• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, একদিন না একদিন এই পুরস্কার পাব’
সংগীত জগতে চার দশকের পথ চলা জনপ্রিয় গায়ক শুভ্র দেবের। আশির দশকে গানের দুনিয়ায় পদার্পণ হলেও নব্বই দশকে এসে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। একে একে উপহার দেন বেশকিছু গান। যা আজও শ্রোতা-দর্শকদের মনে দাগ কেটে আছে। এই গায়কের জনপ্রিয় গানগুলো এখনও গুনগুন করে গায় শ্রোতারা। এবার একুশে পদক পেলেন শুভ্র দেব।  রাষ্ট্রীয় এই সম্মাননা প্রাপ্তির পর দেশের একটি গণমাধ্যমে নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন শুভ্র দেব। এসময় গায়ক জানান, তার বিশ্বাস ছিল, একদিন না একদিন পুরস্কারটি পাবেনই।  শুভ্র দেব বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, একদিন না একদিন এই পুরস্কার পাব। আমি সব সময় বিশ্বাস করতাম বাংলা গানের জন্য অনেক আগে থেকেই আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করছি। ক্রিকেটের থিম সং করেছি, বিবিসি এশিয়া টুডেতেও আমার গান প্রচার হয়েছে। পুরস্কার পেয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রথম যখন আমি শুনেছি, তখন আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। বাবা-মা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। স্ত্রী পরিবারসহ সবাই খুশি। এই পুরস্কার প্রাপ্তি আমার জন্য বিশাল পাওয়া। কেননা আমি নিরলসভাবে সংগীতে কাজ করে গেছি। শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি বাংলা গান যেন বিশ্ব দরবারের ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারে। এদিকে পুরস্কারটি পাওয়ার পর কেউ কেউ মনে করছেন— অনেক আগেই একুশে পদক পেলেন শুভ্র দেব। এ প্রসঙ্গে গায়ক বলেন, আমি মনে করি, আরও আগেই এই পুরস্কার পেতে পারতাম। কারণ আমি তো শুধু গান গাইনি। ২০০০ সালে মিনি বিশ্বকাপ থিম সং করেছি। সর্বোচ্চ থিম সং আমার গাওয়া। আর্চারি, ফুটবল, ক্রিকেটসহ ছয়-সাতটি থিম সং আছে। এগুলো তো ইন্টারন্যাশনাল কাজ। বিবিসি এশিয়া টিভিতে প্রথম আমার গান দেখায়।  শুভ্র দেব আরও বলেন, ১৯৯৮ সালে প্রথম বাংলা মিউজিক ভিডিও ‘চম্পাবতী’ তৈরি করি। সেটি টেলিভিশনে প্রচার হয়। যারা এমনটা বলছে, তারা নিউ জেনারেশন। আমার কাজ সম্পর্কে জানে না। শুধু বয়স দিয়ে নয়, কনট্রিবিউশন দেখেও একুশে পদক দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। মিউজিক ওয়ার্ল্ডে কী কনট্রিবিউশন, গানের জগতে কী করলাম। আমি ভারতের অন্যতম মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছি। বাংলা গানের অগ্রগতির ক্ষেত্রে একজন গায়কের অবদানটা কী এসব দেখতে হয়।   প্রসঙ্গত, শুভ্র দেবের উল্লেখযোগ্য গানগুলো হচ্ছে— ‘যে বাঁশি ভেঙে গেছে’, ‘আমি হ্যামিলনের সেই বাঁশিওয়ালা’, ‘এ মন আমার পাথর তো নয়’, ‘কোনো এক সন্ধ্যায়’ কিংবা ‘মরণ যদি হয় তোমার প্রেমের আঘাতে’।   
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়