• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বুয়েট থেকেই শুরু হবে ছাত্রলীগের আধুনিক রাজনীতি : সাদ্দাম
বুয়েট থেকেই ছাত্রলীগের আধুনিক রাজনীতি শুরু হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।  বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব রাজনৈতিক সংগঠন ও তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এ রায়ে বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির বিজয় হয়েছে উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, বুয়েটের মর্যাদা ধরে রেখে সুষ্ঠু ও  নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি শুরু করবে ছাত্রলীগ। প্রয়োজনে সব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদের সঙ্গেও আলাপ করে সাংস্কৃতি চর্চা শুরু হবে। ক্যালেন্ডার তৈরি হবে।  জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আহ্বান জানিয়ে সাদ্দাম এরপর বলেন, বুয়েটের মর্যাদা ক্ষুণ্ন  হতে দেবে না ছাত্রলীগ। বুয়েট থেকেই শুরু হবে ছাত্রলীগের আধুনিক ও পরিবর্তিত রাজনীতি। বাইরে থেকে নেতৃত্ব তৈরি হবে না, নিজেরাই নেতৃত্ব করবে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। বুয়েট থেকে হবে মডেল ছাত্র রাজনীতির শুরু।  আলোচনা সাপেক্ষে ছাত্রলীগ বুয়েটে নিজেদের কমিটি দেবে উল্লেখ করে এ ছাত্রনেতা আরও বলেন, বুয়েটে কমিটি গঠনে তাড়াহুড়া নেই। শিক্ষক সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে সুবিধাজনক সময়ে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হবে।  সংবাদ সম্মেলনে এরপর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ঘোষণা অনুযায়ী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বীর আবাসিক হল ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বুয়েট শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রলীগ। আধুনিক, স্মার্ট, পলিসি নির্ভর নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সংগঠনটি। এরপর সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী ও জঙ্গীবাদী কালোছায়া থেকে বুয়েটকে মুক্ত করতে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া বুয়েটে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আলোচনায় বসা হবে প্রশাসনের সঙ্গে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৫

দুর্যোগ মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তি সন্নিবেশ করা হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তি সন্নিবেশ করা হয়েছে। তিনি বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দিবসটির এবছরের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাট দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট অ্যাকশন’ যথোপযুক্ত, সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে ১০০ বছর মেয়াদি বদ্বীপ পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। পর্যায়ক্রমে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন ও ২০৪১ সালে একটি উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তি সন্নিবেশ করেছে। ফলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অন্যান্য চরম আবহাওয়ার বিভিন্ন মেয়াদি পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আগাম পূর্বাভাস প্রদানে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ ও প্রভাব থেকে উত্তরণের জন্য পরিবেশের বিপর্যয় রোধ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহায়ক কৌশল নির্ধারণ, প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, জলবায়ুর পরিবর্তনের অভিঘাত সহিষ্ণু বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণে বাংলাদেশ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার আবহাওয়ার বিদ্যমান পর্যবেক্ষণাগারগুলোর সঙ্গে কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস সেবার মান উন্নয়নে আরও সাতটি নতুন কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার স্থাপনসহ কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করেছে। এছাড়াও ৫টি আবহাওয়া ভূপৃষ্ঠ পর্যবেক্ষণাগার, ১৩টি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ৩টি স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড রিসিভিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ও বজ্রঝড়ের সতর্কবার্তা প্রদানসহ নিরাপদ বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে জয়দেবপুরে একটি আধুনিক ডপলার রাডার স্থাপন করা হয়েছে এবং রংপুরে অপর একটি ডপলার রাডার স্থাপনের কাজ চলমান আছে। বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের সার্বিক সফলতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, সকলে মিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আজীবন স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলি।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারী সমাজ এগিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে নারীসমাজ এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ; এগিয়ে নিতে হবে বিনিয়োগ’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে প্রতিটি কাজে নারী-পুরুষের সম-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নারী-পুরুষ সমতা অর্জন ও নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগ এবং জেন্ডার-রেসপনসিভ অর্থায়নকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নারীদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং ২০৪১ সালের উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ ও নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শুধুমাত্র চাকরি নির্ভর না হয়ে প্রতিটি নারী যেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে এ লক্ষ্যে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা আর মজুরি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে নারী আদায় করেছিল তার অধিকার। নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি এবং উন্নয়নে করেছে সমঅংশীদারীত্ব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠন করেন। তিনি জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর সমানাধিকারের বিষয়টি সংবিধানে নিশ্চিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিসিএ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এলাকায় নারীর জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু বিকল্প জীবিকা এবং সুপেয় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের হাতের মুঠোয় এনে দেওয়ার জন্য কাজ করছে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্প।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১০:১০

পুলিশ আধুনিক ও জনবান্ধব বাহিনীতে পরিণত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
সরকারের সময়োচিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে পুলিশ বাহিনী আজ একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ, গতিশীল ও জনবান্ধব বাহিনীতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলারক্ষা, জনগণের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান এবং অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে বঙ্গবন্ধু যে বাহিনীর পুনর্গঠন ও উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন তা হলো বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশ পুলিশের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা পুলিশের বাজেট বৃদ্ধি, ঝুঁকিভাতা চালু, রেশন প্রাপ্তির হার দ্বিগুণ এবং প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করি। ১৯৯৮ সালে আমরাই প্রথম পুলিশসুপার পদে একজন নারী কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেই। শেখ হাসিনা বলেন, পাঁচ কোটি টাকা সিড মানি দিয়ে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন, পুলিশ স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠা, পুলিশের জনবল বৃদ্ধি ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ বহুমূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আমাদের এ সকল সময়োচিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে পুলিশ বাহিনী আজ একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ, গতিশীল ও জনবান্ধব বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে আমরা ব্যাপক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি। পদমর্যাদা বৃদ্ধি, নতুন পদ সৃষ্টি এবং বিভিন্ন স্তরে বিপুল সংখ্যক পদোন্নতি প্রদানসহ গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পদের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), শিল্প পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, এন্টি টেরোরিজম, কাউন্টার টেরোরিজম, নৌপুলিশ, এমআরটি পুলিশ ও এসপিবিএনসহ অনেকগুলো নতুন বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছি। সরকারপ্রধান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পার্বত্য জেলাগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় কয়েকটি ব্যাটেলিয়ন গঠন করা হয়েছে। আমরা পুলিশ স্টাফ কলেজকে আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করেছি। আমরা থানা, ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্র, ব্যারাক, আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ দিয়েছি। দশ তলা ভবন করে রাজারবাগে পুলিশ হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। পুলিশ বাহিনীর জন্য ডিএনএ ল্যাব, ফরেনসিক ল্যাব, অটোমেটেড ফিঙ্গার প্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এফআইএস) ও আধুনিক রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন করেছি। আকাশপথে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পুলিশের এয়ার উইং গঠন করা হয়েছে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, সকল সময়ে জনগণের সেবা করাই প্রতিটি পুলিশ সদস্যের পবিত্র দায়িত্ব। আমার প্রত্যাশা, মানবীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে সততা, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, ত্যাগ, বীরত্ব ও দেশপ্রেমের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। রূপকল্প-২০৪১ এর সেই স্মার্ট বাংলাদেশে পুলিশকেও হতে হবে আধুনিক, যুগোপযোগী এবং স্মার্ট। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ বাহিনী সাফল্যের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখে নতুন দিনের নতুন চ্যালেঞ্জ সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে এবং পুলিশের গৌরব সমুন্নত রাখতে সদা সচেষ্ট থাকবে। শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ বাহিনীর রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের সদস্যগণ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পুলিশ বাহিনীর প্রায় ১৪ হাজার বাঙালি পুলিশ সদস্য কর্মস্থল ত্যাগ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এদের মধ্যে ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য শহিদ হন। দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্বের পরীক্ষায় বারবার উত্তীর্ণ হয়েছে পুলিশ। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সেই কালরাতে পুলিশের এএসআই সিদ্দিকুর রহমান ঘাতকদের বাধা দিতে গিয়ে বিনা দ্বিধায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। দেশবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির আগুনসন্ত্রাস মোকাবিলা ও জঙ্গিবাদ দমনসহ সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন অনেক অকুতোভয় পুলিশ সদস্য। সরকারপ্রধান বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণ বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ সময় পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য সময়ে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন শেষ হাসিনা। সূত্র : বাসস  
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৬

সরকারি টয়লেট নিজের বাড়ির মনে করে ব্যবহারের আহ্বান মাশরাফীর
নড়াইলের আধুনিক সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসক ও রোগীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন তিনি। একইসঙ্গে হাসপাতালের টয়েলটগুলো ব্যবহারের উপযোগী কি না তাও ঘুরে দেখেন। পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে মাশরাফী বলেন, ডাক্তাররা থাকতে না চাইলে আসলে আমাদের কাজটা কঠিন এবং আমাদের কিছু করার নেই সেক্ষেত্রে। আমরা চেষ্টা করছি যতটুকু সাপোর্ট দেয়া যায়। এরপর তিনি বলেন, আর একটা বিষয় হচ্ছে এটা তো ১০০ শয্যার হাসপাতাল। অথচ এখনই পেশেন্ট আছে প্রায় সাড়ে তিনশ। তাই সার্ভিসও সেভাবে দিতে হবে। চাইলেই তো রোগী বের করে দেওয়া যায় না। শিশু ওয়ার্ডে এখানে শয্যা আছে ১৫টি। অথচ, শিশু ভর্তি হয়েছে ১০০ জনের ওপরে। সব তো ওভারলোডেড। লোকবলের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই খেলোয়াড় বলেন, ১০০ শয্যার হাসপাতালে ৩০০-৩৫০ রোগী ভর্তি আছে। চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধ-খাবার সবকিছুর সাপ্লাই দিতে হচ্ছে, ম্যানেজ করতে হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটও আছে। এই চিকিৎসক সংকট কমলে আমাদের সার্ভিসটা আরও ভালো দেওয়া যেতো। তবে, সংকটের মধ্য দিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।  এ সময় হাসপাতালের টয়লেটের অবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সবাইকে সরকারি টয়লেট নিজের বাড়ির মনে করে ব্যবহারের আহ্বান জানান মাশরাফী। তিনি বলেন, সরকারি টয়লেট ব্যবহারের সময় নিজের বাড়ির মত করে ব্যবহার করলে সুবিধা হয়। টয়লেট অন্যের মনে করে ব্যবহার করলে সবারই ক্ষতি হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৩

হাবিপ্রবিতে ২ দিনব্যাপী আধুনিক যন্ত্র পরিচালনায় প্রশিক্ষণ
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শিক্ষকদের জন্য অত্যাধুনিক গবেষণা যন্ত্র ‘আল্ট্রা হাই পারফর্মেন্স লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি’ (ইইউএইচপিএলসি) পরিচালনার ওপর ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের আগ্রহী শিক্ষকদের অংশগ্রহণে ইনভেন্ট টেকনোলজিস এর সহযোগিতায় উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রথম পর্যায়ের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের মলিকিউলার বায়োলজী ইউনিট। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. গোলাম রাব্বানী, ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং এর পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. হারুন-উর-রশিদ, কেন্দ্রীয় গবেষণাগার উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. খালেদ হোসেন এবং কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের মলিকিউলার বায়োলজী ইউনিটের ইনচার্জ প্রফেসর ড. ইয়াছিন প্রধান। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় গবেষণাগার উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. এ. টি. এম. শফিকুল ইসলাম।   প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণের অনুভূতি জানিয়ে মেডিসিন, সার্জারি অ্যান্ড অবসটেট্রিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. বেগম ফাতেমা জোহরা বলেন, আমরা দুদিনব্যাপী এ ট্রেনিং প্রোগ্রামে হাই পারফরমেন্স লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি যন্ত্রের মাধ্যমে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে, কি কি নিয়ে কাজ করা যাবে এবং কি কি অ্যানালাইসিস করা যাবে এসব সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। এ ছাড়াও যন্ত্রটি কিভাবে পরিচালনা করে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সঠিক ডাটা বের করতে পারবো সেটাও জানলাম। এ ধরনের আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ। কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের মলিকিউলার বায়োলজী ইউনিট ইনচার্জ প্রফেসর ড. ইয়াছিন প্রধান ট্রেনিং প্রোগ্রামের সার্বিক বিষয়ে বলেন, আমরা ইনভেন্ট টেকনোলজিস এর দক্ষ প্রশিক্ষণ টিমের সহযোগিতায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের বিভিন্ন জিনিসের রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় ‘হাই পারফরমেন্স লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি’ যন্ত্রের পরিচালনা সম্পর্কে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়াও আগামীতে সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য অনলাইনে প্রশিক্ষকগণ যন্ত্র পরিচালনায় যে কোনো সমস্যাই আমাদের গবেষকদের সহযোগিতা করবে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ খুব সহজেই যেকোনো প্রোডাক্টের উপাদানসমূহ চিহ্নিত ও তাদের সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করতে পারবে বলে আশা করছি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের যন্ত্র পাতি ব্যবহারের জায়গাটা খুব ইম্পর্টেন্ট। আমরা যারা বাইরে অ্যাডভান্স রিসার্চ করে আসছি তারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের এসব অত্যাধুনিক মেশিন ব্যবহার করে সেই অ্যাডভান্স রিসার্চ চর্চা করতে পারবো। আমাদের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে অতিশিগগিরই আরো দুটি ইউনিট চালু হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি ডায়াগনস্টিক ইউনিট। এই ইউনিটের ২১টি অত্যাধুনিক যন্ত্রের মধ্যে ১৮টি ল্যাবে চলে এসেছে এবং আরেকটি ইউনিট টিস্যু কালচার ইউনিটের কাজ চলমান রয়েছে। আমরা চাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সত্যিকারের ইফেক্টিভ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হোক। উল্লেখ্য যে, আল্ট্রা হাই পারফর্মেন্স লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি (ইইউএইচপিএলসি) গবেষণা এবং পণ্য বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। যন্ত্রটি ফার্মাসিউটিক্যালস, খাবার, জৈব রাসায়নিক গবেষণা, সিন্থেটিক পলিমার, বায়োমোলিকুলার স্টাডি ও পরিবেশ পর্যবেক্ষণে ব্যাপক ব্যবহৃত হয় এবং গবেষকদের কাছে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। একটি আধুনিক গবেষণাগারের অন্যতম একটি জনপ্রিয় প্রযুক্তি হলো আল্ট্রা হাই পারফর্মেন্স লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি (ইইউএইচপিএলসি)।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪০

আধুনিক যুগেও প্লাস্টিকের বিকল্প নেই : মোরশেদ আলম
বেঙ্গল গ্রুপ ও আরটিভির চেয়ারম্যান আলহাজ মোরশেদ আলম বলেছেন, আধুনিক যুগেও প্লাস্টিকের বিকল্প নেই। তবে মান ও দাম ঠিক রেখে এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যুগের সাথে তাল মেলাতে না পারলে পিছিয়ে পড়তে হবে।   শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ১৬তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এই মেলার আয়োজন করেছে। মোরশেদ আলম বলেন, প্লাস্টিক খাতকে সামনে আরও এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য আমাদের ভবিষ্যতে নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে। আমাদের আশপাশের দেশগুলোতে খোঁজ করতে হবে।  বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে প্লাস্টিক শিল্প ৪০ হাজার কোটি টাকার। অনেক মানুষের সংগ্রামের ফসল এটি। যা নতুন প্রজন্ম আরও উপরে নিয়ে যাবে। দেশের প্লাস্টিক পণ্যের প্রচার, প্রসার ও রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্বের ২০টি দেশের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে এই মেলা। যেখানে প্লাস্টিকের বিভিন্ন উপাদান, মেশিনারিজ, কেমিক্যাল প্রদর্শন ও ক্রয়ের আগাম কার্যাদেশ দেওয়া-নেওয়া হচ্ছে। চারদিনব্যাপী এই মেলা হয় আজ (২৭ জানুয়ারি)। মেলায় দেশী-বিদেশী প্রায় এক হাজার কোম্পানি অংশ নেয়।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৪

দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে আধুনিক প্রশিক্ষণ অপরিহার্য : রাষ্ট্রপতি 
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দক্ষ, অভিজ্ঞ, পেশাদার, সেবামুখী ও পরিশ্রমী কর্মীবাহিনী প্রয়োজন। দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি পেশাভিত্তিক, উন্নত ও আধুনিক প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। মঙ্গলবার ২৮তম জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উপলক্ষে সোমবার (২২ জানুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সমিতি (বিএসটিডি) কর্তৃক ২৮তম জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক অবকাঠামোসহ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং সেবা খাতে প্রচুর উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এ বিশাল কর্মযজ্ঞের সফল বাস্তবায়নের জন্য দেশের বিপুল সংখ্যক জনগণকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সমিতি দেশের প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিগত চার দশকের অধিককাল যাবত উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম দেশে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করাও জরুরি। তিনি বলেন, আমি আশা করি, বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সমিতি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।  রাষ্ট্রপতি ২৮তম জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র : বাসস
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:২০

চাঁদপুরে আধুনিক চক্ষু হাসপাতাল সিলগালা
চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় ‘চাঁদপুর আধুনিক চক্ষু হাসপাতাল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মেডিএইড ও মডেল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে আরও দুই প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যানঘাট এলাকার ‘চাঁদপুর আধুনিক চক্ষু হাসপাতাল’ নামে প্রতিষ্ঠানটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নিবন্ধন না থাকায় সিলগালা এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরীতে মেডিএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধনের কাগজপত্র না থাকায় ৫ হাজার টাকা এবং ভোক্তা অধিকার আইনে মডেল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন জানান, প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে শহরের ৩ প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রসিকিউটর হিসেবে ছিলেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সার্বিক সহযোগিতা করেন চাঁদপুর জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩১

‘ডায়াবেটিস রোগীদের নিরাপদে রোজা রাখার উপায় রয়েছে’
আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সহজে এবং নিরাপদে রোজা রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। কিছু নিয়ম মেনে ডায়াবেটিস রোগীরাও সহজে রোজা রাখতে পারবেন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসিইডিবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।  গবেষণার তথ্য তুলে ধরে এসিইডিবি জানায়, বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৮০ জন ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন। কিন্তু যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখেন তারা কিছু জটিলতার সম্মুখীন হন। বিশেষ করে রক্তে সুগারের স্বল্পতা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), রক্তে সুগারের আধিক্য (হাইপারগ্লাইসিমিয়া), ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস এবং পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভুগেন।  অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব ডা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণা দেখা গেছে, রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে যারা রোজা রাখেন তাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়াসহ অন্য জটিলতা রমজানের পূর্বের চেয়েও অনেক কম হয়। রোজা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত। ডায়াবেটিস রোগীদের রমজানের কমপক্ষে দুই থকে তিন মাস আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এসিইডিবির সভাপতি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, রোজায় অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয়। এ অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীরা ইনসুলিন নেন এবং ওষুধ খেয়ে থাকেন। তাই রমজানে তাদের বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সেজন্য খাদ্য, ব্যায়াম ও ওষুধের সমন্বয় করা যেতে পারে। রমজানের আগেই নফল রোজা রেখে অভ্যাস করে নিতে পারেন। এসিইডিবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, কিছু বিষয়ে একটু সচেতন হলেই সমাধান সম্ভব। যেমন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে তিনবারের ওষুধ এক বা দু’বারে নিয়ে আসা যেতে পারে। দিনের ওষুধ রাতে খাওয়ার নিয়ম করে নিতে পারেন। অনুষ্ঠানে আলোচকরা আরও বলেন, নিরাপদে ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা পালনের ব্যাপারে দীর্ঘদিন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ড্রোক্রাইন ডিপার্টমেন্ট সর্বস্তরে জনগণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। রমজানের আগে এই হাসপাতালের এন্ড্রোক্রাইনোলজিস্টরা সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়