• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি
হত্যাচেষ্টার মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে পরীমণি ও জিমিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার সিজেএম আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সাহাদাত হোসেন। ঢাকার সিজেএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির গণমাধ্যমকে বলেন, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পরীমণি ও জিমির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআইয়ের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আজ আমলে নিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালত সমন জারি করেছেন। সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, মদপান করতে রাত সাড়ে বারোটার দিকে বোটক্লাবে যান পরীমণি। ক্লাবের দোতলায় উঠে প্রথমে পরীমণি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি বারের সামনে থাকা টয়লেট ব্যবহার শেষে বারের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং টিভির সামনের টেবিলে বসেন। টেবিলে সাক্ষী অমিও বসেন। সৌজন্যতার খাতিরে অমি তাদেরকে স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার নিজ খরচে পরিবেশন করে আপ্যায়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরীমণি একটি এক লিটারের ব্লু-লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পরীমণি ও তার সঙ্গে থাকা জিম ও বনি নিমিষেই সেই বোতলের অ্যালকোহল পান করে বোতল খালি করে ফেলেন এবং অনুরূপ আরেকটি বোতলের অর্ডার করেন। তারা ওই বোতলের আংশিক মদ পান করেন। আড্ডার একপর্যায়ে তাদের ২/৩ টেবিল পেছনে বোটক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাসির উদ্দিন মাহমুদকে আরও দুইজন ব্যক্তির সঙ্গে বসা দেখতে পান অমি। তখন অমি পরীমণিকে নিয়ে নাসির মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং পুনরায় তাদের টেবিলে এসে বসে মদপানসহ গল্প করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর নাসির মাহমুদ ও তার সঙ্গে থাকা আরও দুইজন যখন বার থেকে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পরীমণি নাসির মাহমুদকে ডেকে বললেন, ‘ভাই আমি আসলাম, আর আপনি এক্ষুনি চলে যাচ্ছেন? আমাদের সঙ্গে আরেকটু বসেন। আসেন কিছুক্ষণ গল্প করি।’ তখন পরীমণির অনুরোধে নাসির মাহমুদ ফিরে এসে পুনরায় তার টেবিলে বসেন। কিছুক্ষণ পর ড্রিংকস শেষে পরীমণি ওয়েটারকে আরও এক লিটারের তিনটি ব্লু লেবেল মদের বোতলসহ দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দেয়ার জন্য অর্ডার করেন। ওয়েটার তখন পরীমণিকে দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দিলেও ব্লু লেবেল মদের বোতল স্টকে না থাকায় পার্সেল দিতে পারেননি। তখন পরীমণি ডিসপ্লেতে থাকা একটি ব্লু লেবেল বোতল পার্সেল করে দিতে বললে ওয়েটার জানান বোতলটি বিক্রির জন্য নয় এবং ক্লাবের মেম্বার ছাড়া পার্সেল দেয়া যাবে না। কিন্তু পরীমণি জোর করে ওই বোতল নিতে চান এবং টেবিলে হট্টগোল করতে থাকেন। পরীমণি উত্তেজিত হয়ে কার্ডহোল্ডার বের করে দুই-তিনটি ব্যাংক কার্ড দেখিয়ে বলেন, ‘আমি কি ফকিরনি? আমার বিল আমি পরিশোধ করব। আমি এটা নেবই।’ তখন পরীমণির সঙ্গে থাকা ফাতেমা বনি বলেন, ‘ওনাদের যদি রুলস থাকে, মেম্বার ছাড়া নেয়া যাবে না, তাহলে তুমি নিও না।’ তখন পরীমণি বনিকে থাপ্পড় মেরে বলে, ‘আমাকে দেখে কি মাতাল মনে হয়?’ পরীমণির সঙ্গে থাকা জিম তাকে শান্ত করতে গেলে তাকেও পরীমণি থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পরীমণি খুবই উত্তেজিত হয়ে টেবিলের উপর থাকা গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ফ্লোরে এদিক ওদিক ছুঁড়তে থাকেন। তখন নাসির মাহমুদ ক্লাবের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরীমণিকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এতে পরীমণি আরো ক্ষেপে গিয়ে একটি অ্যাশট্রে নিয়ে তার দিকে ছুড়ে মারেন। যা তার ডান কানের উপরে মাথায় লাগে। তখন নাসির মাহমুদ ক্লাবে পরীমণিকে সঙ্গে করে আনায় অমির উপর রেগে যান এবং বলেন, ‘এরকম বেয়াদব মহিলা নিয়ে কেন ক্লাবে আসেন, কাল আপনার নামে নোটিশ হবে। এক্ষুনি এদেরকে নিয়ে বেরিয়ে যান।’ এদিকে, ২০২১ সালের ৮ জুন সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে পরীমণি ব্যবসায়ী নাসিরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেছিলেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ তিন আসামির বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৮ মে অভিযোগ গঠন করেন। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৬

আদালতে ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের মামলা
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশ। ব্যক্তিগত জীবনে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। তবে দুই বছর আগে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন তারা। অবশেষে আদালতে গড়িয়েছে ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের মামলা।      ২০২২ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতির মাধ্যমে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা জানান ধানুশ-ঐশ্বরিয়া। ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছিল— ১৮ বছরের একসঙ্গে থাকা। বন্ধু, দম্পতি এবং অভিভাবক হিসেবে। একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে। এই যাত্রা শুধুমাত্র একে অপরকে সঙ্গ দেওয়ার, বোঝার। একে অপরের জন্য নিজেদেরকে ছোট ছোট বিষয়ে পরিবর্তন আনা। কিন্তু আজ এই মুহূর্তে আমরা দুজনে এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে আমাদের একসঙ্গে চলার পথ আলাদা হয়ে গেছে। তাই ঐশ্বরিয়া এবং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দম্পতি হিসেবে আলাদা পথে হাঁটব। স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের চেনার জন্য সময় নেব। দয়া করে আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান দিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত পরিসরে থাকতে দিন। এই মুহূর্তে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে আমাদের। জানা গেছে, ২০০৪ সালে জমকালো আয়োজনে দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বরিয়াকে বিয়ে করেন ধানুশ। তবে ১৮ বছরের মাথাতেই বিচ্ছেদের সুর বেজে ওঠে তাদের সংসারে। বিচ্ছেদের ঘোষণার পর থেকেই আলাদা থাকছিলেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া। পরে অবশ্য পারিবারিক হস্তক্ষেপে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে। সেসময় অনেকেরই ধারণা ছিল— হয়তো ভুল-বোঝাবুঝি, মান-অভিমান মিটিয়ে নিয়ে ফের এক হবেন তারা! তবে তেমনটা ঘটছে না। অবশেষে আইনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চলেছেন তারা। বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণার পর ‘লাল সালাম’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালনায় অভিষেক করেছেন ঐশ্বরিয়া। সিনেমার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তার বাবা রজনীকান্ত। অন্যদিকে সর্বশেষ ‘ক্যাপ্টেন মিলার’ সিনেমায় দেখা গেছে ধানুশকে। এরপর দক্ষিণী সংগীত পরিচালক ইলাইয়ারাজার বায়োপিকে অভিনয় করবেন তিনি। তবে ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার বিবাহবিচ্ছেদের খবরটি জানার পর নেটদুনিয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভক্তরা।   সূত্র : আনন্দবাজার
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৩

তীব্র গরমে আদালতে পরতে হবে না কালো কোট-গাউন
তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের অধস্তন আদালতে মামলার শুনানিকালে আইনজীবী ও বিচারকদের কালো কোট এবং গাউন পরার বাধ্যবাধকতা নেই মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতির নির্দেশে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশিব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সঙ্গে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত হয় আইনজীবী ও বিচারকদের কালো কোট এবং গাউন পরা বাধ্যতামূলক নয়। অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত/ট্রাইব্যুনাল সমূহের বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ এবং বিজ্ঞ আইনজীবীবৃন্দ মামলা শুনানিকালে পরিধেয় পোশাক সংক্রান্ত সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিগত ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর তারিখে জারি করা বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে ওই বছরের ৩০ মার্চ তারিখের বিজ্ঞপ্তিতে পুনর্বহাল করা হলো। এমতাবস্থায় দেশের সকল অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত/ট্রাইব্যুনাল সমূহের বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ এবং বিজ্ঞ আইনজীবীগণ ক্ষেত্রমতে সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি/ সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরিধান করবেন। এক্ষেত্রে কালো কোট এবং গাউন পরিধান করার আবশ্যকতা নেই। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:২৪

রায়ে অসন্তুষ্ট সগিরার পরিবার, যাবেন উচ্চ আদালতে
পারিবারিক দ্বন্দ্বে তিন যুগ আগে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। আর মামলায় অপর তিন আসামিকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সগিরা মোর্শেদের পরিবার। বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- সগিরার ভাশুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন। নিহত সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম মোর্শেদ বলেন, ‘৩৪ বছর পরে যে রায় দিয়েছেন বিচারক, তাতে আমি সন্তুষ্ট। তবে পুরোপুরিভাবে সন্তুষ্ট হতে পারছি না। আসামি মন্টু মন্ডল বাদে অপর দুই আসামির খালাসের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।’ মেয়ে সামিয়া সারওয়াত চৌধুরী বলেন, ‘তিন দশক ধরে ঘটনাটি চাপা দিয়ে রেখেছিল। তারপরও যদি এমন স্বাভাবিক সাধারণ একটা রায় হয়, তাহলে তো বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে। মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস করবে। সেটা তো হতে পারে না। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা অবশ্যই উচ্চ আদালতে আপিল করবো।’ মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যাচ্ছিলেন। বিকেলে সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা ব্যক্তিরা তার হাতের সোনার চুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তিনি দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সগিরা মোর্শেদ মারা যান। ওই ঘটনায় রমনা থানায় মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী। ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ছিনতাই নয়, মূল পরিকল্পনা ছিল সগিরাকে হত্যা। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এ ছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এসব নিয়ে আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। মামলাটিতে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৯

লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা
লাইসেন্সবিহীন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচালনা করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দি ডাচ বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে জেলা শহরের পুরাতন জেল রোডে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম। এসময় তার সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এহসানুল হক শিপন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ডা. সম্বিতা চক্রবর্তী ও ডা. আরিফুল ইসলাম এবং স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ছফিউর রহমান প্রমুখ।  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান, দি ডাচ বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে প্রতিষ্ঠানটিতে লাইসেন্সসহ বৈধতার কোনো কাগজপত্র ছিল না। এছাড়াও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি অনেক অপরিচ্ছন্ন ছিল। তাই ভোক্তা অধিকার আইন এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ৮ ধারা প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হলে ম্যানেজার তা প্রদান করেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৬

ভালোবাসা দিবসে নওগাঁয় আদালতে প্রেমঘটিত ৩৬ মামলার শুনানি
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ ও শিশু আদালত-২ এর বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার ব্যতিক্রমী শুনানির আয়োজন করেছেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি তার আদালতে ৩৬টি মামলার শুনানির জন্য ধার্য করেন। এসব মামলার প্রতিটিই প্রেমঘটিত। রয়েছে অসম প্রেমের মামলা, প্রেমের টানে পলাতক যুগলের ওপর মামলা ইত্যাদি। এদিন আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার বেলা ১১টায় এজলাসে বসে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি শুনানিতে উপস্থিত যুগলদের প্রেমে না জড়িয়ে নিজেদের ধর্মীয় অনুশাসন ও পিতা-মাতার আদেশ মেনে চলা, পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া, আত্মনির্ভরশীল হওয়া এবং শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন বলেন, আজ ভিন্ন মাত্রায় আদালত বসেছে। ট্রাইব্যুনালের অসম প্রেমে জড়ানো ও তা থেকে অভিভাবকদের অপহরণ এবং বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলাগুলো আজ শুনানির জন্য রাখা হয়। বিচারক সংশ্লিষ্টদের পড়াশুনার পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধে ও গুরুজনদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলার উপদেশ দেন। নওগাঁ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, মামলাগুলো ভিন্ন ভিন্ন দিনে শুনানি করলে বিচারক মহোদয় সবাইকে একই উপদেশ দিতে পারতেন না। মামলাগুলো একইদিনে শুনানির উদ্যোগ নিয়ে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৫

কোমরে রশি বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে আদালতে হাজির, ছবি ভাইরাল
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হেয়ে পড়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এ ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। জানা যায়, রোববার কোমরে রশি ও হাতকড়া পরিয়ে হামিম মো. ফাহিমকে আদালতে তোলা হয়। এরপরই সমালোচনা শুরু হয়। মারামারির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া হামিম মো. ফাহিম চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলবির শিক্ষার্থী। তার বাড়ি পেকুয়া চৌমুহনী এলাকায়। পুলিশ বরাতে জানা যায়, চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মারামারি মামলার পরোয়ানায় গত শনিবার রাতে ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার পেকুয়া থানা-পুলিশের একটি দল কোমরে রশি বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে তাকে আদালতে হাজির করে। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে চকরিয়া অ্যাডভোকেটস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, দাগি আসামি ছাড়া কাউকে কোমরে রশি বাঁধা বা ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না। একজন ছাত্রকে কোমরে রশিবাঁধা আইনসম্মত নয়, অমানবিকও বটে। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, নিরাপত্তা বলয়ে আসামিকে থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৮

মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ : এক আসামির আদালতে স্বীকারোক্তি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার এক আসমি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।   বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৮নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম ওই আসামি জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি দেওয়া আসামির নাম মেহরাজ উদ্দিন (৪৮)। সে চরওয়াপদা ইউনিয়নের নুরুল আমিনের ছেলে। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামি মেহরাজ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। পরে মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার ও মেহরাজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, নির্যাতিত শিশু আদালতে ২২ ধারায় ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি প্রদান করে।     মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে গত সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে ২টা থেকে ২টার মধ্যে বসত ঘরের সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মামলার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার (৫০) মো. মেহরাজকে দিয়ে ঘরের সিঁধ কাটিয়ে গরু বেপারী মো. হারুনকে (৪২) নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন। ওই সুযোগে মেহরাজ ওই নারীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পুলিশ ঘটনার পর পরই সিঁধ কাটার কাজে ব্যবহৃত কোদাল, কাঁচি, কালো প্যান্ট ও কানটুপি জব্দ করে।     এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মুন্সীকে প্রধান আসামি, হারুনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগ রাত ৩টার দিকে চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।   এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ধর্ষণ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় কানে থাকা স্বর্ণের কানের দুল ও ঘরে থাকা নগদ টাকা নিয়ে যায় আসামিরা। পরে মেয়ের হাতের বাঁধন খুলে দেয় এবং ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি ধমকি দেয়। মূলত হারুন গৃহবধূর বসতঘরে মালামাল আছে বলে মেহেরাজকে চুরি করতে ইন্ধন জোগায়। মেহরাজ রাজি হলে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে। প্রবেশের পর হারুনের সঙ্গে মুন্সী মেম্বারকে দেখে মেহরাজ অবাক হয় এবং বুঝতে পারে ধর্ষণ করতেই তাকে দিয়ে চুরির নাটক সাজানো হয়েছে।  
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৭

অর্থ আত্মসাৎ মামলা / ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন) মো. আমিনুল ইসলাম। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক। দুদক সূত্র জানায়, ড. ইউনূস ছাড়া অভিযোগপত্রে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম এবং এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম এবং জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসানের নাম রয়েছে। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে কামরুল হাসানের নাম তদন্তের পর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাকি ব্যক্তিদের নাম এজাহারে ছিল। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জন জামিন নেননি। জামিনে আছেন কেবল পারভীন মাহমুদ। ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় আজ বৃহস্পতিবার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আজই নথিপত্র আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হবে। গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ। এর আগে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ-সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠিয়েছিল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।  দীর্ঘ অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলা করে দুদক। সেই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার অনুমোদন পাওয়া গেছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১১

আদালতে সাপ আতঙ্কে হুড়োহুড়ি, বিচারকাজ বন্ধ
আদালতে বিচারকাজ চলাকালে সোফার ভেতর একটি সাপ দেখা যায়। সাপ দেখে ভয় পেয়ে যান আদালতে উপস্থিত আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা। সাপের আতঙ্কে বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিচারিক কার্যক্রম। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহ জামাল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এজলাসে বিচারকাজ চলাকালে আইনজীবীদের বসার সোফার পেছনের ফোমের ভেতরে সাপটি দেখতে পান এক আইনজীবী। এ সময় তিনি চিৎকার দিয়ে উঠলে আদালতকক্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বেঞ্চ সহকারী শাহ জামাল আরও জানান, পরে বিচারক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সাজিয়া আফরোজ সকলকে নিরাপদে থাকতে বলে এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন। আদালতের বিচার কার্যক্রম আজকের মতো মুলতবি করা হয়। ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মোর্শেদ কামাল বলেন, সাপ দেখে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীরা আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু করেন। একপর্যায়ে সোফাটি আদালতের বাইরে এনে সাপটি মেরে ফেলা হয়।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়