তী মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ
প্রিয় প্রাঙ্গণ কুমিল্লার মুরাদনগরের প্রত্যন্ত গ্রাম রামচন্দ্রপুরের অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ ক্যাম্পাস। স্মৃতি কারো কাছে ২৯ বছর আগের। কারোর আবার ২০ কিংবা ১০ কিংবা তারও কম। ১৯৯৫ সালে শিক্ষার আলো জ্বালাতে নিজ শ্বশুর বাড়ি  এলাকায় গিয়ে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য পপি গাইডের রচয়িতা অধ্যক্ষ মো. আবদুল মজিদ। যে প্রতিষ্ঠান ঘরে ঘরে আলো জ্বালিয়ে আলোকিত করেছে বাংলাদেশকে। সেই প্রতিষ্ঠান হাটি হাটি পা পা করে শৈশব, কৈশর পেরিয়ে এখন যৌবনের উত্তাল তরঙ্গে আন্দোলিত হচ্ছে। ২৮ পেরিয়ে ২৯ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজের।  ২৫ বছর পূর্তিকে বলা হয় রজতজয়ন্তী। অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ সেই সময়টা পেরিয়ে এসেছে আরও চার বছর আগে। করোনা মহামারি, জাতীয় নির্বাচন ইত্যাদি নানা কারণে উৎসবটা আর হয়ে উঠেনি। অবশেষে আসছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আগামীকাল শনিবার অর্থাৎ ২০ এপ্রিল অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে হাজার হাজার মজিদিয়ানের। পুরনো সেই দিনের কথা বলতে এক হচ্ছে সখি-সখারা।  রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন প্রথম ব্যাচের (১৯৯৭-পরীক্ষার্থী) শিক্ষার্থী ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) ও উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।  তিনি বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে এই মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এমন আয়োজন অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শিক্ষার্থীসহ পুরো মুরাদনগর উপজেলাতেই এই অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা যে কলেজকে ভালোবাসে, রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন প্রথম ব্যাচের (১৯৯৭-পরীক্ষার্থী) শিক্ষার্থী ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) ও উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। তিনি বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে এই মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এমন আয়োজন অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শিক্ষার্থীসহ পুরো মুরাদনগর উপজেলাতেই এই অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা যে কলেজকে ভালোবাসে, বিশেষ করে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল মজিদকে ভালোবাসে এই অনুষ্ঠান তারই বহিঃপ্রকাশ। অনুষ্ঠান সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এটি অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হবে। প্রাক্তনদের কথা...  ২০০২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ঢাকা মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন, ২৯ বছর পর হলেও রজতজয়ন্তী উদযাপন করতে পারার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার নয়। ভালো লাগার অন্যতম কারণ সবার সঙ্গে সবার দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ার সুযোগ। গ্র্যান্ড মিলনমেলায় রূপ নেবে রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান। ৫ হাজারের বেশি প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সমাগম ঘটবে। এতে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। এক সপ্তাহ ধরে আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। আশা করছি সুন্দর ও সফলভাবে রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। ২০০৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ঢাকা মেট্রোপলিটনের সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি গল্পেরই আলাদা একটা সত্ত্বা রয়েছে। ২৯ বছরে মজিদ কলেজ এমন শতশত গল্প রচনা করেছে। সব গল্প মিলেই রজতজয়ন্তীতে একটি গল্পসমগ্র হবে। রূপক অর্থে যার সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মজিদ। আমরা প্রত্যেকে গল্পের একেকটা চরিত্র।   ২০০৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী সিলেটের সিনিয়র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সগির আহমেদ টুটুল বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর অনেকের সাথে দেখা হবে। বিষয়টি ভাবতেই গাঁ শিউরে উঠছে। মুহূর্তটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আশা করছি রজতজয়ন্তী উৎসবের মাধ্যমে নতুন কিছু স্মৃতি নিয়ে যেতে পারবো, যেগুলো সারাজীবন বয়ে বেড়ানো যাবে।  ২০০৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজধানীর মুগদা থানার সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ বলেন, কত শত স্মৃতি আবদুল মজিদ কলেজকে ঘিরে। নদীতে গোসল করা, লঞ্চ ঘাটে ঘন্টার পর ঘণ্টা চুটিয়ে আড্ডা দেয়া, আশুলিয়ায় বসে বিকেলের হিমেল হাওয়ায় সিক্ত হওয়া, মাওলার দোকানে একসাথে সিনেমা দেখা আরও কত কি! সবকিছু যেন চোখের সামনে ভেসে উঠছে। রজতজয়ন্তী সেই স্মৃতিগুলো ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।  ২০১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ঢাকার ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ একটি আবেগের নাম। অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মজিদ ভালোবাসার আশ্রয়স্থল। আবেগ আর ভালোবাসার সম্মিলন ঘটাতেই আমাদের রজতজয়ন্তী উৎসবের আয়োজন। এর মাধ্যম নতুন আর পুরাতনের বন্ধন অঁটুট হবে। আমরা স্মৃতির ভেলায় চড়ে ফিরে যাবো এইচএসসির সেই দুটি বছরে। কারা থাকছেন অতিথি হিসেবে?  প্রথম ব্যাচের ছাত্র মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের সভাপতিত্বে রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সরকার। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল মজিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব (সচিব) মো. জয়নাল আবেদীন, ঢাকা মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: নিজামুল করিম, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও হোমনা উপজেলা চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল মজিদের সহধর্মীনি রেহানা বেগম, মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর, মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন ও কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ মোঃ ফেরদৌস আহমদ চৌধুরী।  অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন মুরাদনগরের সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো: শফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল হাকিম খান।  যা যা থাকছে বর্ণাঢ্য আয়োজনে?  রজতজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের শুরুটা হবে বর্ণাঢ্য র‍্যালি দিয়ে। সকাল সোয়া নয়টায় কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অতিথিদের অংশগ্রহণে কলেজ ক্যাম্পাসে এই র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। ১০টা ৪০ মিনিটে অতিথিদের উত্তরীয় পরিধান ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হবে। তারপরই সমবেত জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন অতিথিরা। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল মজিদ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণার পর কলেজের যেসব শিক্ষার্থী এরইমাঝে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তাদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করা হবে। পৌনে ১২টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফেরদৌস আহমদ চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য রাখবেন এবং কলেজের সার্বিক বিষয়ে একটি উপস্থাপনা করবেন। তারপরই রজতজয়ন্তী উপলক্ষে যে স্যুভেনির প্রকাশ করা হচ্ছে তার মোড়ক উন্মোচন করবেন অতিথিরা।  এবার বক্তব্যের পর্ব শুরু। শুরুতেই প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখবেন কয়েকজন। বেলা ১২ টায় বিশেষ অতিথিরা তাদের বক্তব্য দেবেন। তারপর অনুষ্ঠানের উদ্বোধক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল মজিদ ও প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সরকার বক্তব্য রাখবেন। পরে অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান শেষে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠানের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন। মধ্যাহ্নভোজন ও নামাজের বিরতির আগে অতিথিদের সঙ্গে ব্যাচ ভিত্তিক ফটোসেশনে অংশ নেবেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্য দিয়েই শেষ হবে রজতজয়ন্তী উদযাপনের প্রথম পর্ব।  মধ্যাহ্নভোজন শেষে বেলা আড়াইটায় বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণায় মুখর হয়ে উঠবে অনুষ্ঠান স্থল। স্মৃতিচারণ শেষে শিক্ষকদের সাথে ব্যাচ ভিত্তিক ফটো সেশনে অংশ নেবেন শিক্ষার্থীরা। বিকাল সাড়ে চারটায় র‌্যাফেল ড্র ও পুরষ্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব।  সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হবে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত। এর মধ্য দিয়েই পর্দা নামবে রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের। ভাঙবে কোলাহল। ক্রমেই নেমে আসবে নীরবতা। যে নীরবতা ভাঙতে অপেক্ষা করতে আরও ২১ বছর। ৫০ বছর পূর্তিতে হয়তবা কলেজ প্রাঙ্গণে বসবে সুবর্ণজয়ন্তীর বিশাল মহাযজ্ঞ। তখন শোক প্রস্তাবের তালিকাটা অনেক দীর্ঘ হবে। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া অনেকেই সেদিন সাদা চুল আর সাদা দাঁড়ি নিয়ে ধীর পায়ে হেঁটে বেড়াবে কলেজ ক্যাম্পাসে। এইতো আর ক’দিন! ২০৪৫...  
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৭

আব্দুল কাদের জিলানীর মাজার জিয়ারতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ
বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী (র:) এর মাজার জিয়ারতের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইরাকের বাগদাদ শরীফের মোতওয়াল্লী হযরত শেখ খালিদ আবদুল কাদের মনসুর আল জিলানী (র:)। রোববার (৩ মার্চ) সংসদ ভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি নূর এলাহী মিনা এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, হযরত শেখ খালিদ আবদুল কাদের মনসুর আল জিলানী (র:) ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর ইরাক সফরের সময় মাজার জিয়ারতের কথা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন। তিনি শেখ হাসিনাকে জালিপাকের ছবি ও মাজারের গিলাফও উপহার দেন। বাংলাদেশ ও ইরাকের মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মোতওয়াল্লী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বড় পীরকে অনেক সম্মান করে। শেখ হাসিনা বলেন, নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি দুটি শিয়া মেয়েকে দত্তক নেন এবং তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান তার মেয়ের মতো আয়োজন করেন। তিনি বাংলাদেশ সফরের জন্য হযরত শেখ খালিদ আব্দুল কাদের মনসুর আল জিলানী (র:)- কেও ধন্যবাদ জানান। এ সময় সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, কাজী কেরামত আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য কোরায়েশী, আঞ্জুমান কাদেরিয়া বাংলাদেশের সভাপতি মো. মাহবুব উল আলম, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মামনুন কাদের ও এর সদস্য জিয়াউল জামাল আবু সোয়াইদ সিদ্দিকীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
০৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৪

সাইবার নিরাপত্তা রক্ষায় আবদুল রহমানের রাইডার্স ক্রিয়েশন
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সাইবার নিরাপত্তার সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে বাংলাদেশও। দেশে সাইবার হামলার যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার বড় কারণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বল পরিকাঠামো। নিরাপত্তাত্রুটি দূর করা না গেলে হামলার আশঙ্কা থেকেই যাবে। সেই ধারা লক্ষ্য করে সাইবার জগতে নিরাপত্তা দিতে আবদুল রহমানের রাইডার্স ক্রিয়েশন সব সময় প্রস্তুত থাকে বলে জানান আবদুল রহমান।  তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রকল্প এটি। ২০১৬ সাল থেকে দেশের সাইবার হামলা ও নিরাপত্তাত্রুটি–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ঘটনার তথ্য রাখছে তারা। পাশাপাশি সাইবারজগৎ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে। প্রতিবেদনটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশ করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টাইপ কাজ ব্যতীত, ‘রাইডার্স ক্রিয়েশন’ অলাভজনক সোশ্যাল মিডিয়া সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহায়তা পরিষেবা প্রদান করছে। এটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পরামর্শ করে, সোশ্যাল মিডিয়াতে কীভাবে নিরাপদ রাখা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে, অনুদান সংগ্রহ করে অসহায় মানুষকে সাহায্য করে, সাইবার পুলিশ কর্তৃক আইনি সহায়তা প্রদান করে, বিশিষ্ট আইনজীবীদের দ্বারা আইন সংক্রান্ত সহায়তা প্রদান করে। সাইবার অপরাধীরা বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্ক ও পরিকাঠামোগুলোর কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে ধ্বংসাত্মক ম্যালওয়্যার ব্যবহার করছে। বাংলাদেশও এসব সাইবার যুদ্ধের প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। ২০২২ সালে সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য সার্ট বেশ কয়েকবার সতর্কতা জারি করেছিল। আবদুল রহমানের প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রধানত ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, থ্রিডি ডিজাইন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সার্ভিস, মিউজিক ডিস্ট্রিবিউশন, গুগল নলেজ প্যানেল, সাইবার সিকিউরিটি, অনলাইন বুক ডিস্ট্রিবিউশন, ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ওপর ফোকাস করে। আবদুল রহমান ভবিষ্যতে রোবটিক্স এবং প্রোগ্রামিং খাতে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং ডিজিটাল ক্লায়েন্টদের দুর্দান্ত পরিষেবা প্রদান এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। 
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৬

ড. কামাল আবদুল নাসেরের সঙ্গে নিউইয়র্ক প্রবাসীদের মতবিনিময়
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঙ্গে প্রবাসীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসী লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সুধীজনের সঙ্গে এক ‘আন্তরিক সন্ধ্যায়’ মিলিত হন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি তৌফিক ইসলাম শাতিল ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ কম্যুনিটির বিভিন্ন অঙ্গনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা ও গভীরতা উল্লেখপূর্বক বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে সবাইকে নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে তিনি সেগুলোর চর্চা অব্যাহত রাখা এবং যুক্তরাষ্ট্রের  মূলধারার মধ্যে প্রসারের মাধ্যমে ‘সাংস্কৃতিক কূটনীতি’ জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপট উল্লেখপূর্বক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।  ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে তার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রবাসীদের সেবার মান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান। মতবিনিময়কালে আমন্ত্রিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।  যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিরাজমান কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন। নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করায় তিনি উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান। শিক্ষা ও সংস্কৃতির মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উপদেষ্টার দায়িত্ব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীরকে অর্পণ করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি জনাব তৌফিক ইসলাম শাতিলও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।  কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা তার স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্পকে বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।  সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৪

বিজয়ী হওয়ার গেজেট স্থগিতের বিরুদ্ধে আবদুল হাইয়ের আবেদন
ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণার গেজেট স্থগিতের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় নৌকার প্রার্থী নিজেই আবেদনটি করেন। তার পক্ষের আইনজীবী হলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত গেজেট স্থগিত করেন হাইকোর্ট। দুই মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলে ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ফলাফল অনুযায়ী, আব্দুল হাই পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৩৭৯ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল (ট্রাক প্রতীক) পেয়েছেন ৮০ হাজার ৫৪৭ ভোট। এরপর ভোটগ্রহণ ও গণনায় অনিয়মের অভিযোগে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য পদের গেজেট স্থগিত চেয়ে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল। পরে ইসির গেজেট স্থগিত করেন বিচারপতি আসাদুজ্জামানের কোর্ট।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭

প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ : বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে উল্লেখ করার সঙ্গে সঙ্গে জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে শেষের এক ঘণ্টায় কীভাবে ভোট ২৭ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলটি।  আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের পক্ষে বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আবদুল মঈন খান। এ সময় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিনের গণসংযোগ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী বাংলাদেশে আরও একটি ভোটারবিহীন প্রহসনের ডামি নির্বাচন প্রত্যক্ষ করল। দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছেন। গণতান্ত্রিক বিশ্ব ও বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার ব্যাপারে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। কিন্তু সরকার সব মতামত অগ্রাহ্য করে ৭ জানুয়ারি একটি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে। প্রহসনের এই নির্বাচন দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, প্রথমে বলা হলো ২৭.৫ পারসেন্ট ভোট পড়েছে। টেকনোলজির কল্যাণে জানা গেছে, পাশ থেকে এক কর্মকর্তা বলছেন ৪০ পারসেন্ট বলতে হবে। তিনি বলেন, জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দুই একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এসব নাটক জনগণ বুঝে গেছে। বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আগামীতে সরকার যে সরকার গঠন করবে তা হবে ফর দ্যা ডামি, বাই দ্যা ডামি, এমন ডামি সরকার চায় না। দেশের মানুষ এ সরকারের পরিবর্তন চায়, কারণ তারা ক্ষমতার অপব্যাবহারের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছে ‘অলিগার্ক’। সুতরাং জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় বিএনপি। আরেকটি নির্বাচনের জন্য বিএনপি আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার ভুয়া নির্বাচন করেছে। আমরা বলেছিলাম, দলীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমাদের আহ্বানে তারা ভোট দিতে যায়নি। তাই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে কাল থেকেই আমাদের গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হবে।    
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৭

১৫ বছর পর কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিলেন আবদুল হামিদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দীর্ঘ ১৫ বছর পর ভোট কেন্দ্র গিয়ে ভোট দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টায় কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই নাতনিসহ এসে ভোট দেন তিনি। জানা যায়, আবদুল হামিদ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন তিনি সর্বশেষ ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছিলেন। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনদুর্ভোগ এড়াতে ভোট দেননি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে তখন জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের ভোটার। তিনি ভোট দিতে গেলে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে আয়োজন করা হয়, তা ওই এলাকার বা কেন্দ্রের ভোটারদের ভোগান্তির কারণ হতে পারে। এ কারণেই তিনি ভোট দিতে যাবেন না। ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন আবদুল হামিদ। তার মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের ২০ মার্চ তিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন। আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন আবদুল হামিদ। দুই মেয়াদে ১০ বছরের বেশি সময় তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালন শেষে ২৪ এপ্রিল বিদায় নেন। আবদুল হামিদ নবম সংসদে স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে সাতবার নির্বাচিত হয়েছেন।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৭

ঝিনাইদহ-১  / নৌকার প্রার্থী আবদুল হাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল হাই এবং তার দুই অনুসারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।  বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাস এ আদেশ দেন।  গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকৃত অপর দুজন হলেন শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ও সারুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, শৈলকূপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তায়জুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার মামলা নং-৬৫০ ও ৬৫১। ২৬ ডিসেম্বর আদালতে মামলা দু’টির সমন জারি করে আজ বুধবার স্ব-শরীরে শুনানিতে তাদেরকে হাজির হতে বলা হয়। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত আদালতে আসামিরা হাজির না হওয়ায় এ আদেশ প্রদান করা হয়। 
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৭

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : মঈন
যতক্ষণ না দাবি আদায় হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে নির্বাচন বর্জনের পক্ষে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। মঈন খান বলেন, ভোটের অধিকার দেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দেব। শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আমরা জনগণের দাবি নিয়ে জনগণের সঙ্গে আছি। যতক্ষণ না দাবি আদায় হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে প্রক্রিয়ায় হচ্ছে তাতে আমরা অংশগ্রহণ করব না। কেউ কেউ এ বিষয়ে মিথ্যা বলছে যে, আমরা নাকি নির্বাচন প্রতিহত করব। এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। বিএনপি কোনো দিন বলেনি যে, তারা নির্বাচন প্রতিহত করবে। বিএনপি বলেছে, এটা কোনো নির্বাচন নয়। এটা নির্বাচনের নামে তামাশা। তাই আমরা এই নির্বাচনকে পরিহার করছি। মঈন খান বলেন, প্রতিহত করা বা না করা আমাদের কোনো বিষয় না। সরকার বিএনপির মুখ দিয়ে এই মিথ্যাচার করানোর চেষ্টা করছে, তার উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট। এই সরকার ভিন্ন মত সহ্য করতে পারে না। এ জন্যই তারা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। এদিকে বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের ভয়ে জনগণ কথা বলতে পারে না, ফিসফিস করে চোখের ইশারায় কথা বলে। আমরা যখন লিফলেট বিতরণ করতে যাই, অনেকেই আমাদের সঙ্গে হাত মেলান। তাদের চোখের ভাষায় বোঝা যায় আমাদের কর্মসূচিতে তাদের সম্মতি আছে। কিন্তু তারা আতঙ্কে আছেন। এমনও হয়েছে যে, একজন আমাদের লিফলেট হাতে নিয়ে বলেছেন- এটা প্রকাশ্যে পড়া যাবে না, বাসায় নিয়ে পড়ব। তিনি বলেন, সরকারের দুঃশাসন এতটাই তীব্র হয়েছে যে, মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না। যারাই সত্য কথা বলবে তাদের নামে মামলা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে রিজভী বলেন, আমাদের লিফলেট প্রতিটি ঘরে ঘরে নিয়ে যাবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সবার হাতে হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন। এটা শুধু শহরে বা নগরে দিলেই হবে না, এটা থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ে এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে নিয়ে যেতে হবে। জনগণের ভাষা এই লিফলেটের মধ্যে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়