• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তামিমের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার যোগ্যতা আছে কি কোচদের?
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই মুহূর্তে মেরুর একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বিসিবি এবং অপর প্রান্তে তামিম ইকবাল খান। দু’পক্ষ যেন কোনোভাবেই এক হতে পারছে না। জাতীয় দলে ফিরতে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়ে রেখেছেন তামিম। অন্যদিকে তামিমকে ফেরাতে সবকিছু পরিবর্তন করবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত বছর আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তামিম। তবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরেন দেশসেরা এই ওপেনার। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তিনি। এরপর ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন তামিম; যা নিয়ে ব্যাপক সামালোচনার শিকার হতে হয় বিসিবিকে। এর মধ্যেই চাপা পড়ে যায় তামিমের হঠাৎ করে অবসর নেওয়ার রহস্য। বিষয়টি এখনও পরিষ্কার করেনি কোনো পক্ষই। বিশ্বকাপের দল থেকে তামিমের বাদ পড়ার মূল কারণ, আফগানিস্তান ম্যাচে এই ওপেনারকে নিচের দিকে ব্যাট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়; যা কোনোভাবেই মানতে পারেননি তিনি। মূলত আফগান পেসার ফারুকীর বলে শুরুতেই উইকেট না দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তামিমকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।   সবশেষ আফগানিস্তান ম্যাচগুলোতে ফারুকীর বলে দ্রুত উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তামিম। অন্যদিকে সবশেষ এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত ভাবে ফারুকীদের সামাল দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মিরাজকে দিয়েই শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টাইগার ম্যানেজমেন্ট। তবে এই সিদ্ধান্ত তামিমকে জানানো হলেও বিশ্বকাপ থেকেই সরে দাঁড়ান তিনি। তাই তামিমের এমন অপেশাদার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। অন্যদিকে ১৭ বছর ধরে ওপেন করা একজন ব্যাটারকে নিচে ব্যাট করার প্রস্তাব দেওয়াটা কতটা যুক্তিসম্মত তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। তবে একজন ক্রিকেটার যখন বার বার ব্যর্থ হচ্ছে, সেখানে দলের স্বার্থে তাকে নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনা করতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ এবং অধিনায়ক। এর আগে ২০২১ সালে তৎকালীন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তামিম ইকবালের টি-টোয়েন্টির স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার পরই বেঁকে বসেন এই বাঁহাতি ওপেনার। বার বার আলোচনা করেও তামিমকে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরাতে পারেননি বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। এরপর ২০২২ সালে ব্যাটে রান পাওয়ার কারণে তামিমকে চারে ব্যাট করার পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডেন্স। তবে এই অজি কোচের ভাবনাকে স্টুপিড বলে মন্তব্য করেছিলেন তামিম। ফলে প্রশ্ন ওঠে কোনো ক্রিকেটার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তাকে নিয়ে কি কোনো পরিকল্পনা বা মন্তব্য করতে পারবে না টিম ম্যানেজমেন্ট বা কোচ। প্রশ্ন ওঠে কোচদের পরামর্শ গুলোকে ইতিবাচকভাবে নেওয়ার ইচ্ছাশক্তি কতটুকু রয়েছে ক্রিকেটারদের মধ্যে। তাদের পরামর্শ দাতা হিসেবেই তো কোটি কোটি টাকা খরচ করে কোচ নিয়োগ দেয় বিসিবি। সবকিছু পিছনে ফেলে তামিম ইকবালকে দলে ফেরাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে শর্ত আর নানা জটিলতায় সেই সম্ভবনাও দিন দিন কমে আসছে। এদিকে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই পরিকল্পনা সাজাতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই দলের প্রয়োজনে তামিমের দলে ফেরার সুষ্ঠ সমাধান দরকার খুব তাড়াতাড়ি। অন্যদিকে এতো নাটকীয়তার পর দলে ফেরাটাও অনেক চাপের হবে তামিমের জন্য। দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকার পর ব্যাট হাতে কতটা অবদান রাখতে পারবে সেটাও চিন্তার কারণ হতে পারে এই বাঁহাতি ওপেনারের। ২০২৩ সালে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার আগে ১১ ইনিংসে মাত্র একটিতে ফিফটি তুলতে পারেন দেশসেরা এই ওপেনার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ৮২ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে বিপিএল দিয়ে দুর্দান্তভাবে কাম ব্যাক করেন তিনি। ডিপিএলেও ব্যাট হাতে রান পাচ্ছেন তিনি। তাই বলা যায় বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার পর নিজেকে ভালোভাবেই প্রস্তুত করেছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২

‘বাউন্ডুলে মানুষের সন্তানের খবর নেওয়ার দরকার আছে নাকি’
সিনেমা করতে গিয়ে প্রেম এরপর হুট করেই বিয়ে করে বসেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমণি ও চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান শাহীম মুহম্মদ পূর্ণ। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর পরীমণির কাছেই বেড়ে উঠছে পূর্ণ। মা হিসেবে ছেলের প্রতি সব দায়িত্বই পালন করছেন পরী।  অন্যদিকে ছেলের পাশে দেখা যায় না বাবা শরিফুল রাজকে। পরীর অভিযোগ, সন্তানের কোনো খোঁজ নেন না এই নায়ক। এমনকি ঈদের দিনেও ছেলেকে দেখতে যাননি রাজ। গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন এই অভিনেতা নিজেই।  ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে রাজের তিনটি সিনেমা। ছবি তিনটি হলো ‘কাজলরেখা’, ‘ওমর’ ও ‘দেয়ালের দেশ’। সিনেমার মুক্তিকে কেন্দ্র করেই গণমাধ্যমে কথা বলেছেন রাজ। সেখানে জানিয়েছেন, ঈদের দিন ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি।  এ বিষয়ে রাজ বলেন, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেখা করা সম্ভব হয়নি। অস্বীকার করার উপায় নেই, বিচ্ছেদের পর আমার আর পরীর মধ্যে সম্পর্কটা স্বাভাবিক জায়গায় নেই। বিষয়টি এমন একটি জায়গা এখন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে হবে। এ ব্যাপারে আমার আইনজীবী সেভাবে আমাকে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই আমাকে চলতে হবে। তবে এখন পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আছে আমার সন্তান। সে হাসিখুশিতে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠছে। এটাই আমার সন্তানের জন্য দরকার ছিল। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। এবারের ঈদ নিজের গ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাটিয়েছেন রাজ। সেখানেই মেতেছেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়। অভিনেতা বলেন, ‘চাঁদরাতেই এখানে এসেছি। অনেক দিন পর এলাম। বন্ধুদের অনেকে ঢাকায় থাকে, তারাও ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছে। এখন সবাই একসঙ্গে আছি আমরা। স্কুলবন্ধুদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে।’ অন্যদিকে ঈদের দিন ছেলেকে নিয়েই কাটিয়েছেন পরীমণি। বাবা হিসেবে রাজ কোনো খোঁজ নিয়েছেন কি না ছেলের, এমন প্রশ্নে এই নায়িকা বলেন— ‘একজন বাউন্ডুলে মানুষের সন্তানের খবর নেওয়ার দরকার আছে নাকি? আর আসলেও কি আমি দেখতে দেব? সন্তানের ঈদ উপহারের বিষয়টি সে বুঝে কি না, সেটাও একটা ব্যাপার।’
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪১

সরকার খালেদা জিয়ার মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়ার মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে। যেদিন তার মৃত্যু হবে, সেদিন আর কোথাও না হলেও গণভবনে মিষ্টি বিতরণ করা হবে। সন্ত্রাসী হামলায় আহত নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান শাহীনকে দেখতে সোমবার (১ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান গয়েশ্বর। পরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।   এ সময় গয়েশ্বর বলেন, চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে সরকার তিলে তিলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।  বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ছাত্ররাজনীতি চায়। কিন্তু সেটি একদলীয় ছাত্র সংগঠন নয়। জোর করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা ঠিক হবে না জানিয়ে গয়েশ্বর রায় বলেন, বুয়েটকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেখানে রাজনীতি উন্মুক্ত হবে কি না। গয়েশ্বর বলেন, সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়ন চলছে, স্বাভাবিক রাজনীতি করা যাচ্ছে না। দমন-পীড়ন করেই সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৯

অনেক কিছু রেকর্ড আছে ফাঁস করে দেব, বিএনপিকে হাছান মাহমুদ 
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের আগে যারা সরকারের সঙ্গে লাইন দিয়েছিল, কিন্তু হিসাবে মেলে নাই এখন তারা মিডিয়ার সামনে এসে নানান কথা বলা শুরু করেছে। বেশি কথা বললে আপনাদের অনেক কিছু রেকর্ড করা আছে, সব ফাঁস করে দেব।    শুক্রবার (২২ মার্চ)  জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মূলত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছে, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি এবং জামায়াত নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের (বিএনপি-জামায়াত) সেই অপচেষ্টা ভেস্তে গেছে। দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু  এবং আন্তর্জাতিক মানের উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে কারণে পৃথিবীর ৮০টি রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়েছে। পৃথিবীর ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। আজকে দেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, সমগ্র পৃথিবী যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছে, তখনই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেই রাজনৈতিক অপশক্তি আবারও দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিকে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এ জন্য তারা (বিএনপি) ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ বলে স্লোগান দেয়। অর্থাৎ তারা (বিএনপি) বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশের গণতন্ত্রকে বারবার ধ্বংস করতে চেয়েছে। গত নির্বাচনের আগেও তারা দেশের গণতন্ত্রকে বারবার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে। কিন্তু তারা (বিএনপি) নির্বাচন প্রতিহত করতে পারেনি। সেই রাজনৈতিক অপশক্তির (বিএনপি) সঙ্গে কিছু ব্যক্তিবিশেষও যুক্ত হয়েছেন—যিনি (ড. ইউনূস) দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে চিন্তিত নয়, যিনি (ড. ইউনূস) দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দরিদ্র দেশ এবং পিছিয়ে পড়া দেশ হিসেবে উপস্থাপন করে পুরস্কার গ্রহণ করেন। পৃথিবীতে যত ধরনের পুরস্কার আছে সব জায়গায় তার লবিস্টরা যোগাযোগ করে পুরস্কার নিয়ে আসে। যাকে (ড. ইউনূস) দেশের কোনো কাজে পাওয়া যায় না, তাকে যে এরকম পুরস্কার দিয়ে বেড়ায় এটি অত্যন্ত হাস্যকর। সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৯

ঘাপটি মেরে বসে আছে এক-এগারোর কুশীলবরা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী 
দেশের গণতন্ত্রে ছোবল মারার জন্য এক-এগারোর কুশীলবরা সুযোগের অপেক্ষায় এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  বুধবার (২০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেছেন তিনি। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা এক-এগারোর কুশীলব ছিলেন তারা জাতিকে এখনও মাঝেমধ্যে জ্ঞান দেয়। টেলিভিশনের পর্দায়, পত্রিকার পাতায় তারা এই জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছেন। গত নির্বাচনের আগেও তারা সক্রিয় হয়েছিল, যদি কিছু করা যায় সেই আশায়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক কৌশলের কাছে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যেমন পরাজিত হয়েছে তেমনি এই কুশীলবদের স্বপ্নও ধূলিস্যাৎ হয়েছে। এরপর সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই এক-এগারোর কুশীলবরা এখন ঘাপটি মেরে বসে আছে। যদি কোনও সুযোগ পাওয়া যায়... ছোবল মারার জন্য।   এক-এগারোর পরিবর্তনের পর দেশের গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করা হয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরানো হয়েছিল। তখন জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার আন্দোলনে আমরা শামিল হয়েছিলাম। জনগণও আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা মুক্ত হয়েছিল। শুধু তাই নয়, আমাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও মুক্ত হয়েছিল। খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পরে তার পারসোনাল উইং থেকে ফোন করা হয়েছিল। আমাকে বলেছিল, চলেন একসঙ্গে কিছু করি। অর্থাৎ তারাও অসহায় হয়ে গিয়েছিল। এই অসহায়ত্ব থেকেই তারা ফোন করেছিল যাতে যুগপৎ আন্দোলনে করে ওই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণ ঘটানো যায়। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। চাপের মুখে এক-এগারোর কঠিন সময়ে তিনি যেভাবে ধৈর্য সহকারে সবকিছু সামাল দিয়েছিলেন, যেভাবে ঐক্যবদ্ধ রেখেছিলেন তা অভাবনীয়। তিনি একজন দৃঢ়চেতা, ধৈর্যশীল, নেতা ছিলেন। কীভাবে সংকটে, সংগ্রামে, প্রতিকূল পরিস্থিতির মুহূর্তে ধৈর্যহারা না হয়ে অবিচল থাকতে হয়, তা দেখেছি। তার কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জিল্লুর রহমান পরিষদের সভাপতি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান খোকার সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো: জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।   
২০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৯

‘নৌপথ-নদীবন্দরগুলো ঠিক আছে কি না, লক্ষ্য রাখতে হবে’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌপথ ও নদীবন্দরগুলো ঠিক আছে কিনা, মানুষ এগুলো ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। বুধবার (২০ মার্চ) বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত নেতারা ঢাকায় মিন্টু রোডস্থ বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর সার্বিক উন্নয়ন এবং চারিত্রিক কাঠামো অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভর করে। যেখানে উন্নয়ন কাজ হয়, সেখানে কিছু প্রশ্ন থাকতেই পারে। তবে কাজটি সঠিকভাবে করছি কি না, সেটা হলো বড় বিষয়। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে পথ দেখানো। সে পথেই সবাই হাঁটবে। তিনি বলেন, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাপোর্ট লাগে। আর সেই সাপোর্ট হলো বঙ্গবন্ধু। তিনি যেভাবে দেশ নিয়ে ভেবেছেন। সে বিষয়টি ধারণ করতে হবে। আমাদের মূল জায়গাটি হল মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। সেই আদর্শকে ধারণ করে কাজ করতে হবে। বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি রকিবুল ইসলাম তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে সংগঠনের ২৫ সদস্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১

যে ভয়ে আছে সরকার, জানালেন গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, সরকার ভূতের ভয়ে আছে, ঘুমের ওষুধ খেয়েও এই ভূতের ভয়ে তাদের ঘুম আসে না। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ইদানীংকালে আমরা কোন অবস্থানে আছি মানুষ সেটা বোঝে। কিন্তু সরকার যে কোন অবস্থানে আছে ওটা মানুষ দেখে না। এটা তারা (সরকার) জানে, তারা বোঝে। ওরা যে সুখে আছে তা নয়। ওরাও ভূতের ভয়ে আছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি যারা ভোট দিতে গেছে তারা ভোট দিতে পারেনি। লাইনে শুধু দাঁড়িয়ে থেকেছে। টাকা আর বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচারেরও লজ্জাবোধ আছে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের লজ্জাবোধ নেই। শুধু কাপড় দিয়ে শরীর আবৃত করলেই লজ্জা নিবারণ হয় না। এটা হচ্ছে নৈতিকতার লজ্জাবোধ। তাদের সেটা নেই। আর এরশাদ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরাচার। গয়েশ্বর বলেন, ২০০৮ সাল থেকে জনগণ প্রতারিত হচ্ছে। ভোট কিন্তু একটা উৎসব। ঈদ-পূজার থেকেও বড় উৎসব। কিন্তু আজ সেটা ভাগ করে দিয়েছে শুধু গণতন্ত্রের জন্য। এখন বহু সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ আছেন যারা স্বার্থের জন্য গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্র করে ফেলেন। আবার স্বৈরতন্ত্রকে গণতন্ত্র বানিয়ে ফেলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, সবাই তো গণতন্ত্রের কথা বলছে, গণমাধ্যমের কথা বলছে। কিন্তু গণমাধ্যম কী স্বাধীন? আমি তো তা মনে করি না। আজকাল টেলিভিশনের টকশোতে যেভাবে নির্লজ্জভাবে কথা বলে এটা সাংবাদিকতা নয়। আবার মালিকদেরও একটা ব্যাপার আছে। প্রতিটা হাউজই কোন সংবাদ যাবে, কোনটা যাবে না সেটাও বাছাই করা হয়। এখন সরকারের প্রশংসা আর চাটুকারিতা করতে করতে অনেকে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সাংবাদিকের স্বাধীনতা থাকলে তারা লিখতে পারবেন। বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী পারভেজ হোসেন, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান প্রমুখ।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২০:১০

অবন্তিকার আত্মহত্যায় সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীর সংশ্লিষ্টতা আছে : ডিএমপি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনায় তার সহপাঠী ও সাবেক সহকারী প্রক্টরের প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা নজরদারিতে ছিলেন। কুমিল্লার কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হওয়ার পর তাদের আটক করা হয়। তাদেরকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের রোববার হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তে এখন তারা বিশদভাবে খতিয়ে দেখবেন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তারা আমাদের ঘটনার খণ্ডিত অংশ জানিয়েছে। তদন্তের আগে পূর্ণাঙ্গ অংশ বলা সম্ভব না। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তবে গভীরতা কতখানি বা তাদের কার দিকে কত দায় সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:০০

‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন আছে বলেই নির্বাচনে শক্তিধর রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রও সফল হয়নি’
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শ এদেশের সব মানুষের অন্তরে আছে বলেই বিগত নির্বাচনে শক্তিধর রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রও সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।  শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতির বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাঙালি অস্তিত্বের উৎস বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। উপাচার্য বলেন, যে দলের জন্ম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু, যে দলের অস্তিত্বের মধ্যে আছে বঙ্গবন্ধু, যে দলের উৎস হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদ আর অসাম্প্রদায়িকতা, সেই দলকে কখনও ধ্বংস করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার এমনকি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক অনুসারীদের হত্যা করলেও যে আদর্শ মানুষের অন্তরে আছে, সে আদর্শকে কখনই হত্যা করা যায় না। সেটির প্রমাণ হলো আজকে বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, অর্থনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি সেটি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন টিকে আছে বলেই এখনও বাংলাদেশ টিকে আছে। এমনকি এ কারণে দেশে এখনও আওয়ামী লীগ টিকে আছে এবং অসাম্প্রদায়িকতা টিকে আছে। এরপর শিক্ষানীতির প্রসঙ্গ টেনে ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের শিক্ষানীতি করার জন্য ড. কুদরত-ই-খুদাকে প্রধান করে কমিশন করেন বঙ্গবন্ধু। ড. কুদরত-ই-খুদা সেদিন যে শিক্ষানীতি দিয়েছিলেন যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন এবং সেই শিক্ষানীতি যদি প্রয়োগ হতো তাহলে বাংলাদেশ আজকে যে অবস্থানে আছে তার বহু আগেই সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক যে স্থিতিশীলতা সেটি বাংলাদেশ অর্জন করতো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকতেন, তাহলে শিক্ষাক্ষেত্রেও সিঙ্গাপুরের যে অগ্রগতি, সেটি বহু আগেই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র অর্জন করতো। কিন্তু ঘাতকরা সেটি হতে দেয়নি। ঘাতকরা চেয়েছে বাংলাদেশ হবে পাকিস্তানের মতো অনেকটা মৃত অকার্যকর রাষ্ট্রের মতো। সেই রাষ্ট্রের যে ধ্যান ধারণা ছিল সেই ধ্যান ধারণার মতো বাংলাদেশ চলবে। সেজন্যই ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহকর্মীদের হত্যা করে এবং আওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলকে হত্যা করার পাঁয়তারা করে। সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) হাফিজুর রহমানসহ প্রমুখ।   
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:১২

‘সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির সংযোগ আছে কি না, দেখতে হবে’
সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই সরকার জনগণের প্রতিনিধি। শেখ হাসিনা সরকারের সব কর্মকাণ্ড জনস্বার্থকে সমুন্নত রেখে। সরকারকে বিব্রত করার জন্য সিন্ডিকেট থাকতে পারে কিন্তু আমাদের এখন তলিয়ে দেখতে হবে এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা আছে কি না।’ তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল হিসেব যখন তাদের (বিএনপি) সব প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় নিমজ্জিত হয়েছে, তখন তারা অন্যান্য অনেক কিছুতে জড়িয়ে সরকারকে বিব্রত এবং সরকারের কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারাই (বিএনপি) এসব সিন্ডিকেট করে সরকারকে বিব্রত করা এবং নির্বাচিত সরকারের আজকে যে অগ্রযাত্রা, সেই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য চেষ্টা করতে পারে। এটা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে, এই যে সিন্ডিকেট, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিরোধী দল বিএনপির সংযোগ আছে কি না।’ সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কোন দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এসেছে? আমি সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলাম চেকআপের জন্য। সেখানে বাজারের যে পরিস্থিতি, দুই গুণ, তিন গুণ বা চার গুণ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, এমনকি ফলমূলের দাম তিন-চার গুণ বেড়ে গেছে। তিন মাস আগে যা দেখেছি, এখন তার দ্বিগুণ-তিন গুণ হয়ে গেছে। এই অনিশ্চয়তার বিশ্ব পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এখানে সরকার নিষ্ক্রিয় নেই। প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণ দেশের এ সংকট মোকাবিলায় সময় দিচ্ছেন। আমাদের এখানে নিজেদের কোনো অবহেলা নেই। সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য যা যা করা দরকার, এগুলো কিন্তু সরকার যথাযথভাবে প্রয়োগ করছে।’
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়