• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ, ইসির নোটিশ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচনি আরচণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন-ইসি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ বিষয়ে নোটিশ দিয়ে দুই নেতার জবাব চেয়েছে ইসি। আগামী ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টার মধ্যে সেই জবাব দিতে হবে। খবর ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।  সম্প্রতি মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দুই নেতার দল থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশও জানানো হয়। এরপরই তাদেরকে সতর্ক করে নোটিশ পাঠায় কমিশন।  হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেতা রাহুল মন্তব্য করেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কোন শ্রেণির হাতে কত সম্পদ আছে, তা আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করে দেখবে। সেই মন্তব্যের রেশ ধরেই গত রবিবার রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় জনসমাবেশে মোদি বলেন, কংগ্রেস তার ইশতেহারে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।  মোদী আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অতীতে বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সর্বাগ্রে অধিকার মুসলিমদের। সেই কারণেই সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়। পরদিন সোমবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে সমর্থকদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে। মোদির সেই মন্তব্যের নিন্দা করে সরব হয় কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলি। ইসির কাছে অভিযোগ করে তারা।  আর রাহুলের বিরুদ্ধে ভাষা ও অঞ্চলের ভিত্তিতে ঘৃণা ও বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনি প্রচারণায় কংগ্রেস ও মুসলমানদের সরাসরি আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছেন প্রায় ২০ হাজার নাগরিক। যে চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।   তারা বলছে, নির্বাচনি জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনি সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে। তবে হাজার হাজার নাগরিকের চিঠির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি নির্বাচন কমিশন।  
৫ ঘণ্টা আগে

শিল্পী সমিতির নির্বাচন / আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ডিপজলকে শোকজ
রাত পোহালেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ নিয়ে এফডিসিতে উৎসবের আমেজ বইছে। এরইমধ্যে ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন সাদিয়া মির্জা নামে এক অভিনেত্রী। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   তিনি বলেন, সাদিয়া মির্জা নামে ওই প্রার্থীর অভিযোগ আমলে নিয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজলকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছি।  এদিকে সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার খসরু। অন্যদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা নিপুণ আক্তারের। এ নিয়ে মিশা-ডিপজল প্যানেলের চিত্রনায়ক আলেকজান্ডার বোকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, একটি পক্ষ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে। তবে আমরা চাই সুষ্ঠ নির্বাচন। এমন অভিযোগ আমরা অন্য প্যানেল থেকেও পেয়েছি, কিন্তু তাতে আমরা গুরুত্ব দেয়নি।   তিনি আরও বলেন, ডিপজল ভাই এমনিতেই দানবীর। সবাইকে টাকা-পয়সা দান করে থাকেন। এটা নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিষয়টি সুখকর হবে না। তবে বিষয়টি নিয়ে কলি-নিপুণ প্যানেলের কেউ মুখ খোলেননি। কথা বলতে চাননি মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য সদস্যরাও।   নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। দুপুরে বিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ভোট। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে।  
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১১

এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা 
আচরণবিধি লঙ্ঘনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।    বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন।  আদালতের বেঞ্চ সহকারী তরিকুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা মামলায় আসামি মহিউদ্দীন বাচ্চুর বিরুদ্ধে সমন দিয়েছিলেন আদালত। বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এর আগে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মসজিদ, মন্দিরে অনুদানের চেক বিতরণের অভিযোগে গত ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১০ আসনের সকল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের এক হাজার টাকা করে এবং মাদানী মসজিদে এক লাখ টাকা অনুদানের চেক দেন মহিউদ্দিন বাচ্চু। যা জুমার নামাজের খুতবার আগে মুসল্লিদের অবহিত করেন। একইভাবে ২৪ ডিসেম্বর লালখান বাজারে তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় থেকে মসজিদগুলোর ইমাম, মুয়াজ্জিনদের ৬০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক দেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি ২১টি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় অনুদানের চেক বিতরণের সত্যতা পায়। এ নিয়ে ৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন মামলা করার নির্দেশ দেয়। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার ৩ ধারা অনুসারে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে চাঁদা বা অনুদান দিতে বা দেওয়ার অঙ্গীকার করতে পারবেন না।  উল্লেখ্য, ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করেছিলেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২

আচরণবিধি লঙ্ঘন, জামিন পেলেন এমপি ফিরোজ 
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কমিশনের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন সাতক্ষীরা-১ আসনের নৌকা প্রতীকের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক আশিকুর রহমান শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। সাতক্ষীরা আদালতের পরিদর্শক মেহেদি হাসান জানান, এমপি স্বপন কলারোয়া থানার একটি জিআর মামলার আসামি। বুধবার দুপুরে তিনি আদালতে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সাতক্ষীরা-১ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপনের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় একটি মামলা হয়। ভোটের ঠিক দুই দিন আগে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওহিদ মুরাদ বাদি হয়ে থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে স্বপন আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্য দলের ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেন। অন্যথায় বিপদে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।  তার এই বক্তব্যকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধির লঙ্ঘন দাবি করে ফিরোজ আহমেদ স্বপনের বিরুদ্ধে জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিতে অভিযোগ করেন জাপা প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত ও আ.লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মুজিব। পরে ওই অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপনের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৭

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ৪৮০ জনকে শোকজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দলের প্রার্থীসহ ৪৮০ জনকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার উপসচিব আব্দুছ সালাম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় সোমবার পর্যন্ত ৪৮০ জনকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩০৪টির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।  সবচেয়ে বেশি শোকজ করা হয়েছে অঞ্চলে। মোট ৪৮০টি শোকজ নোটিশের মধ্যে ১১৯টি এই অঞ্চলের প্রার্থী ও ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রংপুর অঞ্চলে ২৯টি, কুমিল্লায় ৬৮টি, ফরিদপুরে ২০টি, চট্টগ্রামে ৩৮টি, সিলেটে ১৬টি, বরিশালে ২৭টি, খুলনায় ৪০টি, রাজশাহীতে ৭৪টি ও ময়মনসিংহে ৪৯টি শোকজ করা হয়েছে।  এবারই প্রথমবারের মত ৩০০ আসনের প্রতিটিতে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজদের নিয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে কমিশন। নির্বাচন ঘিরে কোনো প্রার্থী বা সমর্থক আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কমিটি তাদের শোকজ করছে। শোকজের জবাব পাওয়ার পর অনুসন্ধান কমিটি তা কমিশনে প্রতিবেদন পাঠায়। এরপর কমিশন প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়। এ পর্যন্ত কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এক লাখ টাকা এবং বরগুনা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কমিশন। এ ছাড়া ডিসি-এসপিকে বদলির হুমকি দেওয়ার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান এবং ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করেছে ইসি।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়