• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব শেষ হওয়ার আগে ইরানে হামলা করবে না ইসরায়েল’
ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পাসওভার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ৩০ এপ্রিলের আগে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা চালানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইসরায়েলের গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। এক মার্কিন কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে এ তথ্য জানান। তবে তিনি স্বীকার করেন, এই সময়সীমা যেকোনো সময় বদলাতে পারে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা চালালে হিতে-বিপরীত হতে পারে। ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পাসওভার উৎসব সোমবার সন্ধ্যা (২২ এপ্রিল) থেকে শুরু করে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এবিসি নিউজ ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে আরও জানায়, গত শনিবার রাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল অন্তত দুইবার পাল্টা হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিলেও শেষ মুহূর্তে সে পরিকল্পনা বাতিল করে। ইসরায়েলি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এ তথ্য জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। এই আলোচনার পরই তিনি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা পাল্টা হামলার পরিকল্পনা বাতিল করেন। এবিসির প্রতিবেদন মতে, পশ্চিমা কূটনীতিকদের ধারণা, ইসরায়েল অবশ্যই ইরানকে জবাব দেবে। তবে এর মাত্রা কম হবে। বুধবার এক্সিওসের অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে হামলা অনুমোদন পেলেও তা ‘কারিগরি কারণে’ বাস্তবায়ন করা হয়নি। বৃহস্পতিবার আবারও যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ও উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। 
১৬ ঘণ্টা আগে

আগে ঘরের ছেলেরা নিরাপদে ঘরে ফিরুক
আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পথে রয়েছে এমভি আবদুল্লাহ। ৩২ দিনের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ২৩ নাবিক এখন পাড়ি দিচ্ছে এডেন উপসাগর। বাড়তি নিরাপত্তার জন্যে জাহাজটি ঘেরা হয়েছে কাঁটাতার দিয়ে। আরও নিরাপত্তার জন্যে জাহাজের ডেকে যুক্ত করা হয়েছে ফায়ার হোস পাইপ। যাতে আবার কোনো বিপদ হলে নিরাপত্তাকর্মীরা শত্রুর দিকে গরম পানি ছিটাতে পারে। নাবিকরা যেন লুকিয়ে থাকতে পারেন সেজন্যে প্রস্তুত রয়েছে নিরাপদ গোপন ঘর সিটাডেল। আর সব শেষ নিরাপত্তার জন্যে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ।  জাহাজটির মালিক কেএসআরএম গ্রুপের কর্মকর্তারা এসব তথ্য দিয়েছেন গণমাধ্যমে। তারা বলছেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেলেও এমভি আবদুল্লাহ এখনও উচ্চঝুঁকিপ্রবণ এলাকা অতিক্রম করেনি। তাই আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই নিয়মের কারণেই তারা সাংবাদিকদের বলেননি, কী পরিমাণ মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজটি মুক্ত হলো। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একজন জলদস্যুর বরাত দিয়ে, মুক্তিপণের পরিমাণ উল্লেখ করা করা হলেও তা স্বীকার করেনি কেএসআরএম।  এদিকে জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, জলদস্যুদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে সমঝোতা করা হয়েছে। এখানে মুক্তিপণের কোনো বিষয় নেই। আলাপ-আলোচনা ও বিভিন্ন ধরনের চাপ দিয়ে মুক্ত করা হয়েছে আব্দুলাল্লাহকে। অনেকে ছবি দেখাচ্ছেন, এ ছবিগুলোরও কোনো সত্যতা নেই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিপিং ডিপার্টমেন্ট, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম উইং, ইউরোপিয়ান নেভাল ফোর্স, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং সোমালিয়ার পুলিশ এই উদ্ধার কাজে এখনও সহায়তা করছে।  আমরা যদি একটু পেছনে যাই দেখব, ছিনতাই হওয়ার মাত্র এক মাসের মাথায় সোমালিয়ার উপকূল থেকে জিম্মি জাহাজ ছাড়িয়ে আনার নজির প্রায় নেই। ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার দস্যুদের হাতে এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি হয় ১২ মার্চ। জাহাজটি মুক্ত হয় শনিবার রাত ১২টা ৮ মিনিটে। এ হিসাবে ৩২ দিন পর জাহাজটি মুক্তি পেলো। এর আগে ২০১০ সালে এই একই গ্রুপের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। সেটি উদ্ধার করতে তিন মাস নয় দিন সময় লেগেছিল। সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের চূড়ান্ত অত্যাচার ছিল ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ান আর্থ ফিউচার ফাউন্ডেশনের হিসাবে ২০১১ সালে ৩১টি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালীয় দস্যুরা। এর প্রত্যকেটিকেই মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেতে হয়েছিল। প্রতিটি জাহাজ ছাড়া পেতে সময় লাগে গড়ে ১৭৮ দিন। সোমালিয়ায় নাবিকদের দীর্ঘ সময় জিম্মি থাকার ঘটনা মালয়েশিয়ার জাজাজ এমভি আলবেদো জাহাজের। তাদের ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর জিম্মি করেছিল দস্যুরা। ২০১৩ সালের ৭ জুলাই জাহাজটি ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে ধাপে ধাপে নাবিকেরা মুক্তি পেয়েছিলেন। মুক্তির সব শেষ ধাপটি ছিল ২০১৪ সালের ৭ জুন।  জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধবিষয়ক সংস্থা ইউএনওডিসি এর তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল ছিনতাই হওয়া মিয়ানমারের একটি মাছ ধরার জাহাজটি মুক্ত হয়েছিল ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। জাহাজটির ২৪ জন নাবিকের মধ্যে ৬ জন অসুস্থ হয়ে মারা যান। মিয়ানমারের ১৪ জন নাবিক মুক্তি পান ২০১১ সালে। বাকি ৪ জন মুক্তি পান ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। শেষ ৪ জন মুক্তি পান ৪ বছর ৩১৩ দিন পর। সোমালিয়ান দস্যুদের মুক্তিদেয়ার এত ফিরিস্তি এখনে দিলাম, কারণ প্রথমত বলতে চাইলাম এরা ভয়ঙ্কর হতে পরে। দ্বিতিয়ত সম্প্রতি যেভাবেই আমাদের নাবিকরা মুক্তি পান না কেন, খুব কম সময়ে তারা ঘরে ফেরার পথে আছেন, কিন্ত তারা এখনও শতভাগ বিপদমুক্ত নন।  অনেকে আমার এমন কথায় আঁতকে উঠতে পারেন। ভয় পাওয়ার হয়তো কিছু নেই। কিন্তু কিছু অদ্ভুত বিষয় এখানে উল্লেখ না করলেই নয়। এবার এই বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি হওয়ার পর আমরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেখলাম সোমালিয়া উপকূলে এই অপহরণের বিষয়টি যেন কোনো অপরাধ নয়। একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। ডাকাতরা রীতিমতো দক্ষ। তারা প্রযুক্তি জানে।  আধুনিক অস্ত্র আছে। এমনকি তাদের পক্ষে কথা বলার মত বৈধ প্রতিষ্ঠান আছে। ডাকাতির মতো একটি ভয়ঙ্কর অপরাধীদের সঙ্গে মধ্যস্ততার জন্যে প্রকাশ্য প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে লন্ডন আমেরিকার মত দেশে। রাষ্ট্র শক্তির মতো কোনো অমোঘ শক্তি পেছনে না থাকলে কী এই দৌরাত্ম সম্ভব? তাই কারা দস্যুদের পক্ষে কারা বিপক্ষে তা বোঝার ঝুঁকি তো রয়েই যায় শেষ মুহূর্তে। পাঠক আসুন আবারও প্রেক্ষাপটে ফিরি। জিম্মি হওয়ার তিন দিনের মধ্যে এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা আতিক মুঠোফোনে তার স্ত্রীর কাছে একটি অডিও বার্তা পাঠান। সেখানে তিনি বলেন, ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাঁদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও। অর্থাৎ প্রথম থেকেই ২৩ নাবিকের বেঁচে থাকার আকুতি বাংলাদেশের কাছে ছিল। যে কারণে নাবিকদের যেন ন্যূতম ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি প্রথম থেকে খুব মুখ্য ছিল। তাই এ কথা আর বলতে বাঁধা নেই যে, জিম্মি হওয়ার পর ২৩ নাবিকই শুধু  চূড়ান্ত ঝুঁকির মুখে পড়েননি। ঝুঁকির মুখে ছিলেন যারা তাদের উদ্ধার করতে চাইছিলেন তারাও। তাদের সামনে একদিকে ভয়ঙ্কর জটিল কূটনীতি অন্যদিকে ২৩ জনকে বাঁচিয়ে রাখার দায়। সবকিছু মিলিয়ে সবাকে কৌশলী হতে হয়েছে। শুধু কৌশলী বললে ভুল হবে, বলতে হবে সুক্ষ্ম কৌশলী। যে কারণে বার বার অভিযানের প্রস্তাব আসলেও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। জাহাজ জিম্মি হওয়ার খবর প্রথম জানিয়েছিল যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী। তাদেরকেও বাংলাদেশ শুধু অনুসরণ করার অনুরোধ করেছিল। সেখানো ভারতীয় নৌবাহিনীরও একটা বিশেষ ভূমিকা ছিল। তারাও বিশেষ নজর রেখেছিলেন, নাবিকদের যেন কোনো ক্ষতি না হয়।  এখনও পর্যন্ত উদ্ধার কাজের পুরো প্রক্রিয়া প্রকাশ্য হয়নি। কিন্তু সার্বিক বিশ্লেষণে বোঝা যায় যে, ২৩ জন  নাবিক যে নিরাপদে ফিরতে যাচ্ছেন, এটা একজন মানুষ বা একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নয়। এটা রীতিমতো কূটনীতিক সাফল্যই বলতে হবে। যারা কাজ করেছেন, তাদের কাউকে ছাড়া কারো পক্ষে এতদূর এগোনো সম্ভব ছিল না। আর সম্ভব হলেও সেই মাসের পর মাসের ধাক্কা ছিল হয়তো। থাক আর হয়তো বলে মন খারাপ করতে চাই না। কারণ এই ‘হয়তো’ আমাদের সামনে অনেক বিপজ্জনক প্রশ্ন আনতে পার। তাই আর প্রশ্ন না বাড়িয়ে শুধু বলি, গোটা প্রেক্ষাপট বলতে গিয়ে ধান ভানতে এই  শিবের গীত গাইতে হলো। ছবির যে প্রসঙ্গ খোদ প্রতিমন্ত্রী তুলেছেন, সেই ছবিটি আমিও দেখেছি। আজকের এই ফেক ভিডিও ছড়ানোর যুগে আমার মনেও যে প্রশ্ন ওঠেনি তা নয়। একদল ডাকাতের সঙ্গে যোগাযোগ করে, প্লেনে বহন করে পর পর ৩টি ডলারের প্যাকেট ফেলা খানিকটা সিনেম্যাটিক। কিন্তু সত্য যে হতে পারে না, তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে টাকা যদি দিয়েই থাকে, তাহলে ফেরত আসার পথে এত নিরাপত্তা লাগছে কেন? আর যেখানে আমরা জলদস্যু দলপতির চিঠির কথা জেনেছি। যে চিঠিতে তিনি বলেছেন এই চিঠি দেখালে কেউ তাদের আটকাবে না। তারপরেও এত সতর্কতার কারণ কী শুধুই আন্তর্জাতিক নিয়ম? যে কারণে বলতেই হচ্ছে জাহাজ এবং নাবিক উদ্ধার কূটনীতি এখনও সক্রিয়। যাই হোক, বিমান থেকে টাকা ফেলার ছবি, কেএসআরএম এর বিবৃতি এবং প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে এক ধরণের অমিল খুঁজে পাচ্ছেন কেউ কেউ। এটা কোন কোন গণমাধ্যম থেকে সংক্রামিত হয়ে  মানুষের মনেও ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। সেই ধোঁয়াশা ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একটা সফল অপারেশনের শেষ সময়ে এটা আসলেই প্রত্যাশিত ছিল না। কারণ এই তিন বক্তব্যে আপাত দৃষ্টিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ মিল হয়তো নেই, কিন্তু আমাদের ভাবা দরকার গোটা বিষয়টা একটা কূটনীতি। এখানা নানা কৌশল থাকবেই। তাই ধোঁয়াশাও থাকবে। আর সবচেয়ে বড় কথা ২৩ জন নাবিকসহ জাহাজটি এখনও সমুদ্রে। নিশ্চয়ই ঘরের ছেলেরা ঘরে ফেরার পর অনেককিছু প্রকাশ্য হবে। আর যদি নাও হয়। তারাতো ফিরলো। না হয় এই সুযোগে একবার নজরুল চর্চা করে নেবো " মানুষের চেয়ে বড় কিছু নয়, নহে কিছু মহীয়ান'। লেখক: গণমাধ্যমকর্মী  
১৬ ঘণ্টা আগে

বিশ্বকাপের দেড় মাস আগে হতাশার গল্প শোনালেন শান্ত
চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই অংশগ্রহণকারী দেশগুলো নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে বিশ্বকাপের আগেই হতাশার গল্প শোনালেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে একটি অনুষ্ঠানে আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি প্রত্যাশা না রাখার অনুরোধ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রতি বছর দেখি, বিশ্বকাপের আগে এগুলো নিয়ে অনেক কথা হয়। প্রত্যাশা থাকে এটা করব, সেটা করব।  ‘আমার একটা অনুরোধ থাকবে আপনাদের কাছে। এই প্রত্যাশা খুব একটা করার দরকার নেই। এই প্রত্যাশা সবার মনের মধ্যে থাক। আপনারা জানেন বাংলাদেশ দল কী চায়, আমরা খেলোয়াড়রাও জানি বাংলাদেশকে কতদূর নিয়ে যেতে চায়।’ শান্ত বলেন, যে দলটা খেলবে তারা ১২০ ভাগ দিবে প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য। এই নিশ্চয়তা দিতে পারি। প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য খেলবে। প্রতিটি ম্যাচ আমরা যখন খেলি, তখন অনেক আশা নিয়েই খেলি। এবার বেশ প্রত্যাশা করছি, আমার অনুরোধ থাকবে এই বিষয় নিয়ে আমরা যেন মাতামাতি না করি। আইপিএলে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে মোস্তাফিজ। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য পুরো আসরে খেলা হচ্ছে না তার। মোস্তাফিজকে নিয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আমি যেটা বলতে চাই, যখন মোস্তাফিজ বাংলাদেশের হয়ে খেলে তখন ওর আগ্রহটা আরও বেশি থাকে। ওটা তো বাইরে একটা লিগ খেলছে। অবশ্যই ওখানে ওর কমিটমেন্ট আছে।  ‘তার কমিটমেন্ট ওখানে সে শো করে (দেখায়)। ও যখন বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলে, প্রত্যেকটা বল যখন ও করে, তখন চিন্তা করে যে দেশের বা দলের কীভাবে উপকার হয়।’
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

তারকাদের বৈশাখী স্মৃতি / আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম
বছরঘুরে আবারও এলো ‘পহেলা বৈশাখ’। এই বৈশাখ ঘিরে সবারই আছে কিছু-না কিছু স্মৃতি। শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের সেই স্মৃতি নিয়ে আমাদের এই বৈশাখী আয়োজন।  ফেরদৌস চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। পহেলা বৈশাখের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছাত্রজীবন বিশেষ করে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তখনকার পহেলা বৈশাখ ছিল সবচেয়ে বেশি মজার; যা কখনও ভুলে যাওয়ার নয়। সে সময়ট রমনার বটমূল, টিএসসি, চারুকলায় সারাদিন বন্ধুদের নিয়ে মজা করতাম। এরপর দুপুরে বন্ধুরা মিলে হোটেল নীরবে খাবার খেতে যেতাম। বলতে গেলে সে সময়টার পহেলা বৈশাখের মজা ছিল একেবারেই ভিন্ন।   অপু বিশ্বাস ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট ছবি। পহেলা বৈশাখ নিয়ে তিনি বলেন, ছোটবেলায় পহেলা বৈশাখকে ঘিরে অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করত। সারাবছর ধরে অপেক্ষা করতাম, কখন আসবে কাঙ্ক্ষিত দিনটি। কারণ, এদিন ঘুরে বেড়াতাম নানান জায়গায়, তাও আবার বাধাহীনভাবে। কিন্তু এখন চাইলেও আর সব জায়গায় যাওয়া হয় না। দিনগুলো সত্যিই আর ফিরে আসবে না। চঞ্চল চৌধুরী এপার-ওপার দুবাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘মনোগামী’। বৈশাখ নিয়ে পাবনার এই কৃতী সন্তান বলেন, আমার শৈশব কেটেছে গ্রামে। আমাদের গ্রামে বৈশাখে হালখাতা হতো। বাড়ির পাশে যে বাজার ছিল সেখানে আমরা বিভিন্ন দোকানে যেতাম। হালখাতার দিন বিভিন্ন দোকান থেকে জিলাপি, মিষ্টি, শিঙাড়া খেতে দিত। এটা এখন খুব মিস করি।  আরিফিন শুভ ঢালিউডের চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। সবশেষ মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। বৈশাখের স্মৃতিচারণ করে এই চিত্রনায়ক বলেন, পহেলা বৈশাখে ছোটবেলায় কী যে আনন্দ করেছি তা বলে বোঝাতে পারব না। পুরো দিনটাই নিজের করে নিতাম। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গোসল করে পান্তা-ইলিশ খাওয়া। এরপর বন্ধুদের নিয়ে মেলায় ঘুরতে যাওয়া। মফস্বল শহরে পহেলা বৈশাখের অন্যরকম আমেজ ছিল। শহরে যার ছিটেফোঁটাও নেই। সাইমন সাদিক চিত্রনায়ক সাইমন সাদিকের শৈশব-কৈশোর পুরোটাই কেটেছে কিশোরগঞ্জে। গ্রামীণ আবহের সেই বৈশাখ দেখেই তিনি বড় হয়েছেন। বন্ধুদের সাথে মেলায় ঘুরেছেন। পুতুলনাচ দেখেছেন, চড়েছেন নাগরদোলাতেও। এগুলো এখন খুব মিস করেন তিনি।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৪

ঈদের আগে আরও বেড়েছে মাংসের দাম
ঈদুল ফিতরের আগে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে মাংসের বাজার। গরুর মাংস, খাসির মাংস, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে, বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। কেজিপ্রতি গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা। খাসির মাংস কোথাও কোথাও কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ, মিরপুর, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম পড়ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা; দেড় সপ্তাহ আগে যা ছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম এক সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি আরও ২০ টাকার মতো বেড়েছে; এখন যা কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, করপোরেট গ্রুপগুলোর কৃত্রিম সংকটে মুরগির বাচ্চা কিনতে না পেরে উৎপাদন থেকে বাধ্য হয়ে সরে যাচ্ছে প্রান্তিক খামারিরা। এখন বেশির ভাগ মুরগি করপোরেট গ্রুপগুলোর, বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তারাই। ফলে বাজারে মুরগির দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, একটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করতে খরচ হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকা। অথচ প্রান্তিক খামারিদের সেই বাচ্চা কিনতে হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির ফিড উৎপাদন করতে খরচ হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কিন্তু প্রান্তিক খামারিদের সেই ফিড কিনতে হয় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। আর এক কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করতে খরচ হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একজন মুরগি বিক্রেতা বলেন, ঈদ উপলক্ষে খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে এখন মুরগির সরবরাহও কম। তাই নতুন করে মুরগির দাম বেড়ে গেছে। মালিবাগ বাজারে ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসজুড়ে মাছ ও মাংস বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে। ঈদের আগে মাংসের দাম আবার বাড়ল। বাজার করতে গেলে তাল পাওয়া যায় না। গরুর মাংসের দাম আরও সপ্তাহখানেক আগেই কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় উঠেছিল। নতুন করে ব্যবসায়ীরা দাম না বাড়ালেও আগে কোথাও কোথাও ৫০ টাকা কমেও মাংস পাওয়া যাচ্ছিল, কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। শুধু কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা ২০ টাকা কমে ৭৮০ টাকায় মাংস বিক্রি করছেন। বাজারে খাসির মাংসের দামও বাড়তি। ভালো মানের মাংসের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা; মানে একটু ছাড় দিলে ১ হাজার ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী বাজারের মোল্লা গোস্ত বিতানের বিক্রেতা বলেন, কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের গরু জবাই দিয়ে ভালো মাংস বিক্রি করতে গেলে এর চেয়ে কম দামে বিক্রি সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঈদ উৎসবের সময় মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়; এই বাড়তি চাহিদা পুঁজি করে মাংসের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে বাজারে প্রতিদিনই কোনো না কোনো মাংসের দাম বেড়েছে। ঈদ উপলক্ষে খামারিরা গরুর দাম বাড়িয়েছেন, তাতে মাংসের দাম বেশি পড়ছে। অনেকে বলছেন, বেচাকেনা বেশি পরিমাণে না হলে কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় মাংস বিক্রি করেও টিকে থাকা কষ্ট হবে। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, বাজারে সব জিনিসের যে দাম, সেই হিসাব করলে গরুর মাংসের দাম ঠিক আছে। অনেক মাছের দামও এখন কেজিপ্রতি ৮০০ টাকার ওপরে। মাছ কাটলে আবার উচ্ছিষ্ট চলে যায়; কিন্তু এসব নিয়ে আলোচনা হয় না। গরুর মাংসের দাম একটু বাড়ালে তার প্রতিক্রিয়া বেশি হয়।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৪

সবার আগে যে দুই দেশে পালিত হলো ঈদ
সৌদি আরবসহ মধ্যপাচ্যের বিভিন্ন দেশ সোমবার মুসলিমদের চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সেসব দেশে চাঁদ দেখা না গেলেও দুটি মুসলিম দেশে চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ওই দুই দেশে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখা না গেলেও সোমবার (৮ এপ্রিল) আফ্রিকার দুই দেশে চাঁদ দেখা গেছে। দেশ দুটি হলো মালি ও নাইজার। ফলে দেশ দুটিতে মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে। দেশে দুটিতে ২৯টি রোজা পালিত হয়েছে। চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নাইজারের চাঁদ দেখা কমিটি রুয়েত-ই-হিলাল। দেশটির পাঁচটি রাজ্যে চাঁদ দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এছাড়া সোমবার চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মালির ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, আফ্রিকার অন্যান্য দেশে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় মঙ্গলবার রোজা থাকবেন সেখান নাগরিকরা। এসব দেশে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে  বুধবার। প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আরবি মাসের  গণণা শুরু এবং শেষ করা হয়। সারাবিশ্বে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজা শুরু এবং ঈদ উদযাপন করেন মুসলিমরা। তাই চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঈদ পালনের পার্থক্য দেখা দেয়।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৭

বিশ্বকাপের আগে অবসর ভেঙে পাকিস্তান দলে আমির-ইমাদ
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম। অবসর ভেঙ্গে ফেরার ঘোষণার পরপরই অনুশীলন ক্যাম্পে ডাক পেয়েছিলেন তারা।  এবার টি-টোয়েন্টি দলেও ফিরেছেন তারা। তাদেরকে নিয়েই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৭ জনের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এদিকে পিএসএলে আলো ছড়িয়ে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন উসমান খান এবং ইরফান খান। ৬ টেস্ট খেলা আবরার আহমেদও স্কোয়াডে আছেন। সাদা বলের ক্রিকেটে দ্য গ্রিন ম্যানদের জার্সি পরার অপেক্ষায় তিনি। ১৭ জনের এই স্কোয়াডের সঙ্গে নন-ট্র্যাভেলিং রিজার্ভ হিসেবেও পাঁচজনকে রাখা হয়েছে। এই তালিকায় অভিজ্ঞ মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রও আছেন। উল্লেখ্য, আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে। একই ভেন্যুতে ২০ ও ২১ এপ্রিল হবে পরের দুটি ম্যাচ। এ ছাড়া ২৫ ও ২৭ এপ্রিল শেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে লাহোরে। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড : বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফতেখার আহমেদ, আজম খান (উইকেটরক্ষক), ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমির, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ, ফখর জামান , ইরফান খান নিয়াজী, উসামা মীর ও জামান খান। রিজার্ভ : হাসিবুল্লাহ, মোহাম্মদ আলী, আগা সালমান, সাহেবজাদা ফারহান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৬

নির্বাচনের আগে পিটার হাসের আত্মগোপন নিয়ে মুখ খুলল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভারতের চাপে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আত্মগোপনের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পিটার হাস প্রসঙ্গে সাবেক ভারতীয় এক হাইকমিশনারের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ব্রিফিংয়ের প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রাক্কালে কথিত ভারতীয় চাপে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আত্মগোপন করেছিলেন-এটি কি সত্য? ভারতের একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক, যিনি বাংলাদেশে একসময় ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন তিনি নয়াদিল্লিতে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেছেন। জবাবে নয়াদিল্লির সব বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের দিকে নজর রাখেননি উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার হাসতে হাসতে বলেন, ‘না। এটি সঠিক তথ্য নয়।’ সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনের আগে কূটনৈতিক তৎপরতার কিছু তথ্য ওঠে আসে। দিল্লির থিংক ট্যাংক ‘অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে’ (ওআরএফ) নিজের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ও ঢাকায় সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ভারত যে মোটেই পছন্দ করছে না, বাইডেন প্রশাসনের কাছে দিল্লি এটা স্পষ্ট করে দেওয়ার পরেই ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে অনেকটা আত্মগোপনে চলে যেতে হয়েছিল।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১২

ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে যা যা করবেন
সারা মাস রোজার পর ঈদুল ফিতর পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেন সবাই। জীবনের শৈশব, কৈশোর যেখানে কেটেছে, সেই আপনজনদের সঙ্গেই ঈদ উদযাপনের জন্য ছুটে যায়। তখন ফাঁকা পড়ে থাকে বাসা। তাই বাড়ি যাওয়ার আগে কিছু কাজ গুছিয়ে নিলেই ঈদের ছুটি কাটাতে পারবেন নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে। কারণ, আপনি যে বাসায় থাকেন সে বাসার নিরাপত্তার দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। এই নিরাপত্তা ঈদযাত্রার প্রস্তুতিপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।  জেনে নিন, ঈদযাত্রায় যাওয়ার আগে বাসার নিরাপত্তায় আপনার কী কী করে যেতে হবে- কাজের একটি তালিকা করুন: সবার আগে একটি তালিকা তৈরি করুন। কার জন্য কী নিতে চান, ব্যাগে কী নিতে হবে, কোন কাজগুলো আগে সারতে হবে, ঈদে কোথায় কোথায় যেতে চান, সবকিছু একটি নোটে লিখে নিন। এখন সব স্মার্টফোনেই নোট করার সুবিধা থাকে। সেটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার কাজগুলো করা সহজ হবে। কোনোকিছু ভুলে গেলেও তালিকা দেখে মনে করে নেওয়া যাবে। ব্যাগ গুছিয়ে নিন : বাড়িতে যাওয়ার আগে সময় করে ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। নয়তো শেষ মুহূর্তে এসে গোছাতে গেলে তাড়াহুড়োয় অনেক কিছুই ভুলে ফেলে যেতে পারেন। অতিরিক্ত জিনিসপত্র টানবেন না। যতটুকু দরকার, ততটুকুই নিন। ফোনের চার্জার, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও কাগজপত্র ইত্যাদি গুছিয়ে সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনের সময় যেন হাতের কাছেই পাওয়া যায়। গ্যাসের চুলা বন্ধ করুন : অনেক সময় রান্না শেষে চুলা বন্ধ করার কথা আমরা ভুলে যাই। অথবা বন্ধ করলেও সেটি ভালোভাবে বন্ধ হয় না। তাই বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে আরেকবার ভালোভাবে দেখে নিন। কারণ কোনো কারণে গ্যাস লিক হলে বদ্ধ করে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে। তাই সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে সতর্ক থাকুন। পানির কল বন্ধ করুন : অনেক সময় কল চালু রাখা অবস্থায় পানি চলে গেলে পরে আর বন্ধ করতে মনে থাকে না। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে পানি চলে এলে তা অপচয়ের ভয় থাকে, যদি বাড়িতে কেউ না থাকে। তাই সবগুলো পানির কল ভালোভাবে বন্ধ করুন। এতে আপনি বাসায় না থাকলেও পানির অপচয় হবে না। সুইচ বন্ধ রাখুন : বাড়ির ইলেকট্রিক বাতি, ফ্যান, কম্পিউটার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদির সুইচ বন্ধ করে বের হবেন। সবগুলো প্লাগ খুলে রাখার চেষ্টা করবেন। যদি ফ্রিজ খালি থাকে তবে সেটিও পরিষ্কার করে বন্ধ করে রেখে যান। আর যদি খালি না থাকে তবে চালু অবস্থায়ই রাখতে হবে, নয়তো ভেতরে থাকা খাবার নষ্ট হবে। ঘরের একটি ছবি তুলে নিন : সবকিছু শেষে বাড়ির সবগুলো কক্ষের একটি করে ছবি তুলে নিন। এতে কোনো ধরনের অসঙ্গতি থাকলে তা চোখে পড়বে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তাই সতর্কতার অংশ হিসেবে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ছবি তুলে রাখুন। ঘর ভালোভাবে তালাবদ্ধ করুন : শুধু বাড়ির প্রধান দরজায়ই নয়, সবগুলো দরজা ও জানালায় ভালোভাবে লক করুন। লক করা হলে আরেকটার টেনে দেখবেন ভালোভাবে লক হয়েছে কি না। সবগুলো তালার চাবি সঙ্গে রাখুন। খেয়াল রাখবেন যেন বেড়াতে গিয়ে চাবি হারিয়ে না যায়। নয়তো ফিরে এসে বিপদে পড়তে হতে পারেন। পথের খাবার : একেবারে খালি পেটে ভ্রমণ করবেন না। আবার খুব ভরা পেটেও নয়। খেয়ে ভ্রমণের সময় তেল-মসলাযুক্ত না খেয়ে হালকা খাবার খান। পথে খাওয়ার জন্য (ইফতার বা সেহরি) রাস্তার খোলা খাবার কিনে না খেয়ে সঙ্গে রাখুন পানি, ফল ও হালকা বিস্কুট বা ক্র্যাকার্স।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৯

ঈদের আগে লাগামছাড়া মাংসের বাজার
ঈদুল ফিতরের আগে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে মাংসের বাজার। গরুর মাংস, খাসির মাংস, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, ঈদ উৎসবের সময় মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়, বেশি বাড়ে মুরগির চাহিদা। এই বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে মাংসের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। গত তিন দিনে বাজারে প্রতিদিনই কোনো না কোনো মাংসের দাম বেড়েছে।        বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের কারণে বাজারে মাংসের চাহিদা অনেক বেড়েছে। এই সুযোগে খামারিরাই গরু ও মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি মানভেদে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। গরুর মাংসের দাম আরও বেড়ে ৮০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ বাজার ঘুরে ক্রেতার উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে মুরগি ও গরুর মাংসের দোকানগুলোতে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি ছিল। একই রকম বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। গত সপ্তাহে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ছিল ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। তবে গোটাকয়েক দোকানে এখনো ৭৫০ টাকায়ও গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার টাকা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একজন মুরগি বিক্রেতা বলেন, ঈদ উপলক্ষে খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে এখন মুরগির সরবরাহও কম। তাই নতুন করে মুরগির দাম বেড়ে গেছে। মালিবাগ বাজারে ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসজুড়ে মাছ ও মাংস বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে। ঈদের আগে মাংসের দাম আবার বাড়ল। বাজার করতে গেলে তাল পাওয়া যায় না। প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, করপোরেট গ্রুপগুলোর কৃত্রিম সংকটে মুরগির বাচ্চা কিনতে না পেরে উৎপাদন থেকে বাধ্য হয়ে সরে যাচ্ছে প্রান্তিক খামারিরা। এখন বেশির ভাগ মুরগি করপোরেট গ্রুপগুলোর, বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তারাই। ফলে বাজারে মুরগির দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, একটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করতে খরচ হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকা। অথচ প্রান্তিক খামারিদের সেই বাচ্চা কিনতে হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির ফিড উৎপাদন করতে খরচ হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কিন্তু প্রান্তিক খামারিদের সেই ফিড কিনতে হয় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। আর এক কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করতে খরচ হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, বেশির ভাগ জায়গায় গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। তবে কেউ কেউ ৮০০ টাকায়ও বিক্রি করছেন।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়