• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাথায় গুলি চালিয়ে আনসার সদস্যের আত্মহত্যার অভিযোগ
‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ চিরকুট লিখে নিজ মাথায় গুলি চালিয়ে এক আনসার সদস্য আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।নিজ মাথায় গুলি চালিয়ে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত আনসার সদস্যের নাম আফজাল হোসেন (২৫)। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে কর্তব্যরত ছিলেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে দায়িত্বরত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ মুহাইমিন আল জিহান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার সময় আমি বাসভবনে ছিলাম না। আফজাল বিকেল ৪টার দিকে ডিউটি শুরু করেন। এর আধা ঘণ্টা পর শটগান দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করেন। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পাই। উদ্ধার করে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। শটগান ও একটি গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান ইউএনও। বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, সোমবার বিকেলে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে দায়িত্বরত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানান ওসি। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। তার মাথার বাম পাশে গুলিবিদ্ধ ছিল।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩২

কাবা শরিফে মুসল্লির আত্মহত্যার চেষ্টা
সৌদি আরবের মক্কার মসজিদুল হারামের ওপরের তলা থেকে লাফ দিয়ে এক ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে মক্কার আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর খালিজ টাইমসের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মক্কা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। জানা গেছে, এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে কাবার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা বাহিনী। তবে পবিত্র এ মসজিদে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেনি তারা। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সৌদি আরবের এক বাসিন্দা কাবা চত্বরে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটকে দেন। ২০১৮ সালে পবিত্র কাবা শরীফে এক বাংলাদেশিসহ তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। 
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৬

অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যা বললেন জবি উপাচার্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম জানিয়েছেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনাটি বড় পরিসরে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোববার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আশ্বাস দেন তিনি। ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনাটি বড় পরিধিতে তদন্ত করতে হবে। এরপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। তাই এ ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগবে।’ এদিকে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। কুমিল্লার কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হওয়ার পর তাদের আটক করা হয়। তাদেরকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের রোববার হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ মার্চ রাতে জবির সহকারী ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এরপর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। পরে উপাচার্য এসে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:২১

অবন্তিকার আত্মহত্যার নেপথ্যে উঠে এলো আরও কয়েকজনের নাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিষয়ে মুখ খুলেছেন তার মা তাহমিনা শবনম। জানিয়েছেন, অবন্তিকার এই মৃত্যুর নেপথ্যে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীসহ আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত। একইসঙ্গে মেয়ের এই আত্মহত্যার নেপথ্যে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে নিজেও আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন সন্তানহারা এই মা। অবন্তিকার মৃত্যুর পর কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ের বাসায় শনিবার কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের সামনে অনেক কথা তুলে ধরেন তাহমিনা শবনম। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে ছিল অত্যন্ত উদ্যমী। আমার মেয়ে মেধাবী এটাই কি তার অপরাধ? সে তার সেশনে ফার্স্ট, এটাই কি তার অপরাধ? সে জিডি (জেনারেল ডিউটি) পাইলটে টিকেছে, এটাই কি তার অপরাধ?’ তিনি বলেন, ‘আমি প্রক্টর, চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কোনো বিচার পাইনি। আমি বিচার না পেলে শেষ হয়ে যাব। আমার কিছুই নেই। নিজে শেষ হয়ে গেলে আর কিছুই থাকবে না।’ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অবন্তিকার মা বলেন, ‘মেয়েটা কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার কলতাবাজারে ছিল। এখানে ইউনিভার্সিটির ছেলেগুলা ওই বাসা পর্যন্ত গিয়ে জানাইছে যে ওর নামে জিডি আছে। ওরে ওখান থেকে বের করে দিয়েছে। ওই বাসার মেয়েরা তো জানার কথা না। আমার মেয়ে এসে বলতেছে- মা ওরা তো আমাকে এইভাবে মেন্টাল টর্চার করতেছে। আমি পড়তে পারি না।’  তাহমিনা শবনম বলেন, ‘পরে আমি ওর সঙ্গে ঢাকায় গেলাম। আমি যখন গেলাম মেয়েরা তখন চুপ। আমি বুঝতে দেই নাই মেয়েদেরকে যে ওর (অবন্তিকার) পরীক্ষা চলতেছে। মেয়ের পরীক্ষা যখন শেষ, আমি যেদিন চলে আসি মেয়েরা অবন্তিকাকে বলতেছে- তোমার কি পরীক্ষা শেষ? নাকি পরীক্ষা শুরু হবে? তার মানে তাদেরকে ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্ধন দিয়ে রাখছে তাকে কীভাবে টর্চার করবে।’ তিনি বলেন, ‘রাফি, আম্মান, মাহিয়া, লাকি, রিমি, আঁখি, বন্যা, দ্বীন ইসলাম এ ঘটনার জন্য মূল দায়ী। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে আপনারা ছেলেদেরকে জিজ্ঞেস করেন তারা কেন এমন করছে। সে তো স্টুডেন্ট ভালো। ক্লাসের টপ লিস্টেড মেয়ে। তার সঙ্গে কেন এরকম করছে? বলে যে আপনার মেয়ে একটা মেসেজ দিয়েছে। ওই মেসেজটা কিসের? মেসেজটা কিন্তু আমার কাছে আছে। এই মেসেজে কোনদিন কোনো জিডি হয় না। কোনো কিছুই হয় না। মানে, ও ওর সঙ্গে অ্যাফেয়ার করেছে, এই কথাগুলো। এই কথাগুলো দিয়া তো কখনও জিডি হয় না।’ মা তাহমিনা শবনমের অভিযোগ, এক বছর আগে থেকে অবন্তিকার এক সহপাঠী বিভিন্নভাবে তাকে উৎপীড়ন করত। এ নিয়ে তার মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে নালিশ করে। কিন্তু সহকারী প্রক্টর ঘটনার বিচার করেননি, উল্টো মেয়েকে ডেকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওই ছেলের পক্ষ নেন তিনি। তখন ওই ছেলে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ে। আপত্তিকর মন্তব্য করত, হুমকি দিত। এসব ঘটনার বিচার চেয়ে না পেয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২১:০৫

হাসপাতালে গলায় ব্লেড চালিয়ে কৃষকের আত্মহত্যার চেষ্টা 
হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় গলায় ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মো. জামাল হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। তিনি পেশায় একজন কৃষক। বুধবার (৬ মার্চ) রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে। লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়নের বাইট্টাপাড়া এলাকার বাসিন্দা জামাল হোসেন। স্বজনরা জানায়, জামাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পায়ের ইনফেকশন নিয়ে লংগদু উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনার দিন দুপুরে হাসপাতালে তার স্ত্রী তার কাছ থেকে কাজের প্রয়োজনে দূরে যায়। এ সুযোগে গলায় ব্লেড দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এতে করে তার গলার শ্বাসনালী কেটে যায়।  জামালের স্ত্রী জানান, গত রাতে তিনি চিকিৎসা খরচ চালাতে পারবে না বলে চিন্তা করছিলেন। আমি চিন্তা করতে বারণ করলেও তিনি দুপুরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।  লংগদু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেজবাহ উদ্দীন জানান, তিনি কি কারণে এমন করেছেন সেটা কারোর জানা নেই। তবে পরিবার বলছে অর্থনৈতিক কারণে এমনটা হতে পারে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।  রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মো. শওকত আকবর জানান, আহত জামালের অবস্থা তেমন ভালো নয়, তাই তাকে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়েছে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৯

মেয়েকে জবাই করে বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মেয়েকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, খুন হওয়া মেয়েটি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার শিবপুর কানিপাড়া গ্রামের বুলু মন্ডলের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার বৃষ্টি (১৪)।  পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুলু মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধা জেলা থেকে স্ত্রী সন্তান নিয়ে তার শশুর (চাঁন মিয়ার) বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটিতে বসবাস করছেন। বিয়ের পর থেকেই বুলু মণ্ডলের তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া লেগেই থাকতো। বুধবার বিকেলেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার বাবাকে ঝগড়া করতে নিষেধ করলে একপর্যায়ে মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারের ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। নিজের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে মেয়ে বৃষ্টির গলায় কোপ দেন বুলু মণ্ডল। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করেছে। মেয়েকে জবাইয়ের পর বুলু মণ্ডল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নিজে নিজের শরীরে আঘাত করলে মাটিতে লুটে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিন হাসপাতালে নিয়ে যান।  কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৮

প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রী উধাও, ছেলেসহ আগুনে পুড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর
মানিকগঞ্জে স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে চলে যাওয়ায় সন্তানসহ গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার করেছেন মহিন উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মহিনের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩৫) সৌদি আরব থাকতেন। সেখান থেকে দেশে ফেরার পর প্রেমিকের উধাও হন তিনি। এ ক্ষোভ থেকে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ তুহিন ওই দম্পতির একমাত্র সন্তান। সে ভাড়ারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ঘটনার পর অগ্নিদগ্ধ তুহিনকে (৯) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আর অগ্নিদগ্ধ মহিন উদ্দিন মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ পহারায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। মহিন উদ্দিদের প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর আগে মাহিন-শিউলীর বিয়ে হয়। বিয়ের ২ বছর পর তুহিনের জন্ম হয়। তবে মহিন মাদকাসক্ত হওয়ায় তাদের সংসারে অভাব ছিল। সংসারের সচ্ছলতা ফেরাতে প্রায় দেড় বছর আগে কাজের সন্ধানে সৌদি আরব যান শিউলি। সেখানে ময়মনসিংহ জেলার রাসেল মিয়া নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে শিউলির প্রেমের সম্পর্ক হয়। ফলে গ্রামের বাড়িতে টাকা-পয়সা পাঠানো বন্ধ করে দেন শিউলি। গত ডিসেম্বরে দেশে আসেন তিনি। এরপর গত ৮ জানুয়ারি স্বামী-সন্তানকে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করেন শিউলি। এ ঘটনা সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভাড়ারিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে শিশুসন্তান তুহিন ও নিজের শরীরের পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন মহিন। এরপর প্রতিবেশীরা এগিয়ে তাদের শরীরের আগুন নেভান। তবে ততক্ষণে তুহিনের শরীরের বিভিন্ন স্থান আগুনে ঝলসে যায়। এতে মহিনের শরীর ও ঝলসে যায়। পরে প্রতিবেশীরা শিশুটিকে হরিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে দগ্ধ মহিনকে আটক করে জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।  এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহিন উদ্দিন বলেন, শিউলীর সঙ্গে অন্য ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। আমার ৯ বছরের সন্তানকে রেখে সে আরেক ব্যক্তিকে বিয়ে করে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। এ কারণ আমি ক্ষোভ থেকে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। আমি আমার সন্তানকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারতে চাইনি। আমার পেছনে আমার ছেলে দাঁড়িয়ে ছিল, সেটা আমি খেয়াল করিনি। আমার শরীরে পেট্রোল ঢালার সময় সন্তানের শরীরেও আগুন লেগে যায়। মানিকগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দাম্পত্য কলহের জেরে শিশুসন্তান ও নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তিনি আরও বলেন, ওই ব্যক্তিকে সদর হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সে কিছুটা সুস্থ হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর অগ্নিদগ্ধ শিশু তুহিন হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৮

‘টয়লেট ক্লিনার’ খাইয়ে সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা
পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজের শিশুকন্যাকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ খাইয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক মা। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ৯ মাস বয়সি নিহত আফিয়া বেগম ওই গ্রামের গাছকাটা শ্রমিক মামুন তালুকদার ও আঁখি বেগম দম্পতির কন্যা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আঁখি বেগমকে (১৮) গোপালগঞ্জে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের ধারণা, আর্থিক অনটন ও পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। তবে ঘটনাটির তদন্ত চলছে। অভিযোগ দিলে অথবা তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটির মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি আমিনুর রহমান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন জানান, হাসাপাতালে আনার আগেই শিশুটি মারা যায়। মায়ের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয়। তাই তাকে গোপালগঞ্জ পাঠানো হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৪

আত্মহত্যার চেষ্টা কিশোরীর, দরজা ভেঙে উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর তুরাগে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী এক কিশোরীকে (১৬) উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তুরাগের দিয়াবাড়ির চালা মার্কেট এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আলিনগর। ভাড়া বাসায় থাকত সে।  উত্তরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আলম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ওই কিশোরী আত্মহত্যা করার জন্য গলায় রশি লাগাইছিল। পরে আমরা খবর পেয়ে দরজা ভেঙে উদ্ধার করেছি। তখন সে কিছুটা অসুস্থ ছিল। যার কারণে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে উত্তরার কুয়েত–বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে কী কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে, তা জানা যায়নি।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৯

স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার চেষ্টা
নীলফামারীতে স্ত্রী ও দুই মেয়ে সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আশিকুল মোল্লা বাবু নামে এক ব্যবসায়ী।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার দাড়োয়ানী বন্দরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আশিকুল মোল্লা বাবুর স্ত্রী তহুরা বেগম (৩০), তার বড় মেয়ে তানিয়া আক্তার (১১) ও ছোট মেয়ে জারিন আক্তার (৬)। আশিকুল মোল্লা বাবুর ছোট ভাই জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, সকালে গলাকাটা অবস্থায় হাঁটতে দেখে সবাই তাকে (আশিকুল মোল্লা বাবু) উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ভাই ব্যবসায় আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়ে মানসিকভাবে একটু ভেঙে পড়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে এ কারণে এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন। নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে কাজ করছি। ওই ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়