• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আজ স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের আজ স্থায়ী জামিন আবেদন করার কথা রয়েছে।    মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন বলে নিশ্চিত করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। তাই শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূস মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের আপিল শুনানি হবে। সকাল ১০টার পর তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেন। ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চার জনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। ওইদিন পর্যন্ত চারজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা। অপর তিনজন হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। গত ৩ মার্চ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে আদালতে ওইদিন ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এ সময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১

উপজেলা নির্বাচনে আপিল নিষ্পত্তি করবেন ডিসিরা
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসাররা। এ নির্বাচনে জেলা প্রশাসককে আপিল কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ-পড়া প্রার্থীদের ডিসিদের কাছে আবেদন করতে হবে।  নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আপিল শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসককে আপিল শুনানি কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।  এর আগে ইসি জানায়, চার ধাপে দেশের ৬ বিভাগের ৩৪৪টি উপজেলার নির্বাচন হবে। ইসি ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রথম ধাপে ১০৮টি, দ্বিতীয় ধাপে ১২১টি তৃতীয় ধাপে ৭৭টি ও চতুর্থ ধাপে ৩৮টি উপজেলায় ভোট হবে। এরমধ্যে প্রথম ধাপে আগামী ৪ মে রাজশাহী অঞ্চলের জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর; বগুড়ার সারিয়াকান্দা, সোনাতলা ও গাবতলী; চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট; নওগাঁর ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী; রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর; নাটোরের নাটোর সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া; সিরাজগঞ্জের সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর ও বেলকুচি; পাবনার সাঁথিয়া, সুজানগর ও বেড়া। রংপুর অঞ্চল : পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোরিয়া; ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর; নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলা; দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর; লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা; রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা; কুড়িগ্রামের রৌমারী, চর রাজিবপুর ও চিলমারী; গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি। খুলনা অঞ্চল : মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়ার খোকসা, কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও দামুড়হুদা; ঝিনাইদহের ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ; যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুর; মাগুরার মাগুরা সদর ও শ্রীপুর; নড়াইলের কালিয়া; বাগেরহাটের বাগেরহাট সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর। বরিশাল অঞ্চল : বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়া। ঢাকা অঞ্চল : ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ; গোপালগঞ্জের গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া; নারায়ণগঞ্জের নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর; গাজীপুরের গাজীপুর সদর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া; রাজবাড়ীর কালুখালী ও পাংশা; মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও হরিরামপুর; ফরিদপুরের চরভদ্রাসন, মধুখালী ও ফরিদপুর সদর; মাদারীপুরের মাদারীপুর সদর, শিবচর ও রাজৈর; শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ; নরসিংদীর নরসিংদী সদর ও পলাশ; টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর; মুন্সিগঞ্জের মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়া; কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া। ময়মনসিংহ অঞ্চল : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর; জামালপুরের জামালপুর সদর ও সরিষাবাড়ী; শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী; নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ মে রাজশাহী অঞ্চলের জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি; বগুড়ার দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘি ও কাহালু; চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ; নওগাঁর সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর; রাজশাহীর পুঠিয়া, বাগমারা ও দুর্গাপুর; নাটোরের লালপুর ও বাগাতিপাড়া; সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও তাড়াশ; পাবনার চাটমোহর, ভাংগুড়া ও ফরিদপুর। রংপুর অঞ্চল : পঞ্চগড়ের বোদা ও দেবীগঞ্জ; ঠাকুরগাঁও সদর ও রাণীশংকৈল; নীলফামারীর সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা; দিনাজপুরের বিরল, কাহারোল, বীরগঞ্জ ও বোচাগঞ্জ; লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও আদিতমারী; রংপুরের মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ; কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর ও কুড়িগ্রাম সদর; গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও গাইবান্ধা সদর। খুলনা অঞ্চল : মেহেরপুরের গাংনী; কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, মিরপুর ও দৌলতপুর; চুয়াডাঙ্গার চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা; ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড ও শৈলকুপা; যশোরের চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও শার্শা; মাগুরার শালিখা ও মহম্মদপুর; নড়াইলের নড়াইল সদর ও লোহাগড়া; বাগেরহাটের ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী; খুলনার তেরখাদা, দিঘলিয়া ও ফুলতলা; সাতক্ষীরার তালা, দেবহাটা ও আশাশুনি। বরিশাল অঞ্চল : বরিশালের বাবুগঞ্জ, উজিরপুর ও বানারিপাড়া; পটুয়াখালীর দশমিনা, গলাচিপা ও বাউফল; পিরোজপুরের কাউখালী ও নেছারাবাদ; ভোলার বোরহানউদ্দিন, ভোলা সদর ও দৌলতখান; ঝালকাঠির ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি; বরগুনার বেতাগী ও বরগুনা সদর। ঢাকা অঞ্চল : ঢাকার সাভার ও ধামরাই; গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার; গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও শ্রীপুর; রাজবাড়ীর রাজবাড়ী সদর, গোয়ালন্দ ও বালিয়াকান্দি; মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর; ফরিদপুরের নগরবান্দা ও সালথা; মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার; শরীয়তপুরের শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা; নরসিংদীর বেলাবো ও মনোহরদী; টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর, কালিহাতি ও ঘাটাইল; মুন্সিগঞ্জের লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী; কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, নিকলী ও অষ্টগ্রাম। ময়মনসিংহ অঞ্চল : ময়মনসিংহ সদর, মুক্তাগাছা ও গৌরীপুর; জামালপুরের বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর; শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও নকলা; নেত্রকোনার নেত্রকোনা সদর, পূর্বধলা ও বারহাট্টা। তৃতীয় ধাপে আগামী ১৮ মে রাজশাহী অঞ্চলের- বগুড়ার বগুড়া সদর, শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ; নওগাঁর আত্রাই ও রাণীনগর; রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর; নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম; সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও চৌহালী; পাবনার পাবনা সদর, আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদী। রংপুর অঞ্চল : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ; নীলফামারীর নীলফামারী সদর, দিনাজপুরের দিনাজপুর সদর, খানসামা, চিরিরবন্দর; লালমনিরহাটের লালমনিরহাট সদর; রংপুরের রংপুর সদর ও গঙ্গাচড়া; কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী; গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ। খুলনা অঞ্চল : যশোরের যশোর সদর, অভয়নগর ও বাঘারপাড়া; বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; সাতক্ষীরার কলারোয়া ও সাতক্ষীরা সদর। বরিশাল অঞ্চল : বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালীর পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; পিরোজপুরের পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি; ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা। ঢাকা অঞ্চল : মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া; ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা ও গোসাইরহাট; নরসিংদীর শিবপুর ও রায়পুরা; টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার ও নাগরপুর; মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও শ্রীনগর; কিশোরগঞ্জের ইটনা, তাড়াইল, করিমগঞ্জ ও মিঠামইন। ময়মনসিংহ অঞ্চল : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, ঈশ্বরগঞ্জ ও ত্রিশাল; জামালপুরের মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ; নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুরী। চতুর্থ ধাপে আগামী ২৫ মে রাজশাহী অঞ্চলের- বগুড়ার নন্দীগ্রাম, শেরপুর ও ধুনট; নওগাঁর নওগাঁ সদর ও মান্দা; রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা; সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ ও রায়গঞ্জ। রংপুর অঞ্চল- দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া, পার্বতীপুর ও নবাবগঞ্জ; রংপুরের তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ। খুলনা অঞ্চল- খুলনার রূপসা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা। বরিশাল অঞ্চল- বরিশালের মুলাদী ও হিজলা; পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী; ভোলার মনপুরা ও চরফ্যাশন; বরগুনার আমতলী ও তালতলী। ঢাকা অঞ্চল- ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী; টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, বাসাইল ও সখীপুর; কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর ও ভৈরব। ময়মনসিংহ অঞ্চল- ভালুকা, গফরগাঁও ও নান্দাইল এবং নেত্রকোনার কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলা।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭

রমজানে স্কুল বন্ধ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল আপিল বিভাগ
রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। তারা বলেন, রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখতে বাধা নেই।  এর আগে, সোমবার স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। পরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এদিকে রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল। ওই রিটের শুনানি এখনও হয়নি।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৭:১০

রমজানে স্কুল বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল
রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। সোমবার (১১ মার্চ) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার জজ আদালতে আপিল করা হয়েছে। আবেদনটির ওপর আজই শুনানি হতে পারে। এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জিকা আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে রমজানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ দিন ক্লাস চলবে বলে জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়। পরে এই বিজ্ঞপ্তি দুটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। এরপর গত ১০ মার্চ রিটের শুনানিতে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহমুদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৬

নিপুণের সভাপতির খোঁজে নির্বাচন কমিশনার ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল নির্বাচনী মাঠে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন শিল্পীরা। এবারের নির্বাচনে কেউ সরে দাঁড়াচ্ছেন, আবার কেউ আগের প্যানেল থেকে সরে অন্য প্যানেল গড়ছেন। ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রের মুভিলর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর এক হয়ে নির্বাচন করছেন বলে জানিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে  সমিতির বতর্মান সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন আসন্ন অংশ নেবেন না বলে জানা গেছে। তাই তার প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার খুঁজছেন নতুন সভাপতি। মূলত ইলিয়াস কাঞ্চন সরে যাওয়ায় নিপুণ বিপাকে পড়েছেন। এরই মধ্যে সভাপতি পদের জন্য চিত্রনায়ক শাকিব খানকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শাকিব রাজি হননি। বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, শাকিবকে শুরুতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রযোজক ও আগামী নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। শাকিব তখন ‘রাজকুমার’ নামে একটি সিনেমার শুটিংয়ে আমেরিকা অবস্থান করছিলেন। খসরুর ফোনে এ প্রস্তাব পেয়ে তিনি বেশ বিরক্ত হন। তাকে ‘না’ করে দেন। এর পরও শাকিবেরই ঘনিষ্ঠ অন্য এক প্রযোজককে দিয়েও নিপুণ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্ত তাতে ফল মেলেনি।  সূত্র আরও জানিয়েছে, শাকিবের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে নিপুণ দ্বারস্থ হন নায়ক প্রযোজক অনন্ত জলিলের। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব দেন তাকে। তার কাছে দ্বারস্থ হয়ে ব্যর্থ হয়েছেন নিপুণ। অনন্তকে সভাপতি পদে রাজি করাতে নিপুণের সঙ্গে কাজ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলমসহ বেশ কয়েকজন। রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে অনন্ত জলিলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তারা। সোমবার (৪ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেই এসব কথা স্বীকার করেন অনন্ত জলিল। অনন্ত জলিল বলেন, আসন্ন নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার খসরু ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলম, প্রযোজক ইকবাল, মোহাম্মদ হোসেন, নিপুণসহ হোটেল ওয়েস্টিনে বসেছিলাম। তার আগে সবাই মিলে সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য অনন্তের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তারা জরুরি কথা আছে বলে অনন্তের বাসায় যেতে চান। কিন্তু অনন্তের কাজ থাকায় তাদের হোটেল ওয়েস্টিনে বসতে বলেন। সেখানে নিপুণ, খসরু, শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।  আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণের প্যানেলে অনন্তকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ সিনেমার এ নায়ক নিপুণকে ‘না’ করে দেন। নিপুণের প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে অনন্ত জলিল বলেন, নির্বাচন করলেও হয়ত ভালো হতো। কিন্তু আমার সমস্যা হলো—সময়। চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে, সবার বিপদে আমি পাশে থাকব। কিন্তু নির্বাচন করার মতো সময় আমার হাতে নেই। শাকিব ও অনন্তের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে সভাপতি পদে কাকে নিয়ে প্যানেল গড়বেন নিপুণ সেটা এখনও নির্ধারন করতে পারেননি। এদিকে, মিশা ও ডিপজল তাদের প্যানেল প্রায় গুছিয়ে এনেছেন বলে জানা গেছে। শিগগিরই তারা এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবেন বলে সূত্র জানিয়েছে।  
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৬

আপিল খারিজ, সাজা বহাল বিএনপি নেতা হাবিবের 
আদালত অবমাননার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তাকে দেওয়া হাইকোর্টের পাঁচ মাসের দণ্ড বহাল থাকলো। রোববার (৩ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  আদালতে আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। এর আগে, গত বছরের ১৫ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় হাবিবের প্রতি আদালত অবমাননার রুল এবং এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু তিনি হাজির না হওয়ায় গত ৮ নভেম্বর হাবিবুরকে খুঁজে বের করে অবিলম্বে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর গত ২১ নভেম্বর মিরপুরের ডিওএইচএস এলাকা থেকে হাবিবকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২। পরদিন তাকে হাইকোর্টে হাজির করলে আদালত অবমাননার দায়ে ৫ মাসের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দি হাবিব গত ৮ ফেব্রুয়ারি লিভ টু আপিল করেন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৮

৬ মাসের দণ্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে ড. ইউনূসের আপিল
শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় চয় মাসের সাজা বাতিল ও দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে আপিল করেছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন। একই সঙ্গে জামিন চেয়েছেন তারা।  রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংশ্লিষ্ট আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল আবেদন করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আবদুল্লা আল মামুন। সংশ্লিষ্ট আপিলের ট্রাইব্যুনালে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায় বাতিল ও ২৫ যুক্তিতে তাদের খালাস চেয়ে আপিল করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. ইউনূসের। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন পান ইউনূসসহ চারজন। সেই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি। তাই রায় হাতে পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী আপিল আবেদনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ২৪ জানুয়ারি দেশে ফিরেছেন ড. ইউনূস। খালাস চেয়ে আপিল করবেন ২৮ জানুয়ারি। একই দিন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে তিনিসহ চার আসামি আদালতে ওইদিন উপস্থিত হয়ে জামিনও চাইবেন তারা। আইনজীবী মামুন বলেন, আমরা রোববার আপিল করবো। এ সময় ড. ইউনূসসহ অন্যরাও উপস্থিত থাকবেন। বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম বাতিল করে এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন তিনি। তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা তাদের খালাস চাইবো। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত। আইনজীবী মামুন বলেন, ‘বলা হচ্ছে এ মামলা করেছে শ্রমিক। কিন্তু আসলে তা করেছে সরকার, তাদের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। এ নিয়ে সারা বিশ্বের মিডিয়া কথা বলছে। সংশ্লিষ্ট রায় অবৈধ। সেটা বাতিল চেয়েছি আমরা। সেই সঙ্গে ড. ইউনূসের জামিন চাওয়া হয়েছে আপিল আবেদনে।’ আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূসসহ চারজনকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন দেওয়া হয়। আগামী ৩১ জানুয়ারি সেই সময়সীমা শেষের আগেই ২৮ জানুয়ারি আপিল করবো আমরা। এজন্য এরই মধ্যে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন ড. ইউনূস। আপিলে শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে সাজা মওকুফ করে চার আসামির খালাস চাওয়া হবে বলে জানান আইনজীবী। গ্রামিণ টেলিকমদের শ্রমিকদের স্থায়ী না করা, ছুটি নগদায়ন না করা, ৫ শতাংশ লভ্যাংশ না দেওয়ার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায়। শ্রম আইনের দুই ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ড. ইউনূসসহ চারজনের। ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে মামলার বাদী শ্রমিকরা। তার দাবি, রায়ের ক্ষেত্রেও সেটা ফ্যাক্টসের সঙ্গে ফাইন্ডিংসের মিল নেই। তাই খালাস চেয়ে আপিলে তুলে ধরা হয়েছে ২৫টি যুক্তি। শ্রম ট্রাইব্যুনালে আপিল করার পর আইন অনুযায়ী নোটিশ যাবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে। তবে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আইনজীবীও নিয়োগ করতে পারেনি সরকারি সংস্থাটি। এর আগে, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে ড. ইউনূসসহ সাজাপ্রাপ্ত চারজন আপিল করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আপিলে ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে মামলায় জামিনও চাইবেন তারা। গত ১ জানুয়ারি আসামিদের ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। রায়ে গ্রামীণ টেলিকমের সব শ্রমিককে তাদের ন্যায্য পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়। রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে আসামিদের এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন একই আদালত। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর গত বছর ৬ জুন মামলার অভিযোগ গঠিত হয়। ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২০

রায় বাতিল চেয়ে আজ আপিল করবেন ড. ইউনূস
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানার বিরুদ্ধে আজ আপিল আবেদন করবেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে ড. ইউনূসসহ সাজাপ্রাপ্ত চারজন আপিল করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আপিলে ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে মামলায় জামিনও চাইবেন তারা। এর আগে, গত ১ জানুয়ারি আসামিদের ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। রায়ে গ্রামীণ টেলিকমের সব শ্রমিককে তাদের ন্যায্য পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়। রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে আসামিদের এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন একই আদালত। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর গত বছর ৬ জুন মামলার অভিযোগ গঠিত হয়। ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০১

২৫ যুক্তিতে খালাস চেয়ে রোববার আপিল করবেন ড. ইউনূস
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের সাজা বাতিল চেয়ে রোববার আপিল আবেদন করবেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন। একইসঙ্গে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে জামিন চাইবেন তারা। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আপিল আবেদনে ২৫টি যুক্তি তুলে ধরে খালাস চাওয়া হবে বলে এসময় জানিয়েছেন তিনি।  শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. ইউনূসের। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন পান ইউনূসসহ চারজন। এই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি। তাই রায় হাতে পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী আপিল আবেদনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, আমরা রোববার আপিল করবো। আপিলের সব প্রস্তুতি চলছে। এ সময় ড. ইউনূসসহ অন্যান্যরাও উপস্থিত থাকবেন। বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম বাতিল করে এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন তিনি। আপিলে শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে সাজা মওকুফ করে চার আসামির খালাস চাওয়া হবে।   ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বলা হচ্ছে-এ মামলা করেছে শ্রমিক। কিন্তু আসলে তা করেছে সরকার। এ নিয়ে সারা বিশ্বের মিডিয়া কথা বলছে। সংশ্লিষ্ট রায় অবৈধ। সেটা বাতিল চেয়েছি আমরা। সেইসঙ্গে ড. ইউনূসের জামিন চাওয়া হয়েছে আপিল আবেদনে।’ গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের স্থায়ী না করা, ছুটি নগদায়ন না করা, ৫ শতাংশ লভ্যাংশ না দেওয়ার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইনের দুই ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ড. ইউনূসসহ ৪ জনকে। ড. ইউনূসের আইনজীবী বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে মামলার বাদী শ্রমিকেরা। এ ছাড়া রায়ের ক্ষেত্রেও ফ্যাক্টসের সঙ্গে ফাইন্ডিংসের মিল নেই। তাই খালাস চেয়ে আপিলে তুলে ধরা হয়েছে ২৫টি যুক্তি। শ্রম ট্রাইব্যুনালে আপিল করার পর আইন অনুযায়ী নোটিশ যাবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে। তবে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আইনজীবীও নিয়োগ করতে পারেনি সরকারি সংস্থাটি।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩০

ব্যারিস্টার খোকনের বক্তব্যে আপিল বিভাগের ক্ষোভ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ীদের শপথ নেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে ‘বর্তমান সংসদের এমপিদের শপথ নেওয়া অসাংবিধানিক হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ে অস্পষ্টতা রয়েছে’ গণমাধ্যমে এ বক্তব্য দেওয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে সতর্ক করেছেন আপিল বিভাগ। এদিন মামলাটি শুনানিতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানি করতে ডায়াসের সামনে আসলে প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো রায়ের বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকলে আপনি রিভিউ করতে পারেন। পাবলিকলি রায় নিয়ে এসব কী বলে বেড়ান? এভাবে বলতে পারেন না। ব্যারিস্টার খোকন বলেন, রায়ে থাকা ফিকশন নিয়ে কথা বলেছি। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, রায়ের ব্যাখ্যা দেবে একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট। আপনি ব্যাখ্যা দেওয়ার কে? এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, আপনার মামলা আজ শুনা হবে না। পরে খোকন বলেন, তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করবেন। এর আগে, গত বছরের ১ আগস্ট একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর ২৯০ সংসদ সদস্যদের শপথকে অবৈধ বলে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।  পূর্ণাঙ্গ রায়ে আপিল বিভাগ সাফ জানিয়ে দেন, সংসদ অধিবেশন বসার দিন থেকেই সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শুরু হবে। ওই মামলায় আপিল বিভাগে লড়েছিলেন ব্যারিস্টার খোকন। রায় তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। েউ উল্লেখ্য, দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একাদশ সংসদের ২৯০ সদস্যের নেওয়া শপথের বৈধতা নিয়ে ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি একাদশ সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নেওয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়