• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জিম্মি জাহাজে অভিযানে মালিকপক্ষের আপত্তি
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাইজ্যাক করা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর অদূরে একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেভাল ফোর্স (ইইউএনএভিএফওআর)। এই মুহূর্তে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজটির বেশ কাছাকাছি অবস্থান করছে জাহাজটি। পাশাপাশি তাদের হেলিকপ্টার ঘন ঘন চক্কর কাটছে জিম্মি জাহাজটি ঘিরে। তবে সেখানে সামরিক অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ। তারা জিম্মি ২৩ নাবিক, জাহাজ ও জাহাজের পণ্যে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে চায়। শুক্রবার (২২ মার্চ) জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সামরিক অভিযান হলে নাবিক, জাহাজ ও জাহাজের পণ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই আমরা আলোচনার মাধ্যমে নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে চাই। এর পর সামরিক অভিযান হলে আমাদের আপত্তি নেই। এখন নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। ইইউএনএভিএফওআর সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যু দমনে ‘অপারেশন আটলান্টা’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে নিজেদের এক্স অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ জিম্মি এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে তাদের কার্যক্রমের তিনটি ছবি ও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ‘অপারেশন আটলান্টা’। তার মধ্যে একটি ছবিতে ইইউ নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি থেকে বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজটিকে দেখা যাচ্ছে। জাহাজটির দিকে তাকিয়ে আছেন ইইউ নেভাল ফোর্সের দুই সদস্য। যা যুদ্ধজাহাজটি থেকে এমভি আবদুল্লাহ’র খুব কম দূরত্বকেই নির্দেশ করে। অপর দুটি ছবি ও একটি ভিডিওতে যুদ্ধজাহাজ থেকে ইইউ নেভাল ফোর্সের একটি হেলিকপ্টারকে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা বোঝাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উদ্দেশে রওনা হয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। মোগাদিসু থেকে এক হাজার ১১১ কিলোমিটার পূর্বে ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করে বাণিজ্যিক কার্গো জাহাজটিকে প্রথমে নেওয়া হয় সোমালিয়ার গারাকাড এলাকায়। উপকূল থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা হয় সেটিকে। এরপর আবার অবস্থান বদলে আবদুল্লাহকে নেওয়া হয় গদবজিরান উপকূল এলাকায়। সেখান থেকে সরিয়ে নোঙর করা হয় উপকূলের মাত্র সাড়ে ৭ কিলোমিটার দূরে। তারপর আরও এগিয়ে উপকূলের পৌনে তিন কিলোমিটার দূরত্বে নেওয়া হয়েছে। জাহাজটিতে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজটি গত তিনদিন ধরে সেখানেই নোঙর করা আছে।  
২৩ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৯

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ / টস জয়ে শিরোপা উল্লাস ভারতের, আপত্তি জানিয়ে মাঠেই বাংলাদেশ
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। তবে ফাইনালে লড়াই করেও শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ১১ জনের টাইবেকার শটের পরও ম্যাচের ফলাফল না আশায়, ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় কয়েন টসের ম্যাধ্যমে। যেখানে কপাল পুড়েছে বাংলাদেশে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় টাইবেকারে সময়ে। যেখানে ‍দুই দলই নৈপুণ্য দেখিয়ে ২২ গোল করে ম্যাচ সমতায় রাখে। পরে টস করে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষনা করলে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। ভারতে উল্লাস করে মাঠ ছাড়লেও মাঠ ছাড়েনি স্বাগতিকরা। এদিন ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিক দর্শকদের চুপ করিয়ে দেয় ভারতের মেয়েরা। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় লিন্ডার পাস থেকে ভারতকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন শিবানী দেবী।  ১৭ মিনিটের সময় আরও একবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ মিস করে ভারত। ডি-বক্সের মধ্যে একা বল পেলেও ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন ভারতের রাইট উইঙ্গার। এরপর বার বার আক্রমণ করে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতে যায় ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল শোধ করতে মারিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আক্রমণের পর আক্রমণ করে ভারতের রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখে সাগরিকারা। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এতে ম্যাচ গড়ায় টাইবেকারে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়