• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয়ার পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী। সোমবার (১৮ মার্চ) পান্টল্যান্ডের আঞ্চলিক পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সোমালিয়ার একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড থেকে অক্ষত অবস্থায় ১৭ জন ক্রুসহ সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনকে মুক্ত করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এর আগে বেশ কয়েকটি জাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে ভারতের বাহিনীটি। তবে রয়টার্স তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পান্টল্যান্ড সোমালিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশি জাহাজটি দখল করে থাকা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অভিযানের একটি পরিকল্পনা তারা জানতে পেরেছে। সে কারণে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং অভিযানে অংশ নিতেও প্রস্তুত রয়েছে। গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে ৩৫ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দস্যুদের পক্ষ থেকে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর মাস থেকে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। এ যাবত ২০টিরও বেশি আক্রমণ চালিয়েছে তারা। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রমণে সফলও হয়েছে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা।
৯ ঘণ্টা আগে

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর টিপু মারা গেছেন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু আর নেই। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (এডমিন) মোখলেসুর রহমান বাদল। তিনি বলেন, আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টিপু সাহেব মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন। তার জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৯

বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহ আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানির
বঙ্গোপসাগরে অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্রে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন বড় বড় কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানি।  সোমবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪’ উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে নসরুল হামিদ বলেন, এবারের উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। ইতোমধ্যে অনেক কোম্পানি বিডিংয়ে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।  তিনি বলেন, চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দরপত্র জমার সময় দেয়া হয়েছে। এরপর বাছ-বিচার করে দেখা হবে, কোন কোম্পানিকে কাজ দেওয়া যায়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী প্রমুখ।  প্রসঙ্গত, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি ব্লকে কাজ করছে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি। বাকি ২৪টি ব্লকের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এজন্য ৫৫টি আন্তর্জাতিক কোম্পানিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আহ্বানে সাড়া দেওয়া কোম্পানিগুলো দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ছয় মাস সময় পাবে। একই দিনে দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিয়ে দরপত্রের বিষয়ে জানানোর কথা রয়েছে পেট্রোবাংলার। রোববার (১০ মার্চ) দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এই দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা।   
১১ মার্চ ২০২৪, ২০:১৬

বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান
বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি ব্লকে কাজ করছে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি। বাকি ২৪টি ব্লকের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)। আর এ জন্য ৫৫টি আন্তর্জাতিক কোম্পানিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আহ্বানে সাড়া দেওয়া কোম্পানিগুলো দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ছয় মাস সময় পাবে। একই দিনেই দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিয়ে দরপত্রের বিষয়ে জানানোর কথা রয়েছে পেট্রোবাংলার। রোববার (১০ মার্চ) দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এই দরপত্র আহ্বান করেছে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিটি। জানা গেছে,  ২০১২ ও ২০১৪ সালে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয় বাংলাদেশের। সমুদ্রে মোট ২৬টি ব্লক আছে, যার মধ্যে গভীর সমুদ্রে ১৫টি ও অগভীর সমুদ্রে ১১টি। এসব ব্লকে ২০১০ সালে গভীর সাগরে ডিএস-১০ ও ডিএস-১১ ব্লকে কাজের আগ্রহ দেখায় কনোকো ফিলিপস। কোম্পানিটি ২ডি জরিপ শেষে গ্যাসের দাম বাড়ানোর দাবি করে, সেই দাবি না মানায় কাজ ছেড়ে চলে যায় কোম্পানিটি। অস্ট্রেলিয়ার স্যান্তোস ও দক্ষিণ কোরিয়ার পস্কো দাইয়ুও চুক্তির পর কাজ ছেড়ে চলে যায়। বর্তমানে সমুদ্রের ২টি ব্লকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ভারতের কোম্পানি ওএনজিসি। তাই এ দুটি বাদ দিয়ে ২৪টি ব্লকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সন মবিল ও শেভরনও এই বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করেছিল পেট্রোবাংলা। এরপর ২০১৯ সালে নতুন উৎপাদন অংশীদারি চুক্তি (পিএসসি) করা হলেও দরপত্র ডাকা হয়নি। গত বছরের জুলাইয়ে নতুন পিএসসি চূড়ান্ত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। যেখানে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে আকর্ষণে আগের চেয়ে সুবিধা বাড়ানো হয়। অবশেষে সেই দরপত্র আহ্বান করলো পেট্রোবাংলা।  এবারের অংশীদারি চুক্তিতে (পিএসসি) বিদেশি কোম্পানিগুলোকে আগ্রহী করতে নীতিমালায় বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিলিয়ে দাম ঠিক করা হবে। গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশের শেয়ারের অনুপাত বাড়তে থাকবে। গভীর সমুদ্রে ৩৫ থেকে ৬০ শতাংশ এবং অগভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের শেয়ার ৪০ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত ওঠানামা করবে। কোম্পানি যদি গ্যাস বিক্রি করতে চায়, তাহলে প্রথমে পেট্রোবাংলাকে প্রস্তাব দিতে হবে, পেট্রোবাংলা নিতে না চাইলে তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির সুযোগ পাবে বিদেশি কোম্পানি। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বলেছেন, ডাটার জন্য আলাদা ৮টি প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে। যেগুলো কিনে আমাদের ব্লকগুলো সম্পর্কে তথ্য পাবে আগ্রহী কোম্পানিগুলো।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১৪:১০

নারী দিবসে শুধু নারীদের দিয়ে বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রথমবারের মতো নারী কর্মীদের দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স’৷ ফ্লাইট পরিচালনার সকল বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন বিমান-এর নারী কর্মীরা৷ শুক্রবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-দাম্মাম রুটে নারী ক্রুদের দিয়ে ফ্লাইট বিজি-৩৪৯ পরিচালনা করে৷ ফ্লাইটের ক্রুদের ব্রিফিং, চেক-ইন কাউন্টার, ফ্লাইট কভারেজ, কেবিন ক্রু ও ককপিট ক্রুর দায়িত্বে ছিলেন তারা৷ ফ্লাইটের পাইলট ছিলেন বিমান-এর জ্যেষ্ঠ নারী পাইলট ক্যাপ্টেন আলিয়া মান্নান ও ফার্স্ট অফিসার ফারিহা তাবাসসুম৷ দক্ষতা আর পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সংস্থাটির নারী কর্মীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স৷ এ মুহূর্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চাকরি করছেন ১৫ জন নারী পাইলট, যা পুরুষ ও নারী পাইলটদের আন্তর্জাতিক গড়ের (৬%) দ্বিগুণের বেশি বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইসেন্স৷ ৩৪৫ জন নারী কেবিন ক্রুসহ, গ্রাউন্ড স্টাফ, নারী প্রকৌশলী, নারী প্রকৌশল ইন্সটাক্টর কাজ করছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন শাখায়৷
০৯ মার্চ ২০২৪, ১১:০৩

বিমান বাহিনী মহিলা কল্যাণ সমিতির আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মহিলা কল্যাণ সমিতির (বাফওয়া) উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন হয়েছে।  বাফওয়া ও আদার্স উইমেন এন্ড চিলড্রেন ক্লাবের সভানেত্রী তাহমিদা হান্নানের নির্দেশনায় শুক্রবার (৮ মার্চ) অত্যন্ত অনাড়ম্বর পরিবেশে দিবসটি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী  নাহিদ ইজাহার খান উপস্থিত ছিলেন।  অনুষ্ঠানের শুরুতেই তাহমিদা হান্নান বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।  অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বাফওয়ার কর্মকান্ডের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাতজন নারীর ব্যক্তিগত সফলতার স্মৃতিচারণ করা হয় এবং সম্মাননা প্রদান করা হয়।  সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নাহিদ ইজাহার খান বরেণ্য নারীদের বাফওয়া ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করেন। তাহমিদা হান্নান বলেন, উপস্থিত বরেণ্য নারীরা জয় আর শক্তির অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সফলতার চূড়ায় উঠে সময়কে দিয়েছেন নতুন মাত্রা। তাদের চিন্তা-চেতনা, কর্ম, সৃষ্টি, প্রাপ্তির পূর্ণতা দিয়ে তারা সমাজ, সংস্কৃতি আর অর্থনীতির নতুন কাঠামো নির্মাণে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।  অনুষ্ঠানটিকে মহিমান্বিত করার লক্ষ্যে নারীদের ওপর গীতি নৃত্য নাট্যের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে নারী দিবস উপলক্ষে বাফওয়া কর্তৃক প্রকাশিত বার্ষিক স্মরণিকা ‘অভ্রনীল’-এর ৫ম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এই স্মরণিকাটিতে বাফওয়ার সার্বিক কর্মকান্ডের চিত্র স্বল্প পরিসরে তুলে ধরা হয়েছে। বাফওয়ার কর্মকান্ডে জড়িত থাকার পাশাপাশি স্মরণিকা প্রকাশে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সংগঠনের সদস্যরা যে আন্তরিকতা ও একাগ্রতা প্রদর্শন করেছে, তার জন্য প্রতিমন্ত্রী সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তাহমিদা হান্নানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং বাফওয়ার প্রতি তার দায়িত্ববোধ ও সম্পৃক্ততায় অতি দ্রুত বহুমুখী প্রকল্প গ্রহণের ফলে সংগঠনটি শুধু বিমান বাহিনী নয় জাতীয় পর্যায়ে এক অনন্য উচ্চতর নারী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী হতে আগত অতিথিবৃন্দ, কেন্দ্রীয় বাফওয়ার সহ-সভানেত্রীবৃন্দ, ঢাকা এলাকায় বসবাসকারী বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের সহধর্মিনী ও মহিলা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অনুষ্ঠানটি সফল হয়েছে তাদের প্রতি প্রধান অতিথি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকল বরেণ্য নারীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।  বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সকল ঘাঁটিতে একইভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।  
০৮ মার্চ ২০২৪, ২১:১৩

নারী দিবস উপলক্ষে ভারতে রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর ঘোষণা
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রান্নার জন্য ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাসের দাম সিলিন্ডারপ্রতি ১০০ রুপি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক মাধ্যম এক্সেও এ–সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ঘোষণায় নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, রান্নার গ্যাসের দাম কমলে ভারতের কোটি কোটি পরিবারের আর্থিক চাপ কমবে। বিশেষ করে এই সিদ্ধান্তে ‘নারী শক্তি’ উপকৃত হবে।  তিনি আরও বলেন, ‘রান্নার গ্যাস আরও সাশ্রয়ী করার মাধ্যমে আমরা পরিবারের কল্যাণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’ তবে, নরেন্দ্র মোদির এই ঘোষণা নিছক নারী শক্তির কল্যাণে নয় বলেই মনে করছে ভারতের রাজনৈতিক মহল। তারা মনে করছে, এপ্রিল মাসে দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। আসন্ন এই নির্বাচনে ভোটব্যাংক নিজের দিকে টানতেই রান্নার গ্যাসের দাম প্রতি সিলিন্ডারে ১০০ টাকা করে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি। এক্স পোস্টে মোদি অবশ্য লিখেছেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের জীবনযাত্রা সহজতর করতে আমরা যে অঙ্গীকার করেছিলাম, এই সিদ্ধান্ত তার আলোকেই নেওয়া হয়েছে।’  ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকেই রান্নার গ্যাসের নতুন দাম কার্যকর হবে। নির্বাচনের আগে আগে মোদি সরকারের সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমানোর ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত বছরের আগস্টে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে গ্যাসের দাম সিলিন্ডারপ্রতি ২০০ রুপি করে কমিয়েছিল মোদি সরকার। ভারতে উজ্জ্বলা প্রকল্পের গ্রাহক নন যারা, তাদের জন্য এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ১০০ রুপি। মোদি সরকার গত বছরের আগস্টে সিলিন্ডারপ্রতি ২০০ রুপি দাম কমানোয় তা ৯০০ রুপিতে নেমে আসে। এবার আরও ১০০ রুপি দাম কমায় উজ্জ্বলা প্রকল্প বহির্ভূত গ্রাহকরা ৮০০ রুপিতে এলপিজি সিলিন্ডার নিতে পারবেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫১

হাথুরুর চোখ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে
বাংলাদেশের সামনে প্রথমবার শ্রীলঙ্কাকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারানোর সুযোগ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৩ রানে হতাশার পরাজয়ের পর দ্বিতীয়টিতে ৮ উইকেটের জয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে লাল-সবুজেরা। শনিবার (৯ মার্চ) লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় এলেই ইতিহাস গড়বে টাইগাররা। তেমন কিছুরই অপেক্ষায় আছেন টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।  একই সঙ্গে আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও চোখ রাখছেন লঙ্কান এই মাইন্ডমাস্টার। বিশেষ করে সেখানকার উইকেট নিয়েই ভাবছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নিজের অস্ট্রেলীয় যোগাযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন হাথুরু। শুক্রবার (৮ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দলীয় অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন হাথুরুসিংহে। সেখানে তার দাবি, আমরা ইতিহাসটা বদলানোর দ্বারপ্রান্তে আছি। হাথুরুসিংহের ভাষ্যমতে, আমরা সিরিজটা জেতার মতো অবস্থানে আছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ম্যাচটা জেতা। ম্যাচটা যেহেতু দিনে, আমাদের বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে আমাদের ভালো সুযোগ থাকবে ম্যাচটা জেতার। তবে এটাও বলব, শ্রীলঙ্কা খুবই ভালো টি-টোয়েন্টি দল। যা-ই হোক, আমরা নিজেদের খেলায় মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। লঙ্কান এই কোচ যোগ করেন, শেষ ম্যাচের কথা যদি বলি, আমরা প্রায় নিখুঁত খেলেছি। এটা দেখে ভালো লেগেছে যে ছেলেরা খুব দ্রুত এর আগের ম্যাচ থেকে শিখেছে। বোলাররা প্রথম ম্যাচে যেমন বল করেছে, তার চেয়ে ভালো করেছে পরের ম্যাচে। ব্যাটসম্যানরাও প্রথম ম্যাচে পাওয়ারপ্লের ভুল শুধরে নিয়েছে পরের ম্যাচে। এদিকে চলতি বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় শুধু লঙ্কান সিরিজ নিয়ে ভাবছেন না হাথুরু। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ নিয়েও তাকে ভাবতে হচ্ছে। তবে ঘরের মাঠে এই সিরিজ দিয়ে সঠিক সমন্বয় পরখ করে দেখতে আগ্রহী তিনি।  হাথুরুর মতে, আমরা বিশ্বকাপের জন্য সমন্বয় খুঁজছি। সেই সমন্বয়ে কে, কোনভাবে জায়গা করে নেয় এবং সেখানে কে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, সেটাও দেখছি। টাইগারদের কড়া এই হেডমাস্টার যোগ করেন, আমরা ভালো উইকেটে খেলতে চাই। আমি জানি না আমরা যুক্তরাষ্ট্রে কেমন উইকেট পাব। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ম্যাচ আছে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ। কারও কোনো ধারণা নেই, সেখানে উইকেট কেমন হবে। সেখানকার কোনো পরিসংখ্যান নেই। আমি জেনেছি, সেখানে ড্রপ-ইন উইকেট থাকবে। অ্যাডিলেডে প্রস্তুত করে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে। আশা করছি, অস্ট্রেলীয় উইকেট যেমন হয়, তেমনই হবে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৮

আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস
আজ ৮ মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় দিনটি। নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ।’  নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদান, নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ ও নারীর সাফল্য উদযাপনসহ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশেও পালিত হবে দিবসটি। কোনও কোনও দেশে দিনটি নারী শ্রমিক দিবস হিসেবেও পালিত হয়।   সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাতে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।  নারী দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। নারীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকেও নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।  আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ যথার্থ হয়েছে বলেও জানান তিনি।  আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় নানা আয়োজন। দিনটি উপলক্ষে ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নারী সংগঠন নারীপক্ষ।  বিকেল সাড়ে চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘মোরা আকাশের মতো বাধাহীন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি। আয়োজনে কাঙালিনী সুফিয়া, চিরকুটসহ আরও অনেকের পরিবেশনা থাকবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাসদের সহযোগী নারী সংগঠন জাতীয় নারী জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে শুক্রবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় নারী জোটের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আফরোজা হক রীনা।  এদিকে এবারের প্রতিপাদ্যটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে জাতিসংঘ বলছে, কোভিড মহামারী এবং সংঘাতের কারণে ২০২০ সাল থেকে আরও ৭৫ মিলিয়ন মানুষ গুরুতর দারিদ্র্যের মধ্যে পড়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের সীমারেখায় থাকা ৩৪২ মিলিয়নেরও বেশি নারীর ভাগ্য পরিবর্তন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে অবলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতাহীনতা মোকাবিলায় নজর দিতেই নারী দিবসের থিম নির্বাচন করা হয়েছে। নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধেও বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ যথেষ্ট নয়। নারীদের জন্য সঠিক বিনিয়োগ উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য অপরিহার্য।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৯

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ইতিহাস, গুরুত্ব
প্রতি বছর মার্চ মাসের ৮ তারিখ বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। লিঙ্গবৈষম্য দূর করে নারীর প্রতি সম্মান ও সমানাধিকার জানাতেই দিবসটি উদযাপিত হয়। চলতি বছরেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এটি এমন একটা দিন, যা সূচনাপর্ব থেকে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে নারীদের সম্মানের কথা মনে করিয়ে দেয়। এমনকি প্রতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের একটি থিম থাকে। কিন্তু আমরা এখনো অনেকেই এই নারী দিবসের এ বছরের থিম, ইতিহাস ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানি না। নারী দিবস উপলক্ষে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের বিস্তর ইতিহাস। চলুন, জেনে নেওয়া যাক দিবসটির পিছনের এসব খুঁটিনাটি তথ্য।  যেভাবে শুরু হলো : এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ৮ মার্চকে নারী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে সারাবিশ্বের মানুষ।আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সংক্ষেপে আইডব্লিউডি বলা হয়ে থাকে। শ্রমিক আন্দোলন থেকেই উদ্ভূত হয় নারী দিবসের ধারণা। পরবর্তীতে দিনটি জাতিসংঘের স্বীকৃত পায় এবং প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হতে থাকে।   ১৯০৮ সালে কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনা, বেতন বৃদ্ধি এবং ভোটাধিকারের দাবিতে প্রায় ১৫ হাজার নারী নিউইয়র্ক শহরের রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছিল। মূলত, এই আন্দোলনের মাঝেই লুকিয়ে ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে নারী দিবস পালনের বীজ। এই আন্দোলনের এক বছর পর আমেরিকার সোশ্যালিস্ট পার্টি সর্বপ্রথম জাতীয় নারী দিবস ঘোষণা করে। জাতীয় পর্যায় থেকে দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পরিণত করার প্রথম উদ্যোগটি নিয়েছিলেন কমিউনিস্ট ও নারী অধিকার কর্মী ক্লারা জেটকিন। ১৯১০ সালে তিনি কোপেনহেগেনে কর্মজীবী নারীদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ ধারণার প্রস্তাব দেন। সেই সম্মেলনে উপস্থিত ১৭ দেশের ১০০ জন নারীর সকলেই তার প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করেন। এরপরের বছর, অর্থাৎ ১৯১১ সালে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ২০১১ সালে পালিত হয় দিনটির শতবর্ষ। প্রতি বছর একটু একটু করে এগিয়ে ২০২৩ সালে আজ আমরা পালন করছি ১১২তম আন্তর্জাতিক নারী দিবস। কেন ৮ মার্চ? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ধারণাটি যখন ক্লারা উত্থাপন করেন, তখন তিনি নির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি। ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের আগ পর্যন্ত দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দিষ্ট করা যায়নি বলেই উল্লেখ রয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে। একই বছর রুশ নারীরা 'রুটি এবং শান্তি'-এর দাবিতে তৎকালীন জারের (রাশিয়ার সম্রাট) বিরুদ্ধে ধর্মঘট শুরু করেন; এর ৪ দিনের মাথায় গদি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল জার এবং জারের গদিতে বসা অস্থায়ী সরকার তখন নারীদের আনুষ্ঠানিক ভোটাধিকার দিয়েছিলেন। সে সময়ে রাশিয়ায় প্রচলিত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, নারীদের ধর্মঘট শুরু হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি, রোববার। আর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে এই দিনটি ছিল ৮ মার্চ; পরবর্তীতে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৮ মার্চকেই আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নারী দিবসের প্রতীক কেন বেগুনি? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ওয়েবসাইট অনুসারে বেগুনি, সবুজ এবং সাদা হলো আন্তর্জাতিক নারী দিবসের রঙ। "বেগুনি রঙ দিয়ে ন্যায়বিচার এবং মর্যাদাকে বোঝানো হয়। সবুজ আশার প্রতীক; আর সাদা বিশুদ্ধতার। যদিও এই ধারণা নিয়ে বিতর্কিত রয়েছে, ১৯০৮ সালে যুক্তরাজ্যের উইমেন'স সোশ্যাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইউনিয়ন (ডব্লিউএসপিইউ) এই রঙগুলোকেই নির্দিষ্ট করেছিল," ওয়েবসাইট অনুসারে। নারী দিবসের মতো কি আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসও আছে? এ প্রশ্ন অনেকেরই। উত্তর হলো, পুরুষ দিবসও আছে; আর সেটি ১৯ নভেম্বর। ১৯৯০ সালে প্রথম পুরুষ দিবস পালিত হয়; তবে এটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত নয়। প্রতিবছর যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশে দিনটি উদযাপন করা হয়ে থাকে। কীভাবে পালিত হয় অন্তর্জাতিক নারী দিবস? রাশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৮ মার্চের আগে-পরের ৩/৪ দিন এসব দেশে ফুলের বিক্রি বেড়ে হয় প্রায় দ্বিগুণ।  চীনের অনেক স্টেটে কাউন্সিলের বিবেচনায় ৮ মার্চ নারীদেরকে অর্ধেক দিনের ছুটি দেওয়া হয়। ইতালিতে দিনটি নারীদের ফুল দেওয়ার মাধ্যমে উদযাপিত হয়। ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর এ ঐতিহ্যের উৎপত্তি অস্পষ্ট; তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এটি রোমে শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্চ মাসকে নারীদের ইতিহাসের মাস বলে মনে করা হয়। প্রতিবছর আমেরিকান নারীদের কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ মার্কিন প্রেসিডেন্ট একটি ঘোষণাপত্র জারি করেন এই দিনে। নারী দিবস কেন প্রয়োজন? গেলো বছর আফগানিস্তান, ইরান, ইউক্রেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো অনেক দেশে নারীরা তাদের নিজ নিজ দেশে যুদ্ধ, সহিংসতা এবং সরকারি নীতি পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করে গেছেন এবং এখনও করছেন। আফগানিস্তানে ফের তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেখানে নারীদের জন্য উচ্চাশিক্ষা ও চাকরি নিষিদ্ধ করা হয়; এমনকি বাড়ির বাইরে যেতে হলেও বৈধ পুরুষ সঙ্গী নিয়ে যাওয়ার নিয়ম জারি করে তালেবান সরকার। ইরানেও নারী অধিকারের বিষয়টি সম্প্রতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গেল বছর সেপ্টেম্বরে ঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তার করে তেহরানের নৈতিকতা বিষয়ক পুলিশ। এরপর পুলিশি হেফাজতেই তার মৃত্যু হলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। সেই বিক্ষোভে নারীরা নিজেদের মাথার স্কার্ক বা হিজাব খুলে, আগুনে পুড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। সেই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন ইরানের পুরুষরাও। শুধু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই নয়, পশ্চিমের অনেক দেশেও অধিকারের জন্য এখনও লড়ছেন নারীরা। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, অপুষ্টি, দারিদ্র্য এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে, তার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হলো নারী। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রও ও মেক্সিকোতে সম্প্রতি নারীদের গর্ভপাতের অধিকার নিয়েও চলেছে বেশ হট্টগোল। মূলত, এসব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে আগামী দিনগুলোতে নারীর সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তার জন্যই আনুষ্ঠানিকভাবে এই নারী দিবসের প্রয়োজন এখনও রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্বের নারী ও মানবাধিকার কর্মীরা।   গুরুত্ব:  লিঙ্গবৈষম্য দূর করার জন্য এই দিনটি পালিত হয়। শিল্প-সাহিত্যসহ সব ধরনের ক্ষেত্রে এবং সমাজের সমস্ত কাজে নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই এই দিনটি পালিত হয়। 
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়