• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাঁদপুরে লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ যাত্রীদের 
চাঁদপুরের মাঝিরচরে ভোলা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন অনেক যাত্রী।  শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে চাঁদপুর নীলকমল চরের কাছাকাছি এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধারে কর্ণফুলী-১৪ লঞ্চ ছুটে যায়। লঞ্চ ম্যানেজার মো. জসিম জানান, লঞ্চটি সকাল সাড়ে ৮টায় ৫শত যাত্রী নিয়ে ভোলার ইলিশাঘাট ছাড়ে। চাঁদপুর নীলকমল চরের কাছাকাছি লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীদের অনেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে চরে যাত্রীদের নামানো হয়। জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও যাত্রী উদ্ধারে লঞ্চ স্টাফদের পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ কাজ শুরু করে। ওই রুটের অপর দুটি লঞ্চ এমভি সম্পদ ও এম়ভি কর্ণফুলী-১৪ যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করে। কোন প্রাণহানি ঘটেনি। তবে তাড়াহুড়োতে নামতে গিয়ে কিছু যাত্রী আহত হন।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬

রুমা ও বিলাইছড়ি সীমান্তে তুমুল গোলাগুলি, আতঙ্কে এলাকাবাসী
বান্দরবানের রুমা উপজেলার রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।    শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে গোলাগুলির শব্দ পান স্থানীয়রা। তবে কার সঙ্গে কার গোলাগুলি হয়েছে তারা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না। রুমা বাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, গত ২ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার পর থেকে রুমাবাসী খুব ভয়ে আতংকে জীবনযাপন করছে। সে সময় থেকে বাজারের সব দোকানপাট সন্ধ্যা ৬টা বা ৭টার দিকে বন্ধ করে দেই। তবে আজকের গোলাগুলির ঘটনায় আমরাসহ এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে সব দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছি।          এদিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। আমাকে স্থানীয়রা বিকেলে জানিয়েছেন, রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়ন এবং রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় বিকেল থেকে গোলাগুলি হচ্ছে। এলাকাবাসীর ধারণা, কেএনএফের (সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি হচ্ছে।   রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি। সম্প্রতি রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী, যা এখনও চলমান। অভিযানে এ পর্যন্ত কেএনএফ সদস্য ও তাদের সহযোগীসহ ৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।   
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৩

কেএনএফ আতঙ্কে উৎসব মাটি, থানচি ছাড়ছে বহু মানুষ
দেশের তিন পার্বত্য জেলায় আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি ব্রাঞ্চে নজিরবিহীন ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি। এরপর বৃহস্পতিবার থানচি বাজারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি চলে তাদের। একইদিন গভীর রাতে আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা হয় বান্দরবানের আলীকদমে; পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে।   এমন পরিস্থিতি ঈদ ও বৈসাবির আনন্দ মাটি হয়ে গেছে থানচিবাসীর। কেএনএফের হামলার ভয়ে এলাকা ছাড়ছেন বহু মানুষ। গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) একদিনেই থানচি বাজার এলাকা থেকে বান্দরবান সদরে চলে গেছে দেড় শতাধিক পরিবার। যারা এখনও আছেন, তাদেরও দিন কাটছে চরম আতঙ্কে। কেউ থাকতে চাইছেন না থানচি বাজার এলাকায়।  বাসিন্দারা বলছেন, সামনেই ঈদ ও পাহাড়িদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বৈসাবি। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতা তাদের সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। উৎসবের আনন্দ হারিয়ে থানচি, রুমা ও আলীকদমের বাসিন্দাদের মনে এখন ভর করেছে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানচি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট-বড় ২৪০টি দোকানের মধ্যে সব মিলিয়ে মোটে ১৫টি দোকান খোলা। তালা ঝুলছে অন্য সব দোকানে।  ক্রেতাশূন্য পুরো বাজার; এমনকি পাহাড়ি মানুষের উপস্থিতিও চোখে পড়েনি। চারদিকে যেন চাপা এক আতঙ্ক বিরাজ করছিল। বাজার এলাকার মোড়ে মোড়ে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা। ভাই ভাই মুদি দোকানের মালিক মো. সাইদুল বলেন, ‘আগে দিনে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি করতাম। আর গত তিন দিনে ব্যবসা হয়েছে মাত্র ৫০০ টাকার। শুক্রবার মাত্র ৬০ টাকা আয় হয়েছে। বাজারে এখন ভয়ে কেউ আসছে না।’ থানচি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কেএনএফের অস্ত্রের মহড়া, ব্যাংক ডাকাতি, থানায় আক্রমণ আর গোলাগুলির ঘটনায় বাজার ও আশপাশের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। রাত নামলেই ভয় বেড়ে যাচ্ছে। দিনে পুলিশ ও বিজিবির কড়া পাহারা থাকায় রাতের অন্ধকারে ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে সন্ত্রাসীরা। জীবন বাঁচাতে পাহাড়ি-বাঙালি সাবাই এখন থানচি ছাড়তে চাইছে।’ এদিকে বান্দরবানের রুমা থানার এক থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে কেএনএফের অন্তত চারটি আস্তানা রয়েছে বলে জানা গেছে। আস্তানাগুলোর অবস্থান বেথেলপাড়া, কেসপাইপাড়া, ইডেনপাড়া ও মুয়ালপিপাড়ায়। তার মধ্যে কেএনএফের প্রতিষ্ঠাতা নাথান বমের বাড়ি ইডেনপাড়ায়। এই চার পাড়াতেই বম জনগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। রুমা থেকে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকেও রুমা বাজারের পাশে অবস্থিত বেথেলপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একইভাবে থানচি থানার এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত তংকংপাড়া। সেখান থেকেই কেএনএফ সন্ত্রাসীরা দুটি চাঁদের গাড়ি করে গিয়ে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে। আবার ওই গাড়িতেই তারা তংকংপাড়ায় ফিরে যায়। তংকংপাড়া ছাড়াও পাশের বোডিংপাড়া, কাইন্দংপাড়া, শেরকরপাড়ায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা কয়েকটি অংশে বিভক্ত হয়ে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।  নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বলছে, রুমা ও থানচিতে ডাকাতি এবং অস্ত্র লুট করার পর গভীর জঙ্গলে না গিয়ে তাদের ঘাঁটি বমপাড়ায় অবস্থান নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অতীতে আরেক সশস্ত্র সংগঠন জেএসএসকে দেখা গেছে, পুলিশ-সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর পর গভীর জঙ্গলে চলে যেত তারা। কিন্তু তা না করে নিজেদের ঘাঁটিতেই অবস্থান নিচ্ছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। সূত্রমতে, ড্রোনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাতে দেখা গেছে, এখনও থানচি থানার এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যেই আত্মগোপন করে আছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। সংগঠিতভাবেই অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে তারা। কেএনএফের এ ধরনের তৎপরতার কারণে যেকোনো সময় আবার কোথাও তারা হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  পুলিশ অবশ্য বলছে, কেএনএফকে দমনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানও জোরেশোরে চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানচি থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘থানচিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একজন সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত আরও ১০০ পুলিশ সদস্য থানা পুলিশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের জবাব দিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানও জোরদার করা হয়েছে।’ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, ‘রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও আলীকদমে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানও জোরেশোরে চলছে। ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র ও গুলি লুটের ঘটনায় ৬টি মামলা হয়েছে। থানায় আক্রমণের ঘটনায় পৃথক মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৪

থমথমে থানচি, আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন অনেকেই
বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে থানচি বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাট। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকে।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানচি এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও পুলিশের সতর্ক পাহারা দেখা গেছে। বাজার এলাকা থেকে চান্দের গাড়িতে স্থানীয়দের এলাকা ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। তবে পুলিশ বলছে, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। সরেজমিনে থানচি এলাকায় বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার থানচি পাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করা হয়েছে পুলিশ পাহারায়। থানা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের এই মসজিদে নামাজ শুরুর আগেই অস্ত্র হাতে অবস্থান নেয় পুলিশ। সকাল থেকে ট্রাকে করে নারী-পুরুষদের এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে। এ সময় তাদের সঙ্গে খাবার ও অতিরিক্ত কাপড় দেখা গেছে। থানচি সদর উপজেলার বাজারের বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বন্ধ। যারা খুলেছেন, তারাও আছেন আতঙ্কে। থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, গতকালের হামলার পর সন্ত্রাসীরা থানার এক থেকে দেড় কিমি এলাকার মধ্যে অবস্থান করছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। আমাদের ধারণা, পুলিশের ওপর হামলা করে তারা নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছে ও অস্ত্র লুটের পরিকল্পনা করছে। আগামীকাল রাতে দুটি জায়গা থেকে তাদের দুটি দল তইক্ষণ পাড়া ও শাহজাহান পাড়া থেকে হামলা চালিয়েছে। থানার জন্য বাড়তি ফোর্স আনা হয়েছে এবং আরও ফোর্স আনা হচ্ছে। সবাই অস্ত্র নিয়ে থানায় চারপাশে সতর্ক অবস্থানে আছে। প্রসঙ্গত, বান্দরবানের দুই উপজেলায় গত মঙ্গলবার রাতে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। পরে গভীর রাতে আলীকদম উপজেলায় পুলিশ ও সেনাদের একটি যৌথ তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তবে গতকাল কারা গুলি চালিয়েছে, এ বিষয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। যদিও এর আগে মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ এবং পুলিশ ও আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুটের ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে বলা হয়েছিল। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র‍্যাব। শুক্রবার সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৯

সাপ আতঙ্কে পুলিশ!
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সের দুটি ভবনে সাপ আতঙ্কে রাতভর হলুস্থুল কাণ্ড ঘটেছে। এদিকে, বন বিভাগের উদ্ধারকারী দল সারারাত চেষ্টা করেও সাপ উদ্ধার করতে পারেনি। শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে পুলিশ লাইন্সের অভ্যন্তরে গ্যারেজে একটি গোখরা সাপ দেখা দিলে এমন হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে। জানা গেছে, রাতে চিড়িয়াখানার বিপরীতে পদ্মার পাড়ে অবস্থিত পুলিশ লাইন্সের অভ্যন্তরে গ্যারেজে একটি গোখরা সাপ দেখা দিলে এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর জেলার পবায় অবস্থিত সাপ উদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণকারী একটি দলকে খবর দেওয়া হয়। দলটি রাত ১১টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা রাতভর চেষ্টা করে সাপটি উদ্ধার করেতে পারেনি। দলের প্রধান বিশেষজ্ঞ ও গবেষক বোরহান বিশ্বাস রুমন জানান, পুলিশ লাইন্সের ভেতরের দুটি ভবনের মাঝখানে ৪ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি লম্বা স্থানে সাপটি ছিল। গ্রীষ্মের শুরুতে বিষধর সাপ গোখরার প্রজনন মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। সেই স্থানটি প্রজননের জন্য উৎকৃষ্ট, ফলে সেখানে একাধিক সাপের অস্তিত্ব থাকতে পারে। তবে সাপের দেখা না মেলায় দলটি তাদের উদ্ধার অভিযান শুরু না করেই ফিরে যায়। তবে ছবি দেখে নিশ্চিত হয়েছি সেটি একটি খৈয়া গোখরা সাপ। অন্যদিকে, আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কথা না বললেও বিষয়টি নিয়ে বেশ উৎকন্ঠায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা। 
২৫ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৬

টেকনাফ সীমান্তে ফের মর্টারশেলের বিকট শব্দ, আতঙ্কে স্থানীয়রা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষে আবারও কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। রোববার (২৪ মার্চ) রাত ১০টার পর থেকে থেমে থেমে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের নাফ নদীর সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। স্থানীয়রা জানান, সবশেষ তারা গত ১৮ মার্চ মর্টারশেলের শব্দ শুনেছিলেন। কয়েক দিন গোলাগুলির শব্দ বন্ধ থাকার পর রোববার রাত থেকে হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালী, নয়া বাজার, মিনা বাজার, কানজর পাড়া, জিম্মখালী, উনচিপ্রাং, লম্বাবিল সীমান্তের মিয়ানমারের ভারী গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হোয়াইক্যং সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক বলেন, রোববার রাত থেকে নাফ নদের ওপার থেকে ভারী গোলার শব্দ ভেসে আসছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, সীমান্তে আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। অন্যদিনের তুলনায় আজ শব্দ অনেক বেশি।  মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কয়েকমাস ধরে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির তুমুল সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষের কারণে কেউ যেন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকানার পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১১:০১

ফের তমব্রু সীমান্তে গুলির শব্দ, আতঙ্কে স্থানীয়রা
তমব্রু সীমান্তে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।  সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে তমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকা থেকে গোলাগুলির এ শব্দ শোনা যাচ্ছে।  স্থানীয়রা বলছেন, কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধীনে তমব্রু বিজিবি ক্যাম্প এলাকার সীমান্ত পিলার ৩৪-এর বিপরীত তমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। গুলির শব্দে ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু এলাকাসহ সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের মধ্য ভয়ভীতি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।  এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, ভয়ে বাইরে কম বের হচ্ছেন। জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাইরে যাচ্ছেন না।  গুলির ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  উল্লেখ্য, শনিবার সকালেও তমব্রু লেফট ক্যাম্প থেকে আরাকান আর্মির ছোড়া ৪ রাউন্ড মাঝারি অস্ত্রের গুলির শব্দ শোনা গেছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২১

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে আবার গোলাগুলি, আতঙ্কে স্থানীয়রা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই সীমান্তসংলগ্ন বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। রোববার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢেকুবনিয়া ও রাইট ক্যাম্প এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাত চলছে। বিভিন্ন সময় সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুমের লোকালয়ে বিস্ফোরিত হয়ে বাংলাদেশিসহ একাধিক নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি মর্টারশেল ও গোলা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল স্থানীয়দের। পরে কয়েকদিন গোলাগুলি বন্ধ থাকায় স্বস্তি ফিরেছিল সীমান্তবাসীর মনে। তবে রোববার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফের গোলাগুলির শব্দে কেঁপে ওঠে ঘুমধুমের তমব্রু এলাকা। ফলে স্থানীয়দের মনে ফের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ গণমাধ্যমকে জানান, সকালে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৮

কুড়িগ্রামে আগুন আতঙ্কে গ্রামবাসী 
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার একটি গ্রামে হঠাৎ করে বেড়েছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। গেল দেড় মাসে গ্রামটিতে ১০-১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আগুন আতঙ্কে রাত পার করছে গ্রামটির মানুষ। ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর দাবি গভীর রাতে একটি মোটরসাইকেলের শব্দ শোনার পরেই ঘটছে আগুন লাগার ঘটনা।  আগুন লাগার আগে মোটরসাইকেল যাওয়ার শব্দ ছাড়া আর কিছুই মিলছে না আলামত হিসেবে। এমন আগুন লাগার ঘটনায় রাতে গ্রামের লোকজন পথহারা দিলেও মিলছে না সুরাহা। ফায়ার সার্ভিস কয়েক-দফা আগুন নিভালেও আগুন লাগার উৎস খুঁজে পাচ্ছে না। গ্রামের কেউ কেউ জিন-ভূতের কারবার বলে গালগল্প ছড়ালেও প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের দাবি গ্রামবাসীর।  এসব আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটছে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাঘডাঙ্গা গ্রামে। সর্বশেষ ১২ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে আগুন লাগে আব্দুর রহিমের বাড়ির রান্নাঘরের চালে। এর আগে ৫ ও ৭ ফেব্রুয়ারি একই ঘরের চালে আগুন লাগে। রহিম মিয়ার দাবি হঠাৎ গভীর রাতে মোটরসাইকেল যাওয়ার শব্দ পাওয়া যায় তার পরেই এরকম আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তার রান্না ঘরে এক সপ্তাহের মধ্যে ৩ বার আগুন লাগে। একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক। গেল ১০ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে তার বাড়িতে খড়ের গাদায় আগুন লেগে পুড়ে যায়। গ্রামবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।   এছাড়া গতমাস জুড়ে একই গ্রামের ইউসুফ আলী, ফজলুল হক, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ আলী, মজিদ মিয়াসহ দেড় মাসে প্রায় ১০-১২টি খড়ের গাদায় আগুন লাগে। ফলে আগুন আতঙ্কে রাত-দিন পাড় করতে হচ্ছে গ্রামের প্রতিটি বাড়ির মানুষকে। কে বা কারা আগুন দিচ্ছে রাত জেগে পাহারা দিয়েও তাদের ধরতে পারছেন গ্রামবাসী। রহস্য উৎঘাটন হচ্ছে না মোটরসাইকেল যাওয়া শব্দের। গ্রামবাসীর অনেকে ধরেই নিয়েছে এগুলো জ্বীন-ভূতের কাজ। গ্রামের সচেতন মানুষের দাবি গ্রামের শান্তি ও সৌহার্দ্য সম্পর্ক নষ্ট করতে এমন আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে এদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই প্রতিবেশী এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও আগুন লাগার উৎস থেকে যাচ্ছে অন্তরালে। রহস্য ঘেরা এসব আগুনের ঘটনা ঠেকাতে রাত জেগে গ্রামের মানুষ পাহারা দিলেও প্রতিকার মিলছে না। ফলে আগুন আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রামের মানুষের।  আব্দুর রহিম বলেন, প্রায় দেড় মাসে আমাদের এখানে ১০-১২টি বাড়ি আঙ্গিনায় খড়ের গাদায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোনো লাভ হয়নি। আমরা এখন গ্রামের প্রতিটি বাড়ির লোকজন রাত জেগে পাহারা দিয়েও কাউকে ধরতে পারছি না। গহুরন বেগম বলেন, বাড়ির আঙ্গিনায় খড়ের গাদায় রাত ৩-৪টার দিকে আগুন লাগে। বাড়ির লোকজন, গ্রামবাসী এবং ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভেয়েছে। এখন আমরা পরিবার নিয়ে প্রতি রাত দুশ্চিন্তা আর ভয়ে কাটাচ্ছি।  নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রামের কোন পরিবারের সাথে কারও কোনো বিবাদ নেই। গভীর রাতে একটি মোটরসাইকেলের শব্দ পাওয়া যায়। এরপর কিছুক্ষণ পরেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটতেছে। গ্রামের প্রতিটি মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।  মজিদ মিয়া বলেন, গ্রামের শান্তি ও সৌহার্দ্য সম্পর্ক নষ্ট করতে কে বা কারা আতঙ্ক ছড়ানো উদ্দেশ্যে এমন ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।  নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিলি ডিফেন্স স্টেশনের অফিসার ইমন মিয়া বলেন, বেশির ভাগ আগুন লাগার ঘটনায় আগুনের উৎস পাওয়া গেলেও গভীর রাতে খড়ের গাদায় আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। জানুয়ারি হতে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত উপজেলায় ৩৫টি অগ্নিসংযোগের ঘটনার মধ্যে ২৪টি বাড়ির আঙ্গিনায় থাকা খড়ের গাদায় লেগেছে।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৯

আদালতে সাপ আতঙ্কে হুড়োহুড়ি, বিচারকাজ বন্ধ
আদালতে বিচারকাজ চলাকালে সোফার ভেতর একটি সাপ দেখা যায়। সাপ দেখে ভয় পেয়ে যান আদালতে উপস্থিত আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা। সাপের আতঙ্কে বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিচারিক কার্যক্রম। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহ জামাল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এজলাসে বিচারকাজ চলাকালে আইনজীবীদের বসার সোফার পেছনের ফোমের ভেতরে সাপটি দেখতে পান এক আইনজীবী। এ সময় তিনি চিৎকার দিয়ে উঠলে আদালতকক্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বেঞ্চ সহকারী শাহ জামাল আরও জানান, পরে বিচারক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সাজিয়া আফরোজ সকলকে নিরাপদে থাকতে বলে এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন। আদালতের বিচার কার্যক্রম আজকের মতো মুলতবি করা হয়। ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মোর্শেদ কামাল বলেন, সাপ দেখে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীরা আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু করেন। একপর্যায়ে সোফাটি আদালতের বাইরে এনে সাপটি মেরে ফেলা হয়।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়