• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
আফগানিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২১
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছে।  রোববার (১৭ মার্চ) প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র মোহাম্মদ কাসিম রিয়াজের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এএফপি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলমান্দ প্রদেশে তেলের ট্যাংকার ও মোটরসাইকেলের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে ২১ জন নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছে। রোববার ভোরে হেলমান্দের গ্রিশক জেলার রাজধানী কাবুল ও উত্তর হেরাত শহরের মধ্যবর্তী একটি প্রধান সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ফলে যানবাহনগুলোতে আগুন ধরে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেলমান্দের তথ্য বিভাগের শেয়ার করা ছবিগুলিতে পোড়া, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ধাতু এবং ট্যাংকারের চূর্ণ কেবিন দেখানো হয়েছে। প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র মোহাম্মদ কাসিম রিয়াজ বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, একটি যাত্রীবাহী বাস, একটি ট্যাংকার ও একটি মোটরসাইকেলের মধ্যে’ দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া সংঘর্ষে আরও ৩৮ জন আহত হয়েছেন। এএফপি বলেছে, আফগানিস্তানে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিয়মিত বিষয়। দুর্বল রাস্তা, হাইওয়েতে বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালানো এবং নিয়ন্ত্রণের অভাব এর পেছনে দায়ী।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৬

আফগানিস্তানে ৩ সপ্তাহে তুষারপাত-বৃষ্টিতে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু
গত তিন সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানে তুষারপাত ও বৃষ্টিতে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।  দেশটির দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করে।  দুর্যোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র জনান সায়েক এক ভিডিও বার্তায় বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে তুষার ও বৃষ্টিপাতের কারণে ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও ২৩ জন নানান দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, দুর্যোগে প্রায় এক হাজার ৬৪৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রায় এক লাখ ৭৮ হাজার গবাদি পশুও মারা গেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের সেই আঘাত কাটিয়ে না উঠতেই সোমবার সন্ধ্যা থেকে প্রবল বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রাদেশিক রাজধানী হেরাত শহরে একটি বাড়ির ছাদ ধসে যায়। এ ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হন। প্রাদেশিক তথ্য থেকে জানা গেছে, প্রায় ২৫০টি বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে এবং কৃষি জমির একটি বড় অংশই প্লাবিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে এবারের শীতে বেশ অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মৌসুমের শেষের দিকে আবহাওয়া আরও খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে আকস্মিক বৃষ্টি এবং বন্যায় দেশটির জনগোষ্ঠীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তালেবানরা সরকার গঠনের পর থেকেই আফগানিস্তানে বিদেশি সহায়তা নাটকীয়ভাবে কমে যায়। তাই এ ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলা করা তালেবানদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৯

আফগানিস্তানে হামলায় ২ দেশের নাম জুড়ে দিয়েছে তালেবান
তালেবান নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাওলাভি মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ বলেছেন, তালেবান ক্ষমতা দখলের পর মসজিদ, মঠ, আলেম ও জনসমাগমের ওপর যে হামলা হয়েছে তা বিদেশিদের, বিশেষ করে তাজিকিস্তানের নাগরিকদের নামে চালানো হয়েছে। আফগানিস্তান ভিত্তিক টোলো নিউজে এ বক্তব্য দেন তিনি। মাওলাভি মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ বলেন, পাকিস্তানি নাগরিকরা অনেক হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। ইসলামী আমিরাত (আফগানিস্তান) ক্ষমতায় আসার পর মসজিদ, মঠ, আলেম ও জনসমাগমের ওপর হামলা সবই বিদেশি, বিশেষ করে তাজিকিস্তানের নাগরিকদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। আমাদের অভিযানে তাজিকিস্তানের কয়েক ডজন নাগরিক নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েক ডজন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও, দ্বিতীয় ধাপে, পাকিস্তানি নাগরিকরা অনেক হামলা সংগঠিত করার সাথে জড়িত। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ২০ জনেরও বেশি পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েক ডজন জীবিত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাওলাভি মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ আরও বলেন, যৌথ নিরাপত্তা অভিযান শুরু করার কারণে এই যোদ্ধাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন এবং শত শত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আফগানিস্তানে আইএসআইএস পরাজিত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে আফগান মাটি ব্যবহার না করার তালেবানের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্লিয়ারিং অ্যাফেয়ার্স কমিশনের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি গত ১২ মাসে নিরাপত্তা অর্জনের কথা তুলে ধরেন। তিনি আইএসের বিরুদ্ধে গুরুতর লড়াইয়ের কথা বলেছেন। দেশদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে পরাজিত করবে এবং তাদের ধ্বংস করবে বলে জানান তিনি।  মুজাহিদ বলেন, তালেবানের যে কোনো সামরিক পদক্ষেপকে বিদ্রোহ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং যারা এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তাদের ধ্বংস করতে তালেবান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তালেবান নিযুক্ত মন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে সারা দেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। গত ১২ মাসে অশুভ ও দেশদ্রোহী চক্রের ঘটনা ৯০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আগ্রাসন ও দুর্নীতি (ইসলামী আমিরাতের ক্ষমতায় আসার) অবসানের পর তাদের প্রায় সবগুলোই দমন করা হয়েছে। তাদের অপারেশনাল নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হয়েছে, রক্তক্ষয়ী হামলার নেতা ও ডিজাইনার এবং তাদের ধ্বংসাত্মক নেটওয়ার্কের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের হয় হত্যা করা হয়েছে বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাওলাভি মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ বিদেশি বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র চোরাচালান ও বিক্রির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এই সরঞ্জামাদি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়